Logo
শিরোনাম

স্মার্টফোন সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে হতে পারে বিপদ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

সারাদিনে স্মার্টফোন দিয়েই চলে নানান কাজ। আপদকালীন সময় হোক কিংবা অবসর সময় সব ক্ষেত্রেই সঙ্গ দেয় আমাদের স্মার্টফোন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনলাইন শপিং, সিনেমা, খবর, গেম হেন কোনও কাজ নেই যা স্মার্টফোনে করা যায়না। কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয় বিপদ।

স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় একাধিক ভুল কাজ করে থাকি আমরা। যা সময় থাকতে না শোধরালেই বিপদ। ডেকে আনতে পারে বড় অঙ্কের খরচ। তাছাড়া স্মার্টফোন অচল হয়ে পড়লে পুরো দুনিয়াটাই যেন অন্ধকার হয়ে যায়। সিনেমা, সোশ্যাল মিডিয়া তো দূর কারও খোঁজ টুকুও নেওয়া যায়না। তাই স্মার্টফোনের সঙ্গে এই 8 ভুল একদম নয়।

স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট এড়িয়ে যাওয়া

নতুন স্মার্টফোন কেনার পর অনেকেই আছেন যারা আপডেট বছরের পর বছর এড়িয়ে যান। মনে রাখতে হবে, এই সফটওয়্যার আপডেটে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া থাকে যা আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার ভাইরাস প্রবেশ করতে বাঁধা দেয়। পাশাপাশি পাওয়া যায় একগুচ্ছ নতুন ফিচার্স। যা আপনার স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করে। স্মার্টফোন হ্যাং হয়ে যাওয়াও বন্ধ হয়।

অ্যাপকে ফোনের সব পারমিশন দেওয়া

প্লে স্টোর থেকে নতুন অ্যাপ ইন্সটল করার পর সেটি বেশ কিছু জিনিসের অ্যাক্সেস চায় আপনার থেকে। কিছু হয় প্রয়োজনীয় যা ওই অ্যাপ অপারেট করার জন্য দরকার আবার কিছু থাকে অবাঞ্চিত। আর এখানেই ভুল করেন অধিকাংশ মানুষ। পারমিশনের নামে আপনার ফোনে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত ফাইলের অ্যাক্সেস পেয়ে যায় তারা। তাই নতুন অ্যাপ ইন্সটল করার আগে যাচাই করুন তারা কি কি পারমিশন চাইছে।

অন্যের চার্জার/ ক্যাবল ব্যবহার

অনেকে জেনেও এই ভুল করে থাকেন। অন্যের চার্জারে নিজের স্মার্টফোন চার্জ দিলে ক্ষতি হতে পারে ব্যাটারি। চোখে না পড়লেও ভিতর ভিতর বিকল হয়ে যায় ফোনের হৃদপিন্ড। বর্তমানে অধিকাংশ ফোনে ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করা হয়। তা সত্ত্বেও অন্য প্রযুক্তির চার্জার দিয়ে চার্জ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। স্মার্টফোনের আয়ু কমে যেতে পারে এর ফলে।

সারা রাত চার্জিং

আরও একটি কমন ভুল। যা স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রায় সকলেই করেছেন। বর্তমানে একাধিক ফোনে ব্যাটারি হেলথ নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি থাকলেও এই অভ্যাস একদমই ভালো না। কারণ সারা রাত চার্জিংয়ের ফলে ফোনের ব্যাটারি হিট হয়ে যেতে পারে। পূর্বে বহু ঘটনা ঘটেছে যেখানে সারা রাত চার্জিংয়ের ফলে বোমার মতো ফেটে গিয়েছে স্মার্টফোন। তাছাড়া এই অভ্যাস চলতে থাকলে ফোনের ব্যাটারি বেশিদিন টেকে না।

ব্যাকআপ এড়িয়ে যাওয়া

সারা দিনে কত ছবি, ফাইল জমা হয় স্মার্টফোনে। সেগুলি আর অনন্তকাল ধরে স্মার্টফোনে সেভ থাকে না। তাই ফাইল ব্যাকআপ করার অপশন দেওয়া হয়। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস দুই অপারেটিং সিস্টেমেই এই সুবিধা পাওয়া যায়। গুরুত্বপূর্ণ ছবি, ফাইল সেভ করে রাখার জন্য সেগুলি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্যাকআপ করে রাখা উচিত।

অবিশ্বস্ত সোর্স থেকে ডাউনলোড

অনেক অ্যাপ আছে যেগুলি বিশ্বস্ত সোর্স যেমন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় না। যেমন এপিকে (APK) ফাইল। এগুলিকে থার্ড পার্টি অ্যাপ বলা হয়। টেক বিশেষজ্ঞদের মতে, অবিশ্বস্ত সোর্স থেকে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল করা উচিত নয়। কারণ এর মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপে ম্যালওয়্যার ভাইরাস থাকে যা আপনার ফোনের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নেয়। অ্যাপেল থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করার অনুমতি দেয়না। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে করা যায় তাই আপনাকেই সতর্ক থাকতে হবে।

পাবলিক ওয়াইফাই

পাবলিক ওয়াইফাই পেলেই হুড়মুড়িয়ে শুরু হয় ইন্টারনেট ব্যবহার। কিন্তু এখানেও লুকিয়ে থাকে বিপদ। বেশকিছু পাবলিক ওয়াইফাই-এ ম্যালওয়্যার থাকতে পারে যা আপনার ফোনে ইন্সটল ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। ব্যবহারকারী বুঝতে না পারলেও তার অগোচরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তাই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় সাবধান থাকুন।

সারাদিন ব্লুটুথ অন

ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করার জন্য অনেক ক্ষন ধরে ব্লুটুথ অন করে রাখতে হয়। কিন্তু এর ফলেও আপনার ফোন হ্যাকিংয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই ইয়ারফোন ব্যবহার না করলে ব্লুটুথ অফ করে রাখুন।

 


আরও খবর

মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ

সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় নিয়োগ না পেয়েও 'ব্যানবেইসে' শিক্ষক হিসেবে তথ্য.?

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিদ্যামাধুরী শিক্ষায়তন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ না পেলেও বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর ঘরে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের এক জনের নাম আপলোড করা হয়েছে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে কখনোই নিয়োগ পাননি। তবে অভিযোগ উঠেছে ব্যাকডেটে তার নিয়োগ দেখানো হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পরিমল রায় দাবী করেন ভুলবসত তার নাম গিয়েছে। 

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, বিদ্যামাধুরী বিদ্যায়তন বালিকা বিদ্যালয়টিয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত। নবম ও দশম শ্রেণীর এমপিওভুক্ত হয়নি। এরমধ্যে গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে ব্যাকডেটে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তার দুইদিন পর ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ভারতী রাণী ও ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তার স্বামী পরিমল রায় দাবী করেন তাদের প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে কোন শিক্ষককে তারা নিয়োগ দেননি। তাদের প্রতিষ্ঠানে ওই পদ শুন্য রয়েছে। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাজিরা খাতায় ও ব্যানবেইজের তথ্য ফরমে ফারুক হোসেন নামের কোন শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রধান শিক্ষকের ম্যাসেঞ্জার থেকে প্রতিনিধির ম্যাসেঞ্জারে এ সব তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করলে তিনি ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিধিকে তথ্যগুলো প্রেরণ করেন। যা প্রতিনিধির ম্যাসেঞ্জারে বিদ্যমান। এরপর প্রতিনিধির হাতে আসা গত বছরের আপলোডকৃত ব্যানবেইস-এ শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য।  সেখানে দেখা যায় ফারুক হোসেনকে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে গত ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে যোগদান দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ২০২১ সালের ৩১ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ পদে নিয়োগের লক্ষে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কে। তারপর থেকে এ পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

এবিষয়ে ২০২২ সালের ৭জানুয়ারি ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, তিনি বিদ্যামাধুরী বিদ্যায়তন বালিকা বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের পদে নিয়োগ নেননি। তিনি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নয়। তিনি তার পূর্বে থেকে একটি এনজিওতে কর্মরত অবস্থায় রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। বর্তমানে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটা বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণী বলেন ফারুক হোসেনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রেগুলার নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক নন। তাহলে ব্যানবেইজে শিক্ষক হিসাবে তার নাম কিভাবে আসলো?  সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কিভাবে তার নাম এসেছে এবিষয়ে দেখে জানাবো। তবে তিনি কবে জানাবেন তা নির্দিষ্ট করে বলতে বললে রেগে যান।

বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিমল রায় বলেন, তাকে আরও আগে থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবার ভুলবসত হয়তো শিক্ষক হিসাবে তার নাম ব্যানবেইজে আপলোড হয়েছে। এরপর ব্যানবেইজ থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, আমি এই উপজেলায় ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি যোগদান করি। তখন থেকে এ পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আর ব্যানবেইসে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেনের তথ্য কিভাবে আপলোড করলো তা আমি জানিনা। তথ্য আপলোড করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানের। নিয়োগ না নিয়েও তিনি কিভাবে তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে একজনের নাম সংযুক্ত করলেন তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।


আরও খবর



দশমনিায় ৫০তম গ্রীস্মকালীন খেলাধুলার উদ্ধোধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন (পটুয়াখালী) দশমিনা,প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে বুধবার সকাল ১১ টায়এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৫০ তম গ্রীস্মকালীন খেলাধুলার শুভউদ্ধোধন করা হয়।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধানঅতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিন সৈকত, এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিআসাদুল হক হাওলাদার, দক্ষিন দশমিনা দাখিল মাদ্রসার সভাপতি শাহমেয়াজ্জেম হোসেন সুমন সিকদার, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতিকাজী আনোয়ার, ভ্যানু প্রধান কাওসার হোসেন, ডাঃ ডলি আকবরমহিলা কলেজের প্রভাষক(শারীরিক শিক্ষক) মোঃ বেল্লাল হোসেন সহবিভিন্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অংশ গ্রহনকারি শিক্ষার্থী।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশিশরীরচর্চার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ৫০ তম স্কুল, মাদ্রাসা ওকারিগরি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার আয়োজ করা হয়। এর মাধ্যমেশিক্ষার্থীদের শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রাণীনগরে চোরাই বাইসাইকেলসহ যুবক আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে দু‘টি চোরাই বাইসাইকেলসহ রবিউল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। রবিউল উপজেলার পারইল লস্কর এলাকার সাইজার রহমানের ছেলে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সেলিম রেজা জানান,সোমবার রাতে উপজেলার লস্করের মোড়ে চোরাই বাইসাইকেল বিক্রি হচ্ছিল। এসময় স্থানীয় লোকজন রবিউল ইসলামকে চোরাই একটি হিরো বেবি বাইসাইকেল এবং একটি দুরন্ত বাইসাইকেলসহ আটক করে। পরে পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তবে ঘটনার সাথে জড়িত আরো একজন পালিয়ে যায়। এঘটনায় থানার এসআই কিশোর কুমার পাল বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। কর্মকর্তা আরো জানান,আটক রবিউল একজন পেশাদার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে বিভিন্ন এলাকায় বাইসাইকেল চুরি করে বিক্রি করে থাকে।


আরও খবর



বাজার সিন্ডিকেটে বন্দি সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লাগামহীনভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হলেও বাজারে এর তেমন প্রভাব নেই। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ। নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি মূল্যে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন এসব পণ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। সরকারকে কঠোরভাবে এদের দমন করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। মাঝেমধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ীরা জরিমানা করা হলে পরে আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে তিনটি পণ্য ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয় সরকার।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো পণ্য তিনটির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা আর ডিমের পিস সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। জরুরি এই তিন পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা। সরকারের ঘোষণার আগেও এই দামে বিক্রি হয়েছিল এসব পণ্য।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার দাম ঘোষণা করলেও পাইকারি বাজারে সেই দামে কিনতে পারছেন না তারা।

রাজধানীর মুগদা এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে আগে যে দাম ছিল এখনও সেই দামই আছে। আমরা কমে কিনতে পারলে তো বিক্রি করতে সমস্যা নাই। প্রতি কেজি আলুতে চার টাকা লাভ করতে পারলেই আমাদের আর লাগে না। কিন্তু সেটাও তো পারছি না।

একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দাম বেশি হওয়ায় আমাদের কাস্টমারও কমে গেছে। যেই লোক আগে আলু কিনত দুই কেজি, সে এখন এক কেজি কিনে। আগে প্রতিদিন দুই বস্তা আলু বেচতাম। এখন এক বস্তাই বিক্রি হয় না। আবার লাভও কম হচ্ছে। সরকার যেই জায়গায় ধরার দরকার সেই জায়গায় ধরলেই তো হয়।

ডিমের বাজারেও সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামের প্রভাব নেই। বেঁধে দেওয়া দামে ডিমের ডজন ১৪৪ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে।

মুগদা এলাকার মুদি দোকানদার মিঠু বলেন, ডিমে তো লাভ হয় না। এক খাঁচা ডিম বিক্রি কইরা ২০-৩০ টাকাও লাভ করতে পারি না। রাখছি শুধু কাস্টমার ধরার লাইগা।

৭৫ টাকার নিচে নেই দেশি পেঁয়াজ। তবে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। কিছু আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতাদেরও একই কথা। আড়তে দাম কমেনি। তাই তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার তো সব কিছু বিবেচনা করে হিসাব নিকাশ করেই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখন নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে স্বাভাবিক মুনাফা হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তো স্বাভাবিক লাভে আগ্রহী না। বেশি লাভ করতে চায়। এখন ব্যবসায়ীদের এই প্রবণতা যদি বন্ধ না হয়, তবে যেখানে থেকে উৎপাদন হয় অথবা যেখান থেকে পণ্য ছাড় হয় সেখানে মূল্যটা প্রথম ঠিক করতে হবে। সাপ্লাই চেইন যদি ঠিক রাখা যায়, তবে পাইকারে খুচরা পর্যায়ে একটু তত্ত্বাবধায়ন করলেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে। কড়াভাবে বলছে, শুধু বললেই হবে না। কড়াভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাজার শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আপনারা নিজেরাই দেখতেছেন আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ডিজি স্যার নিজেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযানে যাচ্ছেন, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমরা নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় স্কুল শিক্ষকের দু' পায়ের রগ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে আবুল হোসেন (৫২) নামে এক শিক্ষকের দু' পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আত্রাই এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচপুর মোড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। আবুল হোসেন আত্রাই উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং জগদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিক্ষক আবুল হোসেন স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাঁচুপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার পথ রোধ করে মারপিট করে দু' পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আনিসুর রহমান বলেন, আজ বিকেলে স্কুল ছুটির পর ঐ শিক্ষক বাসায় যাওয়ার পথে তার উপর দূর্বৃত্তরা হামলা চালায় বলে শুনেছি। তিনি এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ কেউ করেনি।


আরও খবর