Logo
শিরোনাম

সেমিফাইনালে মেসি খেলবেন কিনা জানালেন স্কালোনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস ক্রীড়া ডেস্ক:


চোটের কারণে কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। 



কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেললেও ছন্দে ছিলেন না তিনি। টাইব্রেকারেও গোল করতে ব্যর্থ হন আটবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই ফুটবলার। 



সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে শুরু থেকে মেসি খেলবেন কিনা তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন আলবিসেলেস্তে কোচ লিওনেল স্কালোনি।



 তিনি জানিয়েছেন, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি।



 

সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেন, ‘মেসি ভালো আছে। ইকুয়েডরের বিপক্ষের ম্যাচটি সে কোনো অস্বস্তি অনুভব করা ছাড়াই শেষ করেছিল। আগামীকালও সে ম্যাচের শুরু থেকে খেলবে। খুব সম্ভবত মেসি ও ডি মারিয়া একসঙ্গে খেলবে।’



বুধবার (১০ জুলাই) কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও কানাডা। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।  


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সেনাপ্রধান ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) মারা গেছেন।

রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কে এম শফিউল্লাহর সহকারী জিয়াউল হাসান মনির।

নব্বই-ঊর্ধ্ব সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন তার চলাফেরা চলে স্ট্রেচারে।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২১৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল জানুয়ারিতে এসে সেটি কিছুটা ভাটা পড়েছে।  জানুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার গত অর্থবছরের একই মাসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল সে হিসাবে গত মাসে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ৪১ শতাংশ

গত বছর আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারে পতন হওয়ার পর থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস তথা জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ২৭ শতাংশেরও বেশি রেমিট্যান্স কম আসায় জানুয়ারি শেষে প্রবৃদ্ধি ২৩ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দেশে ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে প্রবাসীরা দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলার বেশি পাঠিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে ডলারের দর নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কড়াকড়ি ছিল না। বেশি দর দিয়ে হলেও ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পেরেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরে রেমিট্যান্স কেনার জন্য বেশ কঠোর ছিল। কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমে গেছে।

ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলে হুন্ডির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে। রাজধানীর মতিঝিল কারওয়ান বাজার এলাকার একাধিক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারিতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় ডলারের চাহিদা বেশ তীব্র ছিল। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হাতে করে যে ডলার নিয়ে গেছেন, তা শেষ হয়ে এসেছে। এখন দেশ থেকে নতুন করে টাকা নিচ্ছেন। কারণে হুন্ডির বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না, গাছ কাটার আগে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. শফিকুর রহমান, মাহফুজ বিন ইউসুফ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবীর রোমেল।

পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করে মানুষের জীবন ও সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন এইচআরপিবি ২০২৪ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। সেই রিট পিটিশন শুনানি শেষে ২০২৪ সালের ৭ মে আদালত বিবাদীদের প্রতি, ‘ঢাকার দুই সিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটা কেন মানবাধিকারের পরিপন্থি হবে না এবং ‘সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪’ অনুযায়ী বপনকৃত গাছ না কেটে বরং ওই গাছের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা কেন বপনকৃত ব্যক্তিদের প্রদান করা হবে না এবং গাছ কাটতে হলে সব পর্যায়ে কেন ৭ সদস্যর কমিটির হতে অনুমোদন নিতে হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

‘সেই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আদালত রায়ে বলেন, দেশে দিনদিন তাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক সংখ্যক গাছ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ব্যাপকভাবে গাছ কর্তন করা হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। যা আমাদের বেঁচে থাকার অধিকারকে খর্ব করবে। আদালত আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য যে পরিমাণ গাছ বাংলাদেশে থাকা দরকার, সে পরিমাণ গাছ নেই এবং এই গাছগুলোকে রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।’

শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, বাংলাদেশে দিনদিন গাছ কাটার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একটি দেশে যে পরিমাণ গাছ থাকা দরকার, সেই পরিমাণ গাছ বাংলাদেশ নেই। আর অবস্থায় যদি আরও বেশি গাছ কাটা হয়, তাহলে তা হবে পরিবেশের জন্য হুমকির সমান। এই কারণে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে লাগানো গাছ না কেটে বরং যারা গাছ বপন করেছেন. তাদের গাছের মূল্য পরিশোধ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনুমতি একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং তাদের কাছ থেকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা প্রার্থনা করেন। সাত দিনের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরকে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়ার জন্য পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসরদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ কর্মকর্তা, সরকারি কলেজের অধ্যাপক, সমাজকর্মী, পরিবেশবিদ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সিভিল সার্জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে, যারা জেলা পর্যায়ের গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবেন।

আদালত আরও একটি আদেশে জনপ্রশাসন সচিবকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকদের প্রতি একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়, যারা উপজেলা পর্যায়ের গাছ কাটা সম্পর্কে অনুমতি প্রদান করবে।

এছাড়া রায়ে আরও বলা হয়েছে, ‘সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪’ এর অধীনের রোপণকৃত গাছকাটা যাবে না। বরং গাছের সমমূল্যে টাকা রোপণকারীকে প্রদান করতে হবে। এই মর্মে সামাজিক বনায়ন বিধিমালায় পরিবর্তন আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। রিটকারীরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ই।


আরও খবর



বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দিলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে টানা আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার তারা রেলপথ ও মহাসড়কে সর্বাত্মক অবরোধ এবং কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকাল থেকে কলেজের প্রধান ফটকে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে তারা জানান, উপস্থিতি বাড়লে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করবেন।

এদিকে দুপুর পৌনে ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। এ সময় তারা গুলশান থেকে মহাখালী ও মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার সড়কে বাঁশ ফেলে অবরোধ শুরু করেছেন। এতে রাস্তার দুই লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র যানজটে পড়েছেন যাত্রীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আপাতত তারা বাঁশ ফেলে গুলশান-মহাখালী সড়ক বন্ধ রাখছেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরেকটু বাড়লে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আমতলী মোড়ে গিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করবেন। তা ছাড়া গুলশান-১ গোলচত্বর ও মহাখালী লেভেলক্রসিংয়েও অবরোধ করা হবে।


আরও খবর

যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান বা শবে বরাত ও এরাতের আমলসমুহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইসলামী ১২টি চন্দ্রমাসের মধ্যে শা'বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন মাস। আর এ মাসের ১৫তম রজনীকে হাদিসের ভাষায় লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান বলা হয়, যা আমাদের দেশে শবে বরাত নামে অধিক প্রসিদ্ধ। এই শা'বান মাস ও শবে বরাতের অসংখ্য ফযিলত হাদিস শরীফে পাওয়া যায়।

# শা'বান মাসে রাসুল ﷺ বেশি ইবাদাত করতেন কেন ?  

১. হযরত ওসামা বিন জায়েদ (রাদি.)  শাবান মাসে অধিক হারে রোজা রাখার কারন জানতে চাইলে নবীজি ﷺ বলেন, রজব ও শা'বান হল রমদ্বানের মধ্যবর্তী মাস। এমাসে মানুষরা অলস থাকে। অথচ এ মাসে বান্দার আমল সমূহ উঠানো হয়। আর আমি পছন্দ করি, যখন আমার আমল উঠানো হবে তখন আমি রোজাদার অবস্থায় থাকি। 

(বায়হাকী- ফাযায়েলুল আওকাত, হাদিস নংঃ ২১)

২. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) বলেন- আমি রাসুল ﷺ কে রমদ্বান  ব্যতিত অন্য কোন পুরো মাসে রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে কোনও মাসে বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। 

(সহিহ বোখারী, হাদিস নংঃ ১৮৪৪)

৩. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) শা'বান মাসে অধিক হারে রোজা রাখার কারন জানতে চাইলে  রাসুল ﷺ এরশাদ করেন, এমাসে কারা মৃত্যু বরণ করবে তাদের তালিকা আযরাঈল (আ.)কে প্রদান করা হয়।তাই আমি চাই যে, আমার নামটি লিপিবদ্ধ করা হোক রোজাদার অবস্থায়। 

(মুসনাদে আবু ই'য়ালা, হাদিস নংঃ ৪৯১১)


# ১৫ই শা'বান রজনী (শবে বরাত)'র ফজিলত কি? 

১. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) বলেন- আমি এক রাত্রিতে রাসুল ﷺ কে ঘরে পাইনি। ঘর থেকে বেরিয়ে জান্নাতুল বাকীতে পাই। রাসুল ﷺ বললেন, আজ ১৪শাবানের দিবাগত রাত। এরাত্রিতে আল্লাহ (তার শান ও সিফাত অনুযায়ী) প্রথম আসমানে আসেন এবং বনু কলব গোত্রের ছাগলের সমূদয় পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন।

(তিরমিজি কৃত আল-জামেঈ সহিহ, ৩/১১৬ 

মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ৬/২৩৮) 

২. মুয়াজ বিন জাবাল (রাদি.) থেকে বর্নিত, রাসুল ﷺ এরশাদ করেন, শাবানের ১৫তম রাত্রিতে আল্লাহ স্বীয় সৃষ্টির প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। 

-(তাবরানী কৃত মুজামুল আওছাত, হাদিস নংঃ ৬৭৭৬, 

সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নংঃ ৫৬৬৫)

একই ধরনের আরও অসংখ্য হাদিস কিছু ভিন্ন ভিন্ন শব্দে বর্নিত হয়েছে।

# এ রাতে রাসুল ﷺ কি আমল করতেন ?

১. রাতে ইবাদাত বন্দেগীতে ও দিনে রোজাঃ

হযরত আলী (রাদি.) বর্ননা করেন, রাসুল ﷺ এরশাদ করেছেন, শা'বান মাসের ১৫ তারিখ উপনীত হলে তোমরা ইবাদতের মাধ্যমে রাত উদযাপন কর এবং দিনে রোজা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ প্রথম আসমানে (তার শান ও সিফাত অনুযায়ী) এসে ডাকতে থাকেন, কে আছ ক্ষমা প্রার্থনা কারী? আমি তাকে ক্ষমা করব। কে আছ রিজিক প্রার্থী? আমি তাকে রিজিক প্রদান করব। কে আছ বিপদ গ্রস্থ? আমি তার বিপদ মুক্ত করব। এভাবে ফজর পর্যন্ত আহবান করতে থাকেন। 

(সুনানে ইবনে মাজাহ ১/৪৪৪, 

বায়হাকী কৃত শুয়ায়বুল ইমান ৫/৩৫৪)


২ঃ দীর্ঘ ক্বিরাত ও সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায়ঃ

মা আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন, একবার রাসুল ﷺ দীর্ঘ সিজদায় অতিবাহিত করলে আমি ভীত হয়ে গেলাম তিনি ইন্তেকাল করলেন কিনা! আমি তখন উঠে উনার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। উনার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। নামাজ শেষ করে তিনি ইরশাদ করলেন, এটা হল অর্ধ শাবানের রাত । আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। 

-(বায়হাকী,শুয়াইবুল ঈমান ৩/৩৬৬)

# আমরা কিভাবে এ রাতকে কাজে লাগাতে পারি ? 

১. নামাজ

ফরজ নামাজের পাশাপাশি কয়েকটি নফল নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যেতে পারে।

ক. (বাদ মাগরিব) সালাতুল আওয়াবিন। 

খ. সালাতুস তাসবিহ। 

গ. ক্বিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুত। 

এছাড়াও দুই রাকাত করে যতবেশি সম্ভব নফল নামাজ আদায় করা।

২. কোরআন তিলাওয়াত

ক. বাদ মাগরিব সুরা ইয়াসিন

খ. বাদ এশা সুরা মুলক

গ. বাদ ফজর সুরা ওয়াক্বিয়াহ 

এছাড়াও পবিত্র কোরআনের যেকোন জায়গা থেকে যত বেশি সম্ভব তিলাওয়াত করা। 

৩. দোয়া, যিকির, তওবা, ইস্তিগফার, দুরুদ ও সালাম।

হাদিসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন- যখন বান্দা নফল ইবাদাত করে তখন বান্দা আল্লাহর খুব প্রিয় হয়ে যায়।এমনকি তখন আল্লাহ বান্দাকে ভালোবাসে।(বোখারী)। আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার এক অফুরান সুযোগ এনে দেয় এই লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান তথা শবে বরাত। তাই আসুন এ রাতকে কাজে লাগাই। এবং প্রতিটি রাতেই এমন নফল ইবাদাত বন্দেগী করার অভ্যাস গড়ে তুলি।

৪. হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,

আমি রাসূল (সাঃ) কে মধ্য শাবানের রাতে (শবেবরাতের রাতে) ১৪ রাকাত নামায পড়তে দেখেছি, নামাযের পর

 সূরা ফাতিহা ১৪ বার,

সূরা ফালাক ১৪ বার

সূরা নাস ১৪ বার

আয়তুল কুরসী ১ বার

লাক্বাদ যা আকুম রাসূলুম মিন আনপুছিক্বুম ১ বার,

পড়ার পর দোয়া করলেন।

আর রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অনুরুপ করবে তার আমলনামায় ২০ টি কবুল হজ্জ ও ২০ বছর নফল রোজার সাওয়াব লিখে দেওয়া হবে।

আর যে পরের দিন রোযা রাখবে তাকে পূর্বের এক বছর ও আগামী এক বছর রোযা রাখার সাওয়াব দেওয়া হবে।

👉 বায়হাকী শরীফ,শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং৩৫৫৯,

তাফসীরে দূররে মানসুর,৫খন্ড,পৃ-৭৪২


আরও খবর