Logo
শিরোনাম

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে ডেস্ক:


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। 


সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


কারাগারের থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। 


এরপর থেকে দিনটি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।


মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে।


এরপর ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় মহাজোট সরকার।


সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।






আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ |

Image

ফের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর আসছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা শনাক্তের হার ২২.৫০ শতাংশ। মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বের আক্রান্তদের মধ্যে এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুজন। এ সময় কেউ করোনায় মৃত্যুবরণ করেননি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৩ জুন ঢাকা মহানগরে ২৯ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৫ জনের পজেটিভ পাওয়া গেছে। রাজশাহীতে ১১ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৪ জনের পজেটিভ পাওয়া গেছে।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




জ্বালানি খাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে আপাতত বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে কোনো প্রভাব না পড়লেও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যুদ্ধ যদি দ্রুত না থামে এবং দীর্ঘদিন চলতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে শতভাগই আমদানিনির্ভর।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান বলেন, আমাদের জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহে আপাতত প্রভাব পড়েনি। আমরা আশা করছি, হয়তো এ যুদ্ধ দ্রুতই থেমে যাবে। তবে যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদে চললে জ্বালানি তেল সরবরাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং দাম বাড়তে পারে। সব কিছুই নির্ভর করবে এ যুদ্ধ কত দ্রুত থামে সেটার ওপর।

এদিকে পেট্রোবাংলার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা আপাতত ঠিক আছে। তবে যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে গেলে স্পট মার্কেট থেকে কেনা এলএনজির দাম বেড়ে যেতে পারে, যা আর্থিক ক্ষতি করবে। একই সঙ্গে যদি জাহাজ চলাচলে কোনো বিঘœ ঘটে এবং নিয়মিত এলএনজি আমদানিতে বাধা তৈরি হয়, তবে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে বাংলাদেশ। আমাদের এলএনজি সরবরাহ এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থকলেও গ্যাসের সংকট তীব্র হয়।

এদিকে গত মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ানো হবে না। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সরকার পর্যবেক্ষণ করছে। জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে আরও অপেক্ষা করব। এখন পর্যন্ত আমদানিতে যুদ্ধের প্রভাব পড়েনি। চলমান বাজারদরেই সব আমদানি করা হচ্ছে। তবে স্বাভাবিকভাবেই এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। জ্বালানি ছাড়াও অন্য অনেক পণ্যে এর প্রভাব পড়বে।

যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এখনই কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জন্য এলএনজি ও সার আমদানির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত আমাদের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিকল্প চিন্তা অবশ্যই করছে। যেহেতু আমরা এলএনজির ওপর নির্ভর করি বেশি। যুদ্ধে শুধু জ্বালানি না, সার ও জাহাজ চলাচলেও প্রভাব পড়বে। হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ আসে, সেখানে প্রভাব পড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের ফলে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চল থেকে আসা সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত তেলের দাম ৭ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৪.২৩ ডলারে লেনদেন হয়েছে। তবে ২০২২ সালের গোড়ার দিকে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর বেড়ে যাওয়া দামের তুলনায় এটি এখনও নিচে; ওই সময় অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারেরও উপরে উঠেছিল। এদিকে গত শুক্রবার এশিয়া ও ইউরোপজুড়ে শেয়ারের দাম কমেছে। জাপানের নিক্কেই শেয়ার সূচক ০.৯ শতাংশ কমেছে।

চরম পরিস্থিতিতে ইরান যদি হরমুজ প্রণালীতে অবকাঠামো বা জাহাজ চলাচলের ওপর টার্গেট করে, তাহলে প্রতিদিন লাখ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। এই প্রণালী দিয়ে বিশ্বব্যপি তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ হয়ে থাকে।

বিপিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে জাহাজে তেল পরিবহনের খরচ বাড়তে শুরু করেছে। হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দাম অনেক বেড়ে যাবে।

বিপিসি বলছে, পরিশোধিত জ্বালানি তেলের ২০ শতাংশ ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ৩০ শতাংশ পরিবহন করা হয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে। এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কী করে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছে সরকার।

দেশে দুই ধরনের জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত। তবে একমাত্র জ্বালানি শোধনাগারের সক্ষমতা অনুযায়ী বছরে ১৫ লাখ টনের বেশি অপরিশোধিত তেল আমদানির সুযোগ নেই। অপরিশোধিত হিসেবে সৌদি আরব থেকে অ্যারাবিয়ান লাইট ও আরব আমিরাত থেকে মারবান লাইট আমদানি করে বিপিসি। সাধারণত দুই মাস আগের গড় দাম ধরে বিল হিসাব করা হয়। অর্থাৎ, জুনে সরবরাহ করা তেলের দাম নির্ধারিত হয় মার্চের গড় দাম ধরে। তাই এখনও দামে প্রভাব পড়েনি। বিপিসি সূত্র বলছে, দুই দেশ থেকেই অপরিশোধিত তেল আসে হরমুজ প্রণালী হয়ে।

বাংলাদেশ বেশি আমদানি করে ডিজেল, ফার্নেস, অকটেন, জেট ফুয়েলের মতো পরিশোধিত জ্বালানি তেল। এগুলোর কোনোটাই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসে না। আসে মূলত সিঙ্গাপুর ও এর আশপাশের কয়েকটি দেশ থেকে। বছরে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপিসি। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল। দেশের একমাত্র শোধনাগারটি থেকে পাওয়া যায় ৬ লাখ টন ডিজেল, বাকিটা আমদানি করতে হয়।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




সাদা কাপড় থেকে রক্তের দাগ উঠবে যেভাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি। ঈদের সকালেই নামাজ শেষে পশু কোরবানি করা হবে। পশু কোরবানির সময় এবং এর পরে পশুর মাংস কাটার সময় কাপড়ে রক্তের দাগ লাগবেই। সারাদিন গায়ে ও কাপড়ে রক্ত নিয়েই কাজ করতে হয়। কাজ শেষে গোসল করে নিজেকেপরিষ্কার করে নিতে হয়। কিন্তু কাপড়ে লাগা রক্তের দাগ নিয়ে বাড়ে বিপত্তি। কোন উপায়ে এই রক্তের দাগ উঠবে তা না জানলে কাপড়টি একেবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেকেই সেই কাপড় ফেলেই দেন। আবার অনেকে ভালোভাবে ধুয়ে নেন। কিন্তু সঠিক উপায় না ধুলে রক্তের দাগ পুরোপুরি উঠবে না। আবার গন্ধও যাবে না। তাই কাপড় থেকে রক্তের দাগ দূর করার দারুণ সহজ কিছু উপায় রয়েছে

ভিনেগার

রক্তের দাগ লাগা কাপড়ে ভিনেগার ব্যবহার করুন। কাপড় থেকে খুব দ্রুত ও সহজে দাগ দূর হয়ে যাবে। যেখানে রক্তের দাগ লেগেছে সেখানে ভিনেগার স্প্রে করুন। হালকাভাবে ঘষে নিন। ১০ রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাগ পুরোপুরি না উঠলে আবারও খানিকটা ভিনেগার লাগিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন, কাপড়ে রক্তের দাগ লাগার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিনেগার লাগাতে হবে। নয়তো রক্তের দাগ স্থায়ীভাবে বসে যেতে পারে।

ট্যালকম পাউডার

কাপড় থেকে রক্তের দাগ তুলতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। পানি ও ট্যালকম পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি রক্তের দাগের ওপর লাগিয়ে নিন। এরপর একটি ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাগ উঠে যাবে। এরপর ভালো করে ধুয়ে নিন।

লবণ পানি

কাপড়ের রক্তের দাগ দূর করতে লবণ পানি ব্যবহার করতে পারে। ঠাণ্ডা পানিতে লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। ৪ ঘণ্টা পর ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিন। কাপড় পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

কর্নস্টার্চ

কাপড় থেকে রক্তের দাগ তুলতে কর্নস্টার্চ ব্যবহার করতে পারেন। পানি ও কর্নস্টার্চ মিলিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রক্তযুক্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর ব্রাশের সেই জায়গাটি ঘষে নিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। দেখবেন দাগ চলে গেছে।


আরও খবর



দেশে চালু হলো গুগল পে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে গুগলের ডিজিটাল সেবা গুগল ওয়ালেট।এই সেবা সাধারণভাবে ‘গুগল পে’ নামে পরিচিত। গুগল, মাস্টারকার্ড ও ভিসার সহযোগিতায় সিটি ব্যাংক পিএলসি এই ডিজিটাল লেনদেন সেবা চালু করেছে। এখন থেকে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ডটি গুগল ওয়ালেটে সংযুক্ত করে ‘গুগল পে’ ব্যবহার করে দ্রুত, নিরাপদ ও স্পর্শবিহীন পেমেন্ট করতে পারবেন।

মঙ্গলবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত গুগল পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে সেখানে ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন ও সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ভিসা বাংলাদেশের প্রধান সাব্বির আহম্মেদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সেবার গ্রাহকরা এখন থেকে দেশে কিংবা বিদেশে এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) সক্ষম— এমন পস টার্মিনালে শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোন স্পর্শ করেই সহজে ও ঝামেলাহীনভাবে লেনদেন করতে পারবেন। ‘গুগল পে’তে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত এনক্রিপশন প্রযুক্তি; এটি গ্রাহকের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর মধ্য দিয়ে গ্রাহকের হাতে থাকা স্মার্টফোনই হয়ে উঠবে ডিজিটাল ওয়ালেট। ফলে গ্রাহককে আলাদা করে প্লাস্টিক কার্ড বহন করতে হবে না। আকাশপথে যাতায়াত থেকে শুরু করে কেনাকাটা কিংবা সিনেমা— সব লেনদেন মুঠোফোনে হবে।


আরও খবর



বিমানবন্দরে সতর্কতা জোরদারের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

কোভিড ১৯-এর সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিনিয়ত পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হচ্ছে নতুন আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভেরিয়েন্ট সাধারণ রোগীর বেলায় এতটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তবে জটিল রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কঠিন হতে পারে। এজন্য সংক্রমণের হার যত কমিয়ে আনা যায় ততটাই ভালো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কোভিডে আক্রান্ত এবং যারা আক্রান্ত নন তাদের উভয়ের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনসমাগমে মাস্ক ব্যবহার এবং হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। যদিও এসব নির্দেশনা সেভাবে আমলে নিচ্ছে না কেউ। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে। ফলে ক্রমশ এই সংক্রমণ বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গত ১৬ জুন দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে নতুন শনাক্ত ২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্ক হওয়ার দরকার আছে, তবে ভয়ের কিছু নেই। এ অবস্থায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

সম্প্রতি বেবিচকের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, যাত্রী চলাচল বাড়ায় বিমানবন্দরে কঠোর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দরে আগত প্রতিটি যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানিং সিস্টেমের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক উপসর্গযুক্ত যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য বিভাগে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী আইসোলেশন, চিকিৎসা মূল্যায়ন ও হাসপাতালে রেফার করার ব্যবস্থা নিতে পারেন।

বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। একই সঙ্গে উপসর্গযুক্ত স্টাফদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় জনস্বাস্থ্য নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

ভ্রমণকারী যাত্রী এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সহযোগী অপারেটরদের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনো সহায়তার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। যোগাযোগের নম্বর : +৮৮০১৭৯৯৪৩০০৩৩।

অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে- জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে এবং উপস্থিত হতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে। হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলতে হবে। ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। অপরিষ্কার হাত চোখ, নাক ও মুখে লাগান যাবে না। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সেবাদানকারীদেরও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজন হলে কাছের হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়নের (১৬২৬৩) নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, রোগীর চাপ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেখা যাচ্ছে, করোনা এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যেই বিশেষ টিম গঠন করেছে এবং গাইডলাইন হালনাগাদের কাজ চলছে।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমরা তিনটি পৃথক পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করছি। চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং ইউনিট স্থাপন করেছি। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আমাদের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত।


আরও খবর