Logo
শিরোনাম

সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়াদ্বীপের ভবিষ্যৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, যাকে ঘিরে রয়েছে অপার পর্যটন সম্ভাবনা। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ অবসর যাপনের জন্য ভিড় করে দেশের সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থিত এই নীল জলের দ্বীপে। সারি সারি নারিকেলগাছ আর কেয়াবনের সৌন্দর্য সেন্ট মার্টিনের গ্রহণযোগ্যতা আরও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত এই দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপটি ঠিক কত আগে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছিল তার সঠিক দিন-তারিখ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরুতে এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামে ডাকা হতো। যা পরবর্তীতে নারিকেল জিঞ্জিরা, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, দারুচিনি দ্বীপ ইত্যাদি নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেন্ট মার্টিন নামকরণের দুই রকম ইতিহাস থাকলেও ধারণা করা হয় চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মার্টিনের নামানুসারেই এর নাম সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হয়। ভৌগোলিকভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায়।

যার উত্তর অংশের ভাগকে বলা হয় উত্তর পাড়া বা নারিকেল জিঞ্জিরা। দক্ষিণ অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত লেজের মতো অংশটিকে ডাকা হয় গলাচিপা নামে। এই দ্বীপের দক্ষিণে ছোট আরেকটি দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেঁড়াদিয়া বা ছেঁড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। জনশূন্য এই দ্বীপে ভাটার সময় হেটে যাওয়া গেলেও জোয়ারের সময় প্রয়োজন হয় নৌকা। তবে পর্যটকরা বেশিরভাগই ট্রলার, স্পিডবোট ইত্যাদিতে করে ছেঁড়াদ্বীপে যান। অনেকে আবার বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলও ব্যবহার করেন, যা এই দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় পাওয়া যায়। এত সুন্দর ভৌগোলিক পরিবেশে অবস্থিত এই দ্বীপের বর্তমানে বড়ই বেহাল দশা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ফলে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে প্রবালের পরিমাণ। কমছে গাছপালা আচ্ছাদিত অঞ্চলের পরিমাণ, নষ্ট করা হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ীঠা কেয়াবন। যেখানে ১৯৯৬-৯৭ সালে সেন্ট মার্টিনে বার্ষিক পর্যটকের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫০-২০০ জন সেখানে এখন প্রতি বছর লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় করছেন এই দ্বীপে। একদিকে যেমন পর্যটন সম্ভাবনা বিকশিত হয়েছে অন্যদিকে হচ্ছে পরিবেশের বিপর্যয়।

যে প্রবালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্বচ্ছ জলধারার এই দ্বীপ সেটিই এখন প্রবালশূন্য হওয়ার পথে। গত চার দশকে এই দ্বীপে প্রবালের পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। অথচ শুধু এই প্রবালের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এই দ্বীপ। প্রবাল কমে যাওয়ায় এই দ্বীপের আয়তনও কমা শুরু হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫-৫০ সালের মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ প্রবালশূন্য হয়ে বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে। প্রবালকে আমরা সাধারণভাবে পাথর মনে করলেও এটি এক ধরনের অমেরুদন্ডী প্রাণী। এর বাইরের আবরণ শক্ত হওয়ায় আমরা একে পাথর ভেবে ভুল করে থাকি।

 সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা যায়, সেন্ট মার্টিনে হোটেল-মোটেল ও আবাসিক স্থাপনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ সামলাতে এই স্থাপনাগুলো গড়ে উঠছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে এবং নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। প্রবাল পাথরগুলোকে ভেঙে হোটেল নির্মাতাদের কাছে বিক্রি করছেন স্থানীয় মানুষজন। যা সেন্ট মার্টিনের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। অল্প কিছু টাকার জন্য তারা নিজেদের আবাসস্থলকে ফেলছে অসম্ভব বড় ঝুঁকিতে। এই মানুষ হয়তো অজ্ঞতার ফলে বুঝতে পারছে না এই প্রবালের সঙ্গেই নির্ভর করছে তাদের টিকে থাকা, এই দ্বীপের টিকে থাকা।

ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে অনেকেই গবেষণা করছেন সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কিন্তু সবার গবেষণালব্ধ ফলাফলই আমাদের এই দ্বীপ সম্পর্কে অশনিসংকেত দিচ্ছে। স্থানীয় কিছু সংগঠন ও পরিবেশবাদী লোকজন এই বিষয়ে অল্পবিস্তর আলোচনা বা প্রতিবাদ করলেও হচ্ছে না কোনো প্রতিকার। তাদের ধারণা, কিছু প্রভাবশালী মহল সেন্ট মার্টিনে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতে গিয়ে চালাচ্ছেন এক ধ্বংসলীলা। সরেজমিনে গিয়েও আপনি একই চিত্র দেখতে পাবেন। যেখানে ২০১২ সালে সেন্ট মার্টিনে মাত্র ১৭-১৮টি হোটেল-রিসোর্ট ছিল এখন সেখানে হোটেল-রিসোর্টের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এসব হোটেল-রিসোর্টের সিংহভাগেরই মালিক বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ী কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। টাকার খেলায় যারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই কুচক্রী মহলের মানুষরূপী পরিবেশখেকোর দল।

সেন্ট মার্টিনে একসময় দেখা যেত বিরল প্রজাতির সব কাছিমসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীদের। অথচ এসব প্রাণী এখন চোখেই পড়ে না। সরকারিভাবে এসব প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আশানুরূপ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে পরিবেশবিদদের ধারণা। কয়েক প্রজাতির কাছিমের অভয়ারণ্য ও প্রজননস্থান হিসেবে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম বিচকে আলাদা করা হলেও এই বিচেও কমেছে কাছিমের আনাগোনা। স্বাভাবিক সময়ে এখন আর এখানে কাছিম দেখতে পাওয়া যায় না। তবে করোনাকালীন লকডাউনের সময় সেন্ট মার্টিন পর্যটকশূন্য থাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে মা কাছিম এই সমুদ্রতটে এসে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে। এতে সহজেই অনুমান করতে পারি আমরা পর্যটকরা এই সামুদ্রিক প্রাণীদের স্বাভাবিক প্রজননের ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করছি।

সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ বিপর্যয় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত পর্যটক, পাথর তুলে ফেলা, প্রবাল উত্তোলন, আবাসিক হোটেলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটকদের ব্যবহৃত সামগ্রী সমুদ্রের পানিতে ফেলা ইত্যাদি বিশেষভাবে দায়ী। গবেষকদের মতে, সেন্ট মার্টিনে নতুন জন্ম নেওয়া প্রবালগুলো জেলেদের জালের টানে নষ্ট হওযার সম্ভাবনা থাকে কারণ জেলেরা দ্বীপের তীর উপকূলবর্তী এলাকায় জাল ফেলে মাছ ধরেন। যেখানে জন্মায় সবচেয়ে বেশি প্রবাল। ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামুদ্রিক জলের রাসায়নিক পরিবর্তন যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ। সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ভারসাম্য রক্ষায় 'প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন' এলাকা ঘোষণা করে ভ্রমণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধগুলো আরোপিত হয়েছে। নিষেধগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্বীপের সৈকতে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন না চালানো।

সৈকত বা সমুদ্রে পস্নাস্টিক বা অন্য কোনো ধরনের বর্জ্য না ফেলা। দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ না করা। জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা না করা। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা না করা। সৈকতে মাইক না বাজানো, হইচই এবং উচ্চৈঃস্বরে গান-বাজনা না করা। স্পিডবোট, ট্রলার কিংবা অন্যান্য উপায়ে ছেঁড়াদ্বীপে না যাওয়া। প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কাছিম, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় না করা। সর্বোপরি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। সেন্ট মার্টিনের পরিবেশগত বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পস্নাস্টিক। সম্প্রতি এই দ্বীপের মাত্র দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ১২০ কেজি পস্নাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সংগৃহীত পস্নাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই ছিল একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ, পেস্নট, চিপসের খালি প্যাকেট প্রভৃতি। আমরা জেনে কিংবা অজান্তেই এসব পস্নাস্টিক এই দ্বীপে ফেলে আসি যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেহেতু খাবার এবং পানির জন্য প্যাকেটজাত ও বোতলজাত পণ্যের উপর নির্ভর করতে হয় তাই নূ্যনতম সচেতন না হলে এই মারাত্মক দূষণ ঠেকানো কঠিনসাধ্য হবে। এছাড়া সেন্ট মার্টিনকে পর্যটনবান্ধব করতে এবং এর পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যত্রতত্র হোটেল তৈরি না করে নিয়ন্ত্রিত ও মানসম্পন্ন স্বল্পসংখ্যক হোটেল তৈরি করা যেতে পারে।

আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি দ্বীপটিকে পর্যটকদের নিকট নিরাপদ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে যাতে সেই সুন্দর স্থানটিকে কেউ নষ্ট করতে উদ্যত না হয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় প্রশাসন, কোস্ট-গার্ড, নৌ-বাহিনীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যটক হিসেবে আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং পরিবেশকে ভালোবাসতে হবে। তবেই প্রিয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে আমরা সবাই মিলে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারব।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাট জেলাতেও মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র লালমনিরহাট এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টায় গণভবন প্রান্ত হতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে উক্ত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।

লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ আতিকুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ রেজাউল করিম স্বপন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতআরা ফেরদৌস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের পাশে নির্মিত লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর



কুমিল্লার দেবিদ্বারে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অবরুদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত’র অভিযোগ এনে তাকে ‘অবরুদ্ধ’ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

বুধবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেবিদ্বার

উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এসময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষক ও তাঁর জামাতার

ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।এছাড়াও উত্তেজিত জনতা একটি সিএনজি ও বিদ্যালয়ের

শ্রেণী কক্ষের কয়েকটি দরজা ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা,

ওসি কমল কৃষ্ণ ধরসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনি উপস্থিত

হয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। রাত ৮টার দিকে

বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি

ছোঁড়ে এতে ২জন গুরুতর আহত হয় আহতদের উদ্ধার করে

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় মায়ের সাথে বাড়ী ফেরার পথে চার্জার ভ্যানের চাপায় শিশু নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে চার্জার ভ্যানের চাপায় শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী নিহত।

মর্মান্তিক এ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীগঞ্জ-আত্রাই  রাস্তার জাতআমরুল নামক স্থানে।

নিহত ফাতেমা খাতুন (৬) আত্রাই উপজেলার জাতআমরুল উত্তরপাড়া গ্রামের উজ্জল হোসেন এর মেয়ে ও আহসানগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিশু শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানান, নিহত শিশু শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুনের মায়ের কোলে এক শিশু ছিল এবং ফাতেমা তার মায়ের হাত ধরে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। 

পথে আত্রাই-ভবানীগঞ্জ রাস্তার জামআমরুল নামক স্থানে পৌছলে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা টিন বহণকারী একটি চার্জার ভ্যান শিশুকে চাপা দেয়।

সাথে সাথে স্থানিয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দূর্ঘটনার পরই চার্জার ভ্যান রেখে চালক পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন ভ্যানটি ইউনিয়ন পরিষদ হেফাজতে দিয়েছেন।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ রোকসানা হ্যাপি বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার বলেন, শিশুর মৃতদেহ হাসপাতালে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে 


আরও খবর



দশমিনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) :

দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দশমিনা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন ২০২৩ উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  নাফিসা নাজ নীরা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পালোয়ান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ সামছুরন্নহার খান ডলি, জেলা পরিষদ সদস্য গাজী মিজানুর রহমান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাফর আহমেদ, প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান , থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মেহেদী হসান উপজেলা আওয়ালীগের,সাধারণ সম্পাাদক ও দশমিনা সদর ইউনিয়ন  পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.ইকবাল মাহমুদ লিটন,আলীপুরা  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান  আতিকুর রহমান সাগর দশমিনা উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা গন সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দগন 


আরও খবর



নওগাঁর দুটি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৩০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে জনগণের দ্বোরগড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে সারা দেশের ১২ জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় বৈকালিক প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সাথে নওগাঁয় দুটি সরকারি হাসপাতালে এ সেবা চালু হয়েছে। এদুটি হলো, নওগাঁ শহরের ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল ও সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার। এ সময় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী সহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে একই সময় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন নওগাঁর সিভিল সার্জন আবু হেনা মোঃ রায়হানুজ্জামান সরকার।

প্রথম দিন বৈকালিক সেবা দেওয়ার জন্য তিনজন চিকিৎসক চেম্বারে বসেন। কিন্তু সরেজমিনে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ওই তিন চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে কোনো রোগীকে সেবা নিতে আসতে দেখা যায়নি। 

এ বিষয়ে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে বৈকালিক সেবা দিতে তারা আগ্রহী। কিন্তু প্রচারণার অভাবে রোগীরা এখনও এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানেন না। এজন্য প্রথম দিন কোনো রোগী আসেননি।


আরও খবর