Logo
শিরোনাম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গিরা তৎপর: র‍্যাব ডিজি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বিডি টুডেস ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গিরা তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।

সোমবার (১ জুলাই) হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

র‍্যাব ডিজি বলেন, জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে র‍্যাব অনেক আধুনিক হয়েছে। একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে র‌্যাবের।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি জঙ্গিরা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও তৎপর। পলাতক জঙ্গিদের নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে।




অনেকে মনে করেছিল বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে: এসবি প্রধান

এ সময় বাংলাদেশে আর কখনই জঙ্গিবাদের উত্থান হবে না জানিয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ এদেশে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ।


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পয়লা জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল গোটা দেশকে। জঙ্গিরা ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে।


নারকীয় ওই হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। পরে সেনা অভিযানে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি নিহত হয়।


জঙ্গিদের ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালে ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। 


পরে গত বছর গেল বছর ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এখনও সেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি।


আরও খবর



কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। ৫ আগস্টের পর একটি মহল হয়রানির উদ্দেশ্যে মূল আসামির সঙ্গে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামি করছে। এ বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।

সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকসহ বিভিন্নজনের নামে মিথ্যা মামলা হচ্ছে’— এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমাদের শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে। সবাই নিজের হাতে লিখে নিয়ে আসেন। যখন একজন বাদী নিয়ে আসেন তখন সেটি আমাদের মামলা হিসেবে রুজু করতে হয়। তখন এটা সত্য না মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ নেই। অভিযোগ যেটা দেয়, সেটা আমার নিতে হয়। এরপর তদন্তে গিয়ে আমি দেখি আসলে কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা। সত্য অংশটুকুই আমরা তদন্তে উঠিয়ে নিয়ে আদালতের কাছে পাঠাই। এই অপরাধটা হয়েছে।

বাহারুল আলম বলেন, এখন যেটা ৫ আগস্টের পরে দেখা গেছে অনেকে অসৎ উদ্দেশ্যে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য, হয়রানি করার জন্য, ভয় দেখানোর জন্য। অপরাধটা হয়তো করেছেন ৫ কিংবা ১০ জন, ওখানে আরো ৩০০ জনের নাম দিয়ে মামলা করা হচ্ছে এবং গতকালও একটা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে নিশ্চিত করতে পারি শুরু থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমি নিজে বলেছি এবং পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই নির্দেশ পেয়েছেন কোনো নিরীহ মানুষকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, হয়রানি করা না হয়। তদন্তে শুধু যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বেলাতেই আমরা ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট চাইব। তার বিরুদ্ধেই আমরা গ্রেপ্তার কার্যক্রম চালাব।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image


হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশী পরিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরা ও চাকরি প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

পরিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলা থেকে কারারর্ক্ষী পদে ৬০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিক্ষার কেন্দ্র ঝালকাঠিতে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কারারক্ষী পদে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশীরা ঝালকাঠি জেলা কারাগাড় চত্ত্বরে লাইনে দাড়ায়। এ সময় গেইট থেকে অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, শিক্ষা সনদ ছিড়ে ফেলা এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এ অবস্থায় এই নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানান তারা। সংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়।

চাকরি প্রত্যাশীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে নিয়োগ বালিতের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছে। 

ঝালকাঠির জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ ইবনে তোফাজ্জেল হোসেন খান জানান, এ নিয়োগ পরিক্ষার সঙ্গে তারা সংশ্লিষ্ট নাই। ঝালকাঠি জেলা ভ্যানু হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে কর্মকর্তারা এসে পরিক্ষা নিয়েছে।


আরও খবর



ভারত যুদ্ধ চাইলে চূড়ান্ত জবাব দেবে পাকিস্তানও!

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে। ঘটনার পর থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এরই মধ্যে কয়েক দফায় কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে।

এ অবস্থায় ভারতকে একটি স্পষ্ট এবং জোরালো বার্তা দিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার কোনোরকম চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তানের দিক থেকেও চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

পাকিস্তানি গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেহেলগাম হামলা ঘিরে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল সদর দপ্তরে একটি বিশেষ কর্পস কমান্ডারদের বৈঠক ডেকেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির।

এরপরই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিরাজমান ভূ-কৌশলগত পরিবেশ নিয়ে একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছেন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে বর্তমান পাকিস্তান-ভারত অচলাবস্থা এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা যাচাইয়ের উপর জোর দিয়েছেন তারা।

বৈঠকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের যেকোনো আগ্রাসন বা দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য নিজেদের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর অটল পেশাদারিত্ব, দৃঢ় মনোবল এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান। জেনারেল আসিম মুনির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেকোনও মূল্যে মাতৃভূমি রক্ষার জন্য পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এছাড়া সকল ফ্রন্টে সতর্কতা এবং সক্রিয় প্রস্তুতি বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান।

বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে (IIOJK) ভারতীয় নৃশংসতার তীব্রতা বাড়তে পারে বলেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা। তাদের আশঙ্কা, পেহেলগাম হামলা ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত, যেমনটা ঘটেছিল ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর। ওই ঘটনার পরই ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর কেন্দ্রের শাসন চালু করে ভারত।

পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) বলছে, ভারতীয় সন্ত্রাসী প্রক্সিগুলোকে কার্যকরভাবে শ্বাস নেওয়ার স্থান তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের বিচ্যুত কৌশল কখনই সফল হবে না।

শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির প্রতি পাকিস্তানের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি পাকিস্তানি শীর্ষ কমান্ডারদের ফোরাম স্পষ্টভাবে বলেছে, যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার যেকোনও প্রচেষ্টার অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে এবং পাকিস্তানের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে যেকোনও মূল্যে সম্মান করা হবে।

একইসঙ্গে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ভারতীয় সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে দাবি করে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে ফোরামটি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।

এ ছাড়া সিন্ধু নদের পানি ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। স্পষ্ট ভাষায় তিনি ঘোষণা দেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের জেরে ভারতকে হুমকি দেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোও। তিনি বলেন, সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।

পাকিস্তান প্রয়োজনে পারমাণবিক হামলার জন্যও প্রস্তুত আছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ ও রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি।

অন্যদিকে পেহেলগাম হামলায় জড়িত ও মদতদাতাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করব এবং এমন শাস্তি দেব, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সময় এসেছে সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার। ১৪০ কোটি মানুষের দৃঢ় সংকল্প সন্ত্রাসের মদতদাতাদের চূর্ণ করে দেবে।


আরও খবর



সাত জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

২৫ এপ্রিল ছুটির দিনে সারাদেশ প্রায় বৃষ্টিহীন। আর সাত জেলায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্র বৃদ্ধির প্রবণতা আগামীকাল শনিবারও থাকতে পারে। তবে, রোববার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাতে কমতে পারে তাপ।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। আজ সেখানে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

দেশের অন্য যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে যশোরে ৩৮ দশমিক ২, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮, সিরাজগঞ্জে ৩৭ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৮, বগুড়ায় ৩৬ দশমিক ৫ এবং সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।

অবশ্য রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা খানিকটা কমেছে। আজ ঢাকা মহানগরীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ইন্টারনেট সেবা: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক। সভার আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

ইমদাদুল হক বলেন, আজ থেকেই গ্রাহকেরা আগের ৫ এমবিপিএসের পরিবর্তে ১০ এমবিপিএস গতি উপভোগ করবেন, মাসিক মাত্র ৫০০ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, একই টাকায় শিগগির সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন ১ কোটি ৪০ লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রাহক।

এ সময় ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন খরচ ৫ টাকায় নামিয়ে আনা ও অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারা। ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন খরচ কমানোর আশ্বাস দেন বেসরকারি ফাইবার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। তাই এই সেবার দাম আরও কমানো উচিত।

বাংলাদেশে আর কোনো দিন ইন্টারনেট বন্ধ হবে না জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউনের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করা হলে তা হবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা। আইএসপিএবির সভাপতির বক্তব্যের পর এক বার্তায় এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে সাবমেরিন কেব্‌ল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এমনিতেই বাংলাদেশের গ্রাহকেরা আইটিসির মাধ্যমে যে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেন, তা আসলে ইন্টারনেট নয়। এটি একধরনের এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট বলা যেতে পারে। ভারত থেকে কিনে আনছে মাত্র ৮০ টাকায় ১ জিবিপিএস। অথচ আমরা কিনছি লাখ টাকায়। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস ও সর্বোচ্চ হবে ১০০ এমবিপিএস। বিটিআরসি যদি এই সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেয়, তা হবে অন্যায় ও অযৌক্তিক।


আরও খবর