Logo
শিরোনাম

সাড়া ফেলেছে চার কেজি ওজনের শিঙাড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বানানো চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া সাড়া ফেলেছে। উপজেলার আহুতিয়া পুরাতন বাজারে স্বপন মিয়ার হোটেলে শিঙাড়া দুটি বানানো হয়। পাঁচ বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ করতে বানানো হয়েছে চার কেজি ওজনের শিঙাড়াগুলো। এত বড় বড় শিঙাড়া দেখতে দোকানে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।

জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেন, অন্তর মিয়া, মিজানুর রহমান, টুটুল মিয়া ও দিদার আহমেদ— পাঁচ বন্ধু। তারা বড় আকারের শিঙাড়া বানানোর পরিকল্পনা করেন। পরে তারা মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক স্বপন মিয়ার কাছে পরিকল্পনার কথা জানান। সবাই ওই হোটেলের নিয়মিত ক্রেতা। পরে তাদের অনুরোধে বানানো হয় চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া।

গতকাল দিনব্যাপী চলে শিঙাড়া বানানোর আয়োজন। উপাদান হিসেবে প্রস্তুত করা হয় চার কেজি মুরগির মাংস, পরিমাণমতো আলু, গাজর, বাদাম, আটা, ময়দা ও বিভিন্ন ধরনের মসলা। এরপর আলুর পুর ভরা তিনকোণা ময়দার কোটিং ডুবোতেলে মচমচে করে ভাজা হয়। ভেতরটা ঝাল ঝাল নরম আলুর পুরে তৈরি হয় চার কেজি ওজনের শিঙাড়া। বিকেলে মূল আয়োজন ও তেলে শিঙাড়া ছাড়ার সময় হোটেলটিতে ভিড় করে আশপাশের উৎসুক জনতা। একেকটি শিঙাড়া বানাতে খরচ পড়েছে এক হাজার টাকার ওপর। দুটি শিঙাড়ায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

দোকানদার স্বপন মিয়া বলেন, পাঁচ বন্ধু তার নিয়মিত ক্রেতা। তাদের আবদার রাখতেই এই আয়োজন করেছিলেন। কিছুটা ঝামেলা হয়েছে, সময়ও বেশি লেগেছে। তবে তাদের বন্ধুদের আনন্দ ও মজা দেখে ভালো লেগেছে। চাহিদা থাকলে ভবিষ্যতে এমন শিঙাড়া বানাবেন বলে জানান তিনি।


আরও খবর



তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রপ্তানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রপ্তানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল- জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



টানা ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে। সেই সঙ্গে এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে— এ অবস্থায় আজ শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এ ছাড়া আগামীকাল রবিবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী সোমবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

পরদিন মঙ্গলবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এ ছাড়া আগামী বুধবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এ দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্ক বলা হয়েছে, এ সময় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



রায়পুরে বখাটেদের তাণ্ডবে থেমে গেছে মুক্তার শিক্ষাজীবন, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকার বানাতুল দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আর মাদ্রাসায় যায় না। প্রতিদিনের পথে বখাটেদের উৎপাত, উত্ত্যক্ততা আর শারীরিক হয়রানিতে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষাপথ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে সে।


ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ—বখাটেপনার ঘটনা বারবার জানানো হলেও প্রশাসন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থেকেছেন নির্বিকার। তাদের এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।


মুক্তার বাবা মনির হোসেন বলেন, "ঘটনার কথা জানালেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবংজনপ্রতিনিধিরা গুরুত্ব দেননি। বরং সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়েটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।"


মুক্তা জানায়, "প্রতিদিন ভয় নিয়ে বের হই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেলে আমার পথ আটকায়, মোবাইল নম্বর চায়। না বললে টানাহেঁচড়া, ভিডিও করা আর তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একদিন কিছু পথচারী এগিয়ে না এলে কী হতো জানি না।"


একজন সাবেক ছাত্রী জানান, তিনিও এবং তার বান্ধবী একইরকম হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। "সেই সময়েও কেউ কিছু করেনি," বলেন তিনি।


বিএনপি নেতা খোরশেদ ঢালী বলেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এলাকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বরাবরই নিষ্ক্রিয়। এখন সময় এসেছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার।”


রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঞা বলেন, “এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকায় এবং মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে।”


লক্ষ্মীপুর জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসন নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই বিচার হতো, কিন্তু প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।”


ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৬৪ শতাংশ স্কুলগামী মেয়ে পথে উত্ত্যক্তের শিকার হয়। শিশু অধিকার ফোরামের মতে, ২০২৪ সালে দেশে দেড় হাজারের বেশি কিশোরী হয়রানির শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৩৮% ঘটেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে।

মুক্তার এই ঘটনা যেন হাজারো মেয়ের অব্যক্ত কষ্টের প্রতিচ্ছবি। মুক্তা আজ শুধুই একজন ব্যক্তি নয়—প্রতীক হয়ে উঠেছে সেই সব কণ্ঠের, যারা ভয়ে থেমে যায়, অপমানে হারিয়ে যায় শিক্ষার পথ থেকে।

এখনই সময়—প্রশাসন, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার। প্রয়োজন কঠোর শাস্তি, যাতে আর কোনো মুক্তাকে স্কুল ছাড়তে না হয়।


আরও খবর



বজ্রপাত থেকে বাঁচতে ২০টি জরুরি নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।

২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।

৩. খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।

৪. কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।

৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে চার মিটার দূরে থাকতে হবে।

৬. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূতত্বে থাকতে হবে।

৭. ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।

৮. বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকে মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।

৯. এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করুন।

১০. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।

১১. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।

১২. ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন।

১৩. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।

১৪. বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।

১৫. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।

১৬. কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।

১৭. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।

১৮. বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।

১৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।

২০. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।


আরও খবর



ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ভারতের একাধিক সরকারি সূত্র এমন দাবি করেছে।১৭ এপ্রিল ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা বাণিজ্য বিষয়ক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির বদলে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা দিল্লি হয়ত নেবে না বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ভারতীয় সরকারি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরের জট কমাতে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে।

যদিও দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমে এর আগে বেশ ফলাও করে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করার পর ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তাদের সরকার।

টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি বন্দর বন্ধ ও স্থল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও সুতা আমদানি সংক্রান্ত নির্দেশনা কেবলই গত সপ্তাহে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

এছাড়া গত জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বাংলাদেশ সতর্কতা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল সেটিও দুই দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে করা হয়েছিল বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশনে মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে’- উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।


আরও খবর