Logo
শিরোনাম

সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবি আদায়ে এবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল (রোববার) দেশব্যাপী এই কমসূচি পালন করবেন তারা।

১৯ এপ্রিল ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।

কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সারা দেশে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে আজ প্ল্যাকার্ড হাতে ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

মিছিল পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো, আমাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিন, আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করুন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার, বিপ্লবীদের সরকার। এই সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। কারিগরি শিক্ষা সেক্টরে যে বৈষম্য আছে, আমরা চাই সরকার তা দূর করুক।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে মশাল মিছিল করেন। তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে ছয় দফা দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বুধবার সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



এই গরমে ট্রাফিক পুলিশের দায়বদ্ধতা

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গতকাল রাত প্রায় ১০ টা, শাজাহানপুর এর রাজারবাগ মোড়, সামনে সাংবাদিক লেখা এক মোটরসাইকেল সিগন্যাল অমান্য করে যেতে চাচ্ছিল আর তখন তাকে দৌড়ে এসে ২ ট্রাফিক কন্সটেবল আটকালো, সে তখন তার সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে কিন্তু কন্সটেবল তাকে রুল ভায়োলেশন করে যেতে দিবে না। এক পর্যায়ে এক কন্সটেবল তার ইউনিফর্ম টা দেখিয়ে বলছিল “আমি ত এই ইউনিফর্ম পইরা দারাইছি এখানে……” পাশ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় আমিও একটু দাড়ালাম আর ঐ সাংবাদিক ভাই কে বললাম “ ভাই আইনটা মানেন, কথা শুনেন…” । আমি যে সব আইন মানি তা কিন্তু না কিন্তু ঐ যে, আইন যেহেতু অন্য কারো উপরে প্রয়োগ হচ্ছে তাই আমি একটু কথা শুনানোর চিরাচরিত বাঙালি স্বভাব ছাড়তে পারলাম না যদিও আমার উপরে প্রয়োগ হলে চিরাচরিত সেই বাঙালি নিয়মে বেজার হইতাম …।  

       কথা সেটা না, কথা হচ্ছে, ঐ কন্সটেবল যে ইউনিফর্ম টা যেভাবে অউন করল সেটা ভালো লাগছে কিন্তু আজ (১১-০৫-২০২৫) ছুটির দিনে বাসায় ফ্যান এর নিচে বসেও যখন গরমে অস্থির হচ্ছি তখন ঐ গর্বের ইউনিফর্ম পরে যে ট্রাফিক পুলিশ এখনো রাস্তায় আমাদের মত সুযোগ সন্ধানী চালকদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে সেই ইউনিফর্ম তাকে কতটা সস্তি দিচ্ছে ???

        গরমের সময় ট্রাফিক পুলিশের ড্রেস টা কিছুটা চেঞ্জ করা যায় কিনা সেটা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন মিটিং এ আলোচনা করেছিলাম কিন্তু হয় না,। যারা সিধান্ত নিবেন তারা এসি রুমে বেশী থাকেন বলে এমনটা হতে পারে। তারা লোক্মুখে শুনেন যে অনেক গরম আর মোবাইল এ টেম্পারেচর দেখেন। আর পরিবারকে ফোন দিয়ে বলেন বেশী করে পানি খেতে, ঘরে থাকতে ... 

অনেকের সাথে কথা বলে  আমার কাছে মনে হয়েছে  ট্রাফিক পুলিশদের কাজে ২ টা মেজর সমস্যা হয়:

     ১) তাদের পোশাক মোটা কাপড়ের। সরকার থেকে যে কাপড় দেয়া হয় সেটা কিছুটা মোটা। অনেকেই নিজেরা আলাদা করে কিছুটা পাতলা কাপড় দিয়ে ড্রেস বানায়।

    ২) অফিস ত দূরের কথা ভালো কোন বসার জায়গা, বাথরুম নাই। যা অল্প কিছু আছে সেটা সিনিয়র অফিসার দের জন্য। এবং সেগুলাও সব রস্তার ডিভাইডার এ বা পাশে। যেখানে তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর চাইতে ২/৩ ডিগ্রি বেশী।

       এ ধরনের গরম পড়ে এমন দেশে ট্রাফিক পুলিশের জন্য কিছু ব্যাবস্থা নেয়, যেমন দুবাই এ  ট্রাফিক পুলিশেরা হালকা, বাতাস চলাচলের উপযোগী সুতি কাপড়ের ইউনিফর্ম পরেন, সাথে ক্যাপের নিচে কুলিং ফ্যাব্রিক ব্যবহৃত হয়। রাস্তায় ছোট ছোট শীতল ক্যাবিন আছে, যেখানে পানি ও বিশ্রামের সুবিধা আছে। সিঙ্গাপুরে  হালকা রঙের (সাদা/নীল) ইউনিফর্ম, মাথায় ব্রিমযুক্ত হ্যাট, এবং নির্দিষ্ট স্থানে এয়ার-কুল্ড রেস্ট পয়েন্ট রয়েছে। পাশের দেশ ভারতে কিছু রাজ্যে ট্রাফিক পুলিশের ইউনিফর্মে সুতি কাপড় ও ভেন্টিলেশন সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে,। এছাড়া বিভিন্ন দেশ এমনকি শীতপ্রধান দেশেও আমি দেখেছি যে পুলিশ “ Police” লেখা গেঞ্জি আর প্যান্ট পরে কোমরে লজিস্টিকস বেল্ট পরে কাজ করছে।

        আমার মনে হয় সংস্কার করার সুযোগ যদি চলে গিয়ে না থাকে তাহলে আমরা ভাবতে পারি কিভাবে আরামদায়ক সুতা দিয়ে ইউনিফর্ম বানানো যায় বা গরমের সময় আলাদা ড্রেস কোড হতে পারে। মোটা কাপড়ের বদলে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন, সুতি বা ময়েশ্চার-উইকিং ফ্যাব্রিকের ইউনিফর্ম চালু করা যেতে পারে। এই জায়গায় পুলিশ চাইলে বিভিন্ন গার্মেন্টস এর সাথে কোলাবোরেশন করতে পারে যে তারা নতুন কোন সুতা বা ফ্রেব্রিক বানাতে পারে কিনা। রাস্তার পাশে ছোট শেড/ক্যাবিন বসানো, যেখানে পানি, পাখা ও জরুরি টয়লেট সুবিধা থাকবে। আর  অতিরিক্ত গরমে ডিউটি সময় কমিয়ে ঘনঘন রোটেশন করা।

গতকাল যে পুলিশ ভাই ড্রেস টা দেখিয়ে গর্ব করছিল সেটা যেন তার অসুস্থতার কারন না হয় …। ফিমেল ট্রাফিক পুলিশদের অবস্থা ত আরও মেসারেবল...।

এতটুকু লেখতে ৩ বার পানি খেয়েছি আর এখন ওয়াশরুমে যাব…। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকলে পারতাম ??? পানি কম খেতাম ওয়াশরুমের যাওয়ার ভয়ে, আর  অসুস্থ হতাম… 


আরও খবর



ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, জরিমানা মওকুফ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণদাতা দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে দায়দেনা পরিশোধে বাড়তি সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে দুই বছর সময় চেয়েছিল সরকার। এতে সাড়া দিয়ে দেড় বছর সময় দিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ১৬ কোটি ডলারের বেশি যে জরিমানা হয়েছিল, তা মওকুফ করেছে পুতিন প্রশাসন। যদিও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রূপপুরের ঋণের সংশোধিত প্রটোকলে এমন ছাড় দিয়েছে রাশিয়া।

বৈদেশিক দায়দেনার চাপ কমাতে ২০২৯ সালের মার্চ থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করার সময় নির্ধারণে রাশিয়া সরকারকে অনুরোধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত প্রটোকলে ২০২৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পরিশোধ শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইআরডির সংশ্লিষ্ট ইউরোপ উইংয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের ভিত্তিতে এমন ভালো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পের কাজ এখনো বেশ বাকি থাকায় আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাশিয়ার তাতে সম্মতি রয়েছে।

তিনি জানান, প্রকল্প শুরুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তির অর্থ আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে তা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিকল্প প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সমাধানে আসা যায়নি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট ব্যয় ধরা হয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৯০ শতাংশ হিসেবে মোট ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের নিজস্ব জোগান। রাশিয়ার ঋণের মধ্যে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৭.৭০ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। করোনা মহামারি এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঋণের অর্থছাড়ে দেরি হয়। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত মোট ঋণের বাকি ৩.৬৮ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

ইআরডি সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কিছু ঋণদাতা সংস্থা এবং দেশের কাছে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চাওয়া হয়। ঋণের সুদের হারেও ছাড় চাওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ রূপপুর প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সংশোধনে রাজি হন। ওই বৈঠকেই সংশোধনী চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয় সরকার এবং রোসাটম।

সম্প্রতি মস্কো থেকে পাঠানো সংশোধিত প্রোটোকলের খসড়ায় ঋণ পরিশোধে এক মাস বিলম্বের জন্য বিলম্ব মাশুল পরিশোধের শর্ত বাদ দেওয়া হয়। মূল প্রোটোকলে ঋণ পরিশোধ এক মাস বিলম্বিত হলে বাংলাদেশকে ৪.৫ শতাংশ হারে জরিমানা দেওয়ার শর্ত ছিল। সে হিসেবে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঋণের কিস্তি বকেয়া বাবত বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হতো। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ঋণ পরিশোধে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ২০১৭ সালে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা : নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়েছে। এ সময় পরিষদের সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা উত্তেজনা কমাতে ও সংলাপে বসতে দুই দেশের প্রতি আহ্বান জানান।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ সভার পর কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের নিজেদের লক্ষ্যগুলোর বেশির ভাগই পূর্ণ হয়েছে। সভায় পরিষদের স্থায়ী ৫টি দেশ ও অস্থায়ী ১০ দেশের সব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পেহেলগামে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। ভারত ও পাকিস্তানকে সামরিক সংঘর্ষ এড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভুল করবেন না। সামরিক সংঘর্ষ কোনো সমাধান নয় এবং আমি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই দেশের সরকারকেই সহায়তায় প্রস্তুত আছি।’

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি করেছে। বৈঠকে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখারের বক্তব্য শোনা হয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে ইফতিখার বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা যে ধরনের মনোযোগ ও সম্পৃক্ততা দেখিয়েছেন, তার জন্য পাকিস্তান কৃতজ্ঞ। তিনি কাশ্মীর ইস্যুকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ৭০ বছর ধরে চলমান একটি দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।



আরও খবর



হজ বিধি লঙ্ঘনে জরিমানা ঘোষণা করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

সৌদি আরব হজ পারমিট নির্দেশিকা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমিট ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করা ব্যক্তি এবং এতে সহযোগিতা করা যেকোনো পক্ষকে জরিমানা, বহিষ্কার ও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

চাঁদ্র মাসের দুল-ক্বিদা ১ তারিখ থেকে শুরু করে দুল-হিজ্জা ১৪ তারিখ পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ এবং জরিমানা কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে হজ পারমিট ছাড়া মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে নিচের বিধানগুলো কার্যকর হবে

প্রথমত, হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন বা পালনের চেষ্টা করলে, বা যেকোনো ধরনের ভিজিট ভিসাধারী যদি মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করার চেষ্টা করেন, তবে তাদের সর্বোচ্চ ২০,০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫,৩০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে।

দ্বিতীয়ত, কোনো ব্যক্তি যদি এমন কারো জন্য ভিজিট ভিসার আবেদন করেন, যিনি হজ পারমিট ছাড়াই হজ পালন করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন, বা যিনি উল্লিখিত সময়ে মক্কা শহর ও পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছেন, তার বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ২৬,৭০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে। এই জরিমানা প্রতি ব্যক্তির জন্য আলাদাভাবে গণ্য হবে।

একই জরিমানা কার্যকর হবে তাদের ওপর যারা ভিজিট ভিসাধারীদের মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানে পরিবহন করেন বা করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়াও যারা ভিজিট ভিসাধারীদের কোনো হোটেল, ফ্ল্যাট, ব্যক্তিগত বাসভবন, আশ্রয়কেন্দ্র বা হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বাসস্থানে আশ্রয় দেন বা দেয়ার চেষ্টা করেন, তাদের বিরুদ্ধেও একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

যারা ওই ব্যক্তিদের অবস্থান গোপন রাখেন অথবা তাদের থাকার জন্য সহায়তা করেন, তারাও এই জরিমানার আওতাভুক্ত হবেন। প্রতিটি আশ্রয়প্রাপ্ত বা সহায়তাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য জরিমানা বহুগুণে বাড়বে।

তৃতীয়ত, যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (থাকার অনুমতি শেষ হয়ে যাওয়া বা অনিবন্ধিত অভিবাসী) হজ পালনের চেষ্টা করবেন, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ভবিষ্যতে ১০ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

চতুর্থত, উল্লিখিত সময়ে যারা ভিজিট ভিসাধারীদের পরিবহনে নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করবেন বা করাবেন, তাদের যানবাহন যদি তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন হয়, তাহলে তা জব্দ করার জন্য সৌদি আদালতে আবেদন জানানো হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের এই কঠোর পদক্ষেপ হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে। হজ মৌসুমে বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ সব নাগরিকদের এই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আ.লীগের খবর প্রকাশ করলে দুই থেকে সাত বছর শাস্তি

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে বলা হয়েছে, উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ, কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা; অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন আয়োজন কিংবা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।

অর্থাৎ, এই আইনের আওতায় আওয়ামী লীগ এবং তার পক্ষে/সমর্থনে প্রকাশিত যেকোনো প্রচারণা, মিডিয়া কার্যক্রম, জনসমাবেশ, বক্তৃতা কিংবা বিবৃতি দেওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এ সত্তা শব্দটি ব্যবহার করা হলেও, সেটি মূলত সংগঠন বা রাজনৈতিক দলকেই বোঝায়। তার ভাষায়, সত্তা শব্দের ইংরেজি হলো entity, আর রাজনৈতিক দলও একটি entity হিসেবে বিবেচিত হয়। সুতরাং, কোনো entity নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আগে থেকেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ ধারায় বলা ছিল।

তিনি আরও জানান, পূর্ববর্তী আইনে দলীয় কার্যালয় বন্ধ, সম্পদ জব্দ ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল না। তবে সংশোধিত অধ্যাদেশে দলটির যাবতীয় কার্যক্রম, এমনকি তাদের পক্ষে বা সমর্থনে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, এখন যেহেতু তাদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, এর অর্থ দাঁড়ায়- আওয়ামী লীগের কোনো সংবাদ, বিবৃতি বা প্রচারণা কোনো গণমাধ্যমেই প্রকাশ করা যাবে না।

শাস্তির বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এ কেবল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ই নয়, বরং এর মাধ্যমে গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ওপর আইনি নিয়ন্ত্রণও কঠোর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ৯-এর (৩) উপধারায় আগেই টেলিভিশন, মুদ্রিত সংবাদ বা প্রচারমাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার পক্ষে সংবাদ প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সংশোধিত আইনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড, সঙ্গে আর্থিক জরিমানারও বিধান রয়েছে।


আরও খবর