Logo
শিরোনাম

শীতে কাবু উত্তরের জনপথ, ঘনকুয়াশায় বিপাকে কর্মজীবি মানুষজন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

হিমেল হাওয়া আর ঘনকুয়াশার  দরুন কাবু উত্তরের জনপথ, খড়কুটোর আগুনে শরীর গরম রাখার চেষ্টা কর্মজীবি ও পেশাজীবি মানুষজন। বিকেল থেকে শুরু করে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় অনেকে অতী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। রাতের বেলা ফুটপাতে গরম কাপড় কিনতে ভীর জমাচ্ছেন অনেকে।  টানা ৭দিনপর লালমনিরহাটের আকাশে দেখা দিয়েছে নিরুত্তাপ সূর্যের আলো।   গত কয়েকদিনের চেয়ে মাত্র ৩ পয়েন্ট তাপামাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে আজ ৮ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকেলও আরও কয়েকনি থাকতে পারে মেঘলা আকাশ সহ এমন কনকনে শতি। কর্মজীবি, রিক্সাওয়ালারা জানান,সড়কে লোকজন না থাকায় তারা যাত্রী না পাওয়ায় বিপাকে পরেছেন। হাসাপাতল গুলোতে শিশুসেহ নানান বয়সী রোগিদের উপচে পরা ভীর লক্ষ্যকরা গেছে। চিকিৎসক শঙ্কট থাকায় হিমসিম খাচ্ছে ডাক্তাররা ।   

কথায় আছে,মাঘের শীতে কাবু হয়েছে পড়েছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়সহ পার্শবর্তী কয়েকটি জেলার জনজীবন। টানা চার দিন ধরে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার নিম্নআয়ের মানুষেরা। আজ লালমনিরহাটে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হলেও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্ব নিম্ন ৬ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এনিয়ে টানা ৭ দিন সবনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগের তুলনায় গতকাল কুয়াশার দাপট ছিলো কিছুটা কম। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে চলমান মৃদু শৈত্য প্রবাহ থাকবে আরও দুই-একদিন।

লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম,তেতুলিয়া উপজেলায় কয়েক দিন থেকে উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় শীতের দাপট বেড়েই চলছে। মাঘের ৫ম দিনেও  কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে উত্তর দিকে থেকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। পাশাপাশি রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে পুরো জেলা। তা পর দিন সকাল পর্যন্ত কনকনে শীত ও কুয়াশায় মোড়ানো থাকে। তবে দিনের বেলা সূর্যের আলো পরিলক্ষিত হলেও তেমন সূর্যের উত্তাপ থাকে না। এ মাঘের শীতে মানুষ কাজকর্ম তেমন একটা করতে পারে না। শীতের কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছে না। অন্যদিকে দিন দিন জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বাকি চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেড়েছে রোগীর চাপ, হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে দিনদিন শীতের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে এবং শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর এ জেলায় মৌসুমের প্রথম দিকে শীতের আগমন ঘটে এবং অন্যান্য জেলায় তুলানায় শেষে বিদাই নেয়। পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। মূলত নভেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে শীতের আগমন ঘটলেও পঞ্চগড়ে অক্টোবর মাসের শেষের দিকেই শীত শুরু হয় যায়।

এদিকে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যার অধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিনদিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । প্রতিদিন জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। তবে এ রোগে বয়স্কদের চেয়ে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

অন্যদিকে  লালমনিরহাট জেলায় তেমন কোনো ভারী শিল্প কলকারখানা না থাকায় বেশির ভাগ মানুষ কৃষক,পাথরশ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। জেলার মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ গরিব। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, জেলার ৫ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। 

জেলা গণতন্ত্রী পার্টি ধরলা চরাঞ্চলের কিছু সংখ্যক সহ পৌর এলাকায় প্রায় ২শত কম্বল বিতরণ করেছেন। জেলা প্রমাসক মোহাম্মদ উল্ল্যা সহ   তাছাড়াও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান , উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ,হাতিবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সোহাগকেও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে।  

হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় লালসনিরহাটে প্রতি বছর শীত মৌসুমে বেশি শীত অনুভূত হয়। লালমনিরহাট  জেলা প্রশাসন,পুলিশ বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করার।

মৃদু শৈত্য প্রবাহ থাকবে আরও ২/৩দিন।  লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,আইন শৃঙ্খলা ঠিক রেখে মানবিক কারণে এ জেলার শীতার্ত মানুষদের মাঝে  সাধ্যমতো শীত বস্ত্র বিতরণ চলছে।   

এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায় দেশের কয়েকটি জেলায় মৃদু চলমান শৈত্য প্রবাহ আরও দুই-একদিন থাকবে।আরও বলেন,লালমনিরহাট ‘দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা এবং মৌলভীবাজারে মৃদু/মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই জেলাগুলোতে আরও এক থেকে দুইদিন মৃদু শৈত্য প্রবাহ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আবহাওয়ার তথ্য জানিয়ে আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। একই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নদী অববাহিকা এবং উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বড় কোনো পূর্বাভাস আপাতত নেই।’

অন্যদিকে জেলায শীতজনিত রোগে আকান্ত হয়ে কমপক্ষে ১৩ জন শিশু ও ৫ জন বয়স্ক রোগী মারাযাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

হাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট ,কুড়িগ্রাম এবং পঞ্চগড়ে মৃদু ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে। এ শৈত্য প্রবাহ রংপুর বিভাগের অন্যান্য এলাকায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় বিস্তার লাভ করবে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।তবে আপাতত বৃষ্টির কোন শঙ্কা নেই ।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ভেস্তে গেল বিদ্যুৎ বিভাগের সব পরিকল্পনাই। গ্রাম থেকে নগর- সবখানেই লোডশেডিং চরমে। গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, এমন পূর্বাভাস থাকলেও ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনে দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দিনে কয়েকবার লোডশেডিং সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে শহরের পরিস্থিতি যাই হোক, গ্রামের চিত্র আরও নাজুক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে অনেক এলাকার মানুষকে।

চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু এখন পর্যন্ত চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে উঠতেই ঘাটতি ছাড়িয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াট।

এবারের গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ বিভাগের বড় নির্ভরতার জায়গায় রাখা হয়েছিল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও মিলছে মাত্র এর দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ৪ হাজার মেগাওয়াট বেশি রাখার লক্ষ্য থাকলেও এখনো আটকে আছে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে ৬০টির বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আর কারিগরি ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে ৩০টির বেশি কেন্দ্র। এতে সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদন করা যাচ্ছে না সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমদানি নির্ভর পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই প্রকট হচ্ছে লোডশেডিং। শঙ্কা রয়েছে সংকট আরও তীব্র হওয়ার।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, সেটা কদিনে আসেনি। নানা ধরনের ভুল, বিভ্রান্তি, অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা থেকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমদানি করার মতো ডলারও নেই। কাজেই যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা আরও প্রকট হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কথা বলছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১২ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে তারা যেতে পারছে না। এই যে বিরাট একটা গ্যাপ, এই গ্যাপটা তো সহজে তারা কভার করতে পারবে না। ডলারের যে সংকট, এ অবস্থায় আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো না।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, দিনকয়েকের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আবারও সচল হলে বাড়বে গ্যাস সরবরাহ, আর তাতে স্বস্তি মিলবে বিদ্যুতেও।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ভুলভাবে রাঁধা ভাতে হতে পারে ক্যান্সার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষেরই প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু এই ভাতও ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের বিপদ। রান্নার পদ্ধতিগত ভুলের কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। তেমনই বলছে হালের গবেষণা।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক সারা পৃথিবীর নানা প্রান্তের চালের নমুনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। দেখা গেছে, মোটামুটি বেশির ভাগ জায়গার চালেই নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আর্সেনিক জাতীয় এই কীটনাশক শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই রাসায়নিক শরীরে গেলে কী হতে পারে?

গবেষকরা দেখিয়েছেন, আর্সেনিক জাতীয় এই রাসায়নিক শরীরে গেলে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে খুব অল্প পরিমাণে গেলে, তা সহজে টের পাওয়া যায় না। বহু দিন পরে তার প্রভাব বোঝা যায়। টানা বহু বছর ভাতের মাধ্যমে এই রাসায়নিক শরীরে গেলে তা ক্যান্সারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।

কী পদ্ধতিতে রান্না করলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে?

দেখা গেছে, রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে আর্সেনিক আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে। বেশিরভাগ জায়গাতেই রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু গবেষকদের বক্তব্য, অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে চাল। তার কমে লাভ হবে না। ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত আর্সেনিক চাল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সে ক্ষেত্রে ক্যান্সারজাতীয় অসুখের আশঙ্কা কমবে।

 


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই অবৈধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মেগাসিটি ঢাকার ৭৪ ভাগ ভবনই অবৈধ। অবাক করার মতো হলেও বাস্তবতা বলছে, এই নগরের মাত্র ২৬ ভাগ ভবন তৈরি হয়েছে নিয়মনীতি মেনে। বাকি সবক্ষেত্রেই হয়েছে ব্যত্যয়। তবে এবার তৃতীয়পক্ষ দিয়ে জরিপ করে নগরের শতভাগ ভবনের নকশা হাতে পেতে চায় রাজউক। তিন ধাপে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। নগরবিদরা বলছেন, কষ্টসাধ্য হলেও সম্ভব। তবে বাস্তবায়নে খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে রাজউককেই। এই মহানগরে প্রায় চার লাখ ভবন রয়েছে, যা বিধির বাইরে।

৪০০ বছরের পুরনো শহর ঢাকা। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে এর গোড়াপত্তন হলেও এখন টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ঠেকেছে সীমানা। স্বাধীন বাংলার ২০ লাখ মানুষের নগরে মতিঝিল আর কারওয়ান বাজারই ছিলো দুটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ৫৩ বছর পর শহরের জনসংখ্যা এখন দুই কোটির বেশি।

এমন অবস্থায় আবাসিক ভবনে বাণিজ্য কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এমনকি আবাসিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

রাজউকের কাগজে-কলমে ধানমন্ডি একটি আবাসিক এলাকা। কালের বিবর্তনে তা এখন পুরদস্তুর বাণিজ্যিক এলাকায় রূপ নিয়েছে। এখানকার সাত মসজিদ রোডের কথাই ধরা যাক। একটি সড়কের মধ্যে যে পরিমাণ হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্তোঁরা, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস রয়েছে; একক সড়ক হিসেবে কোন সড়কে এতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বে নজিরবিহীন বলা যায়।

যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই কথিত তিলোত্তমা ঢাকায় সেখানে আলাদা করে আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক এলাকা সেটাও এখন বিলাসিতার পর্যায়। আর তাইতো অপরিকল্পিত এই নগরে কদিন বাদেই নিমতলী, এফআর টাওয়ার, চুড়িহাট্টা কিংবা বেইলী রোডের মতো ট্রাজেডি সামনে আসে।

রাজউকের তথ্যই বলছে, ঢাকায় ৭৪ ভাগ ভবনই গড়ে উঠেছে নকশার বাইরে। বাকি ২৬ ঠিকঠাক। তবে এবার এই নগরের সব ভবনের নকশা নিজেদের মুঠোয় পেতে চায় রাজউক। নীতিমালা প্রস্তুত করে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করা হবে জরিপ।

সংস্থাটির প্রধান নগরবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজউকের পক্ষে একা এ কাজ করা কঠিন। তাই আমরা তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করার চেষ্টা করছি। তারা সরেজমিনে সব ভবন পরিদর্শন করে অগ্নি নিরাপত্তা এবং ভূমিকম্প ঝুঁকির বিষয়ে দেখবে।

তারপর তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা যতোই হোক তা গুড়িয়ে দেয়া হবে। বাকিদের দেয়া হবে সংশোধনরে সুযোগ। এরপর বিশাদ অঞ্চর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।

নগরবিদরা বলছেন, কেবল পরিকল্পনা নয় বাস্তবায়নও দেখতে চান তারা। আর সেজন্য দরকার প্রতিষ্ঠানটির সদিচ্ছা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, এই কাজে কেউ যেন হয়রানি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি আছে সেই খোলস থেকে বের হতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা দিতে হবে। আর যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আবদুর রহমান অনিককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার ভোররাতে চন্দ্রগঞ্জের দেত্তপাড়ার ইব্রাহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে র‌্যাবের নায়েক সুবেদার মিরাজ আলী ভূইয়া চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে অনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে, র‌্যাব অনিককে থানায় হস্তান্তর করে। 

গ্রেপ্তার অনিক চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। তিনি পশ্চিম লতিফপুর এলাকার আবদুল হকের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেত্তপাড়ার ইব্রাহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাবের সদস্যরা। এসময় অনিককে একটি এলজিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অনিকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অস্ত্র আইনে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, ‘আবদুর রহমান অনিক ছাত্রলীগের কোনো পদেই ছিল না। পাশাপাশি আমি তাকে চিনি না।’ 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অস্ত্র আইনে র‌্যাব আবদুর রহমান অনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নড়িয়া, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের জাকির খারকান্দি জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ককটেল ফুটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। 

এ ব্যাপারে হাবিব  মাদবর বাদী হয়ে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে সি আর ৯১ /২০২৪ শরীয়তপুরে ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। 

আসামিরা হলেন বাবুল মাতবর,আবুল মাদবর,রাসেল মাদবর,সিয়াম মাদবর,আনোয়ার মৃধা,অনিক মৃধা, ফরিদ মুন্সী,নূর হোসেন মুন্সী,মোজাম্মেল মুন্সী,আজাহার মুন্সী,মেহেরাব মুন্সী,সেলিম চৌধুরী,অনিক চৌধুরী,মোহাম্মদ শাহিন সহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। 

মামলার বিবরণীতে জানা যায় সোমবার  রাত ১১ টার সময় ককটেল ফুটিয়ে আসামিরা আমার দুইটি বসত  ঘর দরজা-জানলা ভাঙ্গিয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া  লুটপাট করে এবং ঘর ভাঙচুর করে আসবার পত্র নিয়ে যায়। আমি ৯৯৯  ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল তদন্ত করে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আমি নড়িয়া থানায় অভিযোগ করলে মামলা আমলে নেয়নি পুলিশ। তাই আমি শরীয়তপুর আদালতে মামলা করি। বর্তমানে আমিও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। আমার বসত বাড়ি  তফসিল বনিত ভুমিতে আমার ছোট ভাই ফজলুর রহমান ও ভাতিজা মাহবুব মাদবর বসবাস করছে। জমির মোজা ১৬ নং জপসা বি আর,এস ১৫৫৫ খতিয়ান ভুক্ত বি আব এস ৫৩২৬ নং দাগে ২২ শতাংশ। 

বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলাটি  শরীয়তপুর ডিবি নির্দেশ প্রদান করেন। 

মামলার বাদী হাবিব বলেন আমার সৎ ভাই বাদশা মাদবর দীর্ঘদিন যাবত এই জমিটি ভোগ করার জন্য হামলা মামলা দিয়ে আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি করছে। 

তার মৃত্যুর পরে তার পরিবারের লোকজন আবার আমাদের মামলা হামলা দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করছে। বর্তমানে কোর্টে মামলা দিয়েও জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি পুরো পরিবারের লোকজন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পদ ফিরে পেতে চাই।


আরও খবর