Logo
শিরোনাম

শিল্পীদের নামে মামলা, বিশিষ্টজনের উদ্বেগ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে একজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতে করা হত্যাচেষ্টার মামলাটি নথিভুক্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ভাটারা থানায় পাঠানো হয়। গত মার্চে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি।

আসামিদের মধ্যে আছেন- অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, রোকেয়া প্রাচী, নিপুণ আক্তার, মেহের আফরোজ শাওন, সোহানা সাবা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অভিনেতা আজিজুল হাকিম, জায়েদ খান ও সাইমন সাদিক।

ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এত আসামির নাম অন্তর্ভুক্ত করে মামলা নথিভুক্ত করতে একটু সময় লাগে, সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০-৪০০ জন আসামি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে ব্যবসায়ী, অভিনেতা, গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন ২৩ বিশিষ্টজন। গতকাল হিউম্যান রাইটস ফোরামের পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন, এসব মামলায় এমন অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যার সঙ্গে ঘটনার ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। এ ধরনের মামলা গ্রহণে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং ইরেশ যাকেরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক মামলা তদন্তসাপেক্ষে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।

বিবৃতিতে সই করেছেন ড. হামিদা হোসেন, সুলতানা কামাল, রাজা দেবাশীষ রায়, জেড আই খান পান্না, শাহীন আনাম, জাকির হোসেন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, রঞ্জন কর্মকার, সালেহ আহমেদ, সঞ্জীব দ্রং, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, শামসুল হুদা ও খুশী কবির।

অন্যদিকে, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবিরের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় মামলা করার অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে। তবে এসব মামলায় কাউকে ফাঁসানো বা হয়রানির উদ্দেশ্যে আসামি করা হলে তা মানবাধিকারের পরিপন্থি। এ ছাড়া ব্লাস্ট এক বিবৃতিতে জুলাই গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দ্রুত ন্যায়বিচার এবং হয়রানিমূলক মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

বলা দরকার, ইতিমধ্যেই ভুয়া মামলার বাদীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, অনেকে মামলা দিয়ে বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ আসছে। মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মাইজভান্ডারির মোনাজাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ফরিয়াদ রস তুজ বিন নেহী, 

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্,

সুলতানে দ্বীন শাহে জমীন,

 মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

মাকছুদে তান মাতলুবে জান, 

মাহকুম হায় তু সারা জাহান,

মুশকিল কোশা ইয়ে আজিজী, 

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

আস্সালাম আয় আফেতাবে গাউছিয়ত-

আস্সালাম আয় মাহেতাবে কুতুবিয়ত

আস্সালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া-

আস্সালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া।

ফজলে কর ইয়া রব মুহাম্মদ মুস্তাফা কে ওয়াস্তে

সাইয়্যেদে কাওনাইনে শাহে আম্বিয়া কে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহাল আলামীন ইয়ে র্আজ মেরী হো কবুল

ইসতাজেব হাজা দোয়ায়ি মুস্তাফা কে ওয়াস্তে।

দূর কর রন্জ দেলী হায় ছখত মুঝকো

বেকালী উছ শাহে ছিদ্দিক্বে আকবর বাছাফা কে ওয়াস্তে।

ফজ্লকে হাতোঁছে মুঝ্কো মেওয়ায়ে মাক্সুদ্ খিলা,

উছ ওমর ফারুকে আ-দিল বেরিয়াকে ওয়াস্তে।

দো-জাহাঁ মেঁ হযরতে উসমান-কে রোছে মুঝে,

মাত্ খাজাল কিজিয়ো তু উছ ছাহেব হায়া কে ওয়াস্তে।

বারেগাহে আলী মে তেরে হায় ইয়ে মেরি ইলতিজা,

হল্লে মুশকিল হো মেরি মুশকিল কোশা কে ওয়াস্তে।

বুলবুলে বাগে মদীনা কুররাতুল আইনে রাসূল,

ইয়ানী বিবি ফাতেমা খায়রুন্নেছা কে ওয়াস্তে।

দে খুশী দিলকো মেরি ছর ছব্জ কর নখ্লে মুরাদ,

উছ জিগর খাস্তা হাসান ছাহেব লেওয়াকে ওয়াস্তে।

হার তরফ ছে ফৌজ গমনে আকে ঘেরা হায় মুঝে,

দে পানা ইয়া রব শহীদে কারবালা কে ওয়াস্তে।

কাওন তুজ বিন দাদ ইছ আছি কো দেবে ইয়া খোদা,

জোদতর ফরিয়াদ রস যইনুল আবা কে ওয়াস্তে।

মাই বহুত হায়রান হোঁ কর রহম কি মুঝপর নজর,

বাকের ও জাফর আলী ওয়া মুছা রেজা কি ওয়াস্তে।

মুছা ও কাজেম ত্বকী ও বানকী ও আস্করী,

আওর ইমামে মাহদীয়ে পীরে হুদাকে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

গাউছুল আ’যম পীরানেপীর দস্তগীর শেখ সৈয়দ আবু মীর মুহীউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানী রাদ্বিআল্লাহু তা’আলা আনহু রাহনুমা কে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মইনুদ্দীন চিশ্তী আজমীরি সান্জিরি রহমাতুল্লাহি তা’আলা আলাইহি কে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল আ’যম আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল আ’যম গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম সৈয়দ আবুল বশর মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ,

আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল ওয়ারা মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

তোমারি এস্কেতে রাখিও মোদের আবাদ- 

খুদীকে মিটায়ে যেন পাই খোদার স্বাদ। 

দুয়েরী পর্দা উঠায়ে দাও, দয়া করি দেখা দাও- 

ধরা দাও দয়া করে ওগো দয়াল নবীজি (ﷺ) 

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল্ আখেরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া ক্বিনা আজাবান্নার, ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলা খায়রি খালক্বিহি ওয়া নূরে জাতীহী মুহাম্মাদীন ওয়াআলিহি ওয়া আছহাবিহি আজমাইন। বিজুদি কালেমায়ে তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম।


আরও খবর



চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, চিকিৎসাসেবার পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর কিংবা চিকিৎসকদের হুমকির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ চিকিৎসার সামগ্রিক পরিবেশকে অনুকূল, নিরাপদ ও জনবান্ধব করতে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সিভিল সার্জনদের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী (১২-১৩ মে) সিভিল সার্জন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ। তাই আপনাদের ওপর জনপ্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি। জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতের চালিকাশক্তি হিসেবে আপনাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রচেষ্টা ও ত্যাগ সরাসরি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, ছুঁয়ে যায়। তাই, আপনারা হচ্ছেন মানুষের আশার আলো, দুঃসময়ে ভরসার আশ্রয়। সেবাকে আরো জনমুখী করতে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, পোস্টমর্টেম সেবাকে থানা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া; মহিলাদের পোস্টমর্টেম মহিলা ডাক্তার দিয়ে করানো; ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করানো, না পাওয়া গেলে মহিলা সেবিকা দিয়ে করিয়ে পুরুষ ডাক্তার দিয়ে প্রতিস্বাক্ষর করা, শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণহীন এবং ভবনকেন্দ্রিক বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করা, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করে মেডিকেল কলেজগুলোর মান উন্নীতকরণ, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ৬ মাস শহরে ও ৬ মাস গ্রামে করার ব্যবস্থাকরণ ও গ্রামে থাকাকালীন সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিকরণ, ইত্যাদি।

তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা গেলে জনগণ দ্রুত সেবা পাবে ও জনদুর্ভোগ হ্রাস পাবে। তাছাড়া মানহীন চিকিৎসক তৈরির হাত থেকে দেশ ও জাতি রক্ষা পাবে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এ সময় থানা বা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে অংশীদার হয়ে মাদক পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করতে সিভিল সার্জনদের আহ্বান জানান।

চিকিৎসকদের প্রতি জনগণের কিছু অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসা পেশা নিঃসন্দেহে সম্মানজনক। চিকিৎসকদেরই জনগণকে সবচেয়ে বেশি সেবা দেয়ার সুযোগ রয়েছে এবং তারা তা করতে সচেষ্ট আছেন। তথাপিও চিকিৎসকদের প্রতি জনগণের কিছু অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে চাই এ অভিযোগগুলো যেন মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তিনি আরও বলেন, জনগণের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো- অনেক সরকারি চিকিৎসক হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন না বা পূর্ণ সময় থাকেন না। অনেক উপজেলা বা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পান না। এই অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ও স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।

প্রশ্নোত্তর পর্বে উপদেষ্টা সিভিল সার্জনদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সিজিল সার্জনরা এ সময় উপদেষ্টার নিকট বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জেলা হাসপাতালগুলোকে কেপিআই স্থাপনার স্বীকৃতি প্রদান ও সেখানে পুলিশ টহল বৃদ্ধিকরণ, জেলার পোস্টমর্টেম সেন্টারকে আধুনিকীকরণ, সিভিল সার্জনদের জন্য গানম্যান প্রদান, ইত্যাদি। উপদেষ্টা যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী প্রমুখ।


আরও খবর



মহাসমাবেশে আপত্তিকর শব্দচয়নে দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে কোনো কোনো বক্তা নারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন-এমন অভিযোগে নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় হেফাজতে ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কোনো বক্তারা আপত্তিকর শব্দচয়ন হেফাজত সমর্থন করে না। এ ধরনের শব্দ চয়নকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করে তা থেকে বিরত থাকতে দলেন নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। ৬ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিবৃতিতে এই কথা বলেন।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, আমাদের মহাসমাবেশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুজন বক্তা আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন, যা আমরা সমর্থন করি না। কেউ এতে আহত হলে তাদের প্রতিও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে সেক্যুলার প্রগতিশীল ঘরানার যারা এতকাল আলেম-ওলামাকে বিদ্বেষমূলকভাবে 'জঙ্গি', 'মৌলবাদী', 'ধর্মব্যবসায়ী' ও 'সাম্প্রদায়িক' বলে কটাক্ষ করে এসেছেন, তাদেরকেও আমরা এ ধরনের আপত্তিকর শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আর শাপলা চত্বরের গণহত্যায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে কারা উৎসাহ দিয়েছিল তা আমরা ভুলে যাইনি।

হেফাজত নেতা বলেন, নারীর প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রশ্নই আসে না। মতাদর্শিক লড়াইকে 'নারীর প্রতি ঘৃণা' আকারে দেখাটা স্রেফ মূর্খতা। আমরা আবারও বলছি, যার যার ধর্মীয় বিধান অনুসারে নারীর ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরাও সংস্কারকাজে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী। কিন্তু শুরুতেই আলেম-ওলামা ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞকে বাদ দিয়ে একদল এনজিওবাজ নারীবাদীকে নিয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হলো। যার ফলে এমন একচেটিয়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সেক্যুলার প্রগতিশীল নারীসমাজের স্বার্থ ও মতাদর্শ রক্ষিত হলেও ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের ধর্মীয় চিন্তা ও বিবেচনা উপেক্ষিত হয়েছে। এই বৈষম্য মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, উগ্র ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক আমাদের 'নারীবিদ্বেষী' অপবাদ দেওয়ার অপরাজনীতি বহু পুরনো। অথচ দেশজুড়ে আমাদের মহিলা কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে ছাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বরাদ্দমুক্ত এসব মাদরাসায় সমাজের হাজার হাজার প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্যও বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে এদেশের নারীদের স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে আমাদেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কখনো আলেম-ওলামার সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয় না। আর আমাদের এই সামাজিক ভূমিকা ও ধর্মীয় অবস্থান আধুনিক ব্যবস্থায় এদেশের নারীকে 'পণ্য' বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্তরায় বলেই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে একদল উগ্র নারীবাদীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি করলে আমরা ছাড় দেবো না।


আরও খবর



আইএমএফের ঋণের বাকি কিস্তি মিলবে কবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ জানা যাবে আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের বাকি কিস্তি কবে পাওয়া যাবে। ওই সময় সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। আইএমএফ মিশনের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সঠিক পথেই আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ হয়নি, আলোচনা চলমান।

আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কমূর্সচি ছাড়ের বিভিন্ন শর্ত রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশ কতটা শর্তপূরণ করেছে, তা পর্যালোচনায় গত ২ এপ্রিল সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি প্রায় দুই সপ্তাহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে করেছে। বৈঠক শেষে আজ এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্থাটির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তিতে ১১৪ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ কোটি ডলার ছাড় নিয়ে দরকষাকষি চলছে। এর আগে চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে গত ডিসেম্বরে আইএমএফ মিশন ঢাকায় এসেছিল। ওই মিশনের বৈঠক শেষে স্টাফ লেভেলের ঐকমত্যের কথা জানানো হয়।

তখন ধারণা দেওয়া হয়েছিল, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আইএমফের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। স্টাফ লেভেলের ঐকমত্যের পর পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের বিষয়টি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা। তবে ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা এবং কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে টানাপোড়েনে বিষয়টি সামনে আসে।

এর মধ্যে মিশনের সঙ্গে কোনো ঐকমত্য ছাড়াই মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ হয়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হচ্ছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সব সময় বিনিময়হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার কথা বলে থাকি। তবে বাংলাদেশকে এখনই পুরো বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি তেমন না। স্বল্প মেয়াদে বিনিময়হার বাজারভিত্তিক করার একটা ভালো সময় যাচ্ছে। কেননা, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল আছে। আগে নিয়মিতভাবে যা কমছিল। আবার ব্যাংক এবং খোলাবাজারে ডলারের দরে ব্যবধান অনেক কম। এ সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ব্যাপক বাড়ছে। দেশের মূল্যস্ফীতিও কমছে। অবশ্য জিডিপির তুলনায় এখনও মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামীতে এটা ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর নীতি সুদহার বাড়ানো–কমানোর বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে।

কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর শর্তের বিষয়ে মিশনপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের কর–জিডিপি অনুপাতের ব্যবধান অনেক বেশি। জিডিপি অনুপাতে রাজস্ব আয় দীর্ঘদিন ধরে একই থাকছে। কখনো–কখনো কমে যাচ্ছে। এই অবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের করছাড় রয়েছে। আবার ভিন্ন–ভিন্ন করহার রয়েছে। এসব বিষয়ে সংস্কার আনতে হবে।

খেলাপি ঋণের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আদায় ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে এসব পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। এছাড়া পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

আইএমএফের সঙ্গে কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চলমান ঋণ কর্মসূচি শেষ হবে ২০২৬ সালে। এ সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে এবং বেসরকারি ব্যাংকের ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার শর্ত রয়েছে।


আরও খবর



২৯ এপ্রিল থেকে হজের ফ্লাইট শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পবিত্র হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল)। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনে ঢাকা থেকে সৌদি আরব যাবেন।

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টার দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ওইদিন রাত ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রীর প্রথম দলটি সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবে।

হজ ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে সরকারিভাবে ১১২ জন এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার ৭৪৩ জন গাইড হজযাত্রীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। এছাড়াও, ৭০ জন মোয়াল্লেম হজযাত্রীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।

হাজিদের পরিবহনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সাউদিয়া এবং নাস এয়ারলাইনস প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত হজের ফ্লাইট চলবে। ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই।

এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১৮টি, সাউদিয়া ৮০টি এবং নাস এয়ারলাইনস ৩৪টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হলো আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা। আগামী ৯ জিলহজ (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ৫ জুন) মসজিদে নামিরা থেকে এই খুতবা প্রদান করা হবে। বরাবরের মতো এবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এই খুতবা। বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে, খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হবে ২০টি বিভিন্ন ভাষায়, যার মধ্যে বাংলাও রয়েছে।

অনুবাদ করা ভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - বাংলা, ফরাসি, মালয়, উর্দু, ফারসি, চীনা, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, ইংরেজি, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো এবং জার্মান।

উল্লেখ্য, ১৪৪৬ হিজরির ৯ জিলহজ, যা ২০২৫ সালের ৫ জুন (চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল) তারিখে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর