Logo
শিরোনাম

শক্তিশালী রূপ নিল ঘূর্ণিঝড় -মানদৌস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। যা ইতিমধ্যে রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মানদৌস’। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে।

ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে ভারতের স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাই এ ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’ পরিণত হয়েছে। এটি বুধবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



পাচারের ২৫ বিলিয়ন ডলার ফেরাতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনতে ব্যাপক প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। হাসিনার আমলে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের বিদেশে পাচার করা বিপুল সম্পদ অনুসন্ধানে অভিযান শুরু করেছেন ড. আহসান এইচ মনসুর।

‘বাংলাদেশ আপ এগেইনস্ট টাইম টু ফাইন্ড স্টোলেন বিলিয়নস: সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটির ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটকে (আই-ইউনিট) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন।

বাংলাদেশের ১১টি প্রভাবশালী পরিবারকে টার্গেট করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করে আল জাজিরা বলছে, প্রভাবশালী এসব পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশক ধরে বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে কোটি কোটি ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যাদের সম্পদের সন্ধানে ১১টি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশ্নবিদ্ধ এ সম্পদের পরিমাণ আঁতকে ওঠার মতো। ১১টি পরিবারের মধ্যে একটির বিরুদ্ধেই ১৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে একটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ আমানতই তুলে নিয়ে গেছে তারা। ফলত ব্যাংকটি প্রায় ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

আহসান মনসুর, আইএমএফ-এর সাবেক অর্থনীতিবিদ। পাচারকৃত অর্থ দ্রুত উদ্ধার করা নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। কেননা, দ্রুত সন্ধান না পেলে বেশিরভাগ অর্থ হাওয়া হয়ে যেতে পারে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, আমরা জানি সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সম্পদের পরিমাণ কমে যেতে পারে। আহসান মনসুরের সন্ধান কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ব্রিটেন। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ উদ্ধার এবং জব্দ করার জন্য ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ দফতর এবং লন্ডনের আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, উল্লিখিত পরিবারগুলোর অনেকেরই এখানে বহু সম্পদ রয়েছে, বিশেষ করে লন্ডনে।

তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা এই সচেতনতা তৈরি করতে চাই যে, বিশ্ব থেকে চুরি হওয়া সম্পদের প্রিয় হচ্ছে ব্রিটেন। আর বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখান থেকে এখানে প্রচুর চুরি হওয়া সম্পদ এসেছে।

এর আগে আল জাজিরার আই-ইউনিটের এক খবরে প্রকাশ করা হয়েছে যে, হাসিনার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর একারই লন্ডন এবং দুবাইতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থের সম্পদ রয়েছে। আই-ইউনিটের ওই খবরটি গত বছর প্রকাশ করা হয়। ব্রিটেনে সাইফুজ্জামান এবং তার পরিবারের ৩৬০টির বেশি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই লন্ডনে। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যেই সাইফুজ্জামানের ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে এবং তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর সাইফুজ্জামানের বিদেশে থাকা সম্পত্তি দ্রুত জব্দ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেন সেগুলো বিক্রি করতে না পারে।

যদিও সাইফুজ্জামানের দাবি হচ্ছে আগের সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘ডাইনি হান্ট’ শুরু করা হয়েছে। তার সম্পদ বৈধভাবে উপার্জন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন এসব সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোনিবেশ করেছে তখন আহসান মনসুর চাচ্ছেন, ব্রিটেন এবং অন্যান্য জায়গায় এসব অভিজাত পরিবারের কোটি কোটি ডলার পাচারে সহায়তাকারী আইনজীবী, ব্যাংকার এবং এস্টেট এজেন্টদেরও তদন্তের আওতায় আনা হোক।

মনসুর বলেছেন, আইন লঙ্ঘন করে অপরাধীদের পুনর্বাসনে সহায়তা করছে এমন এজেন্ট বা ব্যাংক অপারেটর সংখ্যা অনেক। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গভর্নর জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থের নিয়ন্ত্রণ পেতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি স্বীকার করেছেন যে, কর্তৃপক্ষের কাজের মাত্রা এবং জটিলতা নিয়ে লড়াই করার কারণে অর্থ উদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তবে বৃটেন সরকার এক্ষেত্রে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসব অপরাধী চক্রের মূল হোতার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বিদেশে অর্থ পাচারে সহায়তাকারীদের সঙ্গে দর কষাকষি করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এমনকি হারিয়ে যাওয়া অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনের পর পাচারকৃত কোটি কোটি ডলার উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা জটিল হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) তহবিল স্থগিত করে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে যে তদন্তকারী সংস্থা কাজ শুরু করার কথা ছিল তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের পূর্ণ শক্তিতে ঢাকায় থাকার কথা ছিল। তাদেরকে ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে। তবে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর আসতে পারেনি। যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।


আরও খবর



বাংলাদেশের জনগণ তাদের পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের জনগণ তাদের ইতিহাসে পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।০৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে নৃশংস সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস ধরে গণহত্যায় লাখ লাখ সাধারণ নারী, পুরুষ, শিশু এবং যুবক-যুবতী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছিলেন। আমাদের জনগণ এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত এবং মুক্ত সমাজের আকাঙ্ক্ষা করেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। দুঃখের বিষয় হলো, গত পনেরো বছরে আমাদের জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, ধীরে ধীরে তাদের স্থান এবং অধিকার হ্রাস পেয়েছে। তারা প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গভীর ক্ষয় এবং নাগরিক অধিকার পদদলিত হতে দেখেছে। প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষের জীবন বিনষ্ট করে, যাদের বেশিরভাগই যুবক, যার মধ্যে ১১৮ জন শিশু ছিল। বাংলাদেশের মানুষ তার ইতিহাসে এক পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে।

শেখ হাসিনার দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে বিদ্রোহের নেতৃত্বদানকারী এবং দেশকে মুক্তকারী ছাত্রনেতারা আমাকে আমাদের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।

বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিমসটেক অঞ্চলের আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সরাসরি আলাপচারিতা। ১৯৯৭ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হওয়ার পর থেকে বিমসটেক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমাদের আগমনের পর থেকে আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং আতিথেয়তা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বিমসটেক সচিবালয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মহাসচিব, রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।

মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে প্রাণহানির পর থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের সরকার এবং জনগণের প্রতি তিনি আন্তরিক সমবেদনা এবং গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের ভাই বোনদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। প্রিয়জনদের হারিয়েছেন এমন পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আমি নিশ্চিত যে আপনার (পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা) দৃঢ় নেতৃত্ব এবং সরকারের প্রচেষ্টার ফলে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদুল ফিতরের নয়দিনের ছুটিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে এবার রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন না অনেকে। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেও বাস টার্মিনালে যাত্রীচাপ কম দেখা গেছে। তবে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির হিসাব অনুযায়ী, এবার ঈদে বৃহত্তর ঢাকা থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ সড়কপথে এবং বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাতায়াত করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যাত্রীচাপ অনেক কম। বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় নেই, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনও দেখা যায়নি। তবে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, প্রতি ঈদের আগের চারদিনে গড়ে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। কিন্তু এবার সে চিত্র ভিন্ন। শ্যামলী, কল্যাণপুর ও মহাখালী বাস কাউন্টারে যাত্রীদের উপস্থিতি কম। কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার নাসিম জানান, এবার যাত্রীর চাপ নেই। সড়কের অবস্থাও ভালো, গাড়ি সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভিড় ছাড়াই মানুষ যেতে পারছে।

অনেকে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ঢাকা ছাড়তে চাইছেন না। গাবতলী বাস টার্মিনালে আবুল বাশার নামে এক যাত্রী জানান, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে ফাঁকা বাসা রেখে গেলে ফিরে কিছু পাওয়া যাবে না। তাই স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় রেখে একাই রংপুর যাচ্ছি। একইভাবে, মোশাররফ হোসেন নামে এক বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। পাশের বাসায় চুরি হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই।

ডিএমপি জানিয়েছে, ঈদের সময় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের বাজারে কড়া নজরদারি থাকবে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থানা-পুলিশ, পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ মিলে ১৫ হাজার পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আবাসিক এলাকায় টহল বাড়ানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে।

 


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




থানায় মামলা নিতে গড়িমসি

কদমতলীতে চাঁদার দাবিতে বিএনপি নেতাকে উলঙ্গ করে হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

রাজধানীর কদমতলীতে চাঁদার দাবিতে বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবিরকে উলঙ্গ করে সন্ত্রাসী হামলা করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাঈদ (৩২), সাদেক (৩০), ওমর ফারুক (৪০)কে এজাহার নামীয় এবং  অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে কদমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে হামলার শিকার হুমায়ুন কবির। 

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ৩০ মার্চ রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কদমতলীর মুজাহিদ নগর এলাকার বাসিন্দা বিএনপি নেতা হুমায়ুনের বাড়ীর কেচি-গেইটের তালা ও সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে বেদম মারধর করে এলাকার ২০/২৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এসময় তাকে বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এসময় তার নিকট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদাদ দিতে অস্বীকার করলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি পিটিয়ে এবং ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে  স্ত্রী- সন্তানসহ শতশত মানুষের সামনে তার পড়নের কাপড় ছিড়ে ফেলে উলঙ্গ এবং তার মুখের দাড়ি ছিড়ে ফেলা হয়। 


এক পর্যায়ে ঘরে থাকা ৩০ হাজার টাকা তাদেরকে দিয়ে বাকী টাকা পরে দেয়ার কথা বলে স্বামীকে প্রাণে রক্ষা করে হুমায়ূনের স্ত্রী। বাকী টাকা না দিলে তাকে হত্যাসহ মিথ্যা মামলা করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এদিকে মুজাহিদনগর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানায়,ঈদের আগের দিন রাতে সন্ত্রাসীরা হুমায়ুনের বাড়িতে ঢুকে শতশত মানুষের সামনে ও তার স্ত্রী- সন্তানের সামনে তাকে বেদম পিটিয়ে তাকে উলঙ্গ করা হয়েছে এবং তার দাঁড়ি ছিড়েছে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

উল্লেখ্য- হামালার শিকার বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ও তার ছেলে আওয়ামীলীগ শাসনামলে একাধিক মামলার আসামি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও হামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এ বিএনপি নেতা হুমায়ুন।

এদিকে থানায় কেন অভিযোগ করেছে হামলাকারীরা ১০/১৫ টি মোটরসাইকেল নিয়ে হুমায়ুনের বাড়ির সামনে মহড়া দিচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) শাফায়াত হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ব্যাংক করা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় চলছে এবং এ বিষয়ে আইনি ও নৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, যারা অর্থ পাচার করেছেন, তাদের জীবন কঠিন করে দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ অর্থ পাচার করার সাহস না পায়।

বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

গভর্নর আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি বড় ইসলামী ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে অনেকগুলো ছোট ইসলামী ব্যাংক রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই সমস্যাগ্রস্ত। এসব ব্যাংককে একীভূত করে শক্তিশালী দুটি ব্যাংক গড়ে তোলা হবে এবং ব্যাংক খাতে সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সমর্থন প্রয়োজন হবে।

এ সময় তিনি জানান, ব্যাংক খাতের সমস্যাগুলোর সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করার কাজ চলছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে এবং তদারকি বাড়ানোর জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যাতে ব্যাংক খাতের সমস্যা আগে থেকে জানা যায় এবং তা সমাধান করা যায়।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে আমানতকারীদের স্বার্থে পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং এসব ব্যাংকের পর্ষদে যোগ্য পরিচালক নির্ধারণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সমস্যাগ্রস্ত বেশিরভাগ ব্যাংক মূলধনের ঘাটতিতে রয়েছে এবং সেগুলোর অবস্থাও খুবই খারাপ। এসব ব্যাংক সংস্কারের জন্য কয়েক বছর সময় লাগবে। রাজনীতির পালাবদল হলেও এসব সংস্কারের সমর্থন প্রয়োজন হবে।


আরও খবর