Logo
শিরোনাম

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

সৌদি আরবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৭ বাংলাদেশির অবস্থাও গুরুতর। সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ১৪ বাংলাদেশিসহ এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।

নিহত বাংলাদেশির হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের ইস্কান্দারের ছেলে রনি, কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন ও চাঁদপুরের তুষার মজুমদার।

আহত বাংলাদেশিরা হলেন সালাহউদ্দিন, আল আমিন, মিনহাজ, জুয়েল, আফ্রিদি মোল্লা, মো. রিয়াজ, আব্দুল হাই, রানা, মো. সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী, কুদ্দুস, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, ইয়ার হোসাইন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসাইন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন, যাঁরা ওমরাহ করতে মক্কা যাচ্ছিলেন। আর যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক।


আরও খবর



মোখার ঝুঁকিতে ১৫ লাখের বেশি শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কক্সবাজারে সীমান্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান ওনো ভন মানেন এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু বাস করে এবং ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে শিশুরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

এদিকে, কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরে যেতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন সেখানকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

বারবার তাদের পাহাড় ধসের ঝুঁকির কথা বলা হলেও স্থানীয়রা কেউ সরতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বান্দরবান-কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তারা মানুষকে সচেতন করতে তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা আগে থেকেই জানিয়ে আসছেন। সূত্র : বিবিসি।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




দিঘলিয়ায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে

সারোয়ার খান কলেজ-এর ১৫ বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি দিঘলিয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ, এ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষসহ ১৫ টি বিষয় শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রি কলেজের এ সাফল্যে কলেজ ও এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কৃতি শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে সংবর্ধনার।  সাফল্যের নজির রেখে আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ আবারও প্রমাণ করেছে যে উপজেলার কলেজগুলোর মধ্যে তরাই সেরা।

গতকাল ও গত পরশু, দিঘলিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

কলেজ পর্যায়ে সরকারি এম এ মজিদ কলেজ সহ পাঁচটি কলেজ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় বিচারকদের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম স্থান লাভ করে আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজ। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের হিসেবে মনোনীত হন। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে যারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তারা হলেন: শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষক ডক্টর পারভিন সুলতানা, শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার শিক্ষক অধ্যাপক  ডক্টর পারভীন সুলতানা, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক প্রভাষক মোঃ ফয়সাল আহাম্মেদ।  শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তারা হলেন- শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার তোহা, হামদ/ নাতে প্রথম হয়েছেন মোসাম্মৎ জান্নাতি, বাংলা কবিতা আবৃত্তিতে মোসাম্মৎ জান্নাতি, শ্রেষ্ঠ রোভার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি টিপু সুলতান, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত প্রথম নিবেদিত কর্মকার। এছাড়া শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপ ও শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি গ্রুপ এর কৃতিত্ব অর্জন করেছে আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজ।

কলেজে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, কলেজ পরিচালনার পর্ষদের সম্মানিত সভাপতি বিশিষ্ট প্রকৌশলী শেখ মুনির আহমেদের এর বুদ্ধিদীপ্ত দিকনির্দেশনা ,সার্বক্ষণিক তদারকি , কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, কলেজের শিক্ষক কর্মচারী ছাত্র-ছাত্রী ,অভিভাবক বৃন্দ , বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, আজগর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী হাওলাদার সহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফরহাদ হোসেন সহ সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সর্বোপরি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা এর সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সাফল্যের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আমরা আবারো প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে এই উপজেলার কলেজ পর্যায়ে আমরাই সেরা।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট্রের অর্থ শিক্ষকদের মোবাইলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬০৭জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির তালিকায় থাকা তিন শিক্ষার্থীর টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে ঐ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী দু' শিক্ষকের মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে। গত ২০২২ সালের জুন ও ডিসেম্বর মাসে দুই কিস্তির টাকা আসে তাদের মোবাইলে। এঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ও আঃ মান্নান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন, নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাটি গোপন রাখতে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ২৪শ' টাকা করে আর এক অভিভাবক কে ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়গেছে, প্রধান শিক্ষক মোঃ বেনজীর আহমেদ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গরীব দুঃস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট্রের টাকা তার নিজের ও অন্যান্য শিক্ষকদের মোবাইল একাউন্ট ব্যবহার করে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেন। উপবৃত্তির তালিকায় থাকা ৬ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্থানীয় ইউনুস আলীর ছেলে আরশাত এর অভিভাবকের নাম্বারের স্থানে সহকারী মৌলভী নুরনবীর মোবাইল নাম্বার। একই শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুনিল উরাও এর ছেলে সুজান উরাও এর টাকা আসে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) দেলোয়ার হোসেন এর মোবাইল নাম্বারে এবং ঐ শ্রেণীর আরো এক শিক্ষার্থী শুকরা উরাও এর মেয়ে ঝরনা উরাও এর টাকা আসে প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ এর নাম্বারে। তারা এই টাকাগুলো উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।


অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঐ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, প্রথমে আমরা জানতাম না আমাদের সন্তানদের নামে উপবৃত্তি হয়েছে এবং তাদের নামে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা আসছে। তারা গত বছরের টাকা তুলেছেন। এটা জানার পর আমরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়ের এর ৫মাস পরে গত শুক্রবার প্রধান শিক্ষক বাড়িতে এসে টাকা দেন এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতে নিষেধ করেন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী আরশাতের বাবা ইউনুস আলী বলেন, অভিযোগের পর আমাকে টাকা দিতে চাইলেও আমি নেইনি। পরে রাতে প্রধান শিক্ষক আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলে ও ছেলের মাকে অনেক বুঝিয়ে ১২ হাজার টাকা দিয়ে এসেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, অফিস থেকে আমার নাম্বার দেয়। পরবর্তীতে টাকা এলে শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নুরনবী এবিষয়ে কোন মন্তব্য না করে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেন।

এব্যাপারে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চারদিন বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৬জন দেখেছেন

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহের কারণে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত চারদিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী তীব্র তাপদাহের কারণে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রবিবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



ডেঙ্গুর চার ধরনের মধ্যে সব সক্রিয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :বর্ষার আগেই এবার চোখ রাঙাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর ৪টি ধরনই এখন সক্রিয়। বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই দেশজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২ হাজার। দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রজনন মৌসুম। এবার বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই আক্রান্ত রোগী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় ছয়গুণ বেশি। ফলে আক্রান্ত ও মৃত্যু আরো বাড়ার শঙ্কায় আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জটিলতা এড়াতে সরকারি ল্যাবে শনাক্তকারী কিট সরবরাহের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন চারজন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্রবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন চারজন ডেঙ্গুরোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি রোগীর দুই জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং দুই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে সারা দেশে সর্বমোট ৩৩২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২ হাজার ১৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৪৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৫৯ জন হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে সর্বমোট ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগী ১ হাজার ৭৯৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগী ১ হাজার ১৮০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬১৩ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি এবং এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল ডেঙ্গুর রিপোর্ট দেয়নি, তাই সেগুলো শনিবারের রিপোর্টের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

পরিসংখ্যান বলেছে, ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৩১৭ জন। ওই সময়ে এই রোগে কারো মৃত্যুর খবর মেলেনি। তবে এ বছরের প্রথম ৫ মাসেই আক্রান্ত ১ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রোগী বেড়েছে ১৬ গুণ।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজিস্ট ডা. মো. জাহিদুর রহমান খান বলেন, এই সংখ্যা সামনে আরো বাড়বে। কারণ দেশে এখন ডেঙ্গুর চারটি ধরণই সক্রিয় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি ১০০ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে মাত্র ২৫ জনের লক্ষণ দেখা যায়। তাই জটিলতা এড়ানো ও সুচিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ডেঙ্গুর ধরণ পরীক্ষা করা দরকার। তবে এজন্য সরকারি হাসপাতালের ল্যাবে সরবরাহ করতে হবে শনাক্তকারী কিট। রোগটির টিকা ও ওষুধ না থাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই বলেছেন এই বিশেষজ্ঞ।

এছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জনিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে। কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রোগে আক্রান্ত রোগী যদি কোমরবিডিটি বা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে। ডেঙ্গু রোগের বিস্তারকে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বে অবহেলাকে দুষছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু রোগটি সারাবছর ধরেই ছড়াচ্ছে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশা নিধন কর্মসূচি সারাবছর অব্যাহতভাবে রাখতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ) অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, সম্প্রতি হওয়া বৃষ্টিপাত এর মূল কারণ হতে পারে। অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। এর মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবনের ছাদ, পার্কিংয়ের জায়গা, নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্ট। বাড়িতে জমিয়ে রাখা পানিতেও জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গু মশা। তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু নিধনে সঠিকভাবে কর্ম পরিচালনা করলে এ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও ডেঙ্গু টেস্টকারীদের ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাদের বসবাসের স্থান যাচাই করে হটস্পট নির্ধারণ করতে হবে।

এরপর সে সব জায়গায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ করতে হবে। বিশেষ করে উড়ন্ত মশারা ডেঙ্গু ছড়ায়। তাই এই হটস্পট নির্ধারণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নিধনে জনসম্পৃক্ততা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় ফগিং করে উড়ন্ত এডিস মশা নিধন কর্মসূচি জরুরি। কবিরুল বাশার আরো বলেন, এ বছর জুন মাসের শেষ দিকে ঈদুল আজহার ছুটিতে মানুষজন ঢাকা থেকে গ্রামে যাবে। এই সময়ে শহর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ গ্রামেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ঢাকার বাইরে আঞ্চলিক শহর ও গ্রামে ডেঙ্গু নিধনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবছর অন্য বছরের তুলনায় মৌসুম শুরুর আগেই আক্রান্ত রোগী বেশি। তাই আগের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এরই মধ্যে অনেক রোগী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

এদিকে, ডেঙ্গুর প্রকোপে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অতিরিক্ত খরচ যাতে না হয়, সেজন্য মূল্য উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি বাবদ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নিতে পারবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো। এর বেশি নেওয়া হলে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা।

 


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3

ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ২ হাজার

বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩