দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ওপর যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে শুল্ক বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।
সফররত মার্কিন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সফররত কর্মকর্তারা ঢাকায় মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের গুলশান বাসভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠন করেন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘আলোচনার সময় অর্থনৈতিক দিক এবং শুল্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা শুল্ক বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মার্কিন নেতাকে বলেছি, শুল্কের বিষয়টি সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা টানাপড়েনের সম্মুখীন হবে। আমরা এ বিষয়ে যা করতে যাচ্ছি তা বলেছি। আমরা এটি নিয়ে আরো কাজ করছি।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কারণ মার্কিন পক্ষ নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বিষয়ে বিএনপির আবস্থান কী তা জানতে আগ্রহী।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বৈঠকে জানিয়েছি, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। আমরা সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করতে পারি, যার ওপর এক মাসের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি বলেন, যদি ঐকমত্য অর্জন করা হয় তবে জুলাইয়ের সনদে সব দল স্বাক্ষর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বিএনপি নেতা বলেন, তাঁরা মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেছেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধা হচ্ছে। জনসমর্থনের মাধ্যমে পরিচালিত একটি নির্বাচিত সরকারের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ।