Logo
শিরোনাম

শেকৃবি উপাচার্যের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ইউজিসির তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটার ডেস্ক:


শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, টেন্ডারবাজি, একাডেমিক ও প্রশাসনিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। 


ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দকে আহ্বায়ক এবং পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর কে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।



বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইউজিসির পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।


তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’


চিঠিতে বলা হয়েছে, উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তপূর্বক কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুপারিশ সংবলিত একটি প্রতিবেদন কমিশন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করবে, তদন্তের স্বার্থে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট যে কোনো নথি, নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো ডকুমেন্টস ও আনুষঙ্গিক কাগজ-পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ তার অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারবে। 


কমিটি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যে কোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।গত ১৬ মে শেকৃবি উপাচার্যের নানা অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে। একইসঙ্গে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দফাওয়ারি বক্তব্য কমিশনে পাঠাতে বলে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়গুলোর ব্যাখ্যাসহ জবাব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত ইউজিসি নেবে।’


আরও খবর



গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে লক্ষ্মীপুরে উত্তাল হয়ে উঠেছে জনসাধারণ। সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর তেমুহানী এলাকায় সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। “নো ওয়ার্ক, নো স্কুল” কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই মানবিক প্রতিবাদে হাজারো কণ্ঠে ধ্বনিত হয় “গাজার মানুষ একা নয়”, “ইসরায়েলি বর্বরতার বিচার চাই”, “মজলুমের পক্ষে বিশ্ব মুসলিমকে এক হতে হবে”।  সড়ক অবরোধের ফলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তর তেমুহানীতে একের পর এক খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে একত্রিত হয়ে রূপ নেয় বিশাল মানবজটে। এই সময় বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার ছবি ও ব্যানার নিয়ে সংহতি জানান নিহত শিশু, নারী ও অসহায় জনগণের প্রতি।

লক্ষ্মীপুর সদর ছাড়াও রায়পুর, চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়ও একই দাবিতে মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াত ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, তৌহিদী ছাত্র-জনতা ও সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণ।

বক্তারা বলেন,“ইসরায়েল কুলাঙ্গারদের হাতে আমাদের ভাই-বোনদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে গাজার মাটি। আজ চুপ করে থাকা অপরাধ। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই বর্বরতার জবাব দিতে হবে। মানবতা আজ রক্তাক্ত।”

এই মানবিক আন্দোলনের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরবাসী গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে। তারা চায়, বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক, গাজার শিশুর কান্না যেন আর কোনো হৃদয়কে অচেতন না রাখে।


আরও খবর



ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত তাঁত পল্লি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি গুলো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁত মালিকরা। গত বছরের তুলনায় এবছর চাহিদা অনেক বেশি বলে জানান তাঁত মালিকেরা ।

তাঁত সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্তত ৫ লাখ তাঁত রয়েছে । তাছাড়াও উল্লেখিত এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার তাঁত কারখানা রয়েছে । এতে প্রায় ২৩-২৪ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, গামছা, থ্রিপিস তৈরি করছে । তবে, ৯০ শতাংশ তাঁতে মূলত তৈরি হয় শাড়ি ও লুঙ্গি । আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সব কারখানায় দিন- রাত ব্যস্ততা বেড়েছে। এখানে তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের জামদানী, কাতান, সিল্ক, বেনারশি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা ও থান কাপড়। এখানকার উৎপাদিত কাপড় সমূহের কদর রয়েছে দেশ জুড়ে।

জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে অন্তত ৫ লাখ মানুষ। বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার তাঁত পন্য উৎপাদিত হয় প্রায় ৭০ কোটি মিটার কাপড়। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিং ঘোষণা করা হয় তাঁতশিল্পকে। নাম দেয়া হয় তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জ।

দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই তাঁতের খট খট শব্দে মুখরিত থাকতো সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো। কালের আবর্তে এবং আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে তাঁত কারখানাগুলোতে। উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি কারখানায় যন্ত্র চালিত পাওয়ার লুম দিয়ে শাড়ী, লুঙ্গি আর গামছা তৈরি করা হয়। তাঁত শ্রমিক হামিদ, শহিদুল, আলামিন, মিতু বেগম, জাহানারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এখন এখানকার তাঁত মালিকরা পুরোদমে কারখানা চালু করেছে । ফলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে । এখন প্রতিদিনই কাজ হচ্ছে । এখন তাঁত চালু হওয়ায় আমাদের অভাব অনেকটাই দুর হয়েছে।

তাঁত শ্রমিক শফিকুল জানান, প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। ফলে সাপ্তাহে ৫ হাজার টাকার বেশি মজুরি পাই। এতে পরিবারের সবার চাহিদা মিটিয়ে সকলকে নিয়ে এবার সুন্দরভাবে ঈদ করতে পারব।

কাপড় ব্যবসায়ী শহীদ সরকার জানান, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের এনায়েতপুর ও সোহাগপুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতারা এখান থেকে কাপড় পাইকারি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন।

বেলকুচি উপজেলার শফিকুল ইসলাম শফি, খুকনীর ফিরোজ উইভিং ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ হাসান অনিক আলামিন, আব্দুল আজিজ বাবু সহ একাধিক তাঁত মালিক বলেন, বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেন তাঁত মালিকরা।

খামার গ্রামের সফল জাতীয় কারুশিল্পী পদকপ্রাপ্ত তাঁতি আফজাল হোসেন লাভলু বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে এবার ভারতে শতকোটি টাকার সুতি শাড়ি ইতিমধ্যেই রপ্তানি হয়েছে। আমিও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের শাড়ি রপ্তানি করেছি।

বেলকুচি পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ এম.এ বাকী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে তাঁত বস্ত্রের মোট উৎপাদনে ৭০-৭৫ ভাগ সিরাজগঞ্জ জেলাতে উৎপাদিত হয়। যার মূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। মালিকেরা সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত কাপড়ের সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা, তাঁত মালিকদের নানা সমস্যা দূরিকরণে সরকারি সহয়োগিতা একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়াও সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প রক্ষায় বাইরের দেশ থেকে অবৈধভাবে শাড়ি আসা বন্ধ এবং রং-সুতা সহজলভ্য করতে না পারলে এই তাঁত শিল্প উন্নয়নে হোচট খাবার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজো অফিসার ইমরানুল হক বলেন, কোন কুচক্রি মহল যেন সুতা ও রংগের দাম বাড়াতে না পাড়ে সেজন্য সরকারি হত্যক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র তাঁতশিল্প রক্ষায় ৫% হারে ঋণসহ বাহারি ডিজাউনের শাড়ী তৈরীর জন্য তাঁতীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি আলহাজ আব্দুস ছামাদ খান জানান, ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জসহ দেশের তাঁতশিল্পে শ্রমিক ও মালিকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত শাড়ির সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। তবে এই শিল্পের প্রসার ও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সমিতির পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরও খবর



ইতালিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ইতালি ব্যুরো :

ইতালির রাজধানী রোম, বাণিজ্যিক নগর মিলানো, ভূমধ্যসাগরের বুকে ভাসমান শহর ভেনিস, আগ্নেয়গিরির শহর নাপলিসহ বিভিন্ন শহরে মুসলিম অভিবাসীরা ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। 

ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোয় সাধারণত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রমজান মাসের সিয়াম পালন এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। এ বছর সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববারে ঈদ হওয়ায় ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম সমবেত হন ঈদ জামাতে। শিশু কিশোরদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকালে ঈদের জামাত শেষে মুসল্লীরা শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং পানশালাগুলোয় আড্ডায় মেতে উঠেন। ঈদের নতুন পোশাক পরে শিশু কিশোরদের স্থানীয় পার্কগুলোয় খেলাধুলা করতে দেখা যায়। 


ইতালির ঈদ জামাতগুলোয় নারীদেরও অংশগ্রহণ চোখে পড়ে।

প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি ঈদ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের উপস্থিতি দেখা যায়। তারা নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরে ঈদের নামাজে শামিল হন। এ সময় অনেকে নিজ নিজ সংস্কৃতির মিষ্টান্ন নিয়ে আসেন এবং উপস্থিত সবাইকে তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। 

মসজিদুল ইত্তেহাদের খতিব হাফেজ মাওলানা আরিফ মাহমুদ ঈদের খুতবায় বলেন, ঈদ সার্বজনীন কোন উৎসব নয়। এটি রোজাদার মুসলিমদের উৎসব। ইসলামের সংস্কৃতি মতো ঈদ উদযাপন হওয়া উচিত। সার্বজনীনের নামে মুসলিম সংস্কৃতির সাথে অন্য কিছু মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়, এতে প্রবাসের নতুন প্রজন্ম ইসলামের বিকৃত সংস্কৃতের সাথে অভ্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

ঈদের নামাজ শেষে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনি মুসলিমদের শান্তি কামনা করে দোয়া, মোনাজাত করা হয়।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামী বাবুর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর জামিন বাতিল করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলম বাবুর জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের দাবি জানান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান মোল্লা, সহ-সভাপতি রাশেদুজ্জামান সোনা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন খান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনার আলী প্রমূখ। মানববন্ধনে নাদিমের বাবা, স্ত্রী ও সন্তানরাসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন খান বলেন,মাহমুদুল আলম বাবুর ভাই পুলিশের বড় কর্মকর্তা ছিলেন। তার দাপটে নানা অপকর্ম করেছেন খুনী বাবু। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। আবারও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার দখলের পাঁয়তারা করছেন। দ্রুত বাবুকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য,২০২৩ সালের ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নিজ বাসায় ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। পথে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটি এলাকায় তাঁর ওপর হামলা হয়। তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে জামালপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। জামালপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকেল ৩ টার দিকে মারা যান সাংবাদিক নাদিম। এ ঘটনায় ১৭ জুন ২২ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলায় আরো ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরো অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বর্বর এ হামলায় আহত হয়েছেন শতাধিক। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং সোমবার ভোর থেকে নিরলস হামলায় কমপক্ষে আরো ৬০ জন নিহত হয়েছেন।

এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে ৪ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এর মধ্যে দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে হামলায় নিহত ৯ জন এবং খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছে একটি তাঁবুতে বোমা হামলায় নিহত তিনজনও রয়েছেন।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরো ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৭৫২ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরো ১৩৭ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৫ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।


আরও খবর