Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image



বিডি টুডে ডিজিটাল ডেস্ক:



বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। 


৩০ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষা বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  



আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, সিলেট বিভাগে ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো যথারীতি হবে। পাশাপাশি স্থগিত পরীক্ষাসমূহের রুটিন শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।  



এর আগে গত ৫ জুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছিলেন, দেশের যেসব অঞ্চলে বন্যা হবে, সেখানে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।


তিনি বলেছিলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পানিসীমার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে অঞ্চলে বন্যা ছড়াবে, শুধু সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।   


গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। ৮ জুনের পর বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সর্বশেষ গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে।


 এতে নগরের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ৫৪৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত হয়েছে প্রায় সোয়া আট লাখ মানুষ। 



আরও খবর



ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস (জুলাই) থেকে মাসিক ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেছেন, মাসিক ভাতার পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘আহত যোদ্ধারা’ আজীবন সরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলোতে বিনা খরচে চিকিৎসা পাবেন।

২৩ জুন সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে ৫৪ বছর লেগেছে। কিন্তু আমরা (বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) মাত্র সাত-আট মাসের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শহীদ যোদ্ধা ও আহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ। আগামীতেও আহত যোদ্ধারা যাতে নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি বা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেন, সেভাবে তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টা জানান, জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ইতোমধ্যে আলাদা অধিদফতর স্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় এ অধিদফতরের জন্য ২০ জন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে অধিদফতর থেকে জুলাই যোদ্ধাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, জুলাই যোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশ আজীবন তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। এ দেশের সরকার ও জনগণ তাদের ত্যাগের মর্যাদাকে সমুন্নত রেখে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।

ফারুক-ই-আজম আরো বলেন, শহীদদের অনেকেরই হয়তোবা খোঁজ আমরা রাখি নাই বা রাখতে পারিনি। তবে গণঅভ্যুত্থানের এতোদিন পরেও যদি কেউ অধিদফতরে এসে অভিযোগ করে যে, তার কোনো স্বজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। তার সন্ধান তিনি চান। সেক্ষেত্রে যাদেরকে গণকবর দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে হলেও তাদের আবেদনের বিষয়ে সরকার আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে। তাদের জন্য সরকারের আন্তরিকতার কমতি থাকবে না।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের 'জুলাই শহীদ' এবং আহতদের ' জুলাই যোদ্ধা' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আহত জুলাই যোদ্ধারা ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’ এই তিন ক্যাটাগরিতে মাসিক ভাতা পাবেন। ক্যাটাগরি ‘এ’ মাসে ২০ হাজার টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরি মাসে ১৫ হাজার এবং ‘ক্যাটাগরি’ ক্যাটাগরি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। সে অনুযায়ী সনদ ও পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, গেজেট আকারে ৮৩৪ জন ‘জুলাই শহীদের’ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রত্যেক জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। আর বাকি ২০ লাখ টাকা দেওয়া হবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্থাৎ আগামী জুলাই মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। তাছাড়া শহীদ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে।

তিনি বলেন, আহত জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে যারা চিকিৎসা নেওয়ার পরও অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবন যাপন করতে পারছেন না, যেমন যার দুটি চোখই অন্ধ হয়ে গেছে। অথবা এমন অঙ্গহানি হয়েছে যার কারণে তার পক্ষে একা একা চলাফেরা করা অসম্ভব, তারা ‘এ’ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত হবেন। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪৯৩ জন। তারা এককালীন ৫ লাখ টাকাসহ মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। যার মধ্যে ২ লাখ টাকা তারা ইতোমধ্যে পেয়েছেন। বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী জুলাই মাসে পাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ও উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা, কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা, পরিচয়পত্র পাবেন। গুরুতর আহত ৭ জনকে ইতোমধ্যে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। অনেককে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

‘ক্যাটাগরি- বি’ তে রয়েছেন ৯০৮ জন। যারা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, কিন্তু অন্যের সহায়তা ছাড়া মোটামুটি চলাফেরা করতে পারেন, যেমন যাদের এক চোখ বা এক পা নষ্ট হয়ে গেছে বা এমন অঙ্গহানি হয়েছে যে, তারা একা মোটামুটি চলতে ফিরতে পারেন। অর্থাৎ চিকিৎসার পর অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবনযাপনে সক্ষম যোদ্ধারা আছেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। তাঁরা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। আর আগামী মাসে বাকি ২ লাখ টাকা পাবেন। তাছাড়া এই ‘বি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা ১৫ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। সাথে প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মসংস্থানে চাকরি ও পরিচয়পত্র পাবেন।

চিকিৎসার পর বর্তমানে যারা সুস্থ তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বাসসকে বলেন, ১০ হাজার ৬৪২ জন ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ এই ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। এছাড়া আগামী মাস থেকে ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। সাথে পাচ্ছেন পুনর্বাসন সুবিধা এবং পরিচয়পত্র।

উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৫ আগস্টকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় দিবস হিসাবে আগামীতে এই দিবসকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পালন করা হবে।

তিনি বলেন, ৮৩৪ শহীদ পরিবারের মধ্যে ১৩৪ জনের পরিবারকে ওয়ারিশ জটিলতার কারণে পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। তাও অতি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। আহত যোদ্ধাদের তালিকায় যে সব ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সেটারও সমাধান করা হচ্ছে। সূত্র: বাসস


আরও খবর



ভেনিসে বাংলা স্কুলের আয়োজনে ১৯তম গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইতালি প্রতিবেদক:

ইতালির জলকন্যা ভেনিসে রোববার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়- ১৯তম গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন। 

সকাল সাড়ে দশটায় কামপালতো মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি- প্রবাসী খেলাপ্রেমীদের অংশগ্রহণে এক মিলনমেলায় রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভেনিস প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন, সৈয়দ কামরুল সরওয়ার। এছাড়া বাংলা স্কুলের উপদেষ্টা বেল্লাল হোসেন, সোহেলা আক্তার বিপ্লবী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দিলরুবা জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রারম্ভেই মুখরিত হয় কামপালতো মাঠ। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সম্মিলনে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। শিশু-কিশোরদের কোলাহল, খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী ও দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মাঠজুড়ে তৈরি হয় এক প্রাণবন্ত দৃশ্যপট।

ক্রিকেট টুর্নামেন্টের এ আয়োজন শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি হয়ে ওঠে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক। প্রবাসের মাটিতে নতুন প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এ প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়।

ভেনিস বাংলা স্কুলের উপদেষ্টা পলাশ রহমান বলেন, গোটা বিশ্ব অস্থির যুদ্ধ বিগ্রহ নিয়ে। আমরা যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। আমাদের প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব রেখে যেতে চাই। জাতিগোষ্ঠীর ভেদাভেদ ভুলে- আমরা সুস্থ খেলাধুলার মাধ্যমে সম্প্রীতির বিশ্ব গড়ে তুলতে চাই।

বাংলা স্কুলের এমন একটি উদ্যোগ শুধু খেলাধুলার উন্নয়ন নয়, বরং সমগ্র কমিউনিটির মধ্যে সামাজিক বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে। আশা করা যায়, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই এই উদ্দীপনা বজায় থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন আরও বিস্তৃত আকারে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



আপনার ফোনে অ্যাপসগুলো থাকলে এখনই ডিলিট করুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এক গুরুতর সতর্কবার্তা দিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাইবেল। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি এমন কিছু বিপজ্জনক অ্যাপের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলো মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে অর্থ চুরি করছে।

এই অ্যাপগুলো দেখতে জনপ্রিয় ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপের মতো, যেমন- সুশিসোয়াপ, প্যানকেকসোয়াপ, হাইপারলিকুইড, রেডিয়াম ইত্যাদি। তবে এগুলো আসলে প্রতারণামূলক ফিশিং অ্যাপ, যা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত মেমোনিক ফ্রেজ বা গোপন কোড চেয়ে নেয় এবং তারপর আসল ওয়ালেট থেকে সম্পূর্ণ অর্থ তুলে নেয়।

সাইবেল জানায়, এই অ্যাপগুলো গুগল প্লে স্টোরেও প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। এতে ব্যবহার করা হয়েছে হুবহু আসল অ্যাপের নাম, আইকন এবং বিবরণ। এমনকি হ্যাক করা ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এগুলো আপলোড করা হয়, যাতে ব্যবহারকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।

মুছে ফেলতে বলা বিপজ্জনক অ্যাপগুলোর তালিকা:

প্যানকেকসোয়াপ (PancakeSwap)

সুশিসোয়াপ (SushiSwap)

হাইপারলিকুইড (Hyperliquid)

রেডিয়াম (Raydium)

বুলএক্স ক্রিপ্টো (BullX Crypto)

সুইয়েট ওয়ালেট (Suiet Wallet)

ওপেন ওসান এক্সচেঞ্জ (OpenOcean Exchange)

মিটিওরা এক্সচেঞ্জ (Meteora Exchange)

হারভেস্ট ফাইন্যান্স ব্লগ (Harvest Finance Blog)

প্রতিটি অ্যাপে একই ধরনের ফিশিং লিংক, কোড এবং গঠন লক্ষ্য করা গেছে, যা প্রমাণ করে এগুলো একটি সুসংগঠিত আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধ চক্রের অংশ।

কী করণীয় আপনার?

যদি আপনার ফোনে উপরের তালিকায় থাকা কোনো অ্যাপ থাকে, অবিলম্বে মুছে ফেলুন।

ক্রিপ্টো ওয়ালেট বা এক্সচেঞ্জ অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় শুধুমাত্র তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত লিংক ব্যবহার করুন।

সবসময় গুগল প্লে প্রোটেক্ট চালু রাখুন।

সাইবেল আরও জানায়, এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০টিরও বেশি ভুয়া ডোমেইন থেকে এই ধরনের প্রতারণামূলক অ্যাপ ছড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপকে শনাক্ত করে গুগলকে রিপোর্ট করা হয়েছে।


আরও খবর

দেশে চালু হলো গুগল পে

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




যমুনার ভাঙনে ফসলি জমিসহ নদীগর্ভে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। সেইসাথে চরাঞ্চলসহ বিভিন্নস্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই বসতবাড়ি ও গাছপালাসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা স্টেশন হার্ডপয়েন্টে ৪১ সে. মিটার এবং কাজিপুর স্টেশনে ৩২ সে. মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনা নদীর অভ্যন্তরে কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এবার যমুনা পাড়ের মানুষ বন্যারও আশঙ্কা করছে। বিশেষ করে কাজিপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার সোনাতনি চর, ধিতপুর, বারপাকিয়া, চরঠুটিয়া, নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, কুড়াগাছা, ফেকশনপাড়া, চালাহারা, তেঘরি, উত্তর তেঘরি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি চর, মেছড়া চর, গোটিয়ার চরসহ বিভিন্ন চরে ভাঙন এখন তীব্র আকার ধারণ করছে। এ ভাঙ্গনে ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের আখ পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের মেম্বার রহিজ উদ্দিনসহ অনেক কৃষক মান্নান, জালাল জানান, প্রতিবছরই চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন দেখা দেয়। এবার ভাঙ্গনে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

বিশেষ করে এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং সেইসাথে ভাঙ্গনের তীব্রতাও বাড়ছে এবং ভাঙ্গনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা গো-চারণসহ বিভিন্ন ফসল চাষে বিপাকে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি বাড়ছে। এতে উল্লেখিত স্থান গুলিতে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। ভাঙন বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪১ সে. মিটার পানি বাড়ছে এবং যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে ভাঙ্গনের বিষয়ে জেনেছি। ইতোমধ্যেই অনেক স্থানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, নদীর পানি বাড়া এবং কমার সময় নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আরও খবর



অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে সাঁড়াশি অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল : তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুন (সোমবার) ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ মেঘনাঘাট- এর আওতাধীন পুরান বাউশিয়া, মধ্য বাউশিয়া,  চর বাউশিয়া, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উক্ত অভিযানে অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক্সক্যাভেটর মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এই অভিযানে অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক্সক্যাভেটর (excavator) মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। 

এ সময়, ২টি অবৈধ চুনা কারখানার বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ২ ইঞ্চি ব্যাসের ২০ ফুট এমএস পাইপ এবং ৭৫০ ফুট হোজ পাইপ অপসারন করে বিনস্ট করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে দৈনিক ২৪,০০০ ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৩,৫১,৪৫১.০০ টাকা। অবৈ বাবে গ্যাস ব্যবহারকারী চুন কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় ২টি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে।

একই দিনে, মনিজা খাতুন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ, সাভার-এর আওতাধীন রাজফুলবাড়ীয়া, ভরারী, বটতলা,ঝৃষিপাড়া, বাগবাড়ী, তেঁতুলঝোড়া ও সাভার এলাকার ৩টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উক্ত অভিযানে তেঁতুলঝোড়া, সাভার এলাকায় স্থাপিত ‘‘বেস্ট ড্রেস ওয়্যার লিমিটেড’’‘‘মেসার্স আল-আকসা ওয়াশিং প্ল্যান্ট’’ এবং হেমায়েতপুর, সাভার এলাকায় স্থাপিত ‘‘মেসার্স লেটেস্ট ওয়াশিং প্ল্যান্ট’’ নামক ৩টি অবৈধ শিল্প সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই অভিযানে আনুমানিক ২২০০ ফুট অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ করা হয়, যার মধ্যে ১৭৫০ ফুট পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। এই অবৈধ সংযোগ গুলোর মাধ্যমে মাসিক ২৬,৬৫,২৮৬.০০ টাকা মূল্যের গ্যাস চুরি হচ্ছিল মর্মে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযান কালে ২টি শিল্প প্রতিষ্টান থেকে ১,৫০,০০০.০০ টাকা অর্থ দন্ড আদায় করা হয়েছে।

একই দিনে, সিমন সরকার, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-জয়দেবপুর, আবিবি-জয়দেবপুর-এর আওতাধীন ভান্ডারী বাড়ি, জমিলা মেডিকেল, কুনিয়া তারগাছ, চন্দরা রোড, কুনিয়া পাচর, মেট্রো গাছা থানা এলাকায় ৩টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ২৫০ ফুট ৩/৪ ইঞ্চি পাইপ জব্দ সহ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়েছে।

একই দিনে, হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৩ এর আওতাধীন ত্রিমোহনী খিলগাও এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উক্ত অভিযানে অবৈধভাবে পুনঃস্থাপিত ২ ইঞ্চি ডায়া ১০০০ মিটার বিতরন লাইনে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই অভিযানে ৪০টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যা আনুমানিক ২১০টি অবৈধ ডাবল বার্নার চুলার প্রতিনিধিত্ব করে। এই অভিযানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।


আরও খবর