
মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, "পবিত্র শবে বরাত বা শাবান মাসের ১৫ তারিখ রজনীতে মহান আল্লাহ্ তার বান্দাদের জন্য বিশেষ দয়া ও ক্ষমা করে থাকেন। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ রজনীকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। শবে বরাত মুসলিম সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ রজনীতে ঘরে ঘরে রুটি হালুয়া তৈরির একটি প্রথা রয়েছে। মুসলিমরা তাদের প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের মাঝে এ খাবার বিতরণ করেন। এতে মানুষের মাঝে ভাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির মনোভাব বৃদ্ধি পায়। মুসলিম উম্মাহর মাঝে একতা ও জাতীয় চেতনার জাগরণ ঘটে এ ধরনের উপলক্ষ্যগুলো পালনের মাধ্যমে। রুটি-হালুয়া এক ধরনের হালাল খাবার। মানুষকে খাওয়ানে সবচেয়ে উত্তম কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশেষত দরিদ্রদের খাওয়ানো মহৎ একটি গুণ। এ রজনীতে বেশি বেশি তাওবা ইস্তেগফার করা, নফল নামায আদায়, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, তাহাজ্জুদ আদায়, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি শ্রদ্ধার সাথে সালাতু সালাম পেশ ও দরুদ শরীফ পাঠ, দান সদকাহ্ করা,নবী রসুল, সাহাবী অলি আল্লাহ মাজার ও মুরববীগনের জেয়ারত করা এবং পরদিন রোজা পালন অত্যন্ত বরকতময় আমল। মহান আল্লাহ্ যেন, এ মহিমান্বিত রজনীর মাধ্যমে আমাদের সকলের প্রতি তার সদয় দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন।"
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে হযরত নেয়ামত শাহ্ (রহঃ) মাজার প্রাঙ্গণে, শেরে খোদা মওলা আলি (আঃ), গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ও হুযুর গাউসুল ওয়ারা হযরত আল্লামা শাহ্সুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (কঃ) স্মরণে আয়োজিত গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ওলামা মাশায়েখ, খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
দো-জাহানের বাদশাহ্, রহমাতুল্লিল আলামীন, হযরত আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তার পবিত্র আহলে বাইতগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে দেশ ও মানবতার কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।