শীত মৌসুমে সারাদেশে সবজির উৎপাদন বাড়ে। একই সময় গ্রামীণ জলাশয়গুলোর পানি কমে যাওয়ায় মাছ শিকার বেশি হয়। ফলে এ সময় সবজি ও মাছের সরবরাহ বেশি থাকায় সাধারণত দাম ক্রেতাদের নাগালেই থাকে। কিন্তু বর্তমান চিত্র ভিন্ন। শীতের এ সময়ও রাজধানীর কাঁচাবাজারে মাছ ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির দাম চড়া। এ জন্য ব্যবসায়ীরা শীত আর বিশ্ব ইজতেমাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন। তবে ভোক্তাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
২০ জানুয়ারি ছুটির দিন সকালে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন। কিন্তু মাছ আর শীতের সবজির দাম বাড়তি দেখে অবাক তিনি। কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গে আনোয়ার বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে সব ধরনের সবজির দামও বাড়তি। যেকোনো সবজিতে কেজি প্রতি আগের চেয়ে অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে।
ওই বাজারের মাছ বিক্রেতাদের ভাষ্য, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছের দামও বেড়ে গেছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে। ফলে মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে একটু বেশি।
শীতের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। গত সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের কারণে টঙ্গীতে প্রচুর পরিমাণে সবজির চাহিদা ছিল। তখন সবজির দাম বেড়ে আর কমেনি। আগামী ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ইজতেমার সময় পর্যন্ত সবজির দাম চড়া থাকতে পারে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে শীত কিছুটা কমে এলে বাড়বে সবজির সরবরাহ। তখন কমতে পারে সবজির দাম।
শুধু শেওড়াপাড়া নয়, শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। সব ধরনের মাছের দাম তুলনামূলক বেড়েছে। তবে গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।