Logo
শিরোনাম

শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অফিসের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুয়াশার স্থায়ীত্ব কিছুটা কমায় দেখা মিলেছে সূর্যের। ফলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটি বেড়েছে। আরও বাড়ার আভাস রয়েছে। তবে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচদিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

দিন ও রাতের তাপমাত্রায় পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিলোমিটার।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




ছাত্র রাজনীতি ইস্যুতে উত্তপ্ত বুয়েট ক্যাম্পাস ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু :

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ প্রত্যক্ষ করে  আমার মানসপটে ভেসে উঠছে  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুঃসহ স্মৃতি।   আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।  ইসলামি সম্মেলন সংস্হা (ওআইসি'র) আর্থিক সহযোযিতায়  বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার সন্নিকটে  গাজীপুরের বোর্ড বাজারে (বর্তমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে  বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং  আমি ছিলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয় আশির দশকে  যেখানে ছাত্র  ভর্তির  নুন্যতম যোগ্যতা ছিল  ৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ অন্তত  একটিতে প্রথম বিভাগ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  ভর্তির আবেদনই করা যেত নাা। সে সময় বুয়েট এবং  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ভর্তির নুন্যতম যোগ্যতা ছিল ৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ এসএসসি এবং  এইচএসসিতে দ্ধীতিয় বিভাগ থাকলেই বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সুযোগ ছিল কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি অথবা এইচএসসি'র যে কোন একটিতে প্রথম বিভাগ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনই করা,যেতো না। সুতরাং  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন  দেশের সেরা ছাত্ররাই  শুধু ভর্তির সুযোগ পেতো।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ভর্তি ফরমের সাথে আরেকটি ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি করব না মর্মে আমাদের কাছে থেকে একটি অঙ্গীকারনামা নেওয়া হতো। সে ফরমে ছাত্রদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরকেও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হতো। তখন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে  ছাত্র ভর্তি করা হতো না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের কিছু অদ্ভুত কালাকানুন দেখে আমরা অবাক হয়েছিলাম। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে  ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার নামে প্রকারন্তে ধর্মান্ধ,উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তাদের অপরাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে। রাজনীতি বন্ধের নামে জামাত-শিবিরকে মসজিদ কেন্দ্রিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ, ছাত্রী ও অমুসলিমদের ভর্তি নিষিদ্ধ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ, বিশেষ বিশেষ  দিবসে ছাত্রদের পায়জামা পাঞ্জাবি পরিধান বাধ্যতামুলক করা প্রভৃতি। এসবই করা হয়েছিল ধর্মান্ধ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য । আমরা ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষের এসব কালাকানুন বাতিল করতে বাধ্য করেছিলাম। কর্তৃপক্ষের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলাম। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ডিপার্টমেন্ট চালু,ছাত্রী ও অমুসলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করতে বাধ্য করেছিলাম। অবশ্য এজন্য আমাদের চরম মুল্য দিতে হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের কয়েকজনকে  বহিষ্কার করা হয়েছিল। ডজন ডজন মামলায় চরম হয়রানি ও কারাভোগ করতে হয়েছিল। শুধু তাই নয় অন্তত তিনবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে  আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের  মুক্ত জ্ঞান চর্চার অন্যতম বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে। 

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ দেখে আজ থেকে প্রায় চার দশক  আগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের সেই অপতৎপরতার কথা মনে পড়ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সেই  কুট কৌশলের সাথে আজকের  বুয়েট কতৃপক্ষের অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বুয়েট  বাংলাদেশের মেধাবীদের চারণভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের গৌরবোজ্জল ভূমি রয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলন  থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং  তৎপরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদেশের ছাত্র আন্দোলনের স্বর্ণোজ্জল ইতিহাস রয়েছে। এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই বর্তমান ছাত্র রাজনীতি তার জৌলুশ হারিয়েছে। ছাত্রনেতাদের কিছু  নেতিবাচক কর্মকান্ড ছাত্ররাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করেছে। এখন মেধাবি ও দেশপ্রেমিক  ছাত্রনেতাদের  সম্পৃক্ত করে ছাত্ররাজনীতিকে  গৌরবোজ্জ্বল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে মুক্ত জ্ঞান চর্চার সুযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন। তবে এটাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে ছাত্ররাজনীতির নামে বুয়েটে আর যেন কোন মায়ের কোল খালি না হয়।


আরও খবর



মানিকদির ‘আতঙ্ক’ নাজিমের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার এলাকারআতঙ্কনাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না অন্তত ৩০ মামলা অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হলেও জমি দখল, হামলা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ চলছে সমান তালে তার বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকাবাসীর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক হাজার টাকা বেতনে ভাঙারীর দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন

জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড তার কর্মকান্ড দিনদিন এতোই ভয়ংকর হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে

এলাকাবাসী জানায়, সমপ্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তাসহ জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি কেনেন নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে জমির কাছে গেলেই লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে নাজিমের বিরুদ্ধে


অপর এক মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে তার জমি দখল করে নেয় এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন এই সন্ত্রাসী দলে এলাকার কিছু কিশোর বয়সি ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়াও রয়েছে জমি দখলে জাল দলিল দেখিয়ে তার নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. কোম্পানির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয় এছাড়াও লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানী মামলা করলে আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক সময় অভিযানে আসা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন


তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া সবসময় গণমাধ্যমকে বলে এসেছেন অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে সবশেষ মারওয়া টাওয়ারে অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে তোপের মুখে ফেলার বিষয়ে বলেছেন, রাজউকের উচিত ছিল তাকে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার সুযোগ দেয়া


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানায় বদলির অনলাইন কার্যক্রম শনিবার (৩০ মার্চ) শুরু হবে। যা চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষকেরা অনলাইনে বদলির আবেদন করবেন। ২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক আবেদন যাচাই করবেন। ৩ ও ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসাররা আবেদন যাচাই শেষ করবেন। ৫ থেকে ৭ এপ্রিল উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসাররা আবেদন যাচাই ও অগ্রবতি শেষ করবেন।

আরও বলা হয়, ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহকারী শিক্ষকের আবেদন যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের আবেদন যাচাই ও অগ্রগতি সম্পন্ন করবেন। ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল বিভাগীয় উপপরিচালক আবেদন যাচাই ও অনুমোদন করবেন।

শিক্ষকদের বদলির আবেদনের বিষয়ে একাধিক শর্ত দিয়েছে অধিদপ্তর। শর্ত হয়েছে বলা হয়েছে, শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে একটি বা দুটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তী সময় কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আবেদনকারী শিক্ষকের পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর পছন্দকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। তাই কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয় ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। এত দিন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বদলি নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল। এর আগে ওই বছরের ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) উদ্বোধন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।

 


আরও খবর



পার্বত্য চট্টগ্রামের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙিন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।


আরও খবর



বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : তদন্ত প্রতিবেদনে যা জানা গেল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে তারা।

ফায়ার সার্ভিসের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবনের নিচ তলায় থাকা চা চুমুক কফি শপের ইলেকট্রিক কেটলির শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এর মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মূলত ভবনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট গ্যাস জমে থাকার কারণেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া গেছে যে হোটেলে যেখানে বসে মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো, সেখানেও রাখা ছিল সিলিন্ডার। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি, সেটাও স্টোর রুম বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সিলিন্ডারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভর্তি করে রাখা ছিল সেখানে। এ ছাড়া ভবনের রুফটপও উন্মুক্ত ছিল না। মসজিদের পাশাপাশি অফিসসহ আরও কিছু মালামাল ছিল সেখানে।

তদন্তে আরও উঠে আসে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যে ধরনের নকশার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটা পুরোটাই পাল্টে ওই ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। ২০০৩ এর আইন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ট্রেনিংই তারা নেননি। মোটকথা, যতগুলো অনিয়ম করা যায় সবগুলো অনিয়ম ওই ভবনে ছিল। ভেন্টিলেশন পর্যন্ত ছিল না ভবনটিতে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৪৬ জন। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হন। ভবনের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অনেক রেস্তোরাঁ, কফি শপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর সংখ্যাই ছিল বেশি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হতো ভোজনপ্রেমীদের। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না ভবনটিতে।

ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, এ ধরনের ভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার গ্যালন পানি ধারণক্ষমতার ওয়াটার রিজার্ভার না থাকলে আমরা ছাড়পত্র দিই না। কিন্তু সেখানে পানির ক্যাপাসিটি মাত্র ১০ হাজার গ্যালন। পানি ছিল আরও কম।

ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ২০০৩ এবং রাজউক থেকে অনুমোদন করা নকশা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪