Logo
শিরোনাম

সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি মানেই খোলামেলা আলোচনা। কেনো রাখডাখ না রেখেই সব বলে দিতে পারেন। সিনেমার মত তার ব্যক্তিগত জীবনও বেশ সিনেমাটিক। জীবনে বহু সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই আবেদনময়ী নায়িকা। আর কোনো সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তা নেই।

কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, জীবনে ছয়বার সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। স্বস্তিকার এই মন্তব্য ঘিরে নেটিজেনরা নানা চর্চা শুরু করেন। এবার সেসব চর্চার জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘৬টা নয়, আমি ৬০০ প্রেম করেছি, আগে ভুল বলেছি। ক্যাওড়াতলা যাওয়ার আগে আমি আরও একটা শূন্য এর সঙ্গে জুড়তে চাই। এটাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য।

চর্চা-সমালোচনার তোয়াক্কা করেন না অভিনেত্রী। তিনি বলেন, 'জীবন আমার। যদি মনে হয়, ছয় হাজার মানুষকে ভালোবাসব, তাহলে বেশ করবো। আমি তো বলছি না যে, ছয়জনকে মারব, খুন করব, তাদের গলা চিরে রক্ত খাব, ধর্ষণ করব, তাদের সঙ্গে জালিয়াতি করব বা কাজ করিয়ে পয়সা দেব না। আমাদের আশপাশে সমাজে তো এগুলোই হচ্ছে। প্রেম করব, তাতেও মানুষের সমস্যা! তাহলে যা হচ্ছে আশপাশে তা-ই হোক।

সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা, পুরুষরা এসব চর্চার বাইরে- এমন মন্তব্য করে অভিনেত্রী বলেন, ''ভালোবাসাটা কেন সমস্যা হবে? অবশ্য এটা মহিলা বলেই হয়। ছেলেরা করলে আমরা তাদের বলি, ‘হ্যাভিং অ্যা ওয়াইল্ড লাইফ'। ভীষণ দারুণ একটা জীবন। আর মেয়েরা করলে তাদের বেশ্যা বলে। মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা। ছেলেরা ৬টা প্রেম করলে লোকে বলে, ‘ভাই এলেম আছে।’ এই সমাজে আমরা বাস করছি।

অভিনেত্রীর মতে, মৃত্যুর আগে তিনি আরও প্রেম করতে চান। প্রচুর মানুষকে ভালোবাসতে চান। অনেক ভালোবাসা দেওয়ার আছে, তা দিতে চান। লিফলেটের মতো বিলি করতে চান। জীবনটা পরিপূর্ণ করেই মরতে চান এ অভিনেত্রী।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



ঢাকায় পরপর তিন দিনে তিন বড় সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় তিনটি দল ও সংগঠন পৃথকভাবে জনসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে ছুটির এই সময়ে শহরে জনসমাগম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বড় পরিসরে শ্রমিক সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এই সমাবেশ আয়োজন করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সমাবেশে রাজধানী ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

এর পরের দিন শুক্রবার (২ মে) বিকেল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

দলটির ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এতে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের উপস্থিতি হতে পারেন।

ছুটির তৃতীয় দিন শনিবার (৩ মে) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এক মাস ধরে এ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনটি।

মহাসমাবেশে হেফাজতের প্রধান দাবি হলো— তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৩০০টি মামলা প্রত্যাহার। এছাড়াও২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের মার্চ এবং ২০২৪ সালের বিভিন্ন ঘটনায় নিহতদের হত্যাকাণ্ডের বিচার, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপনসহ ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদ থাকবে আলোচনায়।


আরও খবর



শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শিশুটির মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে আজকে নির্মমভাবে হতা করা হয়েছে। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ।  

শিশুটির বাবারও আহামরি বয়স নয়। বড়জোর ৩০ হবে। এই লোক তার বড় ছেলে জিহাদকে একটি গ্যারেজে কাজ শেখার জন্য দিয়েছিলো। নিহত ছোট শিশুটির নাম আবু বকর সিদ্দিকী। শিশু শ্রেনীতে পড়তো।  

মিরপুর-১১, বাউনিয়াবাদ, ডি ব্লক পোড়া বস্তি পেরিয়ে 'আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিসিং সেন্টার'। এই গ্যারেজেই বড় ভাই জিহাদ কাজ করতো। 

শিশু আবু মাঝেমধ্যে এখানে স্কুল শেষে ভাইয়ের সাথেই থাকতো। বাইকে চড়ার বায়না করতো। শিশুর এই আচরণ  গ্যারেজ মালিকের চোখে দুষ্টুমি লেগেছে। ব্যাস শিশুর অপরাধ এইটুকুই। 

গ্যারেজের মালিক সুজন খান বড় ভাইকে পাউরুটি-চা আনার জন্য পাঠায়। আর এই ফাঁকে শিশু আবুবকরকে দুষ্টুমির শাস্তিসরূপ মলদ্বারে কর্মচারীদেরকে দিয়ে মেশিনের বাতাস প্রবেশ করায়। 

ফলাফল, মূহুর্তেই শিশুটির নাক মুখ দিয়ে খাবার বেরিয়ে যায় ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত। হাসপাতাল যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। 

এই ঘটনা ঘটানোর পর, হতাকারী শান্ত থাকেনি।

সমাধানের জন্য হতাকারী স্হানীয় রাজনৈতিক নেতাকে ধরেছে। তার মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়েছে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য।  

সবশেষ তিনজনের মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

আপনাদের মনে আছে কীনা জানিনা, এর আগেও ২০১৫ সালে খুলনায় রাকিব (১২) এবং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ইয়ামিন (১৩) নামের দুই কিশোরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ওই দুই কিশোর কারখানায় কাজ করত। 

এবং ২২ সালেও গাজীপুরে একই ঘটনা ঘটে ও একজন শিশু নিহত হয়। একই বছরে আরেক নারী শ্রমিককে এভাবে আহত করা হয়েছিলো।    

আমার চোখে, এতটুকু দুধের শিশুর প্রতি যারা সহিংসতা করে। এদেরকে আসলে আইনী সাজা দেওয়ার চেয়ে উপস্থিত সাজাই দেওয়া উত্তম। কারণ এসব নপুংসক মানুষ না। নরখোর। এদের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। 

প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, এই শিশুর হতাকারী তিনজনকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি যে বা যারা এখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শিশুর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক।

শিশু আবু বকর সিদ্দিকীর হতার বিচার চাই।


আরও খবর



নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে একমত ইসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, আনসার ও বিজিবি কোস্টগার্ডের সঙ্গে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ সংযোজন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিবের কাছে এসব প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। এতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় নতুন সংযোজনসহ বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের নির্ধারিত ছকে এসব প্রস্তাব পাঠানো হয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশের সঙ্গে ভিন্নমত ছিল নির্বাচন কমিশনের। গত ১৮ মার্চ দ্বিমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়। পরে সরকারের তরফ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে প্রস্তাব চাওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দেয় সরকার। সেখানে সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে মতামত চাওয়া হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০০১ সালের আগে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত কোনো বিধান আরপিওতে ছিল না। তারপরও ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও জেলা/থানা/উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়। ২০০১ সালের এক অধ্যাদেশে নির্বাচনে এনফোর্সিং এজেন্সির সংজ্ঞায় ডিফেন্স সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে তা বাদ দেওয়া হয়।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ যুক্ত করা হলে ভোটে সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে মোতায়েনের পথ প্রশস্ত হবে। ফলে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে কারও সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এতে ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হবে।

সূত্র জানায়, সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর মধ্যে ইসি, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের নয়টি বিষয় রয়েছে, যেসব বিষয়ে নির্বাচনের কমিশনের কাছে মতামত চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এগুলো হলোগণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সংশোধন), নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ (সংশোধন), নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা (স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক) পর্যবেক্ষণ ও সাংবাদিক নীতিমালা (সংশোধন), রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ (অভ্যন্তরীণ ও প্রবাসী), পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা।

সরকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে ইসির মতামতও তুলে ধরা হয়।

এ বিষয়ে সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আরপিও সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার বিষয়টি রয়েছে। এর মাধ্যমে আরপিওর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, আনসার, বিজিবি কোস্টগার্ডের সঙ্গে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ সংযোজন হবে। সরকারের সায় পেলে এর মাধ্যমে ১৫ বছর পর আরপিওতে এ সংস্কার আসবে।

ইসি সচিব বলেন, সুনির্দিষ্ট করে সব বলা সম্ভব নয়। ব্যালট পেপারে জলছাপের কথা (সুপারিশ)। এর সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। তাই এটা আমরা আশু বাস্তবায়নযোগ্য মনে করি না।


আরও খবর



নওগাঁয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭১৯ কেজি চাল জব্দ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৭শ' ১৯ কেজি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানা জানির পর লোকজনের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা যেন কোন ভাবেই পার না পায় সেই বিষয়ে প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। রাণীনগর

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান জানান, একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ চাল মজুদ আছে এমন খবর পেয়ে বুধবার রাতে উপজেলার পারইল ইউপির ধোপাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঐ বাড়িতে ৫০ কেজি ওজনের ৩৪ বস্তা চাল এবং ১৯ কেজি চালের একটি বস্তা পাওয়া যায়। তবে ঐ চালগুলো সরকারি কিনা তা তদন্তের পরই জানা সম্ভব। পরে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, জব্দকৃত সব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইটের। তিনি ও তার সহযোগীরা এসব চাল ঐ বাড়িতে রেখেছিল। এই চালের মূলহোতা ডিলার সুইট। চালের বস্তার পাশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের সরকারি খালি বস্তা পড়ে ছিল। আর চালগুলো অন্য প্লাষ্টিকের বস্তায় প্যাকেট করা ছিল। এমনকি রাতেই ঐ বাড়িতেই চাল মাপ করার কাজ চলছিল। এসব চাল বাহিরে বেশি দামে বিক্রির জন্য ঐ বাড়িতে রাখা হয়েছিল। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। বাড়ির মালিক আশরাফ আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। এসে জানতে পারি ডিলার সুইট আমার বাড়িতে চাল রেখেছে। আমি তাকে চাল নিয়ে যেতে বললে তিনি পরে নিয়ে যাবে বলে জানায়। এরপর আমি আর কিছু জানিনা।

উপজেলার বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইট বলেন, চালগুলো আমার না। বাড়ির মালিক আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।


আরও খবর



আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

শত বছরের প্রচলিত হাতে ঘুরানো তাঁতের চাকার বদলে এবার দেশে এসেছে আধুনিক মেশিন কোরিয়ার থেকে দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর জেলার এ প্রাচীন শিল্পটি ঘুরে দাঁড়ানোয় নতুন উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।ফলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি মিটছে চাহিদাও।

ঝালকাঠির সারাদেশে যেসব পণ্যে সুনাম আছে তার মধ্যে গামছা অন্যতম। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও সমাদৃত এ ঐতিহ্যবাহী তাঁতের গামছা। ৪০ বছর আগে শুরু হওয়া এ শিল্প এখনো টিকে আছে আজও।

ঝালকাঠির গনি মিয়ার গামছা সারাদেশেই একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে সেই গনি মিয়া এখন আর নেই। গনি মিয়ার মৃত্যুর পরে তার ছেলে নাসির উদ্দিন কয়েকবছর তাঁতে গামছা বুনে প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখছিলেন।

বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে নাসির উদ্দিন পৈত্রিক পেশার হাল ছেড়ে দেন। এক পর্যায়ে ওই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন গনি মিয়ার ভাইয়ের ছেলে খোকন মিয়া। এতদিন গামছা হাতে বোনা হতো। যার কারণে চাহিদা বেশি থাকলেও উৎপাদন হতো কম। এছাড়া হাতে বোনা তাঁতের সংখ্যাও এখন অনেক কম। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার ধরে রেখেছে পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য।পপরিস্থিতিতে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে গামছা শিল্প।

গামছা তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছে ঐতিহ্যবাহী গনি মিয়ার গামছা। প্রায় ৩/৪ বছর ধরে আধুনিক মেশিনে প্রস্তুত হচ্ছে গামছা।

পশ্চিম ঝালকাঠির কীর্ত্তীপাশা সড়কের রামনগরে গিয়ে দেখা যায়, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে গামছা তৈরি করছেন কারিগররা। প্রতিদিন এখন কারখানায় ২৫০টি গামছা উৎপাদন হচ্ছে।

কারিগররা জানান, ঝালকাঠির গামছা যাচ্ছে চট্টগ্রাম, নরসিংদী, চাঁদপুর, বরগুনা ও পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঝালকাঠির এ ঐতিহ্যবাহী গামছা দেশি-বিদেশি অতিথিদেরও দেওয়া হয় উপহার কিংবা উপঢৌকন হিসেবে। গামছা তৈরির কাঁচামাল আনা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজস্ব ডিজাইনাররা কারাখানায় বসেই ডিজাইন করছে বাহারি রঙের গামছার।

স্থানীয় ফয়সাল সঙ্গে কথা হলে , শৈশবে দেখেছি বাসন্ডা গ্রামে ঘরে ঘরে তাঁতে শাড়ি লুঙ্গি আর গামছা বোনা হতো। শতাধিক কারিগর পরিবারের প্রধান আয় ছিল এ শিল্প। তাঁতের খট খট শব্দে দিন-রাত মুখরিত ছিল। তবে তা এখন অতীত স্মৃতি। মাত্র দু-তিনটি পরিবার কেবল গামছা তৈরি করে বাপদাদার পেশা টিকিয়ে রেখেছে। দুই যুগে ধীরে ধীরে তাঁত বোনাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঝালকাঠির গামছা শিল্প। 

উদ্যোক্তা খোকন হোসেন বলেন, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় এ মেশিনে এখন প্রতিদিন কারখানায় ২৫০ গামছা উৎপাদন হচ্ছে খুব সহজেই। আর তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

পাকা রঙ এবং টেকসইসহ গুণগতমানে ঝালকাঠির গামছা দেশ সেরা দাবি করে উদ্যোক্তা খোকন আরও বলেন, দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এখানকার এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৮৫ টাকায় বিক্রি হয়।

ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. আল-আমীন বলেন , জেলার এ ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছিল। নতুন করে আধুনিক মেশিনের যাত্রায় তা আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আসলে মেশিনে উৎপাদন লাভজনক হয় ও সময় বাঁচায়। স্থানীয় এই প্রাচীন শিল্পটির প্রসারে উদ্যোক্তা ও কারিগরদের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


আরও খবর