Logo
শিরোনাম

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

নাজনীন বেগমসিনিয়র সাংবাদিক :

বদলে যাওয়া নতুন বাংলাদেশ। পুরনো সংস্কার আর অপসংস্কারে আবর্তিত হরেক সমস্যা সামনে দৃশ্যমান হচ্ছে। যে কোনো সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি সময়ের চাহিদা আর যুগের আবেদনে পরিবর্তনশীল এক নব দিগন্তের পালাক্রম। সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন পুরনো সমাজের জরাজীর্ণ পালাক্রম আর নতুন সময়ের আধুনিক সংস্কারের নবযাত্রায় সভ্যতা এগিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিকভাবেই দীপ্যমান। সেটা অতি আদিম কৌম ব্যবস্থার বন্যদশা থেকে আধুনিক শিল্পোন্নত প্রযুক্তির বলয়কে সময়ের অনুগামী করেছে। নতুন সমাজের প্রাসঙ্গিক উপাদান তৈরি হয় পুরনো ব্যবস্থার মূল শিকড়ে। তারপর শুরু হয় ভাঙা-গড়ার নিত্য নৈমিত্তিক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আবহ।

নতুন করে সমাজের গতি ফেরাতে কত সমস্যা আর ক্ষতচিহ্ন সামনে এসে যায় তাও পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এক অবধারিত গতি প্রবাহ। বাংলাদেশ অতিক্রম করছে আগামীর রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় এক ক্রান্তিকাল। দেশকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে ও গড়ে তুলতে উদীয়মান সচেতন প্রজন্ম অগণিত শিক্ষার্থী আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসে।
সময়ের নতুন আবহে চাহিদা যেমন বাড়ছে পাশাপাশি নানামাত্রিক অপকৌশল দৃশ্যমান হতে দেরি লাগছে না। প্রাসঙ্গিক, অপ্রাসঙ্গিক দাবি-দাওয়ার স্রোতে দেশ এখন নাকাল। তবে সাত কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করে তার অধিভুক্ত করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের যে লাগাতার কর্মসূচি তাতে বিপাকে পড়েছে রাজধানী।

 এমনিতে যানজটে তীব্র অস্বস্তিতে বেসামাল ঢাকা। সেখানে বাড়তি আন্দোলনের চাপে নগরবাসীর যে নাভিশ্বাস তা সত্যিই দুর্ভোগ-দুর্গতির অসহনীয় চিত্র। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া যৌক্তিক, প্রাসঙ্গিক হলেও উত্তরণ অত সহজসাধ্য নয়। অতি অবশ্যই তা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কলেজগুলো ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মযোগ অব্যাহত রাখাও শিক্ষা কার্যক্রমকে যথা নিয়মে ও সময়ে এগিয়ে নেওয়া। এমনিতে আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষার্থী সমাজের যে ক্ষতিসাধন হয়েছে তা পোষাতে যে কত সময় লাগবে তা ধারণা করাও মুশকিল। তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেশন জটে আক্রান্ত। সঙ্গত কারণে নতুনভাবে  এই সময়ক্ষেপণ শিক্ষা ব্যবস্থায় নানামাত্রিক বিপন্নতা তৈরি করবে। সে কারণে অগণিত শিক্ষার্থীকে বিদ্যমান নিয়মনীতিতে পাঠক্রম চালিয়ে যাওয়াও প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা। এর অন্যথায় শুধু সেশন জটই নয়, শিক্ষাক্রমেও বাড়তি চাপ তৈরি হবে।

সেখানে সামান্য অস্বস্তি কিংবা বিচ্যুতি শিরদাঁড়া উঁচু করতে বিঘ্ন তৈরি হতে পারে। তাই শিক্ষা কর্মযোগে অনাবশ্যক কিংবা অনাকাক্সিক্ষত কোনো চাপই জাতি গড়ার আধুনিক স্থপতিদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। ২০১৭ সালে তৎকালীন সরকার ঢাকার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে দেয় সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক সম্মতি ছাড়াই কেবলমাত্র সরকারি আদেশ বলে। গত ৭ বছর ধরে এমন নিয়মানুগ প্রথার অনুবর্তী হয়ে কলেজগুলো তাদের শিক্ষা পাঠ থেকে পরীক্ষা কার্যক্রম সবই চালাতে থাকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত থাকা অবস্থায় পাঠক্রম, পরীক্ষা পদ্ধতি যা ছিল তার কোনো ব্যতিক্রম করা হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পরও।

 তবে সাত কলেজের বাড়তি চাপ অতি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে খ্যাত এই স্বনামখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠই নয় বরং শিক্ষার্থী সংখ্যায়ও অনেকখানি এগিয়ে। তবে সাত কলেজের দায়িত্ব গ্রহণে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠটি যথার্থ পারদর্শিতা দেখিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময় দায়িত্বভারে চাপে থাকার বিষয়টিও সামনে এসে যায়। তৎকালীন সরকার কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেয় তা তথ্য উপাত্তে জানা যায়। যা নাকি শুধু অপরিকল্পিতই নয়, বরং অপরিণামদর্শিতাও বটে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারণী বিষয়ে তেমন কোনো তারতম্য দৃশ্যমান হয়নি বলে ওজর আপত্তিও ওঠেনি।

তবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশের অন্য কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং সাত কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাজপথে নামে। তীব্র যানজটের রাজধানী যে মাত্রায় বেহাল দশায় পড়ে সেটাও আর এক নাজেহাল হওয়ার দুরবস্থা। তবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে থেকেও তাদের লেখাপড়ার মান সেভাবে বাড়েনি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়হীনতা আর যথাযথ সংযোগের অভাবে অনুকূল পরিস্থিতির প্রভাব সেখাবে দৃশ্যমান না হওয়াও উচ্চ শিক্ষায় যথার্থ পারদর্শী হতে কিছুটা পিছু হটতে হয়।

 ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মেধা ও মননের যোগ্যতম সোপানে অবস্থান করে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় টানাপোড়েনে অসঙ্গতি ছাড়াও পাঠক্রমেও ঘাটতি হয়েছে, যা পরবর্তী ফলাফলকে বিঘ্নিত এবং শিক্ষার্থীদের নিরাশ করেছে। নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় হয়নি বলেও তথ্য উপাত্তে দৃশ্যমান। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতি, উদাসীনতায় কলেজগুলোও নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে বারবার পিছু হটেছে। দ্বৈত শিক্ষা কার্যক্রমে যথার্থ পাঠদান, পরীক্ষণ সবই বিঘ্নতার আবর্তে পড়েছে। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিভাগভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষকের ঘাটতি মূল পাঠক্রমকে শিক্ষার্থীদের কাছে যথার্থভাবে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। সঙ্গত কারণে ঢাকা শহরের স্বনামখ্যাত কলেজগুলো নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক মানটাও ধরে রাখতে বিভিন্ন সময় পিছু হটে।

তার ওপর উচ্চ শিক্ষার আর এক বৃহত্তর সোপান তথ্য উপাত্ত সমন্বয়ে গবেষণা কর্ম চালু রাখা। সুযোগের অপ্রতুলতাকেও দায়ী করছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষের সংকটও মাথা চাড়া দেওয়ার মতোই। নির্দিষ্ট শ্রেণি পাঠের সময় বিঘিœত হওয়ার আর এক বিরূপ প্রতিবেশ। পর্যাপ্ত গবেষণাগারের ঘাটতি ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ হয়েছে। হল, হোস্টেলসহ আবাসন সংকট ও শিক্ষার্থীদের অস্বস্তির কারণ হয়েছে। পরিবহন সমস্যা সব সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক চরম দুর্ভোগ। যা কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষাঙ্গনেই বরং সবার বেলায় এমন সত্যই প্রচলিত, প্রকাশিতও। ফলাফল প্রকাশেরও যথেষ্ট বিলম্ব হয় বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের চরম ওজর আপত্তি।

 এ ছাড়া সিলেবাস একটা নিয়মিত পাঠ্যক্রমের নিয়ামক, অনুষঙ্গ। সেখানেও শিক্ষার্থীরা অস্বস্তিতে পড়ার দৃশ্য সহনীয় অবস্থায় থাকে না। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নও নাকি প্রশ্নবিদ্ধ। সঠিকভাবে মান যাচাইয়ে ঘাটতি থেকেই যায়। পরীক্ষার ফল নিম্নমানের হলে পুনরায় হলে বসে পরীক্ষা দেওয়া প্রচলিত বিধি। সঙ্গে থাকে আবারও ফি দেওয়ার প্রাতিষ্ঠানিক রীতি। সেখানেও অনিয়ম করে বেশি টাকা নেওয়ার তথ্য উঠে আসাও অনাকাক্সিক্ষত বিষয়। তাই সাত কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু  জরুরিই নয় বরং অনিবার্য। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে আওয়াজ তুলছেন বিভিন্নভাবে তারাও বৈষম্যের শিকার। সঙ্গত কারণে জাতীয় কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং বিধিবদ্ধ উপায়ে সাত কলেজেরই নিজের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় থাকা বাঞ্ছনীয় শিক্ষার্থী আর প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে।

এমন যৌক্তিক আন্দোলন থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সরে দাঁড়াবে না। এটা তাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক প্রত্যয়। শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা পাঠক্রম নিয়ে কোনো অবহেলা, উদাসীনতা একেবারে নয়, বরং জাতির মেরুদ-কে শিরদাঁড়া উঁচু করতে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াকে মান্যতা দেওয়াও সময়ের দাবি। সেটা একমাত্র সম্ভব সাত কলেজের জন্য আলাদা একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তাদের আগামীর ভবিষ্যৎ সফল করা যা বদলে যাওয়া নতুন বাংলাদেশের জন্য এক অভাবনীয় কর্মদ্যোতনা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন দাবিকে সমর্থন করেছে। শুধু আমলে নিয়ে নয়, বরং উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। তবে একদিনে তা সম্ভব নয়। সময় সাপেক্ষ কার্যক্রমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যাতে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে তার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াও এক অপরিহার্য বিধি। তবে দাবি বিবেচনায় রেখে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য সহকারে শ্রেণি কক্ষে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তবে শিক্ষার্থীরাও জানান দেয়, তারা যথার্থ দাবি পূরণ ছাড়া অন্য কিছুতে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে না।


একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আলটিমেটাম দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। সেই সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের প্রাসঙ্গিক দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেবার হুমকিও আসে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, সাত কলেজের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। আলাদা প্রশাসনিক ভবনে রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা কর্মচারীও যুক্ত হবেন। কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত থেকে অবিচ্ছিন্ন থাকবে। তবে শেষ অবধি সব আলোচনা, পর্যালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম ঘোষণা করে সাত কলেজের জন্য ন্যায্য দাবি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঐকমত্য পোষণ করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া অবধি আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না বলেও হুশিঁয়ারি আসে।

 


আরও খবর



নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতি, ৬ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছেন পুলিশ। সোমবার ৩ মার্চ দুপুর ১টায় নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে  এসব তথ্য জানান নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

গ্রেফতারকৃত ৬ জন হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম সব্দুল (২৭),  হাতিয়র গ্রামের অরুণ চন্দ্র বর্মনের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র বর্মন (৩০), ও একই উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ ওরফে নাঈম (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মনসুর বেপারীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭) ও একই গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অভিযান পরিচালনা করে ৬ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে জয়পুরহাটের কালাই থেকে, দুইজন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এবং একজন বগুড়ার কাহালু থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, একজোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাসুয়া, একটি প্লাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নওগাঁয় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৫জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারী পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ৬টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে ২টি, শামীমের বিরুদ্ধে ২টি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান এবং অন্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য নওগাঁ জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

আধুনিক ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর হাত ধরে একটু বিবর্তিত হচ্ছে। শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এবারের আসরে দুটি নতুন নিয়ম যুক্ত করার পাশাপাশি পুরোনো একটি নিয়মও ফিরিয়েছেন আয়োজকরা।

মুম্বাইতে বিসিসিআইয়ের সদর দপ্তরে আইপিএলের ১৮তম আসরের ‘ক্যাপ্টেনস মিট’ হয়। সেখানে ১০ দলের অধিনায়কদের নিয়মের বদলগুলো অবহিত করা হয়েছে বলে খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। ভারতীয় কন্ডিশনে রাতের ম্যাচে শিশিরের প্রভাব থাকে। এতে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হয় বলে মনে করছে আয়োজকরা। এজন্য দ্বিতীয় ইনিংসের ১১তম ওভারের পর যেকোনো সময় আরেকটি বল নিতে পারবে ফিল্ডিং দল।

তবে বল পরিবর্তনের আগে আম্পায়ার পরীক্ষা করে নেবেন আগের বলটি শিশিরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না।

আরেকটি নিয়মে এবার থেকে উচ্চতা এবং অফ স্টাম্পের বাইরের ওয়াইড বলে ডিআরএস নেওয়া হলে হক-আই এবং বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। সঙ্গে আইসিসি এখনো বলে থুতু বা লালার ব্যবহার শিথিল না করলেও করোনার সময় আরোপিত এই নিয়ম এবার থাকছে না আইপিএলে।


আরও খবর



গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে ২ নেতার পদত্যাগের ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব ও সালাউদ্দীন আম্মার। 

ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। এর মধ্যে মেহেদী সজীব কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সালাউদ্দীন আম্মার যুগ্ম সদস্য সচিব পদধারী নেতা।

ফেসবুক মেহেদী সজীব তার পোস্টে লেখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তার অগোচরেই করা হয়েছে, যা তিনি মেনে নিতে রাজি নন। 

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থান-এর প্রতিবাদে তিনি এ প্ল্যাটফর্মে থাকতে চান না।

মেহেদী সজীব আরও লেখেন, আমি আগেই কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছি, বিভাজনের রাজনীতিতে আমি থাকতে পারব না। তবুও আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দাবিগুলো পূরণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্পষ্ট বার্তা ঢাকা ও ঢাবি কেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে যতদিন না এই দলের অংশীজনরা বেরিয়ে আসতে পারবে, বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করবে, ততদিন আমি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যাব না।

অন্যদিকে সালাউদ্দিন আম্মার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমাদের স্ট্যান্ড আমরা গতকাল রাতেই ক্লিয়ার করেছিলাম। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পালসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাবি শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না এই ঢাবি আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকতে। তাই আমরাও চাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরা না চাইলে আমরা কিছুই না।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

আগের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। তার মানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।

এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।


আরও খবর



তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সোমবার থেকে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর