Logo
শিরোনাম

সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো একটা নির্বাচন উপহার দেবে। আমরা তাদের একটি অ্যাসিড টেস্ট দেখতে চাই।

তারা জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা দিক। আমরা দেখি তাদের সদিচ্ছা ও সক্ষমতা কতটুকু। যদি এতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে জনগণ আপনাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেবে। আর কোনো কিছু ধরা পড়লে জনগণ লালকার্ড দেখাবে। ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতের কর্মীসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অতীতে যা চলল এখনো যদি তাই চলে, তাহলে এত রক্ত কেন ঝরল। এত জীবন গেল কেন। এ জাতির কাছে আমরা কীভাবে মুখ দেখাব। জঞ্জালমুক্ত, কলুষমুক্ত, দুঃশাসনমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনে আমরা আরেকবার জীবন দিয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকব। আমরা কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ আমরা মানব না। আমরা জনগণের সুবিধা দেওয়ার সব সুপারিশ মেনে নেব।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে দল ও ধর্মের মধ্যে কোনো অধিকারের ব্যবধান থাকবে না। দেশে সবার অধিকার ভোগ করা ন্যায্যতা থাকবে। আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও দুঃশাসনমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ চাই। সেই বাংলাদেশ অবশ্যই হতে হবে আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে। আল কুরআনের ভিত্তিতে।

ঐক্যের শক্তিতে বিজয় আসবে জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা দলকে ক্ষমতায় বসানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এ বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিধানকে মানুষের কাছে সামাজিকভাবে উপহার দেওয়া হবে। সোনার মানুষ গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। সমাজে ন্যায়বিচার কায়েম করতে হলে নিজের ওপর ইনসাফ তৈরি করতে হবে। আল্লাহকে ভয় করতে হবে।

নতুন রাজনীতির উত্থানে তরুণদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত তোমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হবে তোমরা এ লড়াই থেকে বিশ্রাম নিও না। তোমরা হবে আমাদের আগামীর নেতা। আমরা হব তোমাদের কর্মী। আমরা তোমাদের দেশ ও জাতির খেদমত করার সুযোগ করে দিতে চাই।

জামায়াতে আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, তাদের দোসর ও প্রশাসনে কিছু কর্মকর্তা দেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ টাকা দেশের বাজেটের প্রায় চার থেকে পাঁচ গুণ।

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘সরকারে যারা আছে সবার দৃষ্টিভঙ্গি সমান না। এটা কোনো দলীয় আদলের সরকারও না। কেউ কেউ থাকে মক্কার দিকে, আবার কেউ কেউ থাকে মস্কোর দিকে। এই দোটানা অবস্থায় জাতির মাঝে মাঝে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়।

নারী অধিকার সংস্কারের প্রতিবেদনের কথা টেনে ডা. শফিকুর বলেন, ‘সে রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কুরআন ও সুন্নাতের সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম কথা হচ্ছে, যে কয়েকজন এ সুপারিশ পেশ করেছেন তারা এ দেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা সমাজকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে চান, আমরা সে জায়গায় তাদের নিতে দেব না ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

মডেল মেঘনা আলমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন তিনি। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মেঘনার পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। যেই অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। শুধু হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি মহিলা বিবেচনায় জামিন পেতে পারেন। যেকোনও শর্তে তার জামিন প্রার্থনা করছি।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশিয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে চক্রটি। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক মর্মে জানা যায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এছাড়া আগে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিভিন্ন আকর্ষণীয়, স্মার্ট মেয়েদের তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করতো এবং দেওয়ান সমির তার ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন কুটনীতিকদের টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করে থাকে।


আরও খবর



হাইকোর্টে জামিন পেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে এ জামিন দেন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন চেয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দিয়েছিলেন।তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা ওই রুলে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাবেশ আয়োজন করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। এ সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে সামনে আসেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। ওই সমাবেশের পর গত বছরের ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। চিন্ময় ছাড়াও মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।

পরে গত বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় দাসকে গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পরদিন ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করে তার অনুসারীরা।

গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। 


আরও খবর



শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শিশুটির মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে আজকে নির্মমভাবে হতা করা হয়েছে। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ।  

শিশুটির বাবারও আহামরি বয়স নয়। বড়জোর ৩০ হবে। এই লোক তার বড় ছেলে জিহাদকে একটি গ্যারেজে কাজ শেখার জন্য দিয়েছিলো। নিহত ছোট শিশুটির নাম আবু বকর সিদ্দিকী। শিশু শ্রেনীতে পড়তো।  

মিরপুর-১১, বাউনিয়াবাদ, ডি ব্লক পোড়া বস্তি পেরিয়ে 'আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিসিং সেন্টার'। এই গ্যারেজেই বড় ভাই জিহাদ কাজ করতো। 

শিশু আবু মাঝেমধ্যে এখানে স্কুল শেষে ভাইয়ের সাথেই থাকতো। বাইকে চড়ার বায়না করতো। শিশুর এই আচরণ  গ্যারেজ মালিকের চোখে দুষ্টুমি লেগেছে। ব্যাস শিশুর অপরাধ এইটুকুই। 

গ্যারেজের মালিক সুজন খান বড় ভাইকে পাউরুটি-চা আনার জন্য পাঠায়। আর এই ফাঁকে শিশু আবুবকরকে দুষ্টুমির শাস্তিসরূপ মলদ্বারে কর্মচারীদেরকে দিয়ে মেশিনের বাতাস প্রবেশ করায়। 

ফলাফল, মূহুর্তেই শিশুটির নাক মুখ দিয়ে খাবার বেরিয়ে যায় ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত। হাসপাতাল যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। 

এই ঘটনা ঘটানোর পর, হতাকারী শান্ত থাকেনি।

সমাধানের জন্য হতাকারী স্হানীয় রাজনৈতিক নেতাকে ধরেছে। তার মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়েছে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য।  

সবশেষ তিনজনের মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

আপনাদের মনে আছে কীনা জানিনা, এর আগেও ২০১৫ সালে খুলনায় রাকিব (১২) এবং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ইয়ামিন (১৩) নামের দুই কিশোরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ওই দুই কিশোর কারখানায় কাজ করত। 

এবং ২২ সালেও গাজীপুরে একই ঘটনা ঘটে ও একজন শিশু নিহত হয়। একই বছরে আরেক নারী শ্রমিককে এভাবে আহত করা হয়েছিলো।    

আমার চোখে, এতটুকু দুধের শিশুর প্রতি যারা সহিংসতা করে। এদেরকে আসলে আইনী সাজা দেওয়ার চেয়ে উপস্থিত সাজাই দেওয়া উত্তম। কারণ এসব নপুংসক মানুষ না। নরখোর। এদের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। 

প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, এই শিশুর হতাকারী তিনজনকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি যে বা যারা এখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শিশুর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক।

শিশু আবু বকর সিদ্দিকীর হতার বিচার চাই।


আরও খবর



সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার, এ দৃশ্যমান হতে হবে; আর একটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার- এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।

আজ শনিবার লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু এটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন চাই, কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য অবশ্যই নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাসের দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে। আমাদের ভালো কেড়ে নিলে ভারতকে চিন্তা করতে হবে তারা ভালো থাকবে কিনা।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনো কিছু কু-রাজনীতক চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে। এ সময় জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও কাজের ব্যবস্থা করবে বলে জানান তিনি।পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ লালমনিরহাটের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

দেশবাসীর উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন চাই না। টুকরা টুকরা জাতি চাই না। আমরা মাইনরিটি মেজরিটি শব্দই শুনতে চাই না।এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও বলেছে এই কথাগুলো বলে বলেই আমাদের শোষণ করা হয়েছে। আমরাও চাই না।

তিনি বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই দেশকে গড়ে তুলব। নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তারা নিরাপদভাবেই ঘরে থাকবেন, বাইরে যাবেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। যুবকদের হাত কাজের হাতে পরিণত করব। সেই অপেক্ষায় আছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য জীবন দেব, তবুও দেশের সার্বভৌমত্ব দেব না। কারও লাল চোখের দিকে আর আমরা তাকাব না। আমাদের দিকে যদি কেউ লাল চোখ তুলে তাকায় তাও আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারও হাতে বন্দী হওয়ার জন্য না। বরং সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই বৈষম্যহীন মানবিক সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, এটা কী আপনারা সবাই চান যেদিন এই দেশে ইনসাফ ন্যায়বিচার কায়েম হবে। আমরা সেই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য আপনাদের ভালবাসা দরকার, দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই, ইতিবাচক সমালোচনাও চাই।আমরা বিভেদহীন জাতি চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি নিয়ে সামনে এগুতে চাই।

এর আগে জনসভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে এসে উপস্থিত হন।জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কালেক্টরেট মাঠ ছাড়াও শহরের অপর একটি মাঠে মহিলাদের জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়।

জেলা জামায়াতে ইসলামির আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও এ সময় জনসভায় বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



আত্রাইয়ের পতিসরে পালিত হবে কবি গুরুর ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)  : 

কাল ২৫বৈশাখ (৮মে) নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিসর বিশ্ব কবি স্মৃতিবিজড়িত কাছারি বাড়িতে পালিত হচ্ছে কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে এখানে ৩দিন ব্যপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এক সময় এই কাছারি বাড়িতেই কবিগুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন জমিদারির কাজের অংশ হিসেবেএবং এখানেই বসে অসংখ্য গান,কবিতা রচনা করেছেন তিনি। সেই স্মৃতি আজও বয়ে বেড়ায় প্রতিসরের মানুষ। রবীন্দ্রজয়ন্তীর উৎসবমুখর অনুষ্ঠানকে ঘিরে পতিসরের আশপাশের গ্রামগুলোতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। নওগাঁর রাণীনগর, আত্রাই, নাটোরের সদর উপজেলা এবং বগুড়ার আদমদীঘি ও নন্দীগ্রাম উপজেলার গ্রামগুলোতে এই উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, কবিগুরুর জন্ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এবার কেন্দ্রীয় ভাবে কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না কাচারীবাড়ি পতিসরে। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় ভাবে তিন দিনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রথমে দিনে বরীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন  রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি‘র। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম,।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ,বগুড়া সরকারী মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.মো: বেলাল গেহাসেন ও নওগাঁ সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শামসুল আলম আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল । এছাড়া দেবেন্দ্র মঞ্চে জেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজ সংস্কৃতি ও স্থানীয় বরীন্দ্র গবেষকদের অংশগ্রহণে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা শেষে জেলা, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর নিয়মিত শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকছে বরীন্দ্র সংগীত।

  এছাড়া স্থানীয় একটি কলেজ মাঠে ঐতিহ্য হিসেবে তিনদিন স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন বরীন্দ্র মেলার আয়োজন করেছে। যেখানে মাছের মেলা, জামাই মেলাসহ অন্যান্য গ্রামীন লোকজ সংস্কৃতির পসরা থাকছে। মেলায় শিশুদের জন্য থাকছে আকর্ষনীয় বিভিন্ন আয়োজন। থাকবে সাকার্স,  মোটরসাইকেল খেলা, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন আয়োজন।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতায় জন্ম গ্রহন করেন। এই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িই ছিল তাঁর শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং সাহিত্যচর্চার সূচনাস্থল। তিনি ১৮৯১ খ্রিষ্ট্রাব্দে জানুয়ারী মাসে প্রথম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে আগমন করেন এবং ২৭জুলাই ১৯৩৭খ্রিষ্ট্রাব্দে শেষ বারের মতো পতিসরে আগমন করেছিলেন।


আরও খবর