Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলপুর এলাকায় 'সীমা অক্সিজেন' নামক একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। 

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সীতাকুণ্ড ও কুমিরা স্টেশনের একাধিক ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতিসহ বিস্তারিত জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সীতাকুণ্ড স্টেশনের অগ্নিনির্বাপক মো. ফজলে রাব্বী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ৪টা ৪০ মিনিটে আমাদের কাছে খবর আসে। সঙ্গেসঙ্গে আমাদের দুটি গাড়ি এবং কুমিরার ইউনিটও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। 


আরও খবর



নেত্রকোনায় প্রেস রিলিজ গাইডলাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আয়োজিত প্রেস রিলিজ গাইডলাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) শহরের কাটলি এলাকায় পিবি আই কার্যালয়ের হলরুমে এ সংক্রান্ত মূল আলোচনা করেন সময় টিভির রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক আলপনা বেগম।

কর্মশালায় ভিডিও বিষয়ে ধারণা দেন সময়ের চিত্র সাংবাদিক আবু সুফিয়ান।

কর্মশালায় পিবিআই নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবিরের সঞ্চালনায় পিবি আই ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরসহ ২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মশালায় পিবি আইয়ের সদস্যরা নারী ইস্যুতে ধর্ষণ খুন সহ চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিকটিমদের প্রকাশসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। 

এসকল ঘটনাসহ ভিডিও ধারণ সংক্রান্ত ধারণাও দেয়া হয়। 

বিশেষ করে এসকল তথ্য নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুল হক, ইমদাদুল হক বাশার, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: আশরাফুল হাসান, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান সহ অন্যরা তথ্য পরিবেশন ও ভুল বা সঠিক তথ্য সংক্রান্ত আলোচনা করেন।  


আরও খবর



জলদস্যুদের কবলে জাহাজ, মুক্তিপণ দেওয়া না হলে মেরে ফেলা হবে সবাইকে..সাঈদের স্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ভারত মহাসাগরে জল-দস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন নওগাঁর এ,এস,এম সাইদুজ্জামান সাঈদ। তিনি নওগাঁ জেলা শহরের আরজী নওগাঁ- শাহী মসজিদ ফিসারী গেট এলাকার আব্দুল কাইয়ুম এর ছেলে। ৩ ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়।

গতকাল মঙ্গলবার ১২ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে সাইদুজ্জামান সাঈদ এর পরিবার জানতে পারেন ছেলে যে জাহাজে রয়েছে সেই জাহাজ টিই জল-দস্যুদের কবলে পড়েছে। পরে জাহাজ টি জল-দস্যুরা আটক করে সোমালিয়ায় তাদের সুবিধামত জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। এমন খবর শোনার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা। ছেলেকে ফেরত পেতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। বুধবার ১৩ মার্চ বিকেলে তাদের শহরের বাড়িতে গিয়ে সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা-মাকে ছেলের জন্য আর্তনাদ করতে দেখা যায়।

এসময় বাবা অবসর প্রাপ্ত প্রেফেসর আব্দুল কাইয়ুম বলেন, গতকাল বিকেল ৩টারদিকে জানতে পারি ছেলে যে জাহাজে রয়েছে সে জাহাজটি জল-দস্যুদের কবলে পড়েছে। তবে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা তারা দিচ্ছে। এরপর রাত ১০টায় আমার ছেলের বউয়ের সাথে যোগাযোগ হয় ছেলের। তখন ঘরে বন্দী করে রাখার কথা জানান। জাহাজটি তাদের জিম্মায় নিয়েছে, তাদেরকে কিছু করতে দিচ্ছে না বলে জানান। এ খবর পাওয়ার পর থেকে সারারাত পরিবার এর কেউ ঘুমাইতে পারেনি। সারারাত আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছি ছেলের জন্য। ঘুম বিহীন রজনী কাটিয়েছি।

মা কোহিনুর বেগম বলেন, এখন আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি আমরা। আল্লাহ যেন সুস্থ্য ভাবে আমার ছেলে সহ জাহাজের সবাইকে সবার মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও আমরা প্রধানমন্ত্রী ও কোম্পানির কাছে অনুরোধ জানাবো তারা যেন খুব তাড়াতাড়ী ব্যবস্থা নেয়। মা হিসেবে এটাই আশা। এসময় দেশবাসী সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান তিনি।জাহাজ টিতে আটক সাইদুজ্জামান সাঈদ এর স্ত্রী মান্না তাহরিন বলেন, সর্বশেষ গতকাল রাত সাড়ে ১০টারদিকে তার স্বামীর সাথে কথা হয়। তখন তিনি তাকে জানান, তারা সবাই ভালো আছেন, ইফতার করেছেন এবং সবাইকে এক রুমে রাখা হয়েছে। এরপর সকাল সারে ১০টায় দিকে জাহাজের আরেক জন আমাকে ভয়েস মেসেজ দিয়ে রেখে দেন সবাই ভালো আছেন। সেহরি খেয়ে সবাই এক রুমেই ঘুমাচ্ছেন। তবে মুক্তিপণ যত তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে ততো তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। মুক্তিপণ দেওয়া না হলে একে একে মেরে ফেলা হবে। এটা শোনার পর আরো বেশি আমরা চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের এক বছর বয়সী এক মেয়ে আছে। বাচ্চাটা অনেক ছোট এখনো বুঝতে শিখেনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন আমার স্বামী সহ জাহাজের সবাইকে সুষ্ঠুভাবে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। 


আরও খবর



মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে কাদেরিয়া তরিকার মজবুত সেতুবন্ধন বিদ্যমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আল্লামা শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি আল বাগদাদি বলেছেন, রমজানকে আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর আস্তানা-এ-ঈছাপুরী দরবার শরিফে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর (রহ.) ৪০তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি বলেন, হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)'র ওপর কোরআর নাজিলের পাশাপাশি রেসালত ঘোষণা হয়েছে রমজানে। ‘লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুল্লাহ’ পর্যন্ত রেসালতের এই বাণিও রমজানে হয়েছে। কোরআন শরিফ মক্কার জমিনে জবলে নূরে, গারে হেরায় রাসুলের ওপর নাজিল হয়েছে; যেটি উম্মুল কিতাব, সেই কারণে মক্কার নাম হয়েছে উম্মুল কোরা। হজরত জিব্রাইলকে (আ.) ফেরেশতাদের সর্দার বলা হয়; তিনি সব ফেরেশতার সরদার হয়েছেন রাসূলের কাছে আসার কারণে। চট্টগ্রামকে ‘মদিনাতুল আউলিয়া’ সম্বোধন করে বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ জেয়ারত ও আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর ওরসে হাজির হতে পেরেছি। এজন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া শুকরিয়া। তিনি বলেন, আপনারা অত্যন্ত ভাগ্যবান; কারণ আপনারা অলি আল্লাহর শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। অলিদের আশপাশে আছেন। এ সময় তিনি মাইজভান্ডার দরবার শরীফ যিয়ারতকালে হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী'র আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে কাদেরিয়া তরিকার মজবুত সেতুবন্ধন বিদ্যমান মন্তব্য করে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, ১৫৭১ সালে আব্দুল কাদের জিলানির বংশধর সৈয়দ হামিদুদ্দিন আল কাদেরি গৌরী তিনি সে সময় বাগদাদে বিচারক ছিলেন। বাংলাদেশের তখনকার সুলতান তাকে গৌরে নিয়ে আসেন বিচারের কাজ করার জন্য। সে থেকেই তারা এ দেশেই রয়ে গেছেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামে চলে যান। আমাদের পূর্বপুরুষরা চট্টগ্রামে ইসলামের অনেক খেদমত করেছেন। এ ধারাবাহিকতায় মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে আমাদের পূর্বপুরুষরা অবস্থান করেন। তিনি আরো বলেন, হজরত গাউছুল আজম সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানির (রা.) বংশধর মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ জেয়ারত করেছেন। তাসাউফ তরিকত সহ সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা হয়েছে। এতে কাদেরিয়া তরিকার সাথে মাইজভান্ডারী তরিকার সেতুবন্ধন আরও মজবুত হয়েছে। আমরা একসঙ্গে সারা বিশ্বে ইসলাম ও কাদেরিয়া তরিকার জন্য কাজ করবো। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চলছে। তারা সেহেরি ও ইফতার পর্যন্ত করতে পারছে না। আমরা দোয়া করছি, ইহুদি-নাসারাদের নির্যাতন মোকাবেলায় আল্লাহ পাক মজলুম ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদেরকে শক্তি দান করুক। প্রধান আলোচক আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করি মানুষকে আলোকিত করার। কারণ একজনকে আলোকিত করলে তার মাধ্যমে ১০০ মানুষ আলোকিত হবে। এ ১০০ মানুষের সঙ্গে যারা সম্পর্ক রাখবে তারাও আলোকিত হবে। এভাবে হাজার হাজার মানুষ আলোকিত হবে। সুফিবাদের মাধ্যমে ইসলামকে ছড়িয়ে দেওয়াই মাইজভাণ্ডার শরিফসহ সুফি দরবারগুলোর মূল উদ্দেশ্য। সুফিজমই হচ্ছে আসল ইসলাম যারা মানুষের ক্ষতি করে না। সব সময়ই কল্যাণ চিন্তা করে। কারণ ইসলাম হচ্ছে শান্তি, কল্যাণ ও সম্প্রীতির ধর্ম। সে ধারাতেই মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ যুগ যুগ ধরে পরিচালিত হচ্ছে।

৪০ তম এই ওরস মাহফিলে শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানির শাহজাদা শেখ সৈয়দ আবদুর রহমান আল জিলানি আল বাগদাদি, শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর আওলাদ শাহজাদা সৈয়দ সফিউল আজম, সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, সৈয়দ আমানুল্লাহ আহসান, সৈয়দ এহসানুল করিম, সৈয়দ ফয়জুল আজিম ও সৈয়দ মশিউর রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অযত্নে নষ্ট হচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকার ইভিএম

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট প্রয়োগে মেশিন বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অনুসৃত হয় বলে সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নামে পরিচিত। বাংলাদেশে প্রথম ইভিএম ব্যবহার হয় ২০১১ সালে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএমের মালিক। তবে এই দেড় লাখ মেশিনের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার, অর্থাৎ ৯৬.১৯ শতাংশ মেশিনই নষ্ট হয়ে গেছে। যার মূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

এদিকে বাকি ৪০ হাজারও অকেজো হওয়ার পথে। এই মেশিনগুলোর আয়ু ১০ বছর হলেও ৫ বছরেই সবগুলোই মৃতপ্রায়। সরকারি সম্পদ, এই ইভিএম মেশিনগুলো পড়ে রয়েছে অনাদরে-অবহেলায়।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে প্রতিটি ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দামে প্রায় দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়। সেসময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) খরচ করে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তবে ওই নির্বাচনে মাত্র ৬টি আসনে ইভিএমে ভোট হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট করতে ইসি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় ইভিএমে ভোটও হয়নি। এ পর্যন্ত সংসদ, স্থানীয় ও উপনির্বাচন মিলে প্রায় ১৪০০ নির্বাচন হয়েছে ইভিএমে। আর ভোট দিয়েছে প্রায় আড়াই কোটি ভোটার।

চলতি বছরের জুনে শেষ হচ্ছে ইভিএম প্রকল্প। তাই মেশিনগুলো নিয়ে কারো কোনো নড়চড় নেই। হাজার হাজার কোটি টাকার মেশিন নিয়ে ভাবছে না ইসি বা প্রকল্প কর্মকর্তারাও। নষ্ট ইভিএমগুলো আর টেনে নিতে চায়না নির্বাচন কমিশনও। শেষ পর্যন্ত চার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ভাগাড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, এই ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম নষ্ট হওয়ার কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা। দশ বছর মেয়াদ থাকলেও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে নানা কারণে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বরাদ্দ চেয়েও পাওয়া যায়নি, নষ্ট ইভিএম দিয়ে তো কিছু করার নেই। তবে ভবিষ্যতে নতুন করে ইভিএম কেনা নিয়ে কমিশনের তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই।


আরও খবর



মহানায়কের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ দেশে তার আগে, তার সময়ে এবং তার পরেও অনেকে রাজনীতি করলেও সবাইকে ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। অনুচ্চ আকৃতির মানুষের এই দেশে তিনি কাঁধে, মাথায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন, আক্ষরিক এবং গূঢ়উভয় অর্থেই।

বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর এবং বাচন-ভঙ্গিতে ছিল সম্মোহনী ক্ষমতা। জনসভা কিংবা কর্মিসভায় দেওয়া বক্তব্যে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের পেছনে ছিল তার বিশ্বাস এবং প্রত্যয়। পুরো বাঙালি জাতির কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হতো তার বক্তৃতায়। ওই বক্তৃতার যে ভাষা, তা ছিল সহজ, অনাবিল এবং দেশীয়।

বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা করতেন সাধারণ মানুষের ভাষায়। লোকজচিন্তা, প্রবাদ-প্রচলন, বাগধারা এবং গ্রামীণ কৌতুকের ব্যবহার করতেন। তার বক্তৃতায় কঠিন কোনো শব্দ কখনো শোনা যায়নি, তাত্ত্বিক কোনো বাতাবরণ তৈরির প্রয়াসও দেখা যায়নি। অথচ কত সহজভাবে কত বড় বড় তত্ত্বের তিনি নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে যেতেন।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্যারিশমাটিক নেতা। তার প্রবল ব্যক্তিত্ব, অসাধারণ বাগ্মিতা, অতুলনীয় কণ্ঠস্বরএ সবই ছিল ওই ক্যারিশমার উপাদান। বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথার পেছনে সততা ছিল। তার উচ্চারণ আর বিশ্বাসের মধ্যে কোনো ফাঁক ছিল না। তিনি সংগ্রামের ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকতেন না। জীবনের ১৩টি বসন্ত তাকে জেলে কাটাতে হয়েছে।

বাঙালি জাতির ইতিহাসের নায়ক বঙ্গবন্ধু। এ ইতিহাসে তার স্থান চির অমলিন, অমোঘ। তিনিই ছিলেন বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের ঘটনার রূপকার, বাঙালির দুঃসময়ের কান্ডারি, ইতিহাসের মহানায়ক। ওই স্থানটি শুধু তারই জন্য তোলা। তাঁকে যতই ভুলে যাওয়ার, ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হোক; কিংবা তার জায়গায় বা তার ওপরে কাউকে বসিয়ে দেওয়ার কসরত করা হোক, তাতে লাভ কিছুই হবে না। কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা, গৌরব আর অহংকারের প্রতীক।


আরও খবর