সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ জানিয়েছেন, এ বছর হজ করার জন্য হাজির সংখ্যা নির্ধারিত থাকবে না। এছাড়া হজ করার ক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট একটি বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, সেটিও থাকবে না।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর নিজ দেশে বিধিনিষেধ আরোপ করে সৌদি আরব। মানুষের সমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশটি হাজিদের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়। অবশেষে তিন বছর পর সেসব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হচ্ছে।
হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ সোমবার হজ মেলা-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, মহামারির আগে হাজির সংখ্যা যত ছিল, সেটি আগের সংখ্যায় ফিরে যাবে।
তবে সৌদির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যেসব মানুষ এখন পর্যন্ত একবারও হজ করেননি, এবার তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ বছর ২৬ জুন থেকে হজের মৌসুম শুরু হবে।
করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালন করেন। কিন্তু পরের দুই বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ হজের সুযোগ পান। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন সৌদিতে বসবাসকারী।
এরপর ২০২২ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ পালন করার সুযোগ পান। কিন্তু সে সময় বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যাদের বয়স ১৮-৬৫ এবং পরিপূর্ণ সুস্থ শুধু তারাই হজ পালন করতে পারবেন। এছাড়া করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল।