Logo
শিরোনাম

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (কেবলা ক্বাবা ) জীবনি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কেবলা ক্বাবা ) মাইজভান্ডারী এর জন্ম হয় ১৮২৬ সালে আর মৃত্যু বরণ করেন ১৯০৬ সালে তিনি হলেন মাইজভান্ডারী তরীকার প্রতিষ্ঠাতা । সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ছিলেন একজন সুফি সাধক বা পীর । তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বেশি পরিচিত । তার অনুসারীগণ শুরু হতে যে সকল প্রচার প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপানো হয়েছে তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা ক্বাবা কাদ্দাছাল্লাহু ছিরহুল আজিজ (কঃ) লেখা আছে । তাছাড়াও তিনি গাউছুল আজম, হযরত কেবলা, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, বড় মৌলানা, খাতেমুল অলদ, শাই এ লিল্লাহ্ ইত্যাদি উপনামেও বিশেষভাবে পরিচিত বলে একধিক ভাষায় লিখিত বিভিন্ন লেখকের বই এবং নিবন্ধে উল্লেখ আছে ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী পহেলা মাঘ ১২৩৩ বাংলা সন , ইংরেজীতে ১৮২৬ সালের ১৫ই জানুয়ারী বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহর হতে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে তৎকালীন প্রত্যন্ত মাইজভান্ডার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন । তার পিতার নাম সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভান্ডারী আর মাতার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেছা । তার পারিবারিক নাম ছিল সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ।

আহমদ উল্লাহর পুর্ব পুরুষ সৈয়দ হামিদ উদ্দিন গৌড় নগরে ইমাম এবং কাজীর পদে নিয়োজিত ছিলেন । গৌড় নগরে মহামারীর কারণে ১৫৭৫ সালে চট্রগ্রামের পটিয়া থানার কাঞ্চন নগরে বসতি স্হাপন করেন । তার নামানুসারে হামিদ গাঁও নামে একটি গ্রামও আছে । তার এক পু্ত্র সৈয়দ আব্দুল কাদের ফটিকছড়ি থানার আজিমনগর গ্রামে ইমামতি উপলক্ষে এসে বসতি স্হাপন করেন । তার পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল্লাহর এবং পুত্র সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভাণ্ডার গ্রামে এসে বসতি স্হাপন করেন ।
আহমদ উল্লাহ গ্রামের মক্তবের পড়ালেখা শেষ করার পর ১২৬০ হিজরীতে উচ্চ শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্যে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন । তিনি ১২৬৮ হিজরীতে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় পাশ করেন । সেখানেই তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা সমাপন করে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত অতিথি বা বক্তা হিসাবে যথেষ্ট সুনামের সাথে ধর্মীয় প্রচার প্রচারণার কাজে লিপ্ত ছিলেন ।


তিনি শিক্ষা জীবন শেষে করে হিজরী ১২৬৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতের যশোর অঞ্চলের বিচার বিভাগীয় কাজী পদে যোগদান করেন এবং একই সঙ্গে মুন্সেফী অধ্যায়ন শুরু করেন । পরবর্তিতে ১২৭০ হিজরীতে কাজী পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি কলিকাতায় মুন্সী বু আলী মাদ্রাসায় প্রধান মোদাররেছ হিসাবে যোগদান করেন । পরবর্তি সময়ে মুন্সেফী পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে ছিলেন ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী হাদিস, তাফসির, ফিকহ, মন্তেক, হিকমত, বালাগত, উছুল, আকায়েদ, ফিলছফা, ফারায়েজ সহ যাবতীয় বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন । আরবী, উর্দু, বাংলা ও ফারসি ভাষায় তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন । ওয়ায়েজ এবং বক্তা হিসাবে তার নামডাক বিশেষ ভাবে ছডিয়ে পড়ে । অল্প কিছু দিন পরই তিনি আধ্যাত্মিক জীবন যাপনে আত্ম নিয়োগ করেন । তখন হতে তিনি বাকি জীবন একজন সুফি সাধক হিসাবে অতিবাহিত করেন ।

আহমদ উল্লাহ হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (কঃ)-এর বংশধর এবং উক্ত তরিকার খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ আবু শাহামা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রঃ) নিকট বায়েত গ্রহনের মাধ্যমে বেলায়ত অর্জন করেন এবং সৈয়দ দেলওয়ার আলী পাকবাজ (রঃ) এর নিকট হতে এত্তাহাদী কুতুবিয়তের ক্ষমতা অর্জন করেন । তিনি দিনে দ্বীনি শিক্ষাদান এবং রাতে এবাদত ও রেয়াজতের মাধ্যমে সময় কাটাতেন । এভাবে কঠোর সাধনার ফলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ বেলায়ত অর্জন করেছিলেন ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী জীবদ্দশায় তার সুফি তরীকার দীক্ষা সমাজে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে বহু সুফি প্রতিনিধি বা খলিফা নিয়োগ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে ।
আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১২৭৬ হিজরীতে ৩২ বছর বয়সে আজিম নগর নিবাসী মুন্সী সৈয়দ আফাজ উদ্দিন আহমদের কন্যা সৈয়দা আলফুন্নেছা বিবির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । কিন্ত বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তার স্ত্রী মারা যান । সেই বছরই তিনি পুনরায় সৈয়দা লুৎফুন্নেছা বিবিকে বিয়ে করেন । ১২৭৮ হিজরী সালে তার প্রথম মেয়ে সৈয়দা বদিউন্নেছা বিবি জন্মগ্রহন করেন । কিন্তু মেয়েটি চার বছর বয়সে মারা যায় । এরপর তার আরোও একটি ছেলে জন্মগ্রহন করে অল্প দিনের মধ্যে মারা যান । অতঃপর ১২৮২ হিজরীতে দ্বিতীয় পুত্র সৈয়দ ফয়জুল হক (রঃ) এবং ১২৮৯ হিজরী সালে দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা আনোয়ারুন্নেছা জন্মগ্রহন করেন । তার দ্বিতীয় পুত্রও পিতার পুর্বে ইন্তেকাল করেন ।
আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১৯০৬ সালের ২৩শে জানুয়ারি ১৩১৩ বঙ্গাব্দ ১০ই মাঘ আশি বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন । মাইজভান্ডারেই তিনি সমাহিত হন এবং তার কবরের উপর বর্তমানে আধুনিক স্থাপত্য শৈলী খচিত মাজার বিদ্যমান ।


আরও খবর

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আত্মিক জ্ঞান ও বাহ্যিক জ্ঞান

শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২




নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রবাস ফেরত নব-বিবাহীত যুবক সহ দু'জন নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক সহ দু' জনের মৃত্যু।

নওগাঁর রাণীনগরে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ঐ ট্রাকের চালক আমির হোসেন (৫৮) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বান্দায়খাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাক চালক আমির নাটোর জেলার বড়ই গ্রামের মৃত দিলবর রহমানের ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ট্রাক নিয়ে বান্দাইখাড়া বাজারে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে দূর্ঘটনাস্থলেই চালক আমির গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। দূর্ঘটনা কবলীত ট্রাকটি উদ্ধারের কাজ চলছে।

অপরদিকে নওগাঁর পত্নীতলার বাকরইল রুপগ্রাম মোড়ে সকাল ১১ টায় ট্রলির সাথে মোটরসাইকেল এর সংঘর্ষে  মোটরসাইকেল আরোহী তুহিন হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত তুহিন হোসেন পত্নীতলা উপজেলার বড় মহোরন্দি গ্রামের সারওয়ার হোসেন এর ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, নিহতের পরিবার বা কারো কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের  নিটক মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, নিহত তুহিন হোসেন দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকার পর প্রায় দু মাস পূর্বে দেশে (বাড়িতে) আসেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। বিবাহের মাত্র কয়েক দিন পরই তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে নিহতের পরিবার-স্বজন সহ গ্রামজুড়ে লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।


আরও খবর



নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পাশে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়,সন্ত্রাস নয়। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন বলেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পাশে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।

শুক্রবার সকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার পোরশা হাইস্কুল কাম-মাদ্রাসা মাঠে ২ নং তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃব্যকালে উপরোক্ত কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন, ইতি মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীণ মানুষদের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্কদের দিয়েছেন বয়স্ক ভাতা, বিধবারাও ভাতা পাচ্ছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌছেনি।দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সকল নেতাকর্মীদের আহবান জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না। কৃষকের জন্য সরকার ভর্তূকি মূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে। কৃষক তার ফসলের নায্য মূল্য পাচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ দিয়েছেন ১৯ জন কৃষক। শেখ হাসিনার সরকার পদ্মাসেতু করেছে।মেট্রো রেল চলছে আর পাতাল রেলের কাজও চলছে। ২০২৩ সালে আরো অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে দেশের জনগণ বলেও  উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য বারবার কারাবরণ করেছিলেন। অধিকার আদায়ে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর তার লাশ ঢাকায় দাফন না করে টুঙ্গিপাড়ায় দাফন করা হয়। কুচক্রীদের উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালি যাতে বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়। বাস্তবে হয়েছে উল্টো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিস্তার ঘটেছে।

বিএনপি'র আন্দোলন সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলনের মৃত্যু ঘটেছে। এখন তাদের চল্লিশার কর্মসূচি চলছে। দেশের উন্নয়নে বিএনপি'র কোন ভূমিকা নেই। তাদের রাজনীতি শুধু লুটপাট আর খাই খাই। কোন ভরসায় মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে.? এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া পারভীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, পোরশা উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী এবং পোরশা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিমা খাতুন বক্তৃতা করেন।


আরও খবর



বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আ’লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৩১জন দেখেছেন

Image

মাসুদ উল হাসান,জামালপুর :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার জয় নিশ্চিত ও দলকে গতিশীল করার লক্ষে শুক্রবার বিকালে সদর ইউনিয়নের মতির বাজারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আলমাছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়ার সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শাহীনা বেগম।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ডা.শাহজালাল খন্দকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিটলার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আগা সায়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কেএম হান্নান,আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান মন্টু,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিরাজ প্রমূখ। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



যক্ষ্মায় প্রতিদিন প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে যক্ষ্মায় প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে যক্ষ্মা শনাক্ত ও সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করলে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

শুক্রবার দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৩। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‌‘হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি।

বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা নির্মূলে গবেষণার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. মাহফুজা রিফাত বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখের মতো রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী হয়তো চিকিৎসাসেবার বাইরে থেকে যায়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন রোগটিতে ১০৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংখ্যা দৈনিক ১৮৫।

সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২১ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৮ লাখের বেশি মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ জন নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে দৈনিক ৮৪২ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে যক্ষ্মা থেকে সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং সহযোগী সংস্থাগুলো গত কয়েক দশকে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং ২০১২ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ২৩ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষের শরীরে টিবি বা যক্ষ্মা আছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর বসবাস মাত্র ৮ থেকে ১০টি দেশে। সেই তালিকার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আশার দিক হলো, অতীতের চেয়ে যক্ষ্মা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০২ সালে যেখানে বছরে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেত, এখন সেটা কমে ৪০ হাজারে নেমেছে। তবে কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, যক্ষ্মার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। রোগী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে চিকিৎসা এবং ওষুধ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে এই সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সবাই এগিয়ে এলে ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব হবে।


আরও খবর



ব্রহ্মপুত্রে অষ্টমী স্নান আজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ বুধবার।

প্রশাসনসহ বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে এই স্নান উৎসবকে সফল করতে নেওয়া হয়েছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্নান উৎসবে আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। তারা বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। শুক্লা তিথি অনুযায়ী বুধবার ভোর ৪টা থেকে ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই দেড় ঘণ্টা উত্তম সময় স্নানের। আর উত্তম লগ্ন সকাল ৯টা ৯ মিনিট ২৩ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা ৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত। সেই সঙ্গে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়িহাটে মেলা বসবে।

মেলা উদযাপন কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় থাকা তপন কুমার বর্মন বলেন, স্নানের এই দিনটি ১২ বছর পর পর আসে। এটাকে বলে বুধে অষ্টমী।

মেলা উদযাপন কমিটি জানিয়েছে, এ বছর বুধবার স্নান উৎসবের তারিখ হওয়ায় বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হবে। স্নান উৎসবের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে থানাহাট ইউনিয়নের রমনা ঘাট উত্তর দিক থেকে শুরু করে রাজারভিটা ভায়া রুকুনুদ্দৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত। মেলা স্থানে পুণ্যার্থীদের পোশাক পরিবর্তনের বুথ রয়েছে ৩৮টি। সেইসঙ্গে মেলায় পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য বেসরকারি ৭টি সংস্থা ৩৫টি অস্থায়ীভাবে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এছাড়াও মেলা সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্কুল, মাদরাসা খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ উৎসবে ২ থেকে ৩ স্তরে জেলা উপজেলার প্রায় ৯০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আতিকুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবার স্নান উৎসবে জেলা উপজেলা মিলে ২ থেকে ৩ স্তরে ৯০ জন পুলিশ সদস্য মাঠে থেকে কাজ করে যাবেন। সেই সঙ্গে যানজট নিরসনে কাজ করতে ট্রাফিক পুলিশও মাঠে থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সরকারিভাবে অষ্টমীর স্নান মেলার স্থানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন, পোশাক পরিবর্তনের বুথ রয়েছে ৩৮টি। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক থাকছেন এই উৎসবে।

 


আরও খবর