Logo
শিরোনাম

শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বৃহত্তর সমাবেশের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল, নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান চলতি মাসের ১৬ তারিখ বৃহত্তর সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। ‘দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে এই সমাবেশের ডাক দেন তিনি।শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় রাইফেলস ক্লাবে সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের নিয়ে এক প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, আমি দেখছি সম্প্রতি জাতিরন পিতার কন্য শেখ হাসিনাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়া হচ্ছে। তারা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আন্দোলনের নামে মিছিল করছেন। তারা শুধু জাতির পিতার কন্যা শেখ হসিনাকেই নয় বরং বঙ্গবন্ধুকে পর্যন্ত নোংরা ভাষায় গালি দিচ্ছে, যা মেনে নেওয়ার মত না।

শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিতে কিছু হিসাব নিকাশের বিষয় আছে। আমি যে সব জানি তা না। তবে খোঁজ খবর রাখি। ওরা ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। ওরা তারাই যারা স্বাধীনতার সময় ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন নিয়েছিল। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়েছিল। ওরা ইসলামের কথা বলে মানুষ জবাই করেছিল। আমরা কি এই জন্য মাঠে নামবো, না এই জন্য মাঠে নামবো না। নামবো স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির জানান দিতে। কী লজ্জা আমাদের? এই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ রক্ষা করতে আমাদের এক হতে হয়। এই বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তায় নেমে শ্লোগান দিতে হয়। সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা শ্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ আর আজকে আমাদের শ্লোগান ধরতে হয়, ‘বীর বাঙ্গালী ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ রক্ষা কর।

বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি অনেক লাফালাফি করছে। কেউ বলছে, সাত দিনের মধ্যে সরকার পতন করে ফেলবে। কেউ বলছে এক মাসের মধ্যে করবে। কারা সরকার পতন করবে আর করবে না, এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ফায়সালা। তবে আমি বলি, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাই হবেন সরকার প্রধান। আমরা যারা ৭৫ এর পরে রাজনীতিতে এসছি তারা শেখ হাসিনাকে মায়ের দৃষ্টিতে দেখি। ওরা আমাদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করবে, এটাতো আমরা মেনে নিব না। এমন কর্মকান্ড আমরা মেনে নিতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি বলে পুলিশ নিয়ে চলি। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি আপনাদের যত পুলিশ আছে, সব তাদের পক্ষে যান। সব নিয়ে ঘোষণা করেন পুলিশ আমাদের পক্ষে আছে, তারপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করে দিব। আপনাদের স্মরণ থাকার কথা, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মতিন চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন, আটকে দিয়েছিলাম। অনুমতি চেয়ে বলেছিলেন, আমি যাই। অনুমতি দেওয়ার পর চলে গিয়েছিলেন। আমাদের পুলিশ বাহীনি লাগে না।

অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা হলে আমিও সমান, তুমিও সমান। তখন খেলবো। দেখা যাবে কতটুকু জোড় কার? আসলে খেলার আগে রিহার্সেল লাগে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের শরীরে চর্বি জমে গেছে। আমি বিশ^াস করি আমসার সাথে যারা আছেন তারা ফিট আছেন। আমাদের মদ্যে কেউ আছেন যারা মনোনয়ন পাবার জন্য বলেন আপা আপা। কিন্তু মনোনয়ন পেলে আর কিছুই ঠিক থাকে না। এখানে আমরা যারা আছি সবাই কর্মী, কেউ নেতা না। আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক।  

সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, সেদিন নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেখিয়ে দেবো নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাটি ছিল আছে এবং থাকবে। আপনারা ১৬ তারিখ দেখিয়ে দেবেন, আমরা এমন আওয়াজ তুলব, যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেদিন আমি মন্ত্রীকে দাওয়াত করব আশা করি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে উনি উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সাফায়েত আলম সানী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নেইমারের ইতিহাস গড়া ম্যাচে ব্রাজিলের গোল উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে প্রায় অর্ধলক্ষ দর্শক যেন এই মুহূর্তের সাক্ষী হতেই এসেছিলেন। ব্রাজিলের মত ফুটবল ঐতিহ্যের দেশে নতুন এক রেকর্ড হবে। সর্বকালের সেরার তকমা পাওয়া পেলেকে ছাড়িয়ে যাবেন এই প্রজন্মের একজন তারকা। নেইমার জুনিয়রের এমন কীর্তির অপেক্ষায় অবশ্য ছিল পুরো ফুটবল দুনিয়া।

নেইমার অবশ্য নিরাশ করেননি। ঘড়িতে ম্যাচের বয়স যখন ঠিক এক ঘন্টা, তখনই দারুণ সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ থেকে স্কোরশিটে নিজের নাম তোলেন এই সুপারস্টার। বলিভিয়ার বিপক্ষে এই গোলের মাধ্যমে কিংবদন্তি পেলেকে টপকে ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন নেইমার। পরে আরও একবার বল জালে জড়িয়েছেন। তাতে ব্রাজিল পেয়েছে ৫-১ গোলের বিশাল এক জয়।  

ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৭ মিনিটেই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল নেইমারের সামনে। পেনাল্টি নিতে বরাবরই দক্ষ তিনি। কিন্তু কি বুঝে যেন আজই নিলেন দুর্বল এক শট। তাতে গোল আর রেকর্ড দুটো থেকেই বঞ্চিত হলেন এই সুপারস্টার। 

ব্রাজিলকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২৪ মিনিটেই দেখা মিললো প্রথম গোলের। জটলার ভেতর দূরহ কোণ থেকে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান রদ্রিগো। এরপর গোল না এলেও দাপট দেখিয়েছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে চার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে একাই গোলমুখে এগিয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। শটও নিয়েছিলেন ঠিকঠাক। তবে সেটা আটকে যায় বলিভিয়ার গোলরক্ষকের হাতে। 

মাঝে ব্রাজিল অবশ্য উপহার দিয়েছে আরও দুই গোল। ৪৭ মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্টেই গোল করেন রাফিনহা। আর নিজের করা রদ্রিগো পূরণ করেছেন ৫৩ মিনিটে। পুচকে বলিভিয়ার সঙ্গে দারুণ ফুটবল খেলেই বড় জয়ের পথে ছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। 

তবে আগ্রহের কেন্দ্রে যেন ছিলেন নেইমার। তবে ৬১ মিনিটে আর সুযোগ হাতছাড়া হলো না। ডিবক্সের ভেতর অনেকটা জটলার মধ্যেই রদ্রিগোর পা ঘুরে বল আসে তার সামনে। ফার্স্ট টাইম শটে গোল করে রেকর্ডবুকে নিজের নাম লেখালেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। বামপ্রান্ত থেকে আক্রমণের সূত্র ধরে বল আসে বলিভিয়া ডিবক্সে। রাফিনহার ব্যাকপাস থেকে রদ্রিগোই শট নিতে চেয়েছেন, তবে শেষ মুহূর্তে বল ঠেলে দেন নেইমারের কাছে। দারুণ শটে দলের চতুর্থ এবং নিজের রেকর্ডগড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এই পোস্টারবয়। 

ম্যাচের অন্তিম সময়ে রাফিনহার পাস থেকে আরও একবার গোলের খাতায় নাম লেখান নেইমার। তাতেই নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের ৫-১ গোলের বিশাল জয়।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, ..খায়রুজ্জামান লিটন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের কল্যান হয়। আর বিএনপি থাকলে লুন্ঠন করে, নির্যাতন করে।

তিনি শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫ নং রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত সহ একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা বলে, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মারা গেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলে দিয়েছে, দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নাই। শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, ২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। বিএনপির আমলে সারের দাবিতে, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াত-বিএনপি,জেএমবির অত্যাচার-নির্যাতন আপনারা নিশ্চয় ভুলে জাননি।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল ইতিহাসে ১ম বারের মতো পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে ট্রেন গেছে। সম্প্রতি এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য সব সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

রাসিক মেয়র লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকবে৷ শেখ হাসিনাই আবার ক্ষমতায় আসবেন ইনশাআল্লাহ।

এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো আছে। আমরা দুষ্টু লোকের মিষ্ট কথায় ভুলতে চাই না। আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা মাথা উচু করে বাঁচতে চাই।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে, সড়ক হয়েছে, স্কুল-কলেজ হয়েছে, মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়ন হয়েছে। গ্রাম পর্যায়েও উন্নয়ন পৌছে গেছে। আজ আমাদের গ্রামের মা-বোনেরা ভালো জামাকাপড় পড়েন, অনেকে গ্যাসের চুলায় রান্না করেন।।

তিনি আরো বলেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মারা গেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনা আছেন, থাকবেন। আগামী নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিবেন।

রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ প্রতাপ চন্দ্র মুন্ডার সভাপতিত্বে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নিয়ামতপুর উপজেলা  আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান বিপ্লব, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হাসান মিলন, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সহ-সভাপতি সরকার কামাল উদ্দিন, আবেদ আলী দেওয়ান, মোঃ নুরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন শাহ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোত্তালিব হোসেন বাবর। সমাবেশ টি সঞ্চালনা করেন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌহিদুর রহমান।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




'গদর ২', 'কাশ্মির ফাইলস' বলিউডের জন্য ক্ষতিকর : নাসিরুদ্দিন শাহ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : যেকোনো বিষয়ে স্পষ্ট মতামত দেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। সময়ে সময়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এবার তিনি মুখ খুলেছেন ‘গদর ২’, ‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র মতো ব্লকবাস্টার হিটের খ্যাতি পাওয়া সিনেমা নিয়ে। সিনেমাগুলোতে তিনি বলিউডের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন।

নাসিরুদ্দিনের দাবি, এসব ছবির বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া উদ্বেগজনক। ‘ম্যান উওম্যান ম্যান উওম্যান’র কারণে বর্তমানে খবরে রয়েছেন তিনি। যা দিয়ে প্রায় ১৭ বছর পর পরিচালনায় ফিরছেন। এ সিনেমায় দেখা যাবে নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী রত্না পাঠককেও।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাসিরকে বলিউডের সিনেমা নির্মাণের ধারার যে পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার জবাব, জনপ্রিয়তা এখন জিঙ্গোইজম দ্বারা চালিত। যা ক্ষতিকারক। নাসিরুদ্দিন বলেন, এখন আপনি যত বেশি জিঙ্গোইস্ট হবেন, তত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। কারণ এ ভাবনাই এখন চলছে। দেশকে ভালোবাসা স্পষ্ট নয়, তা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলতে হবে। লোকে বুঝতে পারে না যে, তারা যা করছে তা খুব ক্ষতিকারক। এই যেমন, ‘কেরালা স্টোরি’ এবং ‘গদর ২’-এর মতো ছবি, এ ধরনের ছবি এখন মানুষ দেখছে। আমি সেগুলো দেখিনি তবে আমি জানি সেগুলো কী।

তিনি বলেন, এটা বিরক্তিকর যে ‘কাশ্মির ফাইলস’র মতো চলচ্চিত্রগুলো এত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় যেখানে সুধীর মিশ্র, অনুভব সিনহা এবং হনসল মেহতা, যারা তাদের সময়ের সত্য ঘটনা চিত্রিত করার চেষ্টা করছেন, তাদের তৈরি করা চলচ্চিত্রগুলো লোক দেখে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যে এই চলচ্চিত্র নির্মাতারা সাহস না হারিয়ে গল্প বলা চালিয়ে যাবেন। ১০০ বছর পর লোক যখন ‘ভিড়’ দেখবে আর ‘গদর ২’ দেখবে, তখন বুঝতে পারবে কোন সিনেমাটি বর্তমান সময়ের সত্যি কথা আসলেই বলেছিল। কারণ সিনেমাই একমাত্র মাধ্যম, যা এটা করতে পারে। বর্তমানে যা ঘটছে তাকে রিগ্রেসিভ বললেও কম বলা হবে। কোনো কারণ ছাড়াই কোনো সম্প্রদায়কে ছোট করা একটা বিপজ্জনক প্রবণতা।

ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রবাদ-প্রতিম ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন শাহ। শেষবার তাকে দেখা গেছে ‘তাজ : রেইন অব রিভেঞ্জ’ সিরিজে।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পরমাণু বিদ্যুতে প্রবেশের পথে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

পাবনার রূপুপরের হাত ধরে বিশ্বের ৩২তম আর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে পরমাণু বিদ্যুতের প্রবেশের পথে বাংলাদেশ । তবে প্রকল্পটি এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে এসেছিল নানা প্রতিবন্ধকতা। বৈশ্বিক রাজনীতি, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা ও মহামারি কোভিড নিষেধাজ্ঞাও-এমন সব নানা প্রতিকূলতা মাড়িয়ে রূপপুর এগিয়েছে আপন লক্ষ্য ঠিক রেখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বৈশ্বিক বিচারে রূপপুরের অগ্রগতিকে বিবেচনা করতে হবে সন্তোষজনক দৃষ্টিকোণ থেকেই। আর এ প্রকল্প নিছক একটি বিদ্যুৎ স্থাপনা নয় প্রতীক হয়ে থাকবে জাতীয় সক্ষমতার।

রাশিয়ার জাহাজ ‌উরসা মেজরের কথা অনেকেরই নিশ্চয়ই মনে আছে। আর্থিক বিচারে দেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এ রুশ জাহাজটির নাম। রুশ এ জাহাজটি নিয়ে ফিরে যাওয়া কিছু কথা আবার উঠে এসেছে এ প্রতিবেদনে। গতবছরের ডিসেম্বরে রূপপুরে নির্মিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশে রওনা হয়েছিল উরসা মেজর। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার গ্যাঁড়াকলে বন্দরে ভেড়ার আগেই বাংলাদেশের জলসীমা ছাড়তে হয় জাহাজটিকে। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে রূপপুরের সরঞ্জাম খালাসের চেষ্টা করেও যায় বিফলে। আর এ নিয়ে তখন কূটনৈতিক পর্যায়েও হয়েছিল বেশ জলঘোলা।

এখানেই শেষ নয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রান্তে সঞ্চালন উপকেন্দ্র নির্মাণে যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা ছিল জার্মান কোম্পানি সিমেন্স এজির। তবে রুশ কোম্পানি রোসাটমের নির্মাণ করা রূপপুরের উপকেন্দ্র নির্মাণেও প্রভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক অবনতির জের আর নিষেধাজ্ঞার গ্যাঁড়াকলে রূপপুরে যন্ত্রপাতি সরবরাহ থেকে সরে যায় জার্মান কোম্পানিটি। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকতে হয় চীনা কোম্পানির দিকে।

রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা আর কোভিড মহামারির জেরে এমন সব নানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল রূপপুরকে ঘিরে। তবে শঙ্কাজাগানিয়া সেই সব অধ্যায় পেছনে ফেলে রূপপুর এগিয়ে চলছে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে। যার সবশেষ উদাহরণ নির্ধারিত সময়ে পারমাণবিক জ্বালানি ইউরিনিয়াম বুঝে নেয়া।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বহুমাত্রিক প্রতিকূল বাস্তবতায় সন্তোষজনকই বলতে হবে রূপপুরের অগ্রযাত্রা। এমনকি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বৈশ্বিক উদাহরণ আমলে নিলেও রূপপুরকে রাখতে হবে সামনের কাতারেই।

সম্প্রতি এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিউক্লিয়ার পাওয়ারপ্লান্ট নির্মাণ করতে গেলে কমপক্ষে ১০ বছরের মতো সময় লাগে। এক্ষেত্রে আমরা ২০১৭ সাল থেকে যদি চিন্তা করি ২০২৩ সাল, সেই অনুসারে অনেক এগিয়ে গেছে। নবাগত দেশ হিসেবে শূন্যে থেকে পারমাণবিক জ্বালানির অধিকারি হওয়া সত্যেই একটা অর্জনের বিষয়। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধটা অনেক ক্ষেত্রে কাজের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও এটির কাজ এগিয়ে গেছে।

কিন্তু দেশে দেড়শোর বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকার পরও রূপপুরকে ঘিরে কেন এত জল্পনা আর এত কথা? একদিকে এ রূপপুরকে কেন্দ্র করেই বিশ্বের ৩২তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক বৈশ্বিক ক্লাবে। অন্যদিকে, রূপপুরের ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। যা বর্তমান চালু থাকা দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ক্ষমতার। এসব বাস্তবতায় রূপপুরকে কেবল একটি স্থাপনা নয়, জাতীয় গৌরব-সক্ষমতারও নিদর্শন, জাতীয় গৌরব-সক্ষমতার নিদর্শন হিসেবেও দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রূপপুরের ক্ষেত্রেও বলা হচ্ছিল যে, সঠিক সময়ে এটি নির্মাণ করতে পারব না, অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে। সব কিছু মোকাবেলা করেই কাজ এগিয়ে চলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বিশ্বজুড়েই যখন উদ্বেগের বিষয়, পরাশক্তির রেষারেষি। তখন পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতের অনন্য নজির গড়ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, এটা তো জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় কারণ আমরা নিউক্লিয়ার ক্লাবে প্রবেশ করলাম। নিউক্লিয়ার হচ্ছে সবচেয়ে উচ্চতর প্রযুক্তি।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় জীবন যুদ্ধে জয়ী আদিবাসী নারী জগবতি টপ্পো

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

“আদিবাসী সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই, তারা নিজেরাই সমান মর্যাদা ও অধিকার ভোগ করেন” এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থাকে সম-অধিকারের সমাজ ব্যবস্থা হিসেবেও চালিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করা হয়। আদিবাসীরা যেন সমাজে এক ছোটজাতের জনগোষ্ঠির মানুষ। সেই ধারণাকে বদলে দিতে প্রতিনিয়তই নিজের গোষ্ঠির মানুষদের সম-অধিকার নিশ্চিত করতে ও সমাজের মূলধারায় যুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন আদিবাসী নেত্রী শ্রীমতি জগবতি রানী টপ্পো।

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ২নং মথুরাপুর ইউনিয়ন এর লক্ষীকুল গ্রামের মৃত জয়নাত সরদার টপ্পো ও তরুবালা রানী টিপ্পোর মেয়ে আদিবাসী গোষ্ঠির সংগ্রামী নারী হচ্ছেন শ্রীমতি জগবতি রানী টপ্পো। সাত বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে জগবতী রানী টপ্পো ৪র্থ। অভারের সংসারে বেড়ে ওঠা জগবতি গরীব বাবার ঘরে খেয়ে না খেয়ে জীবন জাপন করেছেন। 

সে সময় গ্রামে-গঞ্জে নারী শিক্ষার হার ছিল খুবই কম। তিনি ১৯৯৯ ইং সালে এসএসসি পাশ করেন। দারিদ্রতার কারনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০০০সালে একই গ্রামের শ্রী জতীন্দ্রনাথ তির্কীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। স্বামীর অনুপ্রেরনায় সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হন তিনি। 

জগবতি রানী টপ্পো বলেন, বিয়ের পর স্বামীর অনু প্রেরনায় তিনি ২০০৫ সালে বিএ পাশ করেন। পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে স্বপ্ন দেখেন ইউনিয়ন পরিষদের “মহিলা মেম্বার” হওয়ার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে শত বাধা আর বিপত্তিকে উপেক্ষা করে তিনি ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে বিজয়ী হতে পারেন না। পরে ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারো সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন তিনি  কিন্ত আবারো শত ষড়যন্ত্রের কাছে তাকে হার মানতে হয়। 

এরপর ২০১৯ সালে জগবতি রানী টপ্পো অপরাজিতা নামক এক প্রকল্পের সাথে যুক্ত হোন। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহন করে তার জ্ঞান ও দক্ষতার প্রসার ঘটান। তিনি জনগনের মাঝে সম্পৃক্ততা বাড়াতে সমাজ সেবা মূলক কাজের সাথে লেগেই থাকতেন সব সময়। বাল্য বিবাহ বন্ধ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, চিকিৎসার জন্য আদিবাসী নারী-শিশুকে উপজেলা থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে দেয়া, আদিবাসী প্রতিবন্ধী শিশুদের ভাতায় নিবন্ধিত করতে সাহায্য করাসহ নানা ধরণের সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেকে সব সময় নিযুক্ত রাখেন তিনি। এই সব কাজের মাধ্যমে তিনি নিজের গোষ্ঠিসহ এলাকার সকল মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। 

পুনরায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার হওয়ার সপ্ন নিয়ে নতুন উদ্যোমে ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে “তালগাছ” প্রতিক  নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। নির্বাচনের আগে তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থার শিকার করা হয়, পোষ্টার ছিড়ে ফেলা, প্রচার মাইক ভেঙ্গে ফেলা, ভোটের দিন কেন্দ্রে সমর্থকদের মারপিট করা, জোর করে ভোট দেওয়া ইত্যাদি কর্মকান্ড চালানো হয়। এক পর্যায়ে ৩টি কেন্দ্রে ভোট গণনা বন্ধ রাখা হয়। পরে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহায়তায় ভোট গণনার পরে ২২ হাজার ২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হোন জগবতী রানী টপ্পো। 

লড়াকু জগবতি রানী টপ্পো সব সময় নিজের মোটরবাইকের মতো ছুটে চলেন। একজন প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসি জনগোষ্ঠির নারী তার অদম্য ইচ্ছে শক্তি দিয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী ঠিকানা গড়তে দিন-রাত গ্রামে গ্রামে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সমতলের একজন আদিবাসী লড়াকু জগবতি রানী প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিশেষ করে সকল স্থানে আদিবাসী নারীর দুরবস্থাকে আড়াল করা  হয়। জগবতি রানী সেই চিরায়ত ধারাকে ভেঙ্গে সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পুরুষ তান্ত্রিকতাকে পরাজিত করে সামাজিক অনুশাসন, ধর্ম, অর্থ ও পেশীশক্তিকে মোকাবেলা করে নিজের গোষ্ঠির মানুষসহ দেশের পিছিয়ে পড়া সকল মানুষদের সমাজের মূলধারায় যুক্ত করে তাদের সমঅধিকার নিশ্চিত করা পর্যন্ত জগবতি রানী টপ্পো তার জীবনের শেষ দিনও এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা বলেন, জগবতি রানী টপ্পো সত্যিই সকলের জন্য এক দৃষ্টান্তর। এমন ব্যক্তিদের জন্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ার দুয়ার সব সময় খোলা আছে। এছাড়া জগবতি রানী টপ্পোর পাশে জেলা প্রশাসন রয়েছে। তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার কথাও জানান জেলা প্রশাসক। 


আরও খবর