Logo
শিরোনাম

সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পরতে পারবেনা..আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল ঃ

পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়তে যেন না পারে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই সচেতন আছে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্সের যেই নীতি, এই নীতিতে অবিচল থেকে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন সহ সকলে মিলে একসাথে দায়িত্ব পালন করছে।  এই দায়িত্ব পালনের কারণে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান এই পুলিশের প্রধান। 

মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়া পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন, এ সময় আর উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি সাইদুর রহমান, জেলা প্রশাসক মনজুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, আমলাপাড়া পূজা মন্ডপের সভাপতি বাবু প্রবীর কুমার সাহা সহ অনেকেই।

পুলিশ প্রধান অভিযোগ করে বলেন, কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী যখনই সুযোগ পায়  অপকর্ম করতে লিপ্ত থাকে। যাতে করে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সকলে মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বন্ধন এবং ঐতিহ্য নষ্ট করতে চায়।

তিনি আরো জানান আজ রাত ১২ টা থেকে আগামীকাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত প্রতিটি মন্ডপে মন যোগে নিরাপত্তা কর্মী রাখতে আহ্বান জানান।


আরও খবর



অনলাইনে এনআইডি কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সারাদেশে সাময়িকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সার্ভারে প্রবেশের সময় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) না আসায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। সে ওটিপি না আসায় কর্মকর্তারা সার্ভার ঢুকতে পারছেন না। এজন্য আপাতত অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে ছবি তোলা বায়োমেট্রিক গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে। ওটিপি সমস্যার সমাধান হলেই সব কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সার্ভার বন্ধ নয়। আমরা এনআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করার একটি ওটিপি সার্ভিস কিনেছি, সেটি যাদের থেকে নিয়েছি তাদের সিস্টেমে সমস্যা হয়েছে, ঠিক করার কাজ চলছে। ঠিক হয়ে গেলে সেবা কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে।

এদিকে, ওটিপি না আসায় সকাল থেকে সেবাপ্রার্থীদের সেবা দিতে পারছেন না মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তবে দুপুরের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।


আরও খবর



সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবি আদায়ে এবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল (রোববার) দেশব্যাপী এই কমসূচি পালন করবেন তারা।

১৯ এপ্রিল ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।

কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সারা দেশে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে আজ প্ল্যাকার্ড হাতে ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

মিছিল পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো, আমাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিন, আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করুন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার, বিপ্লবীদের সরকার। এই সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। কারিগরি শিক্ষা সেক্টরে যে বৈষম্য আছে, আমরা চাই সরকার তা দূর করুক।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে মশাল মিছিল করেন। তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে ছয় দফা দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বুধবার সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



নওগাঁয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭১৯ কেজি চাল জব্দ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৭শ' ১৯ কেজি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানা জানির পর লোকজনের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা যেন কোন ভাবেই পার না পায় সেই বিষয়ে প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। রাণীনগর

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান জানান, একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ চাল মজুদ আছে এমন খবর পেয়ে বুধবার রাতে উপজেলার পারইল ইউপির ধোপাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঐ বাড়িতে ৫০ কেজি ওজনের ৩৪ বস্তা চাল এবং ১৯ কেজি চালের একটি বস্তা পাওয়া যায়। তবে ঐ চালগুলো সরকারি কিনা তা তদন্তের পরই জানা সম্ভব। পরে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, জব্দকৃত সব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইটের। তিনি ও তার সহযোগীরা এসব চাল ঐ বাড়িতে রেখেছিল। এই চালের মূলহোতা ডিলার সুইট। চালের বস্তার পাশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের সরকারি খালি বস্তা পড়ে ছিল। আর চালগুলো অন্য প্লাষ্টিকের বস্তায় প্যাকেট করা ছিল। এমনকি রাতেই ঐ বাড়িতেই চাল মাপ করার কাজ চলছিল। এসব চাল বাহিরে বেশি দামে বিক্রির জন্য ঐ বাড়িতে রাখা হয়েছিল। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। বাড়ির মালিক আশরাফ আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। এসে জানতে পারি ডিলার সুইট আমার বাড়িতে চাল রেখেছে। আমি তাকে চাল নিয়ে যেতে বললে তিনি পরে নিয়ে যাবে বলে জানায়। এরপর আমি আর কিছু জানিনা।

উপজেলার বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইট বলেন, চালগুলো আমার না। বাড়ির মালিক আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।


আরও খবর



পাকিস্তানের সাইবার হামলায় ভারতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট!

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসূসের’ অংশ হিসেবে শুরু হওয়া একটি সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ গ্রিড বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিভি নিউজ।

১০ মে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। এই বিষয়ে ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শনিবার সকালে প্রকাশিত ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমের ওই খবর সত্য নয়।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে ফাতেহ-১ মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, ৭ মে ভারতের হামলায় কয়েকজন পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো ভারত ব্যবহার করছিল পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য।

ভারত পাকিস্তানের মসজিদ, উপাসনালয় এবং বেসামরিক স্থাপনায় হামলায় যেসব সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করেছে- সেখানে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, এতে দাবি করা হচ্ছে ভারতের মিসাইল হামলায় পাকিস্তানের নূর খান ঘাঁটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভিডিওতে ঘাঁটি সদৃশ একটি জায়গায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় বিমান থেকে মিসাইল ছুড়ে ঘাঁটি ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।

পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক দাবি করেছেন, ভারতের কিছু মিসাইল তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বিমানঘাঁটির কাছে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

কিন্তু ঘাঁটির কোনো সম্পদ (বিমান বা অন্যান্য জিনিস) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। ভারতের এ হামলার পর পর পাকিস্তানের পুরো আকাশসীমা শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি হুমকির সুরে বলেন, এখন ভারত আমাদের হামলা প্রত্যক্ষ করবে। গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে 'অপারেশন সিঁদুর' নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত।

এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ায় নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শৈলদহ নদীতে সড়ক ভেঙে পরে যাওয়ায় চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছিলো ১০ গ্রামের মানুষ। প্রায় ১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হতো।উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নের চিতলিয়া এলাকায় সড়কে ফাটল ধরে। ঐদিন দুপুরে সড়কের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

পরে নদী ভাঙন ও মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিদিনের সংবাদ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে মঙ্গলবার বিকাল থেকে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজের উদ্বোধন করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক।

এসময় টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) মারুফ দস্তগীর, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস বলেন, গত ৩০ এপ্রিল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চিথলীয়া নামক স্থানে নদীগর্ভে রাস্তার কিছু অংশ বিলীন হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগ দেখা দেয় ১০ গ্রামের মানুষের। তখন বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্বাবধানে পাউবোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ওই স্থানে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করেছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক বলেন, গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তখন নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরন করেন পাউবো। তখন জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ৭৬ মিটার এলাকায় ১৭৫ কেজি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। মঙ্গলবার বিকালে প্রাথমিকভাবে ৯৪ টি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে কার্যক্রম শুরু হয়। আশা করি ওই স্থানের ভাঙন প্রতিরোধে সক্ষম হবো।


আরও খবর