Logo
শিরোনাম

সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী নিহত ও আহত হওয়ার তালিকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

সৌদির আরবের আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় গতকাল ২৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া নিহত ১৩ জন বাংলাদেশীর তালিকা নিম্নরূপঃ

 ১। শহিদুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, সেনবাগ, নোয়াখালী।

২। মামুন মিয়া পিতাঃ আব্দুল আওয়াল, মুরাদনগর, কুমিল্লা।

৩। মোহাম্মদ হেলাল, নোয়াখালী।

৪। সবুজ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর।

৫। রাসেল মোল্লা, মুরাদনগর কুমিল্লা।

৬। মোঃ আসিফ, মহেশখালী কক্সবাজার।

৭। মোঃ ইমাম হোসাইন রনি পিতাঃ আব্দুল লতিফ, টঙ্গী, গাজীপুর।

৮। রুক মিয়া পিতাঃ কালু মিয়া, চাঁদপুর। 

৯। সিফাত উল্লাহ, মহেশখালী, কক্সবাজার।

১০। গিয়াস হামিদ, দেবীদ্দার, কুমিল্লা।

১১। মোহাম্মদ নাজমুল পিতাঃ কাওসার মিয়া, কোতোয়ালি যশোর।

১২। রনি, পিতাঃ ইস্কান্দার, যশোর।

১৩। মোহাম্মদ হোসেন, কক্সবাজার।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন: 

১। সালাহউদ্দিন, পিতা: আবুল বাশার, সিতাকুন্ড, চট্টগ্রাম

২। আল আমিন, বুরহান উদ্দিন, ভোলা

৩। মিনহাজ, পিতা: সিরাজুল্লাহ, রায়পুরা, লক্ষীপুর

৪। জুয়েল, পিতা: মোঃ জয়নাল, কচুয়া, চাঁদপূর

৫। আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নং: EA0231718), পিতা: জাকির মোল্লা, শালিকা, মাগুরা 

৬। মোঃ রিয়াজ, পিতা: আবু সাইদ, চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষীপুর

৭। আব্দুল হাই (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

৮।  রানা (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

৯। মোঃ সেলিম (A03459571)

১০। দেলোয়ার হোসাইন, পিতা: আইয়ুব আলী, লাকসাম, কুমিল্লা

১১। হোসাইন আলী (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

১২। কুদ্দুস (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

১৩। মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, পিতা: আব্দুল লতিফ, সেনবাগ, নোয়াখালী

১৪। ইয়ার হোসাইন, আব্দুল মালেক, মুরাদনগর, কুমিল্লা

১৫। মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ জজ মিয়া, মুরাদনগর, কুমিল্লা

১৬। মিজানুর রহমান, পিতা: ফজলুর রহমান, মোহাম্মদপুর, মাগুরা

১৭। মোঃ মোশাররফ হোসাইন, পিতা: কাজী আনোয়ার হোসাইন, সদর, যশোর



আরও খবর



ধনীদের কারণে শহরে পানির সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : সুইমিং পুলসহ ধনীদের বিভিন্ন ধরনের বিলাসী জীবনযাপনের জন্য শহরে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে পানির সংকটের পেছনে ধনীদের সুইমিং পুল, বাগানে পানি সেচ, গাড়ি ধোয়াসহ বিলাসী জীবনযাপন দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এ তথ্য উঠে এসেছে। শহরের পানির সংকট মোকাবিলার জন্য গবেষকেরা নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রবন্ধটি নেচারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি পানির সংকটে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী শহর কেপটাউন। গবেষকেরা কেপটাউনের বাসিন্দারের পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করে তাদের পানির ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করেছেন।

গবেষকেরা বলেছেন, কেপটাউনের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করেন অভিজাত শ্রেণির এবং ১২ দশমিক ৩ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করেন উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির। অথচ এই তিন শ্রেণির মানুষ সমগ্র কেপটাউনের অর্ধেকেরও বেশি পানি (৫১ শতাংশ) ব্যবহার করেন। অন্যদিকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করেন ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। তারা ব্যবহার করেন কেপটাউন শহরের মাত্র ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ পানি।

গবেষকেরা আরও বলেছেন, এ ধরনের ভারসাম্যহীনতা ভবিষ্যতে গুরুতর পরিণতি ডেক আনবে। ধনীরা মূলত অভ্যন্তরীণ পানির সংকটের জন্য রীতিমতো হুমকি হয়ে উঠছেন।

গবেষণাটি থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের পানির সংকটের পেছনে অভিজাতরা দায়ী এবং তাদের কারণে বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোতে পানির সংকট আরও বাড়বে। সন্দেহ নেই, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও তারা দায়ী।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির এলিসা সাভেলির নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণা প্রবন্ধটির সহলেখক ছিলেন যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিবিশেষজ্ঞ হান্না ক্লোক।

হান্না ক্লোক বলেছেন, ‘আমরা গবেষণায় দেখিয়েছি যে সামাজিক বৈষম্যের কারণে দরিদ্র মানুষ প্রয়োজনীয় পানীয় জল পায় না। ধনী-গরিবের বৈষম্য যত বাড়বে পানির সংকটের পরিমাণও তত বাড়তে থাকবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের অন্তত ৮০টি শহর তীব্র পানির সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। হান্না বলেন, ‘আমরা যদি শহরের পানির সুষম বণ্টন না করি, তাহলে ভবিষ্যতে সবাইকেই গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এদিকে জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২০ সালে বিশ্বের অন্তত ২০০ কোটি মানুষ পানীয় জলের সুবিধা পায়নি।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




ক্যান্সার রোধ করে আম

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

পাকা আমের মন মাতানো ঘ্রাণে পাগল হওয়ার দিন এসে গেছে। আমের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা যাদের, তাদের অপেক্ষার পালা ফুরালো। সুমিষ্ট এই ফল খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে রসালো এই ফল যেন প্রাণ ঠান্ডা করার বার্তা নিয়ে আসে। এদিকে অনেকে মনে করেন, আম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এটি কতটা সত্যি ?

আম খেলে ওজন বাড়তে পারে এই ধারণার পেছনে জোরালোভাবে কাজ করে এর মিষ্টি স্বাদ। আমের সুমিষ্ট স্বাদের কারণে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা রয়েছে যে এটি বেশি খেলে ওজন দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা স্থুল কিংবা যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় রয়েছেন তাদের খুব খেতে ইচ্ছা করলেও বেশি আম খেতে পারেন না। এদিকে আম খেলেই যে ওজন বেড়ে যায় এই ধারণার সঠিক কোনো ভিত্তি নেই। বরং আম খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতে পারে।

ফ্যাট কমায়

যারা অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা আমের দিনে প্রতিদিন আম খেতে পারেন। এর কারণ হলো, আমের খোসায় থাকে ফাইটোকেমিক্যাল। এই উপাদান ফ্যাট কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, এতে থাকে প্রচুর পুষ্টিকর তন্তুও। যে কারণে আম খাওয়ার পরে অনেকটা সময় পেট ভরা থাকে। তাই বার বার ক্ষুধা লাগে না। যে কারণে ফ্যাটযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহও কমে আসে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

ত্বক ভালো রাখে

অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। যত পুষ্টিকরই হোক না কেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। একথা সত্যি আমের ক্ষেত্রেও। আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। তাই আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত না খেলে ওজন বৃদ্ধি কিংবা অন্য কোনো সমস্যার ভয় থাকবে না। এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ এবং সি। যে কারণে আম খেলে ত্বক ভালো রাখা সহজ হয়। তাই এই গরমে প্রতিদিন পরিমিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ক্যান্সার রোধ করে

মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার দূরে রাখতে কাজ করে পুষ্টিকর ফল আম। কারণ এই ফলে থাকে প্রচুর বেটা-ক্যারোটিন থাকে। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো অসুখ থেকে বাঁচতে নিয়মিত আম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্র ভালো রাখা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আম। এই ফলে থাকে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। এসব উপাদান হৃদরোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে কাজ করবে।


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




নওগাঁয় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ছাত্রকে পেটালেন এক শিক্ষক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোটার :

নওগাঁয় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ৮ম' শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রকে পিটিয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করলেন এক শিক্ষক। পরে ছাত্র ও তার অভিভাবকের কাছে নিজের ভুল শিকার করে গোপনে ঘটনাটি মিমাংসা ও করেছেন মারপিটকারি শিক্ষক।

শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে মারপিট করার ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাটচকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয়ে। 

মারপিটের শিকার ছাত্র নাহিদ ইসলাম ওরফে অপু মহাদেবপুর উপজেলার পাতনা গ্রামের আমিনুল ইসলাম এর ছেলে ও হাটচকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই জন শিক্ষার্থী জানান, ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার দুপুরে ৮ম' শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র নাহিদ ইসলাম ওরফে অপু (১৪) টিউওবয়েল পাড়ে গিয়ে পানি তুলে চোখমুখ ধোয়ার সময় পানি ছিটকে অপর শিক্ষার্থীদের শরীরে পরে। এসময় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোকলেছুর রহমান পানি ছিটানোর অপরাধে ক্ষিপ্ত হয়ে রুম থেকে বেত এনে নাহিদ ইসলাম ওরফে অপুকে বেদম মারপিট করেন।

মারপিটের শিকার ছাত্র নাহিদ ইসলাম ওরফে অপু'র দুলাভাই প্রতিবেদক কে রবিবার মুঠোফোনে কলদিয়ে জানান, একজন শিক্ষক হলেন জাতি গড়ার কারিগড়। আর সেই জাতিগড়ার কারিগড় শিক্ষক নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কোন ছাত্রকেই অমানবিক ভাবে মারপিট করতে পারেন না। মারপিটের ঘটনাটি অমানবিক। তিনি আরো বলেন, কিভাবে মারপিট করা হয়েছে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখলে যে কেউ হতবাক হবেন।


এব্যাপারে বক্তব্য নিতে হাটচকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এনামুল হক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে মারপিট করার ঘটনাটি তিনি জানেন না বলে জানান।

বক্তব্য নিতে সহকারি শিক্ষক মোকলেছুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, সহকারি শিক্ষক মোকলেছুর রহমান মারপিট করার কথা শিকার করে বলেন, আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মারপিট করেছি। মারপিট করা ঠিক হয়নি জন্যই ঘটনাটি পরের দিন বুধবার মিমাংসা করা হয়েছে। 

ছাত্রের অপরাধ কি ছিলো যে কারনে আপনি তাকে বেদম মারপিট করলেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঐ ছাত্র শিক্ষার্থীদের শরীরে পানি ছিটাচ্ছিলেন এমন দৃশ্য দেখে আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মারপিট করেছি এবং পরে ভেবে দেখেছি মারাটা ঠিক হয়নি এজন্য মিটিয়ে ফেলেছি।

অপরদিকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান প্রতিবেদক এর মুঠোফোনে কলদিয়ে জানান, মারপিট এর যে ঘটনা ঘটেছে তা ইতি মধ্যেই মিমাংসাও করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহতু ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়েছে, এজন্য এবিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করার দরকার নেই। অপরদিকে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে মারপিট করার ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে রবিবার দুপুরে সরজমিনে হাটচকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে এসময় প্রধান শিক্ষক তার অফিস কক্ষে মারপিট এর শিকার শিক্ষার্থী ও মারপিটকারি শিক্ষককে ডেকে নিয়ে বলেন, আসলেই ঘটনাটি আমি আগে জানতাম না। এক পর্যায়ে প্রতিবেদক মারপিটের শিকার ছাত্রের বক্তব্য নিতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, কারো কোন অভিযোগ নেই। তারপর বক্তব্য নিলে এখানেই (অফিস রুমে নেন)। এসময় প্রধান শিক্ষক ও মারপিটকারি শিক্ষক এর সামনে কিছুটা বাধ্য হয়েই মারপিট এর শিকার ছাত্র প্রতিবেদক কে জানান, আমি হয়তটা দুষ্টুমি করেছি বলেই স্যার আমাকে মেরেছেন, পরে স্যার ডেকেনিলে আমি স্যারকে জড়িয়ে ধরি স্যারও আমাকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় তার নির্যাতনের কয়েকটি ছবি দেখিয়ে তার ছবি কিনা ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, হাঁ মারপিট করার পর বাড়িতে গেলে আঘাতের ছবিগুলো ফোনে তুলেছিলো জানিয়ে তিনি বলেন আমি ও স্যার সব ভুলে মিমাংসা হয়েছি।


আরও খবর



বিজ্ঞান মেলায় মুন্সীগঞ্জ জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করল জিস্ট পলিটেকনিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল নিজস্ব প্রতিবেদক :

আজ পহেলা জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা পর্যায়ে আবারও প্রথম স্থান অর্জন করেছে গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি জিস্ট পলিটেকনিক।

জেলা প্রশাসন মুন্সীগঞ্জের আয়োজনে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজ উদ্দিন মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রাঙ্গনে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা এবং ৭ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড (৩১ মে থেকে ০১ জুন ২০২৩ খ্রি.) অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় বরাবরের মত গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে মুন্সীগঞ্জ জেলার শীর্ষ স্থান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় গুণগতমান বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান ধারা অব্যাহত রেখেছে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জিস্ট প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই গজারিয়া উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হওয়ার পর জেলা পর্যায় অংশগ্রহণ করেও প্রথম স্থান অর্জন করে জেলার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজেদের মান অক্ষুন্ন রেখেছে।

প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক জিতু রায় এর সঞ্চালনায় ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন সমাপনী  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এবং প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ তৌহিদ এলাহী মুন্সীগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি রেজিস্ট্রার সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল সহ বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহনকারী মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বিদ্যাপীঠ থেকে আগত শিক্ষকবৃন্দ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



কোরবানির আগে পেঁয়াজের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নিজেরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন ইচ্ছামতো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদুল আজহার এক মাস আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় একশ টাকা।

মাত্র দেড়মাস আগে রমজানে এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। সবশেষ দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রবিবার (৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ সামনে রেখে অসাধু বিক্রেতারা পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেট করেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, মূলত ভারত থেকে আমদানি না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে রান্নায় অতিপ্রয়োজনীয় মসলাজাতীয় পণ্যটির।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং এসব এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।

পেঁয়াজ কিনতে খিলগাঁও বাজারে এসেছেন আয়েশা খাতুন। দুইদিন আগেও তিনি ৮০ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ কিনেছেন, রবিবার ৯৫ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা।

আয়েশা বলেন, দুইদিনের ব্যবধানে কীভাবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে যায়? দুইদিন আগে কিনেছিলাম, আজ আবার কিনতে আসলাম। কিন্তু বাজারে এসে দাম শুনেই হতবাক।

একই কথা জানান আরেক ক্রেতা বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের এখনো প্রায় এক মাস দেরি, এর মধ্যেই দাম বেড়েছে অনেক। রোজায় ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন দাম প্রায় তিনগুণ। এখনই সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজ মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এটা না হলে কোরবানি আসতে আসতে ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা লাগবে।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগের সঙ্গে একমত নন মালিবাগ রেলগেট বাজারের খুচরা বিক্রেতা নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে, আমদানির মাধ্যমে তা মেটানো হয়। ফলে আমদানি বন্ধের পর দাম ধীরে ধীরে পাইকারিতে বাড়তে থাকে। এখন আমদানি উন্মুক্ত হলে দাম আবারও কমে আসতে পারে।

হাসান নামের অপর এক বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রি করি, দর-দাম নিয়ে মাথাব্যথা নেই। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমরা সেভাবে বিক্রি করি। আবার পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায়ও কমে যায়। তবে বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) অর্থাৎ আমদানি অনুমতি বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। আর, এরপর থেকেই ধীরে-ধীরে দাম বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির।


আরও খবর