Logo
শিরোনাম

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়ে তর্কযুদ্ধের শেষ কোথায়?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image


বিনোদন রিপোর্টঃ

মাসখানেক আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং আগের মেয়াদের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণকে হারিয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল।

নির্বাচনে হারার পর মিশা-ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন নিপুণ। তবে মাস না পেরুতে পুরোনো রূপে ফিরেছেন তিনি। শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। যা রীতিমতো হাস্যরসের উপাদান হিসেবে ধরা দিয়েছে।

এমনকি বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেকে। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো এবার চেয়ার দখল নিয়ে লড়াই বন্ধ হবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণ করে সংগঠনটি আবারও নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি কারচুপির অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতির ফলাফল স্থগিত এবং নতুন নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা চেয়ে আদালতে রিট করেছেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি তারা।’


নিপুণ জানালেন, আরও আগেই রিট করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা এবং জরুরি কাজে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখায় সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিষয়টি শুধু রিটেই আটকে নেই। এরই মধ্যে বাকযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন নিপুণ। ডিপজলও যথা সময়ে উত্তর দিয়েছেন।

নিপুণ ডিপজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে—শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

শুধু কাজ করলেই হবে না, জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট। আমরা তাদের সম্মান দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম তারা সেই সম্মান রাখেনি। সম্মান রাখার যোগ্য তারা নয়। তাদের এখন আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে।’


নিপুণের কটাক্ষের জবাব দিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘সে তো বাপকেই অস্বীকার করে। রক্তের সমস্যা না হলে এমন বলতে পারে না। কারণ ও (নিপুণ) যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।

আমরা ঝামেলা চাই না।’ দু’জনের এমন মন্তব্য নতুন বিনোদনের রসদ জুগিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর



রায়পুরে বখাটেদের তাণ্ডবে থেমে গেছে মুক্তার শিক্ষাজীবন, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকার বানাতুল দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আর মাদ্রাসায় যায় না। প্রতিদিনের পথে বখাটেদের উৎপাত, উত্ত্যক্ততা আর শারীরিক হয়রানিতে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষাপথ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে সে।


ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ—বখাটেপনার ঘটনা বারবার জানানো হলেও প্রশাসন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থেকেছেন নির্বিকার। তাদের এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।


মুক্তার বাবা মনির হোসেন বলেন, "ঘটনার কথা জানালেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবংজনপ্রতিনিধিরা গুরুত্ব দেননি। বরং সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়েটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।"


মুক্তা জানায়, "প্রতিদিন ভয় নিয়ে বের হই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেলে আমার পথ আটকায়, মোবাইল নম্বর চায়। না বললে টানাহেঁচড়া, ভিডিও করা আর তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একদিন কিছু পথচারী এগিয়ে না এলে কী হতো জানি না।"


একজন সাবেক ছাত্রী জানান, তিনিও এবং তার বান্ধবী একইরকম হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। "সেই সময়েও কেউ কিছু করেনি," বলেন তিনি।


বিএনপি নেতা খোরশেদ ঢালী বলেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এলাকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বরাবরই নিষ্ক্রিয়। এখন সময় এসেছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার।”


রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঞা বলেন, “এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকায় এবং মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে।”


লক্ষ্মীপুর জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসন নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই বিচার হতো, কিন্তু প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।”


ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৬৪ শতাংশ স্কুলগামী মেয়ে পথে উত্ত্যক্তের শিকার হয়। শিশু অধিকার ফোরামের মতে, ২০২৪ সালে দেশে দেড় হাজারের বেশি কিশোরী হয়রানির শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৩৮% ঘটেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে।

মুক্তার এই ঘটনা যেন হাজারো মেয়ের অব্যক্ত কষ্টের প্রতিচ্ছবি। মুক্তা আজ শুধুই একজন ব্যক্তি নয়—প্রতীক হয়ে উঠেছে সেই সব কণ্ঠের, যারা ভয়ে থেমে যায়, অপমানে হারিয়ে যায় শিক্ষার পথ থেকে।

এখনই সময়—প্রশাসন, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার। প্রয়োজন কঠোর শাস্তি, যাতে আর কোনো মুক্তাকে স্কুল ছাড়তে না হয়।


আরও খবর



সুন্দরবনের ১০ কিমির মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সুন্দরবন সংরক্ষিত বনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘোষিত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ বা প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

তবে, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণার আলোকে ওই অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম নেওয়া যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে গঠিত ইসিএ এলাকায় পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



গজারিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার,আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় অভিযান চালিয়ে পিস্তলের গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী । এ সময় তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার (১৩ মে)  ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

আটকৃতরা হলো, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর জামালপুর গ্রামের মৃত আমজাদের ছেলে সৈয়দ আলী (৬৫), মৃত কয়মের ছেলে ইমান (৬০) ও আলমের ছেলে মনির হোসেন (২৯)।


খবর নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কৌশলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের ধরতে মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‍্যাব ও নৌ পুলিশের কয়েক' শো সদস্য অংশগ্রহণ করে।

পুলিশ জানায়, অভিযানে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর জামালপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোশারফের ঘর তল্লাশি করে ২টি খালি ম্যাগাজিন, বিভিন্ন ধরনের ৫১টি তাঁজা গুলি, ২টি পিস্তলের কভার, ১টি কুড়াল, ১টি টেটা, ১টি এমোনেশন বক্স, ১টি গুলতি, ১টি ট্রলারের পাখা উদ্ধার করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হবার পূর্বেই কৌশলে পালিয়ে যায় সে।

এদিকে কুখ্যাত নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াসের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলে তাদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এসময় তাদের ঘর-বাড়ি তল্লাশি করে ১টি বড় রামদা, ১১টি ছুরি, ২টি বাইনোকুলার, সেনাবাহিনীর পোশাক সদৃশ কাপড় ও নগদ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যদের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মামুন শরীফ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ, গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষ।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী কৌশলে পালিয়ে গেলেও আমরা তিনজনকে আটক করতে পেরেছি। অভিযানে পিস্তলের গুলি, রামদা,চাকুর সহ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহী ইতালি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে ইতালি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি।

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তাকে এ কথা জানান ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে রোমের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নবায়ন ও পুনরুজ্জীবিতকরণ নিয়েও আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান মাত্তেও।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটি অসাধারণ বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। তারা তরুণ ও পরিশ্রমী। ইতালীয় সমাজে চমৎকারভাবে মিশে গিয়েছেন তারা। আমাদের আরও বাংলাদেশির প্রয়োজন।

তবে অনেক বাংলাদেশি অবৈধ উপায়ে ইতালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এভাবে ইতালিতে আসা খুব বিপজ্জনক। আমরা চাই তারা বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ করুক।

মাত্তেও জানান, সমুদ্রপথে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অভিবাসীদের আগমন ইতালির জন্য সমস্যাজনক। এ কারণে অবৈধ অভিবাসন ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দূর করতে তিনি বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার রোধের মতো বিষয়ে বাংলাদেশও ইতালির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে মাত্তেওকে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস বলেন, ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞ। তারাও ইতালির প্রতি সন্তুষ্ট।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, কিছু আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে। এরাই সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে বলে মনে করেন তিনি। অন্তর্বতী সরকারপ্রধান বলেন, অভিবাসীরা হলেন মানবপাচারের ভুক্তভোগী, তারা সুবিধাভোগী নন।

এ সময় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের কথাও উল্লেখ করে তিনি। বৈঠকে দুই দেশ একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।


আরও খবর



৫ মিনিটও সময় পাবেন না, সরকারকে চরমোনাই পীর

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকার ৫ মিনিটও সময় পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে চরমোনাই পীর বলেন, আপনারা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে নারীনীতিকে বাহবা দিচ্ছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা কিন্তু এমনিতেই জনগণের ভোটের সরকার নন। আপনারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছেন না। আমরা তো সবসময় আপনাদের সহযোগিতায় ছিলাম, এখনো আছি, কিন্তু আমাদের রাস্তায় নামিয়ে আপনাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ওই ফ্যাসিস্ট এবং ঘাপটি মারা শত্রুরা যেন সুযোগ না নিতে পারে। এটা আপনাদের মাথায় রাখার অনুরোধ করেছি।

তিনি বলেন, এরপরও যদি আপনারা সামনে পা বাড়াতে চান, পরিষ্কার মেসেজ, কে জানি বলছে না যে ৫ মিনিটে আপনারা আপনাদের অবস্থান থেকে সরে যান। সেই ৫ মিনিটও সময় পাবেন না।

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর আমির। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) তো ৫ আগস্ট ভাত পাক (রান্না) করেও খেয়ে যেতে পারেনি। ওরা তো বসে নেই। আমাদের বিভিন্ন পাশে চোখ খুলে যারা নজর রাখছে তারাও তো বসে নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) হয়তো বা এই সংস্কার, নারী কমিশনের এটার মাধ্যমে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, এরপর যখন ওলামায়ে কেরাম রাস্তায় নামবে তখন হয়তো এই ঘাপটি মারা, যারা দেশের শত্রু তারা বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছে এই সুযোগে রাস্তায় নামার জন্য। এমন নীলনকশা তৈরি করতে পারে।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সমালোচনা করে চরমোনাই পীর বলেন, এই যে নারী কমিশন, আমার কাছে আশ্চর্য মনে হচ্ছে। বিগত সময়ে নাস্তিকরা যে চক্রান্ত করেছে আল্লাহর রহমতে কখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের মাধ্যমে এমন হীন চিন্তা বাস্তবায়ন করবে- কিন্তু তারা তো জানে এটার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, কখনোই এটা (নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ) বাস্তবায়ন হবে না। তারপরও তারা এই পথ বেছে নিল কারণটা কী?

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

সেমিনারে চারটি দাবি জানায় জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। এ দাবিগুলো হলো-

১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

২. কমিশন সরকারিভাবে বাতিল করতে হবে।

৩. নতুন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দ্বিনদার, শিক্ষিত, দেশীয় চিন্তায় বিশ্বাসী নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৪. পরিবার ও নারী বিষয়ে প্রস্তাবের ভিত্তি হতে হবে কোরআন-সুন্নাহ, সংবিধান এবং সামাজিক বাস্তবতা।


আরও খবর