Logo
শিরোনাম

শরীফার গল্পটি পাঠ্য বই থেকে চুড়ান্তভাবে বাদ দিল শিক্ষামন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস ডেস্ক:


সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 



বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে গল্পটি পাঠ্য বই থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।



সম্প্রতি এনসিটিবিকে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


চিঠিতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে শরীফার গল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 



একই সঙ্গে সেখানে আরেকটি গল্প সংযোজন করতে জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া যেতে পারে। গল্পের পরিবর্তে নতুন গল্প সংযোজনের করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। সেই আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এর আগে, চলতি বছরে শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিতর্ক শুরু হয়। এর মধ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ অধ্যায়ের ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আপত্তি তোলে একটি পক্ষ। 



মূলত শিক্ষক আসিফ মাহতাব একটি অনুষ্ঠানে বই থেকে ওই গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন এবং অন্যদেরও ছেড়ার আহ্বান জানান।


মাহতাবের বই ছেড়ার সেই ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘শরীফার গল্প’র বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে সামাজিক বনায়নের অর্থ বিতরণ, ৩১ জন পেলেন টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে উপকূলীয় বন বিভাগের আওতায় সামাজিক বনায়নের বিক্রিত বাগানের লভ্যাংশ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৩১ জন উপকারভোগীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা প্রদান উদ্বোধন করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জামশেদ আলম রানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে অর্থ প্রদানের স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা মিঠুন চন্দ্র দাসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের আওতায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে সৃজিত লক্ষ্মীপুরের বসুরহাট-ছয়আনি সড়কের ছয় কিলোমিটার এলাকায় সৃজিত বাগানটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। বিক্রয়মূল্য ছিল ৩২ লাখ ২৮ হাজার ৬২০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী এর ৫৫ শতাংশ অর্থ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপকারভোগীদের থেকে লভ্যাংশ প্রাপ্তির আবেদন সমূহ যাচাই-বাছাই শেষে ৩১ জন উপকারভোগীর প্রত্যেকের ব্যাংক  একাউন্টে ৩০ হাজার ১৪৫ টাকা জমা প্রদান করা হচ্ছে। বিক্রয়ের অর্থ থেকে ১০ শতাংশ বন রাজস্ব, ১০ শতাংশ টিএফএফ (ট্রি ফার্মিং ফান্ড), ২০ শতাংশ ভূমিমালিক সংস্থা এবং ৫ শতাংশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

চেক পেয়ে প্রাপ্তির অনুভূতি জানালেন উপকারভোগীরা:

সদর উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের নুরজাহান বেগম জানান,

"অনেকদিন পরে হলেও আমাদের প্রাপ্য অর্থ পাবো জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমরা অনেক কষ্ট করেছি, তবে আজকে আমাদের পরিশ্রমের ফল পেলাম। এজন্য বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।"

একই উপজেলার পূর্ব জাফরপুর গ্রামের মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম বলেন,

"বন সংরক্ষণে অংশগ্রহণের কারণে আজ আমাদের জন্য এই বড় সুযোগ এসেছে। দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রাপ্য অর্থ খবর পেয়ে, আমরা অনেক খুশি। ধন্যবাদ জানাই বন বিভাগকে।"

একই উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের ছায়েদুল হকের স্ত্রী ছেমনা খাতুন বলেন,এই অর্থ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য এটি শুধু কিছু টাকা নয়, এটি আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। বন বিভাগের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের এই সুযোগ দিয়েছে।"

উল্লেখ্য যে, সামাজিক বনায়নের আওতায় গাছ রোপণ ও সংরক্ষণে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘কোনও উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।

(বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর (পলিটিক্যাল স্পেস) সঙ্কুচিত হয়ে আসছে তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বোধ করছে’, জানান তিনি।

একই সঙ্গে বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে আমরা জোরালো সমর্থন জানাই।

প্রসঙ্গত গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ভারত সে দেশে যত দ্রুত সম্ভব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। সূত্র: বিবিসি


আরও খবর



সারাদেশে ২৩ মে বিক্ষোভ করবে হেফাজত ইসলাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

চার দাবি আদায়ে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসমাবেশ শেষ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।

৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে মহাসমাবেশ শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। সকাল ৯টায় সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর সোয়া ১টায়। এতে সভাপতিত্বে করছেন হেফাজতের আমির মাওলানা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী। সমাবেশে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা বক্তব্য দেন।

হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, আজকের মহাসমাবেশের মুখ্য দাবি মূলত চারটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিগুলো থাকবে।

এদিকে মহাসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

দাবিগুলো হলো-

১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের কোরানবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করে আলেম-ওলামাদের পরামর্শক্রমে নারী সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নারীর সামাজিক উন্নয়নে পশ্চিমা মূল্যবোধ নয় বরং আমাদের নিজস্ব সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকেই বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে।

২. সংবিধানের মূলনীতিতে আল্লাহর ওপরে পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে। ধর্মপ্রাণ গণমানুষের ঈমান ও আমল রক্ষার্থে বহুত্ববাদ নামক আত্মঘাতী ধারণা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। এছাড়া লিঙ্গ পরিচয়, লিঙ্গ বৈচিত্র্য, লিঙ্গ সমতা, তৃতীয় লিঙ্গ বা থার্ড জেন্ডার ইত্যাদি শব্দের মারপ্যাঁচে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়; এমন ধোঁয়াশাপূর্ণ স্লোগানের অন্তরালে এবং অসাম্প্রদায়িক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শব্দের আড়ালে এলজিবিটি ও ট্রান্সজেন্ডারবাদের স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমাজবিধ্বংসী ধর্মবিরুদ্ধ সমকামীবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে।

৩. শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচারে গতি আনতে ট্রাইব্যুনালে সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও তার চিহ্নিত দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করব বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম ও তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে।

৫. আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) এর নামে কটূক্তিকারী ও বিষোদ্গার বন্ধে কঠোর আইন করতে হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ধর্মীয় অবমাননা সংক্রান্ত শাস্তির আইনি ধারাগুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

৬. চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে শহীদ সাইফুল ইসলাম হত্যার উসকানিদাতা চিন্ময় দাসের জামিন প্রত্যাহারপূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

৭. ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সারাদেশে প্রতিবাদী আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ইসলামমনা তরুণদের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যে ও বানোয়াট সব মামলা অতিসত্ত্বর প্রত্যাহার বা নিষ্পত্তি করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। সেই সঙ্গে জঙ্গি নাটক বা জঙ্গি কার্ড খেলে বাংলাদেশকে ইসলামপন্থি ও আলেম-ওলামাদের গত ১৫ বছর যারা নির্যাতন চালিয়েছিল; তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৮. গাজার মুসলমানদের ওপর অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা ও ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সরকারকে কূটনৈতিকভাবে আরও উচ্চকণ্ঠ হতে হবে এবং দেশের সর্বস্তরের জনতাকে ইসরায়েলি ভারতীয় পণ্য বয়কট করতে হবে।

৯. ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ। শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সবপর্যায়ে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

১০. রাখাইনকে মানবিক করিডর প্রদানে সরকারের সম্মত হওয়া সম্পূর্ণরূপে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আমাদের ভৌগোলিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে অবশ্যই অনতিবিলম্বে ফিরে আসতে হবে।

১১. চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে ভিনদেশি মিশনারি অপতৎপরতা ও দৌরাত্ম্য বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশে ভৌগোলিক ও খণ্ডতায় ও নিরাপত্তাসংকট কমাতে আলেম সমাজের দাওয়াতি কার্যক্রমকে আরও নিরাপদ ও সুযোগ করে দিতে হবে। সেখানে সামরিক নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও বৃদ্ধি করা ছাড়াও পাহাড়ি ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমঝোতা ও স্থিতিশীলতা বিনির্মাণে রাষ্ট্রীয় তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।

১২. কাদিয়ানীদের বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সাধারণ মুসলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষার্থে কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।


আরও খবর



২০০ কেজি ওজনের বোমা নিষ্ক্রিয় করলো সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল টিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালের একটি ১৫০-২০০ কেজি ওজনের মিলিটারি অর্ডিন্যান্স (এরিয়েল বোম) সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর  সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এটি বাংলাদেশে উদ্ধারকৃত সবচেয়ে বড় বোমা।

সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়,গত ২৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. সকাল ৬:৪৫ ঘটিকার দিকে জনৈক জামাল উদ্দিনের জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি খননের সময় বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পান ভেকু চালক। জমির মালিক বস্তুটি মাটি দিয়ে ঢেকে রাখেন। সংবাদ পেয়ে গজারিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এটি বোমা হিসেবে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। 

সিটিটিসি সূত্রে আরো জানা যায় ২৯ এপ্রিল বিকাল ৪:৩০ ঘটিকার দিকে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ১২ সদস্যের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাটি পরীক্ষা করে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায়, উদ্ধারকৃত বস্তুটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার  অত্যন্ত বিপজ্জনক এরিয়েল বোমা এবং ওজন আনুমানিক ১৫০-২০০ কেজি। বোমাটি স্থানান্তর করা সম্ভব না হওয়ায় এবং জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বোমাটি  ঘটনাস্থলেই নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাত ৮:০০ ঘটিকার দিকে  যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সফলভাবে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।নিষ্ক্রিয়করণের সময় আশপাশের কিছু টিনের ঘর সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এই সাহসী ও পেশাদারিত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। এ ঘটনা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা ও প্রস্তুতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: শেয়ারবাজারে পতন

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ভারত ও পাকিস্তান কেউই যেন কাউকে দেখতে পারে না। তাদের সম্পর্কটা এরকমই সাপে-নেউলে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা দু’দেশের চিরবৈরী মনোভাবকে আরও উসকে দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বর্তমানে দেশ দুটির মধ্যে দেখা দিয়েছে সামরিক উত্তেজনা। আর সেই উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় ঘটেছে বড় ধরনের দরপতন।

৭ মে দুপুর ১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দরপতন হয় ৩৭৭টির। এর মধ্যে দর বাড়ে কেবল ৯টির এবং আগের দরে লেনদেন হয় ৭টির। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১১৬ পয়েন্ট। আর এই সময়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

অন্যদিকে দুপুর ১টা ৭ মিনিটে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২২৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৭৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬ টির, কমেছে ১৫২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬ টির।

জানা গেছে, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে আজ বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুতেই হয় বড় ধরনের দরপতন।

শেয়ারবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এই উপমহাদেশে আতঙ্ক ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আগে থেকেই পতনের ধারায় থাকা দেশের শেয়ারবাজার এখন তলানিতে রয়েছে। এখান থেকে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত। তাহলে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি ও ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতির কারণে শেয়ারবাজারে এমন দরপতন দেখা দিয়েছে।

আমাদের শেয়ারবাজার এমনিতেই এখন বটম লাইনে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখান থেকে বাজার খুব নিচে নামার সম্ভাবনা কম। আশা করছি, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের শেয়ারবাজার পতনের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, বিনিয়োগকারীদের এখন দিশেহারা অবস্থা। এর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের ভেতর সৃষ্ট বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে। দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট এই পরিস্থিতির কারণে সবার মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে অনেক বিনিয়োগকারী কম দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করছেন। এ কারণেই লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন দেখা দিয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শেয়ার বিক্রির চাপ না বাড়ালে বাজার অচিরেই ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। হামলার পর দিল্লি সোজাসুজি এর দায় চাপায় ইসলামাবাদের ঘাড়ে। দুই দেশ থেকে নেওয়া হয় বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপও।

পরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় ইরান ও রাশিয়া। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মীরে হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত।

এদিকে পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তারাও কাশ্মীরের ভিম্বর গলি অঞ্চলে গোলা নিক্ষেপ করেছে।


আরও খবর