Logo
শিরোনাম

সারাদেশে ৩৬১টি থানার কার্যক্রম পুনরায় চালু : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সারাদেশের ৩৬১টি থানার কার্যক্রম আজ পুনরায় শুরু হয়েছে। 



শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।



পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ৭০টি এবং রেঞ্জের ৫২৯টি থানার মধ্যে ২৯১টি মিলে ৩৬১টি থানার কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে।



উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ ছিল। 


আরও খবর



ঝালকাঠিতে চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

চীনের উপহারের একটি হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ এবং ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে নলছিটি বাসস্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে মানববন্ধন ও বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ইজিবাইক শ্রমিক নেতা আল-আমিন হাওলাদার, বিডি ক্লিন সমন্বয়কারী মারজান, সমাজকর্মী বালী তূর্য প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় অথবা কুমারখালি মরা নদীর ১২০ একর খাসজমিতে চীনের উপহারে একটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল” স্থাপন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়ন এই অঞ্চলের পর্যটন, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য তার বক্তব্যে বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু পরিচয়ে আমাদের শোষণ করেছে, কিন্তু চীন বরাবরই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। নলছিটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো—যার সাক্ষ্য মেলে “চায়না বাজার”, “চায়না ফিল্ড” এবং “চায়না কবর” এর অস্তিত্বে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী, সপ্তম শতাব্দীতে চীনের তাং রাজবংশের এক ব্যবসায়ী নলছিটিতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁকে চায়না ফিল্ড সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়। সেই কবরস্থান আজও স্থানীয়রা শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করে আসছেন।

এছাড়া বক্তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, দপদপিয়া এলাকাটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত ও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্রস্থল হওয়ায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান। তারা জানান, হাসপাতাল স্থাপনে জমি ও স্থানীয় সহযোগিতা প্রদানে নলছিটির জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়। প্রায় শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো পৌনে ২৮ হাজার কোটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

ঈদের আগে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। রেমিট্যান্সের সেই গতিধারা এখনো অব্যাহত। চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনেই এসেছে ২.২৭ বিলিয়ন (২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের বেশি বা ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে মার্চের পুরো সময়ে এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১২৯৫ কোটি টাকা করে।

তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি।

গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ে মার্চ মাসে। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সবশেষ মার্চে আসে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।


আরও খবর



শুভেচ্ছায় সিক্ত : ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

টানা চার মাস লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। চার মাস পর প্রিয় নেত্রীকে অনেকটা সুস্থ অবস্থায় কাছে পেয়ে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসটাও ছিল অন্যরকম। এজন্য বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে লাখো নেতাকর্মীর ঢল নামে। পথে পথে তারা দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত করেন।

৬ মে বেলা ১টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় পৌঁছেন বলে জানিয়েছেন প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।

কাতার আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা করেন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। মাঝখানে কাতারের রাজধানী দোহায় কিছু সময় যাত্রা বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।

পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। রাস্তার দুই পাশে লাখো নেতাকর্মীর ঢল নামে। তারা নানা স্লোগানে স্বাগত জানান দলীয় প্রধানকে। ভিড় ঠেলে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি গুলশানের বাসায় পৌঁছাতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়।

বাসভবন ফিরোজা আগে থেকেই ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা ছিল। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও। সকাল থেকেই ফিরোজা ঘিরে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। খালেদা জিয়া বাসায় ফেরার পরও সেখানে শত শত নেতাকর্মীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপাসন ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। এতে তাঁর বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হয়।


আরও খবর



এক মুঠো চালের জন্য জেলেদের বুক ফাটা কান্না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বরগুনার আমতলি ফকিরঘাটে ভিড় জমায় সাগরের সাহসী সন্তানরা। একসময় যাদের হাতের জালে ধরা পড়তো সাগরের সোনা, আজ তাদের হাতে কিছুই নেই। চোখে শূন্যতা, মুখে হতাশা। ট্রলারগুলো নিশ্চুপ, জালগুলো ছেঁড়াআর মানুষগুলো নীরব, অথচ বুকের ভেতর চলছে কান্নার তীব্র গর্জন।


সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে যারা জীবন কাটিয়েছেন, আজ সেই জীবনের সামনে শুধুই অনিশ্চয়তা। ১৫ দিন ধরে চলা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা হাজারো জেলের ঘরে এনেছে হাহাকার, আর পাতে এনে দিয়েছে ফোঁটা ফোঁটা ক্ষুধা। প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে আজ বাঁচার জন্য তাকিয়ে আছেন এক মুঠো সাহায্যের দিকে। কিন্তু এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সহায়তার চালের এক দানাও।


ষাটোর্ধ্ব মোশাররফ হোসেন এক কোণে বসে আকাশের দিকে চেয়ে কাঁদছেন। তার কণ্ঠ রুদ্ধ, চোখের জল অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে।


"ঝড়-তুফান, সাগরের কাঁচা ঢেউসবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজ... আজ তো নিজেরই যুদ্ধ জীবন বাঁচানোর। সরকার যদি চাল না দেয়, আমরা না খেয়ে মরে যাবো।" তার কাঁপা কণ্ঠের এই মর্মস্পর্শী আহাজারি যেন আঘাত হানে মানবতার শেষ প্রাচীরে।


আরেক কোণে দাঁড়িয়ে শহিদুল ইসলাম, ছোট্ট মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। মেয়ের ক্ষুধার্ত চোখ যেন হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে তার দিকে। মাথা নিচু করে শহিদুল ফিসফিস করে বলেন, "মাছ ধরতে জীবন বাজি রাখি। আজ মেয়েটার ভাতের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। একজন বাবার চেয়ে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে?" 

মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তালতলীতে প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন, যাদের কেউই এখন সাগরে যেতে পারছেন না। সাগরের হাওয়ায় এখন আর মাছের ঘ্রাণ নেইভেসে আসছে দুর্ভিক্ষের গন্ধ। প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু খাদ্য সহায়তা মিললেও, এবারের নিষেধাজ্ঞায় এখনো কোনো বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি। সাগরের গর্জন আজ আর তাদের কাছে রোমাঞ্চ নয়, বরং মৃত্যুর সুর হয়ে বাজছে।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "নীতিমালা অনুযায়ী সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আগেরবার খাদ্য সহায়তা ছিল, এবার বিলম্ব হয়েছে। চাল আসলে দেওয়া হবে।" কিন্তু তার কথাগুলো যেন ক্ষুধার্ত পেটের গহীন আর্তনাদের সামনে একটি তুচ্ছ আশ্বাসমাত্র। চাল কবে আসবে, তা কেউ জানে না। আর ততদিন ক্ষুধা আগুন হয়ে পুড়িয়ে দেবে তাদের শরীর ও আশা।


ফকিরঘাট নয়, উপকূলের সবখানেই একই ছবি। শীর্ণকায় জেলেরা ছেঁড়া গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করছে। শিশুদের কান্না মিলিয়ে যাচ্ছে সাগরের বাতাসে। "ভাত দে মা, ক্ষুধা পেয়েছে"শত শত শিশুর এই চিৎকার যেন আকাশকেও ভারী করে তুলেছে।

এই বাস্তবতা কেবল দারিদ্র্যের গল্প নয়এ হলো লজ্জার গল্প। যেখানে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা আর মানবতার ব্যর্থতা মিলেমিশে একটি জাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জীবনের যুদ্ধ তো তারা জিতেছে বারবার, কিন্তু আজতালতলীর সাগরপাড়ে বসে থাকা এই হাজারো জেলে হারছে ক্ষুধার কাছে।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের লাশ উত্তোলনে বাধাঁ

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনে বাধাঁ দিয়েছেন মামলার বাদী আকতার হোসেন। তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার লাশ উত্তোলন করতে গেলে বাধাঁ প্রদান করেন বাদী ও তার লোকজন। ফলে বাধাঁর মুখে কবর থেকে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। এই ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদী আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট ঢাকা উত্তরায় নিহত হয় রিপন। ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খাইরুল ইসলাম বলেন,ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহত রিপনের লাশ দাফন করা হয়েছে। তাই মামলাটি অধিক তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর বিজ্ঞ আদালত রিপনের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করতে এসে তার পরিবারের বাধাঁর মুখে পড়ি। ফলে লাশ উত্তালন করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলনের জন্য গেলে নিহত রিপনের পরিবারের লোকজন বাধাঁ প্রদান করেন। তাই লাশ উত্তোলন না করেই ফেরত আসি। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্তে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মামলার বাদী আকতার হোসেন বলেন,তার ভাই রিপন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এমন সকল প্রমানাদি তার কাছে রয়েছে। তাছাড়া লাশ উত্তোলনের বিষয়ে আগে থেকেই আমাকে অবহিত করা হয়নি,তাই বাধাঁ দেওয়া হয়েছে। আইনগত ভাবেই সকল কিছু মোকাবেল করা হবে।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের চর কাউরিয়া সীমার পাড় এলাকার বাসিন্দা মৃত  রেজাউল করিমের ছেলে রিপন মিয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে কাজ করতো। প্রথম স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন তিনি। আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বিকালে ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে গুরুতর আহতবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চীন-মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মারা যাওয়ার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ৬ আগস্ট বকশীগঞ্জ উপজেলার পানাতিয়া পাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এই ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর রিপন মিয়া পুুলিশের গুলিতে মারা গেছে দাবি করে ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন নিহত রিপনের বড় ভাই আকতার হোসেন। মামলায় ক্ষমতাচুত্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ নামীয় ১৮জন ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামী করা হয়। নামীয় ১৮ জনের মধ্যে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান ও সমাজসেবক হাজী আমানুল্লাহসহ বকশীগঞ্জের ১৩ জনকে মামলায় আসামী করা হয়। মামলা দায়েরের পর আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন জনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন,মামলায় আসামী নাম অর্ন্তভুক্ত করণ এবং মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। গত ১৮ জানুয়ারি নিহত রিপনের স্ত্রী খাদিজা বেগম সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন।

খাদিজা বেগম বলেন,তিনি মামলা করতে চাইলে আকতার তাকে বাধাঁ দেয়। পরবর্তীতে তাকে কিছু না জানিয়ে চাঁদাবাজি করার জন্যই মামলার বাদী হয় আকতার হোসেন। অন্যায় ভাবে একটি পক্ষের কাছে সুবিধা নিয়ে বকশীগঞ্জে ১৩ জন নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাছাড়া লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য ও চাদাঁবাজি করেছে সে। ৫ আগস্টের আগে আকতার পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতো একটি কুড়েঘরে। মানুষের কাছে হাত পেতে চলতো তার সংসার। কয়েক মাসের ব্যবধানে আকতার হোসেন লাখপতি বনে গেছেন। পাকা বিল্ডিং করেছেন। দামী দামী আসবাবপত্র ও নতুন মোটরসাইকেল কিনেছে সে। নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য আইন উপদেষ্ঠার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তবে তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকতার হোসেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান,গুলিতে নয়,রিপন মারা গেছে ট্রাক চাপায়। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে একটি মহলের ইন্দনে মামলাটি করা হয়েছে। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে। লাশ উত্তোলনে বাধাঁ দেওয়ায় বিষয়টি আরো সন্দেহের সৃষ্টি করেছে বলে দাবি তাদের। তাই দ্রুত লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর