Logo
শিরোনাম

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৭ বাংলাদেশির অবস্থাও গুরুতর। সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ১৪ বাংলাদেশিসহ এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।

নিহত বাংলাদেশির হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের ইস্কান্দারের ছেলে রনি, কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন ও চাঁদপুরের তুষার মজুমদার।

আহত বাংলাদেশিরা হলেন সালাহউদ্দিন, আল আমিন, মিনহাজ, জুয়েল, আফ্রিদি মোল্লা, মো. রিয়াজ, আব্দুল হাই, রানা, মো. সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী, কুদ্দুস, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, ইয়ার হোসাইন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসাইন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন, যাঁরা ওমরাহ করতে মক্কা যাচ্ছিলেন। আর যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক।


আরও খবর



আগুনে পুড়লো লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ডেমরার ধার্মিকপাড়ায় একটি গ্যারেজে আগুন লেগে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস পুড়ে গেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসের আগুন

ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নিসোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তের পর জানা যাবে


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দাউদপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে। পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার নিয়োগ দেখান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান। 

অনুসন্ধানে যানা যায়, গত ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা কর্মী, আয়া, সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার সহ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এরমধ্যে উপরের ৩টি পদ শুন্য হলেও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আসাদুজ্জামান নামের একজন কর্মরত আছেন। পরবর্তীতে ঐ বছরের ১৮ মার্চ তারিখ দেখিয়ে নিয়োগ এর কাগজ-পত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই কাগজ পত্রে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী গয়ড়া তেতুলিয়া ডি এ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবদুল রশিদ সেই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসাবে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু তিনি ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী মারা যান। এরপর ঐ বছরের মে মাসের ৫ তারিখে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন আ.ন.ম. লুৎফর রহমান। 

মাদ্রাসার রেজুলেশন ও নিয়োগ বোর্ডের ফলাফল সীটে আবদুল রশিদ ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান ও ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোবারুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। সেই নিয়োগ বোর্ডের সম্পর্কে এই কর্মকর্তাগণ কিছুই জানেন না বা কোন কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করেননি। অথচ নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে দেখা যায়, নিরাপত্তা কর্মী পদে উপজেলার দাউদপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ ইসাহাক আলী, আয়া পদে দাউদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে মোছাঃ শারমিন সুলতানা ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ পেয়েছেন মাধবপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু মুস্তাকিম। যারা এখন পর্যন্ত মাদ্রাসায় কোন দিন যাননি বা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেননি। এরমধ্যে আয়া পদে শারমিন সুলতানার বেতনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন মাদ্রাসার সুপার। 

এবিষয়ে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান বলেন, আমি ওই উপজেলায় থাকতে এই পদ গুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে গত বছর তারা আমার কাছে এসেছিলো ব্যাকডেটে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি এর বেশি আর কিছু জানিনা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ আবু মুস্তাকিম বলেন, আমি কোন নিয়োগ বোর্ডে বসিনি। আমার কাছে টাকা আর কাগজ পত্র চেয়েছিলো সেগুলো আমি দিয়েছিলাম। আমি শুধু যোগদান পত্রে স্বাক্ষর করেছি। সেই যোগদান পত্র সুপার আমাকে বানিয়ে দেন। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি, আয়া পদে নিয়োগ প্রাপ্ত শারমিন সুলতানার বাবা পাশ্ববর্তী উপজেলা পত্নীতলা উপজেলার বামনকুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা। আমরা ডিজির প্রতিনিধি নিয়ে এসেছিলাম। পরবর্তীতে সেই সময় নিয়োগ বোর্ড বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার স্বাক্ষর কে জাল করেছে তা আমি জানিনা।

মাদ্রাসার সুপার মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। কে বা কাহারা তা করেছে সেটা আমি জানিনা। তবে এবিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি।

জানতে চাইলে বর্তমান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ দিলে বা আমার উর্ধতন কেউ আমাকে নির্দেশ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এ বিষয়টি আমি জানিনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



খরতাপে পুড়ছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দিনভর বৈশাখ তথা ভরা গ্রীষ্মের প্রখর রোদে যেন সূর্য থেকে মাটিতে আগুন ঝলসে পড়ছে। রাতের বেলায়ও গরমে-ঘামে অস্বস্তি। গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রার আগের সব রেকর্ড অতিক্রম করেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণের জনপদ বাগেরহাট জেলার মোংলায় ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সে.। চলতি এপ্রিল মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পারদ ৪২ ডিগ্রি সে. অতিক্রমের পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।

 বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-মে) মাস উচ্চ তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। আগের দিন সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ছিল দক্ষিণের জনপদ পটুয়াখালী উপজেলার খেপুপাড়ায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি। যা উক্ত এলাকায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। গতকাল রাজধানী ঢাকায়ও তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে দিনের বেলায় ৩৮.৪ এবং রাতেও ২৮.৬ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। অবশ্য গতকাল রাজধানী ঢাকা, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জে হঠাৎ কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির সাথে সাময়িক বৃষ্টি স্বস্তি এনে দেয়। এ সময় ঢাকায় ১২, ফরিদপুরে ২৩, চাঁদপুরে ১৪ ও কিশোরগঞ্জে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এছাড়া সারা দেশের কোথাও ছিঁটেফোঁটাও বৃষ্টিপাত হয়নি। বৈশাখের শুরুতেই সমগ্র দেশে অসহ্য খরতাপের দহনে দুর্বিষহ পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়া বিভাগ আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে তাপপ্রবাহ আরো বৃদ্ধি এবং বিস্তারের সতর্কবার্তা (হিট এলার্ট) জারি করেছে। টানা কয়েক সপ্তাহের অনাবৃষ্টি-খরা ও উচ্চ তাপমাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচের দিকেই নামছে দ্রুত। নদ-নদী-খাল, পুকুর-জলাশয়-দীঘি, হাওড়-বাওড়সহ ভূ-উপরিভাগের পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে মাঠ-ঘাট-বিল ফেটে চৌচির। তীব্রতর গরম ও খরার কবলে ইরি-বোরো, আম-লিচুর ফলন ব্যাহত হওয়ারর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের ফলে বিভিন্ন জায়গায় হিট স্ট্রোক, শরীরে পানিশূন্যতায় এবং সর্দি-কাশি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা রোগব্যাধিতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দিনের প্রখর রোদের তেজে জরুরি কাজ ছাড়া কেই ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।

গতকাল মঙ্গলবার আবহাওয়া বিভাগ আরেক দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা বা হিট এলার্ট জারি করেছে। এতে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৬ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায়ও (তিন দিনে) অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। বাতাসে অত্যধিক হারে জলীয়বাষ্প থাকার কারণে গরমের তীব্রতায় অস্বস্তি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬, মোংলায় ৪০.৩ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াও দেশের অন্যত্র উল্লেখযোগ্য দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও পাবনায় ৩৯.৮, খুলনায় ৩৯.৫, রাজশাহীতে ৩৯.৩, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায় ৩৯.২, রাঙ্গামাটিতে ৩৯, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও পটুয়াখালীতে ৩৮.৫ ডিগ্রি সে.।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪১ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। দিনের তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্থানভেদে এখন ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রির ঘরে। তাতে খরতাপ অসহ্য হয়ে উঠেছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্তসহ আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামীকাল  সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এর পরের ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন গত সোমবার ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত কিছুদিন ধরে রাজশাহীতে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়া। রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রাও দুএক ডিগ্রি কমতে পারে। তবে এ কয়েক দিনের মধ্যে খুব একটা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর আগে তাপপ্রবাহ বাড়ার কারণে রাজশাহী আরও তিন বিভাগে এসব অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। এপ্রিল মাসে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতর। তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। ঈদের পর তাপপ্রবাহের ফলে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মে ফিরতে পারেনি। অনেকটা কর্মহীন দিন পার করছে তারা।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ। তিনি আরো জানান, এপ্রিল মাসব্যাপী মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এ আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভবনা রয়েছে।

ভ্যাপসা গরম, আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া সকাল থেকে কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা। রিকসা ও ভ্যান এবং ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালকদের যাত্রী হচ্ছে না। এছাড়া গরম আবহাওয়ায় কেউ কাজ না করায় দিন হাজিরায় কর্মজীবী বিপাকে পড়েছে। 


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




শ্রেণিকক্ষে পাঠ বা কোচিং ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিকে উপজেলায় প্রথম হলেন ফাতেমা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

হাফেজ উম্মে ফাতেমা। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে। কিন্তু কোন শ্রেণিক্ষ বা শিক্ষকের সাথে নেই কোন পরিচয়। একদিনও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহন করেননি। বাড়িতে ছিলোনা কোন প্রাইভেট পড়ার শিক্ষকও। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে তিনি ১৩০০ ’র মধ্যে ১১৬৫ নম্বর পেয়েছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাফেজ উম্মে ফাতেমা অভাবনীয় মেধার অধিকারি। সে একদিনও কলেজে ক্লাশ বা কোচিং করেনি। বাড়িতে একাই তার পাঠ চর্চা করেছে। সে আমাদের কলেজের মুখ উজ্জল করেছে। হাফেজ উম্মে ফাতেমা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন আশাকরি।

উম্মে ফাতেমা মাত্র ৮ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হেফ্জ শেষ করেছেন। সে কারনে তার নাম এখন ‘হাফেজ উম্মে ফাতেমা’। তার পিতা মো. টিপু সুলতান আমতলী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ইংরজি বিষয়ে অধ্যাপক। মা শিউলি খাতুন একজন গৃহিনী। তবে তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে অনার্স মাষ্টারস্ শেষ করেছেন।  

হাফেজ উম্মে ফাতেমা ভবিষ্যতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে চান। সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারিভউ দিয়ে খ ইউনিটে টিকেছেন। ইংরেজি, অর্থনীতি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী হাফেজ উম্মে ফাতেমা। 


আরও খবর



ঢাবি মেধা তালিকায় ৭২তম হয়েও ভর্তি অনিশ্চতায় পূর্বধলার সাইফুল

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩—২৪ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৭২তম হওয়ার পরও অর্থের অভাবে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী। 

সাইফুল জেলার পূর্বধলা উপজেলার নিজহোগলা গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন ও রিনা বেগম দম্পতির ছেলে। জামাল উদ্দিন ও রিনা বেগমের সাংসারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ১৮ বছর আগে ডিবোর্স হয়ে যায়। পূর্বভিকুনীয়া গ্রামের দিনমজুর মইজ উদ্দিনের মেয়ের ছেলে সাইফুল। সাইফুল তার নানার বাড়িতে মায়ের সাথে বসবাস করেন। সংসারের ব্যয়ভার মিটিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়ালেখার খরচ বহন করার সামর্থ নেই মা রিনা বেগমের। প্রাথমিক অবস্থায় ভর্তির জন্য যে টাকা লাগবে সেটাই এখনো জোগাড় করতে পারেননি তিনি।

সাইফুল ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোনার পূর্বধলার সাধুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ এবং ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পূর্বধলা সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। 

সাইফুল ইসলামের মা মোছা. রিনা বেগম জানান, একমাত্র ছেলে ছাড়া তার আর কেউ নেই। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হবার পর থেকে ছেলেকে নিয়ে বৃদ্ধ বাবার অভাব অনটনের সংসারে বসবাস করছেন তিনি। অভাবের কারনে ছেলেকে তেমন প্রাইভেট কোচিং এ পড়াশুনা করাতে পারেননি। কোন মতে তাদের সংসার চলে। সাইফুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছে এখন খরচ আরও বেড়ে গেল। 

দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, তার বয়স যখন দুই বছর পাঁচ মাস তখন বাবা এবং মায়ের ডিভোর্স হলে মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকেন। তার বাবার বাড়ি নিজহোগলা এবং নানার বাড়ি পূর্বভিকুনীয়া। তার মায়ে ইচ্ছে ছিল যে কোনভাবে ছেলেকে পড়াশুনা করিয়ে মানুষের মত মানুষ করবে। তাই তাকে পূর্বভিকুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়। নানার আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল ছিল তাই তাকে পড়াশুনা করানোর জন্য তার মাকে অন্যের বাড়িতেও কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু ভাগ্য ভাল যে তার নানা— নানু, মামাদের পাশাপাশি আশেপাশে অনেক ভাল মানুষ ছিল। সবাই তাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। তার যখন টাকার প্রয়োজন হয়েছে অথবা কোন সমস্যা হয়েছ তারা সমাধান করেছেন। শিক্ষকরা তাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। এলাকার বড় ভাই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্যামল চন্দ্র এবং আরেক বড় ভাই জসিম শেখ তারা তাকে খুব কাছ থেকে সাহায্য করেছেন। দিলরুবা হাবিব শিক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওসমান গনি সুমন স্যার, সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ খান সম্পর্কে তার নানা হন। তারা তাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই সাইফুল পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন এবং পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কাজ করে নিজেও টাকা উপার্জন করেছেন।  তিনি স্বপ্ন দেখতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করবেন। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ‘ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু মায়ের পক্ষে পড়াশুনার টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। ভর্তি সুযোগ পেয়ে খুশি হয়েছিল সাইফুল। কিন্তু ভর্তি ও পড়াশুনার টাকার চিন্তায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন মনে হয় তার পূরণ হবে না।’ 

 

ঢাবি’র পূর্বধলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রুকন উদ্দিন রানা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বধলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ (উটচঝডঅ) মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও সহায়তা প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় সাইফুল ইসলামকে সকল বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধ্য মত সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।

 

পূর্বধলা সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক আবু হানিফ তালুকদার রাসেল বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম খুব মেধাবী ছাত্র। আমরা যতটুকু পেরেছি তাকে সহযোগিতা করেছি। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে সে হয়তো মেধা তালিকায় প্রথম থেকে দশের মধ্যে স্থান পায়নি, তবে সে যে মেধাবী তার প্রমাণ সে দিয়েছে। সমাজের বিত্তবান, মহৎ ব্যক্তি, সরকারি বা বেসরকারি দাতা সংস্থা পাশে দাঁড়ালে সাইফুলের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর ‘গ’ ইউনিটে যে ৪ হাজার  ৫৮২জন মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তাদের মধ্যে ৭২তম সাইফুল ইসলাম। অদম্য মেধাবী সাইফুল ইসলামের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লড়াইয়ে বিত্তবান মহৎ ব্যক্তি ও দাতা সংস্থা শরিক হলে লড়াইটা সহজ হবে। সাইফুল ইসলামের সাথে ০১৯৯০-৬২৬১৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে! 


আরও খবর