Logo
শিরোনাম

সারাদেশে চলছে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:

সারাদেশে চলছে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের একটি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।


শনিবার (১ জুন) সকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ ও সোশাল মেডিসিনে (নিপসম) নিজে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে সারাদেশে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম।


শিশুদের নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান তিনি। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অন্ধত্ব রোধে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।


দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।



জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলে এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার প্রায় এক হাজার ২২৪ কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না।


 তবে পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান হলে সেখানে পরবর্তী খুব দ্রুত সময়ে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।


ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানতে হবে:


১. শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।

২. কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে।

৩. জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।



আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন সেই ছাত্রীকে-ই বিয়ে করলেন। ঘটনাটি নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রীর। আজ বুধবার একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী (এসএসসি পরীক্ষার্থী) দোলা আক্তারকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে তাকে ঘরে তোলেন। ঘটনাটি লোকজনের মাঝে প্রকাশ হয়ে পড়ায় ব্যাপক তোলপাড়া শুরু হয়েছে এলাকাজুড়ে লোকজনের মাঝে।

প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী মণ্ডলের ছেলে। অভিযোগে উঠেছে বাবা মুক্তিযোদ্ধা এবং ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ায় অপকর্ম করেও পার পেয়ে যান তিনি।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন এর আগেও একই প্রতিষ্ঠানের ৯ম' শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই সময় দ্বিতীয় স্ত্রী পুতুলকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন উঠেছিল প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সে সময় এলাকাবাসির মাঝে ক্ষোভ দেখাদিলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সে সময় তিনি ঐ ছাত্রীকে ২য়' বিয়ে করে সে যাত্রায় রক্ষা পান তিনি। মিডিয়া কর্মীদের কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের সঙ্গে শিক্ষার্থী দোলা আক্তার এর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে একাধিক বৈঠকও হয়। সে সময় ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদও প্রকাশ হয়েছিলো। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আকরাম এসবের তোয়াক্কা না করে ঐ ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যান। প্রধান শিক্ষকের এসব আচরনের কারণে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়াসহ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী মণ্ডল এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। এ কারণে বাবার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেও তিনি পার পেয়ে যান। বারবার ছাত্রী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। প্রধান শিক্ষকের চরিত্রগত সমস্যায় ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন ছাত্রীদের অভিভাবকেরা।

স্থানীয় আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছাত্রী দোলাকে প্রধান শিক্ষক আকরামের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের বাসায় তুলে দেন তার অভিভাবকেরা। এর পর থেকে দোলা সেখানেই অবস্থান করছিলেন। উপায়ান্ত না থাকায় আজ বুধবার তাকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন আকরাম হোসেন।

ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করা প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, ছাত্রী দোলাকে আমি সামাজিকভাবে বিয়ে করেছি। তাকে অনেক আগেই বিয়ে করতাম। কিস্তু বয়স সমস্যার কারণে করিনি। আমি একাধিক বিয়ে করতেই পারি। এখানে কারো কিছুই আসে যায় না।


আরও খবর



নিরাপদ ঈদ উদযাপনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বললেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হতে হবে।

সোমবার (২৪ মার্চ) ডিএমপি সদরদপ্তরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা, ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটা প্রভাব তৈরি করা, যেন মানুষ বুঝতে পারে যে আইন লঙ্ঘন করলেই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। সড়কে কেউ যদি উল্টোপথে গাড়ি চালায় কিংবা ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জোর তৎপরতায় রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, লঞ্চ শ্রমিক সমিতি, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, জিএমপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাস মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এরপর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।


আরও খবর



মবে জড়িতদের সতর্ক করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে বেশ কিছুদিন ধরে মব তৈরি (সংঘবদ্ধ জনতার নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া) করে লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি মব তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে মারধরের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই ঘটনায় জড়িত ১২ জন আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) জনতা মব সৃষ্টিকারী দু'জনকে তৎক্ষণিক পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন এসে উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করেন।

গত শনিবার (০১ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পতেঙ্গা সি-বিচে ত্রাস সৃষ্টি করে এসআই ইউসুফ আলীকে হেনস্থা সহ মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত। এছাড়াও তারা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত।

জনগণকে সতর্ক করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মর্মে সবাইকে সতর্ক করছে যে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।


আরও খবর



নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণসহ ১০ বিষয়ে ইশতেহার ঘোষণা এনপিসির

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের মধ্য দিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর পরদিন ১ মার্চ গভীর রাতে ২১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে দলটির দর্শন, ইশতেহার, গঠনতন্ত্র সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা পাওয়া যায়নি। শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, চলতি মাসের মধ্যেই সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।

এনসিপি সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে নতুন দেশ গড়তে মোটাদাগে ১০ বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে। যেখানে থাকবে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিকভাবে দেশকে তারা কীভাবে গড়ে তুলতে চান, সেসব বিষয়। থাকবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের পথরেখা। পারিবারিক পরিচয় নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে যেন তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে উঠে আসতে পারে—এমন বিষয় প্রাধান্য পাবে দলের গঠনতন্ত্রে। এনসিপির ইশতেহারে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সেকেন্ড রিপাবলিক, গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধানকে। সেকেন্ডে রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা ও গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধান রচনার সংকল্প তুলে ধরবেন তারা। যেটি তাদের ঘোষণাপত্রেও উল্লেখ করতে দেখা যায়। এ ছাড়া পরিবারতন্ত্রের অবসান, সিন্ডিকেট ও গোষ্ঠীস্বার্থ নির্মূল, ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্নির্মাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতি, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, জাতীয় অর্থনীতির পুনর্গঠন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্তি করাকে প্রাধান্য দিচ্ছে দলটি।

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল, তা আসলে প্রথম ব্যর্থ হয়েছে মুজিববাদী সংবিধানের মাধ্যমে। তাই সেকেন্ড রিপাবলিক গঠনের মাধ্যমে মুজিববাদী সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে ব্যক্তিতান্ত্রিক ও পরিবারতন্ত্রবিহীন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির জন্যে কাজ করবে এনসিপি।

তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাতে সংবিধানে যেভাবে এক ব্যক্তির কাছে সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকে তাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও হয় একক ব্যক্তির দাস। যেভাবে মুজিব পরিবারকে দেবতার আসনে বসানো হয়েছিল, ভবিষ্যতেও যেন এরকম কোনো কাল্ট গড়ে না ওঠে এবং প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র গড়ে ওঠে, সে লক্ষ্যে এনসিপির অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।

পরিবারতন্ত্র বিলোপের কথা জানিয়ে এনসিপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, পরিবারতন্ত্র ও গোষ্ঠীতন্ত্রের মাধ্যমে যে ফ্যাসিবাদ তা পূর্ণাঙ্গ বিলোপের লক্ষ্যে প্রচেষ্টার পাশাপাশি একুশ শতকের সময়োপযোগী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গুরুত্বারোপের মাধ্যমে আধুনিক জাতি গঠনের লড়াইয়ে এনসিপি থাকবে। বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতি, পাশাপাশি বহিঃশত্রুর মোকাবিলায় নিজস্ব প্রতিরক্ষার ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার লিডিংয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়া হবে অন্যতম প্রধান কাজ। বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তথা পাহাড়ি, তপশিলি এবং চা বাগান শ্রমিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করবে এনসিপি।

আরেক যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে (ইমিডিয়েট) ১০টি লক্ষ্য ঠিক করেছি। গত সাত মাসের কার্যকলাপে আমরা দেখেছি এখানে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিদ্যমান যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, এগুলো অটুট রেখে আমরা বড় ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাব না। এরই প্রেক্ষাপটে আমাদের রাজনৈতিক দল তৈরি করা। এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান রচনা করা। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সেটি আছে। এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে আমরা পরিবারতন্ত্রের অবসান চাই। স্বাধীনতার পর থেকেই এই দেশ একটি গোষ্ঠীর কাছে বন্দি হয়ে আছে। তারাই পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। আমরা এর পরিবর্তন চাই। এ ছাড়া বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্নির্মাণ করাই আমাদের লক্ষ্য।

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া বলেন, আমরা কেন বলছি নতুন সংবিধান প্রয়োজন এবং তার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন। বিএনপির ক্ষেত্রে যদি দেখেন তারা সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রায় ৬২ জায়গায় সংস্কার চায়। সংবিধানে আছেই ১৫৪টি আর্টিকেল, তার মধ্যে তারা ৬২ জায়গায় সংস্কার চায়। তার মানে বিএনপিও চায় সংবিধানের বড় একটি অংশ পরিবর্তন হোক। জামায়াতও ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় সংবিধান সংস্কার চায়। জাতীয় নাগরিক কমিটির যে সংবিধান প্রস্তাবনা দিয়েছে, সেখানে তারা ৭০ জায়গায় সংস্কার চেয়েছে। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনগুলো বিদ্যমান সংবিধানের কোনো একটি ধারার সংশোধন চায় না, তারা বৃহৎ পরিবর্তন চায়। তাই আমরা বলছি এই পরিবর্তন যেহেতু পার্লামেন্ট করতে পারে না, যে কারণে পার্লামেন্টের সদস্যরাই প্রথম একটা নির্দিষ্ট সময় তারা গণপরিষদ হিসেবে কাজ করবে এবং সংবিধানটা প্রণয়ন করবে।

নতুন সংবিধানের কথা উল্লেখ করে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা বিশ্বাস করি, নতুন একটি সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে। এর ভিত্তিতে আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি। একই সঙ্গে সেই গণপরিষদ নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন এমন প্রস্তাবও আমাদের আছে।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বারবার দীর্ঘায়িত করা হয়েছে জানিয়ে এমসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুরোনো সংবিধান এবং পুরোনো শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। কেবল সরকার পরিবর্তন করেই জনগণের কল্যাণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা বলছি, চব্বিশের যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে—তাতে কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, বরং শাসনকাঠামো ও সাংবিধানিক পরিবর্তন করে নতুন একটি বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই, যেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র, ইনসাফ ও সাম্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।


আরও খবর



মাওলা আলী মুশক্বিল কোশা (عليه السلام) শানে শতাধিক হাদিস

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

★মুমিনদের আমলনামার শিরোনামঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عُنْوَانُ صَحِيفَةِ الْمُؤمِنِ حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أََبِي طَالِبٍ.

মুমিনের আমলনামার শিরোনাম হলো আলী (رضي الله عنه) এর ভালোবাসা।

(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী: ২৪৩/২৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬০১/৩২৯০০, তারীখে বাগদাদ : ৪:৪১০)

★আরবের সরদারঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أَنَا سَيِّدُ وُلْدِ آدَم، وَ عَلِيٌّ سَيِّدُ الْعَرَبِ.

আমি আদম সন্তানদের সরদার আর আলী (رضي الله عنه) আরবদের সরদার।

(আল মু’জামুল আওসাত-তাবারানী ২:২৭৯/১৪৯১, ইমাম আলী (رضي الله عنه) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:২৬২/৭৮৯, কানযুল উম্মাল-১১-১৮/৩৩০০৬)।


★ হিকমতের দরজাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ، وَ عَلِيٌّ بَابُهَا.


আমি হিকমতের গৃহ আর আলী (رضي الله عنه) তার দরজা।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৭/৩৭২৩, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪, আল জামিউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৪)


★ জ্ঞানের নগরীর দরজাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَ عَليُّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْمَدِينَةَ فَلْيَأتِ البَابَ.


আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী (رضي الله عنه) তার দরজা।কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাঁকে দরজা বা দ্বারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৬-১২৭, জামেউল উসুল ৯:৪৭৩/৬৪৮৯, উসুদুল গবাহ্ ৪:২২, তারীখে বাগদাদ ১১:৪৯-৫০, আল বেদায়াহ্ ওয়ান নেহায়া ৭:৩৭২, আল জামেউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৫, সহি তিরমিজি, ৫ম খণ্ড, পৃ;২০১)


★ উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَعْلَمُ اُمَّتِي مِنْ بَعْدِي عَلِیُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আমার পরে আলী (رضي الله عنه) হলো আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী। (কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৭৭, আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১)


আমার উম্মতের মধ্যে আমার পর সর্বোচ্চ জ্ঞানী ব্যক্তি হলেন আলী। (মসনদে আহমদ, ৫ম খ-, পৃ. ৩২)


★ মহানবী (ﷺ)-এর ভাইঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَ الْاَخِرَة.


তুমি দুনিয়া এবং পরকালে আমার ভাই।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২০, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১২৪)


★ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মনোনীতঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَمَّا أَنْتَ يَا عَلِيّ، أَنْتَ صَفِيِّي وَ أمِينِي.


আর তুমি হে আলী (رضي الله عنه)! তুমি আমার মনোনীত এবং আমার আমানতদার।


(খাসায়েসে নাসায়ী : ১৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৫৬)


★ মহানবী (ﷺ)-এর স্থলাভিষিক্তঃ


হুজুর (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ


إِنَّ هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي فِيكُمْ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.


জেনে রেখো যে, সে তোমাদের মাঝে আমার ভাই, উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত।সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে।


(তারীখে তাবারী ২:২১৭, আল কামিল ফিত্ তারীখ ২:৬৪, মাআলিমুত্ তানযীল ৪:২৭৮)


★ মুমিনদের অভিভাবকঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ عَلِيّاً وَلِيُّكُمْ بَعْدِي.


নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) আমার পরে তোমাদের অভিভাবক।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১২/৩২৯৬৩, আল ফেরদৌস ৫:২৯২/৮৫২৮)


★ বিচারের সিংহাসনেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَقْضَي اُمَّتِي عَليُّ.


আলী (رضي الله عنه) আমার উম্মতের মাঝে সর্বাপেক্ষা বিচক্ষণ বিচারক।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৬৭, মানাকিবে খারেযমী ৩০, যাখায়িরুল উকবা ৮৩)


★ উম্মতের জন্য হুজ্জাত বা দলিলঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


কেয়ামতের দিন আমি এবং আলী (رضي الله عنه) আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী। (তারীখে বাগদাদ ২:৮৮)


★ মহানবী (ﷺ)-এর একই বংশধারাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا وَ عَلِيٌّ مِنْ شَجَرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَ النَّاسُ مِنْ أشْجَارٍ شَتَّي.


আমি আর আলী (رضي الله عنه) একই বৃক্ষ থেকে, আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।


(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী :৪০০/৫৩, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৮/ ৩২৯৪৩, আল ফেরদৌস ১: ৪৪/১০৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০০)


★ উম্মতের হেদায়াতকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أنَا الْمُنْذِرُ وَ عَلِيٌّ الْهَادِي، بِكَ يَا عَلِيُّ يَهْتَدِي الْمُهْتَدُونَ.


আমি হলাম সাবধানকারী।আর হে আলী (رضي الله عنه)! তোমার মাধ্যমে পথ অন্বেষণকারীরা পথ খুঁজে পাবে।


(তাফসীরে তাবারী ১৩:৭২, ইমাম আলী (رضي الله عنه) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:৪১৭/৯২৩)


★ জাতির পথ-প্রদর্শকঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ تُبَيِّنُ لِأُمَّتِي مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ بَعْدِي.


আমার পরে আমার উম্মত যে বিষয়ে মতবিরোধ করবে তুমি তার সমাধান দান করবে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮৩, আল ফেরদৌস ৫:৩৩২/৮৩৪৯, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪)


★ মহানবী (ﷺ)-এর থেকেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أنْتَ مِنِّي وَ أَنَا مِنْكَ.


তুমি আমার থেকে আর আমি তোমার থেকে।


(সহীহ বুখারী ৪:২২, ৫:৮৭, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৬, মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৫ ও ১৮৬/১০৪৮, তারীখে বাগদাদ ৪:১৪০)


মিনদের কর্তৃত্বের অধিকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ وَ مُؤمِنَةٍ بَعْدِي.


আমার পরে তুমি প্রত্যেক মুমিন নর ও নারীর ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪, আল মুজামুল কাবীর-তাবারানী ১২:৭৮/১২৫৯৩)


★ আদর্শের পথে শহীদঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ تَعِيْشُ عَلَي مِلَّتِي، وَ تُقْتَلُ عَلَي سُنَّتِي.


তুমি আমার পন্থায় জীবন যাপন করবে,আর আমার আদর্শের পথেই শাহাদাত বরণ করবে।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৭/৩২৯৯৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম :৩/১৪২)


★ সকল মুমিনের নেতাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ، وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.


নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) আমার থেকে আর আমি আলী (رضي الله عنه) থেকে।আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।


(খাসায়েসে নেসায়ী :২৩, মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী


★ আলী (رضي الله عنه) এর জন্য দোয়াঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.


আল্লাহ আলী (رضي الله عنه)র ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী (رضي الله عنه) যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘুরিয়ে দিন।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)


★ মহানবী (ﷺ)-এর হারুন


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه) কে বলেনঃ


أنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَي إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدي.


আমার নিকট তুমি মুসার কাছে হারুনের ন্যায়। শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৪১/৩৭৩০, মাসাবিহুস্ সুন্নাহ ৪:১৭০/৪৭৬২, সহীহ মুসলিম ৪:৪৪/৩০)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَبْشِرْ يَا عَلِيُّ، حَيَاتُكَ مَعِي وَ مَوتُك مَعِي.


হে আলী (رضي الله عنه)! সুসংবাদ তোমার ওপর। তোমার জীবন আমার সাথে আর তোমার মরণও আমার সাথে।


(ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকির ২:৪৩৫, ৯৪৭, মাজমাউয যাওয়াযেদ ৯:১১২, কানযুল উম্মাল ১৩: ১৪৪/৩৬৪৫৩)


★ সর্বপ্রথম নামাজীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أََوَّلُ مَنْ صَلَّي مَعِي عَلِيٌّ.


সর্বপ্রথম আমার সাথে যে নামাজ পড়েছে সে হলো আলী (رضي الله عنه)।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯২, আল ফেরদৌস ১:২৭/৩৯)


★ শ্রেষ্ঠতম পুরুষঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


خَيْرُ رِجَالِكُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আলী (رضي الله عنه) তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম পুরুষ।

(তারীখে বাগদাদ ৪:৩৯২, মুন্তাখাবু কানযুল উম্মাল ৫:৯৩)


★ উম্মতের পিতার ন্যায়ঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حَقُّ عَلِيٍّ عَلَي الْمُسْلِمِينَ حَقُّ الوَالِدِ عَلَي الْوَلَدِ.


মুসলমানদের ওপর আলী (رضي الله عنه)র অধিকার, সন্তানের ওপর পিতার অধিকারের ন্যায়।

(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৩০, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:২৭২/৭৯৮-৭৯৯)


★ ইবাদতের সারসত্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


ذِكْرُ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.


আলী (رضي الله عنه)কে স্মরণ করা ইবাদততুল্য।


(কানযুল উম্মাল ১১, ৬০১/৩২৮৯৪, আল ফেরদৌস ২:২৪৪/৩১৫১, ওসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ: ৫ আল কাসাম ২:১৬৮)


★ মজলিসের সৌন্দর্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


زَيِّنُوا مَجَالِسَكُمْ بِذِكْرِ عَلِيٍّ.


তোমাদের মজলিসগুলোকে আলী (رضي الله عنه)র নাম উচ্চারণের মাধ্যমে সৌন্দর্যমন্ডিত করো।


(আল মানাকিব – ইবনুল মাগাযেলী : ২১১/২৫৫)


★ সর্বদা সত্যের সাথে


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.


আল্লাহ আলী (رضي الله عنه)র ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী (رضي الله عنه) যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘোরাও।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)


★ রাসূলুললাহ (ﷺ)-এর গোপন রহস্যের আধার


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


صَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আলী (رضي الله عنه) আমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার।


(আল ফেরদৌস ২:৪০৩/৩৭৯৩, আল ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:৩১১/৮২২)


হযরত ইমাম নেসায়ী (رضي الله عنه) উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন- ঐ জাত পাকের কসম ! রাসূলে পাক (ﷺ) এর বেসালে হক (ইন্তেকালের) সময় সবচেয়ে নিকটে ছিলেন হযরত আলী আলাইহিস সালাম। দরজার নিকট আমি দেখেছি , হুযুর পাক আলীর মুখে মুখ লাগিয়ে, বুকে বুক ড  এবং চুপি চুপি কিছু গোপন কথা বলেছেন। 

[খাসায়েসে কুবরা , পৃষ্টা-২৮-২৯, মিশরেছাপা, ইয়া মুকালরেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৫]


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জ্ঞানের ভান্ডারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَازِنُ عِلْمِي.


আলী (رضي الله عنه) আমার জ্ঞানের ভান্ডার।


(শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)


★ সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ.


আলী (رضي الله عنه) সৃষ্টিকুলের সেরা।


(আল ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:৪৪৩/৯৫৯, মানাকিবে খারেযমী : ৬২)


★ মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَي فَقَدْ كَفَرَ.


আলী (رضي الله عنه) সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, যে তা মানবে না সে নিঃসন্দেহে কাফের।


(সিয়ারু আ’লামুন নুবালা ৮:২৫০, ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকির ২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬, তারীখে বাগদাদ ৭:৪২১)


★ জ্ঞানের আধারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ عَيْبَةُ عِلْمِي.


আলী (رضي الله عنه) আমার জ্ঞানের আধার।


(আল জামেউস্ সাগীর ২:১৭৭, শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)


★ সর্বদা কুরআনের সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مَعَ الْقُرْآنِ وَ الْقُرْآنُ مَعَ عَلِيٍّ.


আলী (رضي الله عنه) কুরআনের সাথে আর কুরআন আলী (رضي الله عنه)র সাথে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, 

কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২) ✅


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকটেঃ


হযরত বাররাহ (رضي الله عنه) এবং হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, 


عَلِيٌّ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ رَأسِي مِنْ بَدَني.


আলী আমার দেহের মাথার ন্যায়। 

১. হাদিসটি তারীখে বাগদাদ ৭:১২, হযরত বাররাহ (رضي الله عنه) হতে এবং 

২.দায়লমী হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করছেন। 

৩.মুত্তাকী আল হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১৪।

৪.মাসিক আলোকধারা, ১৭শ বর্ষ, ৮ ম সংখ্যা (আগষ্ট ২০১২ সংখ্যা), ২৩ পৃষ্টা।


★ আল্লাহর নিকটেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مِنِّيكَمَنْزِلَتِي مِنْ رَبِّي.


আমার নিকটে আলী (رضي الله عنه)র মর্যাদা হলো যেমন আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার মর্যাদা।


(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা :১৭৭, যাখায়িরুল উক্বা : ৬৪)


★ কেয়ামতের দিন বিজয়ীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ وَ شِيعَتُهُ هُمُ الْفَائِزُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


আলী (رضي الله عنه) এবং তাঁর অনুসারীরা নিঃসন্দেহে কেয়ামতের দিন বিজয়ী।


(আল ফেরদৌস ৩:৬১/৪১৭২, ওয়াসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ:৫, আল কিস্ম ২:১৭০)


★ বেহেশতের তারকাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ يَزْهَرُ فِي الْجَنَّةِ كَكَوْكَبِ الصُّبْحِ لِأَهْلِ الدُّنْيَا.


আলী (رضي الله عنه) বেহেশতের মধ্যে দুনিয়াবাসীর জন্য ভোরের তারকার ন্যায় উজ্জ্বল।


(আল ফেরদৌস ৩:৬৩/৪১৭৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৪/৩২৯১৭)


★ তাকে কষ্ট দিও নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


مَنْ آذَي عَلِيّاً فَقَدْ آذَانِي.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه)কে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দেয়।


(মুসনাদে আহমাদ ৩:৪৮৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, দালায়িলুন নব্যুওয়াত ৫:৩৯৫, আল ইহ্সান- ইবনে হাববান ৯:৩৯/৬৮৮৪)


★ আল্লাহর অস্তিত্বে মিশে আছেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لَاتَسُبُّوا عَلِيّاً، فَإِنَّهُ مَمْسُوسٌ فِي ذَاتِ اللهِ.


তোমরা আলী (رضي الله عنه)কে গালমন্দ করো না। সে আল্লাহর সত্তায় ফানা গেছে্। অর্থাৎ, আল্লাহর ভালবাসায় বিলীন হয়ে গেছে। 


(আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ১৯:১৪৮/৩২৪, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০১৭)


★ মুনাফিকরা তাঁকে ভালোবাসে নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.


মুনাফিকরা আলী (رضي الله عنه)কে ভালোবাসে না, আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৭, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৮৯)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হক (অধিকার) পূরণকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مِنِّي وَ أَنَامِنْ عَلِيٍّ، وَلَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ.


আলী (رضي الله عنه) আমা থেকে আর আমি আলী (رضي الله عنه) থেকে, আমি আর আলী (رضي الله عنه) ব্যতীত কেউই আমার (রেসালাতের) অধিকার পূরণ করেনি।


(মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৮, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৯, মুসনাদে আহমাদ ৪:১৬৪)


★ মুসলমানদের সরদারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ سَيِّدُ الْمُسْلِمِينَ، وَ إِمَامُ الْمُتَّقِينَ، وَ قَائِدُ الْغُرِّ الْمُحَجَّلِينَ.


আলী (رضي الله عنه) মুসলমানদের সরদার, পরহেযগারদের নেতা এবং সফলকামদের পথ প্রদর্শক।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৮, আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ১০৪/১৪৬)


★ নাজাত দানকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حُبُّ عَلِيٍّ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.


আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।


(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)


★ ঈমানে সর্বাপেক্ষা অবিচলঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.


আলী (رضي الله عنه) ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)


★ তাঁকে অভিসম্পাত করো নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

مَنْ سَبَّ عَلِيّاً فَقَدْ سَبَّنِي.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه)কে গালমন্দ করে সে যেন আমাকেই গালি দিল।


(মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক – ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩৬৬, ফাযায়েলুস সাহাবা ২:৫৯৪/১০১১, খাসায়েসে নাসায়ী :২৪, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২১, মানাকিবে খারেযমী : ৮২)


★ আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ.


হে লোকসকল! আলী (رضي الله عنه)র বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়।


(মুসনাদে আহমাদ ৩:৮৬, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪)


★ সত্যিকারের সৌভাগ্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ السَّعِيدَ كُلَّ السَّعِيدِ، حَقَّ السَّعِيدِ، مَنْ أحَبَّ عَلِيّاً فِي حَيَاتِهِ وَ بَعْدَ مَوتِهِ.


নিশ্চয়ই সবচেয়ে সৌভাগ্যবান এবং সত্যিকারের সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে আলী (رضي الله عنه)কে তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরে ভালোবাসে।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯১, ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৫৮/১১২১, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ২২: ৪১৫/১০২৬, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৩২)


★ পাপ ধ্বংসকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَأْكُلُ الذُّنُوبَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.


আলী (رضي الله عنه) এর ভালোবাসা পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।


(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩: ১৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০২১, আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উত্তরসূরিঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لِكُلِّ نَبِيٍّ وَصِيٌّ وَ وَارِثٌ، وَ إَِنَّ عَلِيّاً وَصِيِّي وَ وَارِثِي.


প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি থাকে। আর আমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী (رضي الله عنه)।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩৮, আল ফেরদৌস ৩:৩৩৬/৫০০৯, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ৩: ৫/১০৩০-১০৩১)


★ তার দিকে তাকানো ইবাদতঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


َالنَّظَرُ إِلَي وَجْهِ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.


আলী (رضي الله عنه)র মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।


(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও ২১০/২৫২-২৫৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২, আর রিয়াদুন্ নাদ্রাহ ৩:১৯৭)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওয়াসীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ


هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي مِنْ بَعْدِي، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.


এ হলো আমার ভাই, আর আমার পরে আমার ওয়াসী এবং খলীফা। তার নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তার আনুগত্য করো।


(তারীখে তাবারী ২:৩৩১, মাআলিমুত তানযীল ৪:২৭৯, আল কামিল ফিত তারীখ ২:৬৩, শারহে নাহজুল বালাগা 

– ইবনে আবিল হাদীদ ১৩:২১১, 

কানযুল উম্মাল ১৩:১৩১) 


★ ফেরেশতাকুলের দরূদঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ الْمَلَائِِكَةَ صَلَّتْ عَلَيَّ و عَلَي عَلِيٍّ سَبعَ سِنِيْنَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ بَشَرٌ.


কোনো মানুষ মুসলমান হওয়ার সাত বছর পূর্ব থেকেই ফেরেশতারা আমার এবং আলী (رضي الله عنه)র ওপর দরূদ পাঠাতো।


(কানযুল উম্মাল ১১: ৬১৬/৩২৯৮৯, মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক -ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩০৫)


★ ঈমানের মানদন্ডঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (رضي الله عنه) কে বলেনঃ


لَوْلَاكَ مَا عُرِفَ الْمُؤمِنُونَ مِنْ بَعْدِي.


যদি তুমি না থাকতে তাহলে আমার পরে মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না।


(আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৭৩, আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী :৭০/১০১, কানযুল উম্মাল ১৩ :১৫২/৩৬৪৭৭)


★ সর্বদা সত্যের সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مَعَ الْحَقِّ وَ الْحَقُّ مَعَ عَلِيٍّ، لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّي يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


আলী (رضي الله عنه) সত্যের সাথে আর সত্য আলী (رضي الله عنه)র সাথে, এই দুটো কখনো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে।


(তারীখে বাগদাদ ১৪:৩২১, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ৩:১৫৩/১১৭২)


★ তাঁর থেকে পৃথক হয়ো না!


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه) থেকে পৃথক হয় সে আমা থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।


(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, আল মু’জামুল কাবীর- তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)


হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- একদা একজন আরবী এসে নবীজীর নিকট জিজ্ঞাসা করল - হে আল্লাহর রাসুল ! আমি শুনেছি আপনি বলেছেন- "তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরো এবং পরস্পর পৃথক হয়ো না। (আল-কুরআন) সেই রজ্জু (রশি) কি যাকে আমরা অনুসরণ করবো? তখন রাসুলে পাক (ﷺ) নিজের হাত আলীর হাতের উপর রেখে বললেন, এই আলীই খোদার মজবুত রজ্জু (রশি) তাকে অনুসরণ করো। 

[ইয়া নাবিউল মাওয়াদ্দাত,পৃষ্টা-১১৯, 

ইয়া মুকাল্রেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৫]


আরও খবর