Logo
শিরোনাম

শেখ মুনিরকেখুলনা-৪ আসনে মনোনয়ন দেয়ার দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশিষ্ট প্রকৌশলী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সমাজ সেবক শেখ মুনির আহমেদ কে খুলনা ৪ আসনে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। এই দাবিতে সভা সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমসম্পক, সাবেক দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ নজির আহমেদ এর পুত্র,  কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার শিলার ছোট ভাই  ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেলের পরিচালক শেখ মুনির আহমেদ। তিনি দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।

শেখ মুনির আহমেদ একজন সৎ, পরোপকারী ও প্রচার বিমুখ মানুষ। তাই এলাকার সুশীল সমাজের দাবি খুলনা ৪ আসনে শেখ মুনির  আহমেদ কে মনোনয়ন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার সুযোগ দেয়া হোক।


আরও খবর



ইতালিতে শ্রমিক আমদানি, ২ ডিসেম্বর 'ক্লিক ডে'

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার :

ইতালির যর্জা মেলোনি সরকার আগামী ৩ বছরে ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক আমদানির ঘোষনা দিয়েছে। ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক আমদানি করা হবে। 

এ বিষয়ক সরকারি গেজেটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১ লাখ ৩৬ হাজার শ্রমিক আমদানির জন্যে ডিসেম্বরের ২, ৪ এবং ৮ তারিখ থেকে আবেদন জমা নেয়া শুরু হবে। আবেদন ফর্ম ইতমধ্যে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

২ ডিসেম্বর স্থায়ী শ্রমিক বা নন সিজন্যাল শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। এই ক্যাটাগরিতে ৫২ হাজার শ্রমিককে ভিসা দেয়া হবে। ৪ তারিখ গৃহকাজের জন্যে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এতে বেবি এবং বয়স্ক সিটিংসহ প্রায় ১০ হাজার ভিসা দেয়া হবে। ৮ ডিসেম্বর তারিখে সিজন্যাল ক্যাটাগরির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং ৮২ হাজার ভিসা দেয়া হবে।

আবেদন গ্রহণ শুরুর দিনকে ইতালিতে 'ক্লিক ডে' বলা হয়। সুতরাং ২০২৩ সালের ক্লিক ডে হলো- ২, ৪ এবং ৮ ডিসেম্বর। 

এছাড়া সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে ২০২৪ সালের ১ লাখ ৫১ হাজার শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের ক্লিক ডে- ৫,৭ এবং ১২ ফেব্রুয়ারী।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

কোনো শ্রমিক সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। শ্রমিকের পক্ষে নিয়োগদাতা অনলাইনে নির্দিষ্ট ফর্ম পুরণ করে আবেদন করবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের ট্যাক্স প্রদান নিয়মিত এবং গৃহ মালিকদের নির্দিষ্ট অংকের বার্ষিক আয় থাকতে হবে। নিজের বাড়ি বা ভাড়া বাড়ির কন্ট্রাক থাকতে হবে। ইতালিয় ডকুমেন্ট 'কার্তা দি সোজর্ণ'ধারী অভিবাসীরাও শ্রমিক আমদানি করতে পারবেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা গৃহ কাজের জন্যে।

নিয়োগপ্রাপ্ত হতে কী যোগ্যতা লাগবে?

বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। অন্তত ২ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট থাকতে হবে। যারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তাদের কর্মদক্ষতার প্রমাণাদি থাকতে হবে। শিক্ষাগত কোনো সনদ প্রয়োজন হবে না।

কত খরচ হবে?

আবেদন করতে শ্রমিকের খরচ হওয়ার সুযোগ নেই। আবেদনকারী বা নিয়োগদাতার খরচ হয় ১৬ ইউরো। অর্থাৎ আবেদনের সঙ্গে ১৬ ইউরো মূল্যের একটি ডাকটিকেট (মার্কা দা বোল্লো্) সংযোগ করতে হয়। এর বাইরে আবেদন ফর্ম পুরণ করতে যদি কোনো হেল্প ডেক্সের সহযোগীতা নেয়া হয়, সেখানে এক থেকে দেড়শ ইউরো খরচ হতে পারে। কিন্তু একজন শ্রমিক যেহেতু সরাসরি আবেদন করতে পারেন না বা বাংলাদেশে বসে ইতালিয় নিয়োগদাতা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব প্রায়, মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায় একজন 'মধ্যস্বত্বভোগী'। মূলত শ্রমিকের কাছ থেকে সে'ই মোটা অংকের অর্থ নেয়। যা ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড়ায়।

কত টাকা আয় করা যাবে?

যারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তারা নিয়োগের স্তর বুঝে পারিশ্রমিক পাবেন, যা মাসিক ১৫শ থেকে ২৫শ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। যারা অদক্ষ বা মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তারা মাসে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। যদি নিয়োগদাতার সঙ্গে থাকা-খাওয়ার চুক্তি থাকে তবে আয়ের বড় অংশ সঞ্চয় করা যায়, অন্যথায় এতে বড় একটা অংশ বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ একজন মৌসুমী শ্রমিক যদি ইতালি আসতে ৬ লাখ টাকা খরচ করনে, তা কোনো ভাবেই এক সিজনে (৯ মাস) সঞ্চয় করা সম্ভব হয় না।

কতদিন ইতালিতে থাকা ও কাজ করা যাবে?

যারা নন সিজন্যার শ্রমিক হিসেবে আসেন তাদের ইতালিয় ডকুমেন্ট (পেরমেচ্ছো দি সোজর্ণ) নবায়ন করা হয় সাধারণত ২ বছর অন্তর। যারা অদক্ষ বা সিজন্যাল ভিসায় আসবেন তারা সর্বোচ্চ ৯ মাসের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। ৯ মাস পর অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।

বাংলাদেশের জন্যে কী কোটা আছে?

অতীতে বাংলাদেশের জন্যে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের কোটা বেধে দেয়া হলেও এখন কোনো কোটা নেই। মেলোনি সরকার দেশ ভিত্তিক কোটা পদ্ধুতি উঠিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশসহ কোনো দেশের জন্যেই নির্দিষ্ট কোনো কোটা নেই।

আবেদনের শেষ তারিখ কবে?

অতীতে আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ উল্লেখ থাকলেও এবার সরকারি গেজেটে কোনো তরিখ উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ ২০২৩ সালের মোট ১ লাখ ৩৬ হাজারের কোটা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ চলবে। তবে সাধারণত ক্লিক ডে'র প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই কোটা পুরণ হয়ে যায়।

আবেদন করলেই কী ইতালিতে যাওয়া যাবে? 

প্রতিটা আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। আবেদনের সকল শর্ত ঠিক থাকলে এবং কোটার আওতায় থাকলে ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে 'নূল্যা-ওস্তা' (ভিসার অনুমোদনপত্র) বা এনওসি দেয়া হবে নিয়োগদাতার কাছে। নিয়োগদাতা সেটা পাঠাবেন শ্রমিকের কাছে। শ্রমিক সেটা জমা দিয়ে ঢাকার ইতালিয় দূতাবাস বা ভিসা এজেন্সিতে ভিসার জন্যে আবেদন করবেন। সাধারণত নূল্যা-ওস্তায় কোনো অসঙ্গতি না থাকলে ভিসা রিফিউজ করা হয় না। অতীতে দালাল চক্র নকল নূল্যা-ওস্তা দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করার খবর ইতালিয় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।

সিজন্যাল এবং নন সিজন্যাল ভিসার পার্থক্য কী?

সিজন্যাল ভিসা বা স্পন্সর হলো মৌসুমি শ্রমিকদের জন্যে। গৃষ্মের সময়ে ইতালির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিজন্যাল শ্রমিক দরকার হয়। যেমন, পর্যটক নির্ভর ব্যবসা, কৃষি কাজ, ইত্যাদী। এসব কাজের জন্যে প্রতি বছর ইতালিতে ৬ থেকে ৯ মাসের জন্যে সিজন্যাল শ্রমিক আমদানি করা হয়। এই ক্যাটাগরির ভিসাকে স্তাজোনালে বা সিজন্যাল ভিসা বলে। বাংলাদেশে অনেকে এটাকে 'কৃষি ভিসা' নামে জানে।

৬ থেকে ৯ মাসের সিজন্যাল ভিসায় যারা ইতালিতে আসেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হলে বাধ্যতামূলক তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়। না গেলে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে গণ্য হয় এবং দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়। ইতালিতে অবৈধ অভিবাসীরা রেগলার কোনো চাকরি পায় না। পুলিশের চোখ এড়িয়ে হকারি করে জীবন নির্বাহ করতে হয়।

নন সিজন্যাল ভিসা বা 'সুবোরদিনাতো' হলো স্থায়ী শ্রমিকের ভিসা। এই ক্যাটাগরিতে একজন শ্রমিক ইচ্ছা করলে সারাজীবন ইতালিতে থাকতে পারবে, যদি বিশেষ কোনো অপরাধে না জড়ায়। কল-কারখানা, হোটেল-রেষ্ট্ররেন্ট, গৃহ শ্রমিক, নার্স, বেবি সিটার, ইলেট্রিশিয়ান, বাস-ট্রাক ড্রাইভার, মেকানিক, খাদ্য প্রস্তুত এবং সরবরাহ, ভবর নির্মান, জাহাজ নির্মান, টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের জন্যে এই ভিসা দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স ইতালিতে অনুমোদিত না হওয়ায়, ড্রাইভার পদে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ পাওয়া যাবে না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশের ড্রাইভংলাইন্স ইতালিতে অনুমোদিত, ওইসব দেশের প্রবাসীরা আবেদন করতে পারবেন।

ইতালি এখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও অনুকুল একটা দেশ। ২০২২-২৩ সালে ইতালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করতে বাংলাদেশি ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয়া হয়েছে। এর জন্যে ইতালিয় বিশ্ববিদ্যায়লগুলোয় যোগাযোগ করতে হবে। সহজ স্কলারশিপসহ কম খরচে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইতালি এখন এশিয়ানদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় দেশ।

উল্লেখ্য, ইতালিতে সাধারণ বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশ সুনাম আছে। নিয়োগদাতারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের পছন্দ করেন। ২০২২-২৩ সালের এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে ভিসা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



খেলায় নয়, ক্রিকেটারদের মন পড়ে থাকে টাকায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলার মান নিচে নেমে গেছে; ক্রিকেটারদের এখন খেলার দিকে মনোযোগ থাকে না; তাদের মন থাকে টাকা উপার্জনের দিকেমন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

ক্রিকেটের ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহারে হওয়া রিটের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে শুনানির শুরুতে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান বলেন, ওয়াকার ইউনিস আইসিসির আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে বার বার কটূক্তি করেছেন। তিনি এটা করতে পারেন না। এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, ওয়াকার ইউনিসের বাড়ি কি পাকিস্তানের পাঞ্জাবে? তাহলে তো তারা একাত্তরে পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারবে না।

আদালত বলেন, তবে আমরা ক্রিকেটের অন্ধ সাপোর্টার হতে চাই না। এটা বলতেই হবে যে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের খেলার মান নিচে নেমে গেছে। এখন ক্রিকেটারদের খেলার দিকে মনোযোগ নেই। তাদের মন থাকে টাকা উপার্জনের দিকে।

এরপর আদালত বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে কটূক্তি করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারা ভাষ্যকারের তালিকা থেকে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহারে আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও বিসিবি প্রেসিডেন্টকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে কটূক্তি করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের নাম প্রত্যাহার করতে রিট দায়ের করা হয়। রিটে পাকিস্থানের ওয়কার ইউনূসের নাম প্রত্যাহারের জন্য আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে বিসিবিকে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান খান এ রিট দায়ের করেন।

বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ৩৮তম ম্যাচে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে টাইম আউট করেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

আইসিসির নিয়মে টাইম আউট থাকলেও এতদিন এর প্রয়োগ হয়নি। মঙ্গলবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস দুই মিনিটের মধ্যে বল খেলতে না পারায় সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আম্পায়ার ম্যাথুসকে আউট ঘোষণা করেন।

ম্যাথুস খানিকটা ধীরগতিতে ক্রিজে এসে স্ট্যান্স নিয়েছিলেন। সাকিব বল হাতে প্রস্তুত ছিলেন। ওই সময় ম্যাথুস তার হেলমেটে অসঙ্গতি অনুভব করেন। ড্রেসিংরুমে হেলমেট আনার ইঙ্গিত দেন। এতে দুই মিনিটের বেশি সময় চলে যায়। সাকিব আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আম্পায়ার আউট দেন। ম্যাথুস বারবার বোঝাচ্ছিলেন তিনি প্রস্তুত ছিলেন, হেলমেটের জন্যই এ বিলম্ব।

ম্যাথুস আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর কমেন্ট্রি বক্সে সমালোচনা করেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিস ও শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা ক্রিকেটার রাসেল আরনল্ড। তারা বলেছেন, এ রকম অখেলোয়াড়িসুলভ আচরণ দেখেননি কখনো।

এক পর্যায়ে ধারাভাষ্যকার ওয়াকার ইউনিস সাকিব আল হাসান সম্পর্কে বলেন,‌ গান্ধি (বাজে) ক্রিকেট, ছি ছি সাকিব এটা কী করল। তবে একমাত্র সাকিবের পক্ষেই এমন কিছু সম্ভব। আরও বলেছে, বাংলাদেশ যা করেছে তা ক্রিকেটের চেতনা বিরোধী।


আরও খবর



গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজীপুরে বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক আন্দোলনের নবম দিন বুধবারেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিল্প কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় এদিন আন্দোলনরতদের তাণ্ডব তেমন একটা চোখে পড়েনি। এদিন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।

বুধবার গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা বাইপাস (নাওজোর-ভুলতা) সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরতদের মহাসড়কের ওপর থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকালে স্থানীয় রুয়া ফ্যাশন নামের গার্মেন্টস কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করতে থাকে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মরত শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দিয়ে ছুটি ঘোষণা করে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ করলেও তেমন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

এদিকে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন পরিহার করে সকলকে কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য গাজীপুর মেট্রো চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলমের মঙ্গলবারের আহ্বানের প্রেক্ষিতে গত কয়েক দিনের তুলনায় বুধবার শ্রমিকদের আন্দোলন অনেকটা প্রশমিত হয়। ওই আহ্বানের পর এদিন স্বল্প সংখ্যক শ্রমিকরা তাদের দাইবর সমর্থনে আন্দোলনে মাঠে নামে। বুধবার সকাল থেকেই পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মঈনুল হক জানান, গত ২৩ অক্টোবর থেকে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকেরা। সপ্তম দিনের মতো সোমবারও শ্রমিকরা আন্দোলন বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা উত্তেজিত হয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পরে টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় 'বিস্ফোরণ' মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা শহরে অবরোধের সমর্থনে বের করা মিছিল থেকে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩ টারদিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, গত ২৯ অক্টোবর নওগাঁ শহরের তাজের মোড় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

ঐ মামলায় বায়েজিদ হোসেন পলাশ এজাহার ভুক্ত আসামি। সে এতদিন পলাতক ছিলেন।আজ দুপুরে তার অবস্থান জানতে পেরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। 

অপরদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টুকু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলুর নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরের ব্রিজের মোড় থেকে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি পুরাতন সোনালী ব্যাংক রোড এলাকায় পৌছালে পুলিশ মিছিল থেকে বায়েজিদ হোসেন পলাশ কে গ্রেফতার করেন। 

নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, গত ২৯ অক্টোবর বায়েজিদ হোসেন পলাশ ও আমি সহ দলের অন্য অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। অথচ সেই মামলায় তার নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে এবং আজকে সেই ভুয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলো। 

তিনি আরো জানান, এ ধরণের মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় গত এক মাসে শুধু নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা থেকে বিএনপির ১শ' ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা জুড়ে একই সময়ের মধ্যে আরো ৬ শতও বেশি বিএনপির নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৭২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :রংপুর ও রাজশাহী এই দুই বিভাগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। 

দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ (২৩ নভেম্বর) রংপুরের ৩৩টির, রাজশাহীতে ৩৯টিসহ মোট ৭২টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

 আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ার পর্যন্ত ফল প্রকাশ করব না। আমরা একসঙ্গে আমাদের মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব।

 শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল দশটা পর্যন্ত মনোনয়ন বোর্ডের সভা মুলতবি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের মনোনয়ন বোর্ডের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ্যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। 

বর্তমান সংসদ সদস্য কয়েকজন বাদ পড়ছেন, এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়ছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 

আগামী ২৫ নভেম্বর (শনিবার) প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। জোট হবে বিভিন্নভাবে, কার সঙ্গে কার জোট হবে, কোথায় গিয়ে ঠেকবে বলা মুশকিল। 

জোট হতেও পারে নির্বাচনের আগে, সময় আছে। কাজেই তালিকাও আসতে পারে। এমনও হতে পারে আপনিও ভাবছেন না, আমিও ভাবছি না।

এর আগে সকালে মনোনয়ন বোর্ডের সভার শুরতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা দরকার আমরা সেগুলো করেছি।


আরও খবর