Logo
শিরোনাম

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় সিলেট নগরী, সুনামগঞ্জ শহর ও দুই জেলার সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এই দুই জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব নদী বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টা সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সুরমা নদী আজ বিকেল ৩টায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে ১৩১ সেন্টিমিটার, সিলেট নগর পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা পয়েন্টে ১৬০ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে ৬৪ সেন্টিমিটার এবং দিরাই উপজেলা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

একই সময়ে কুশিয়ারা নদী সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসীদ পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের সারি-গোয়াইন নদী জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাটে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাপাউবোর দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের লালাখালে ৩৩৩ মিলিমিটার, জাফলংয়ে ৩২৭ মিলিমিটার, কানাইঘাটে ১৯১ মিলিমিটার, জকিগঞ্জে ১৯১ মিলিমিটার, সিলেট নগরীতে ১০০ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জের লাউড়ের গড়ে ১৫৯ মিলিমিটার এবং সুনামগঞ্জ শহর ও ছাতকে ৯৫ মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হয়েছে।

একই সময়ে বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৩৯৮ মিলিমিটার, আসামের ধুব্রিতে ১২১ মিলিমিটার এবং গোয়ালপাড়ায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ঢল আজ সকাল থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্রবেশ করছে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সীমান্ত পরিস্থিতি এখন মোটামুটি স্বাভাবিক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি এখন মোটামুটি স্বাভাবিক। সেখানে কোনো উত্তেজনা নেই। ভারতীয় পক্ষ এখন আর কোনো কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে না। সীমান্তে এখন স্থিতাবস্থা বিরাজ করছে। আগামী মাসে মহাপরিচালক পর্যায়ে বিজিবি ও বিএসএফ এর বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিষয়টি তুলে ধরা হবে। তাছাড়া সীমান্ত নিয়ে দু'দেশের মধ্যে যে অসম চুক্তিগুলো রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের বরাবর চিঠিও দেয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টা মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে সশস্ত্র বাহিনী-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার ময়মনসিংহ অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সারের সংকট বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। কেউ যদি সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, যেসব ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবে, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। তাদেরকে কোন অবস্থায় ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, কৃষকরাই আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। তারা যেন ন্যায্য মূল্যে ও সঠিক সময়ে সার ও বীজ পায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেপিআই স্থাপনাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড ও অন্যান্য দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সেখানে নিয়মিত মহড়া দিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে অপ্রয়োজনীয় ডেকোরেশন বন্ধ করতে হবে। কেননা, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে অনেক সময় অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, অতীতের বদনাম ঘুচিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে ফ্যাসিস্টদের কোন অবস্থায় ছাড় দেয়া যাবে না। উপদেষ্টা এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করার ফলে কৃষি জমির পরিমাণ দিনদিন কমছে। সেজন্য সরকার 'কৃষি জমি সুরক্ষা আইন' প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ একান্ত জরুরি। আমাদের দেশে সবজি সংরক্ষণে কোনো সংরক্ষণাগার নেই। তাই ফুলকপি, শালগম, গাজর-সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি সংরক্ষণে ছোট ছোট স্টোর বা সংরক্ষণাগার করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে। উপদেষ্টা বলেন, জনগণের জন্য উপকারী উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহকে সরকার সবসময় স্বাগত জানায়। সেগুলো বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থের অভাব হবে না বলেও উপদেষ্টা এসময় মন্তব্য করেন।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সশস্ত্র বাহিনী-সহ ময়মনসিংহ রেঞ্জের আওতাধীন সকল পুলিশ ইউনিট, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার ময়মনসিংহ অঞ্চলের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মোঃ আশরাফুুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পরিচালক ড. সালমা লাইজু, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম প্রমুখ।

পরে উপদেষ্টা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) পরিদর্শন করেন।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে মাইজভান্ডারী দর্শন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল আধ্যাত্মিক সাধক, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভান্ডারী তারিকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী, গাউছুল আজম হযরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১১৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ শুক্রবার বাংলা ১০ই মাঘ (২৪ জানুয়ারি) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর এই মহান অলির ওফাত দিবসের স্মরণে ১০ মাঘ বংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশ হতে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্ত আশেকের সমাগমে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শুক্রবার বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারীর ইমামতিত্বে লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে পবিত্র জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জুমা পরবর্তী আগত লাখো ভক্ত জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে তিনি বলেন, ১৯ শতকে হযরত গাউসুল আযম শাহ্সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' এর প্রবর্তন করেন, যা বাংলার ভূখণ্ডে প্রবর্তিত একমাত্র তরিকা। আজ এ তরিকা পৃথিবীজুড়ে একটি সমাদৃত তরিকায় পরিণত হয়েছে, যার কোটি কোটি অনুসারী রয়েছেন। মানবপ্রেম, সাম্য, মানবতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বৈষম্যহীনতা এ তরিকার মূলমন্ত্র। এ তরিকা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে গ্রহণ করতে পারে। মানব অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জাগ্রত করতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রিয় নবি (দ.)'র প্রকৃত আদর্শের অনুসরণে সুফিবাদের মূলধারা এ দরবার শরীফের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হচ্ছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি সংগ্রামে এ দেশের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, জুলুমের বিরুদ্ধে এ দরবার শরীফ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অবদান রেখে আসছে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বিশ্বে দেশে দেশে যুদ্ধ-সংঘাত, ধর্মবিদ্বেষ, বর্ণবৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার চরম আকার ধারণ করেছে। এ অশান্ত পরিস্থিতিতে হুযুর গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র মহৎ আদর্শ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা, মানুষে মানুষে ভাতৃত্ববোধ, সমতা সৃষ্টির শিক্ষা  মাইজভাণ্ডার শরীফ দিয়ে আসছে, তাই মাইজভান্ডারী দর্শনই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে। ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ওরশে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হযরত গাউছুল আজম শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) জীবনী, শান–মান সম্বলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ্ আলম অভি, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী মোঃ হোসেনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হযরত বাবাভাণ্ডারীর (ক.) জীবন, কর্ম ওদর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন,  ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী মাইজভান্ডারী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর



এনআইডির তথ্য ফাঁসে জড়িত পাঁচ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্যে ফাঁসের অভিযোগ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনআইডি তথ্য পাচারের অভিযোগে সেবা গ্রহণকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। এটি ইচ্ছেকৃত কি না, তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার সকালে রাজধানীল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিবি) থেকে নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশে। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নাসির উদ্দিন কমিশন।

নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘন করার বিষয় প্রমাণ হলে ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বিসিসির পর এবার পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পেল ইসি।

অভিযুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো— স্বাস্থ্য অধিদফতর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

জানা যায়, ১৮২টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তথ্য যাচাই করে থাকে। কোন প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতটুকু নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে কি না তিন দিনব্যাপী এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান থেকে তা পর্যালোচনা করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঘন কুয়াশা থাকলেও শীত কম ঢাকায়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাজধানীর আকাশ। রবিবার ভোর থেকেই তীব্র কুয়াশায় ছেয়ে গেছে পুরো শহর।তবে ঘন কুয়াশা থাকলেও ঢাকায় শীতের তীব্রতা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে।

গত কয়েক দিনে দেশের রংপুর বিভাগ ছাড়া অন্যান্য স্থানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে। এতে করে শীতের অনুভূতিও অনেকটাই কমে গেছে। রাজধানীতে বেড়েছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। গত দুদিনে ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে সাড়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারা দেশে কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। এই ঘন কুয়াশা কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, আগামী দুদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোম বা মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গজারিয়ায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র লিফলেট বিতরন ও পথসভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির গজারিয়া উপজেলার প্রতিনিধিবৃন্দ সমাজে জনসচেতনা, রাজনৈতিক সংস্কার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মানের লক্ষ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র লিফলেট বিতরণ করেন।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার ঢাকা - চট্রগ্রাম মহাসড়কের হোসেন্দি ইউনিয়নের জামালদী বাসস্ট্যান্ড হতে বাউশিয়া ইউনিয়নের পাখির মোড় বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টের স্থানীয় দোকানি পথচারি ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে  লিফলেট বিতরন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গজারিয়া উপজেলা শাখার প্রতিনিধিরা।


লিফলেট বিতরনকালে সাধারন নাগরিকদের কাছে জাতীয় সংবিধানে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে তাদের ৭টি দাবি অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে মতবিনিময় করেন। এসময় পথ সভায় তারা বলেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে।অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনী ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।ঘোষণাপত্রে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নেতৃত্ব পরিস্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিস্কার করতে হবে।নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।

গজারিয়া উপজেলায় লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গজারিয়া উপজেলার প্রতিনিধি ও সংগঠক তানভীর আহমেদ, নূরে আলম হোসেন, মোবারক হোসেন, জিয়াউল হক, নাজমুল সরকার, মিঠুন ইসলাম, রাহাত মিয়াজী, মান্নান খান মৃদুল প্রমূখ সহ অন্যান্য ছাত্র জনতা নেত্রীবৃন্দ।


আরও খবর