Logo
শিরোনাম

শ্রীনগরে নারীকে গুলির ঘটনার মূল আসামী রাসেল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল : মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে চাঁদা না পেয়ে বিদ্যুৎ বেগম (৫৫) নামে এক নারীকে গুলির ঘটনার মূল আসামী রাসেলকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক করা হয়।  শ্রীনগর থানা পুলিশ রাসেলকে  বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে। 

গত ১১ অক্টোরব রাত ৭ টার দিকে বাঘড়া এলাকার রাসেল তার চাচা আশ্রাব আলীর বাড়িতে ঢুকে চাঁদা দাবী করে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির সময় রাসেল তার চাবী বিদ্যুৎ বেগমের তলপেটে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে উঠে। এই ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা হয়। 

অপর একটি সূত্র জানায়, এর আগে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ রাসেলকে গুলি করেছিল। 

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। 


আরও খবর



রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রওশন এরশাদের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

১৯ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টার আলোচনায় তিনি তফসিল পরিবর্তন ও সব দলের অংশগ্রহণের স্বার্থে আলোচনার প্রস্তাব দেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর এটা প্রথম সাক্ষাৎ; রাষ্ট্রপতির শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা।

তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করতে সবার সঙ্গে আলোচনা করা যায় কিনা, রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন থাকায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল পরিবর্তন করা যায় কিনা, সেই অনুরোধও করেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি এ বিষয়টি ইসির সঙ্গে আলোচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, উল্লেখ করেন মশিউর রহমান রাঙ্গা।

বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে সবার সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে অনুরোধ করেন জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

মুখপাত্র জানান, ৩০ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ও মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বিবেচনায় নিয়ে পুনঃতফসিল করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিরোধীদলীয় নেতা।


আরও খবর



ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাইন বেঁকে যাওয়া, পুরাতন সেতু মেরামতের দীর্ঘসূত্রিতার মতো জটিলতা এড়িয়ে পহেলা ডিসেম্বর চালু হচ্ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন। ওইদিন সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন পৌঁছাবে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। ভাড়া ৫১৫ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩৬ টাকা। ৭ নভেম্বর ট্রায়াল রানের পর ১১ নভেম্বর এই রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একশো কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন এখন দৃশ্যমান। সে সঙ্গে দৃশ্যমান হয়েছে যাত্রাপথের স্টেশনগুলোও। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় বেঁকে যাওয়া রেল লাইন এরইমধ্যে ঠিক করা হয়েছে। দ্রুতগতিতে চলছে কালুরঘাট সেতুর মেরামত কাজ। ট্রায়াল রানের জন্য ইঞ্জিনসহ ৬টি বগি প্রস্তুত রাখা হয়েছে দোহাজারী স্টেশনে।

আগামী ৭ নভেম্বর শুরু হবে ট্রায়াল রান। এরপর ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। তবে যাত্রীবাহী ট্রেনে চড়তে অপেক্ষা করতে হবে পহেলা ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এ রুটে চলাচলকারী ট্রেনের জন্য প্রবাল, হিমছড়ি, কক্সবাজার, ইনানী, লাবনী এবং সেন্টমার্টিন নামে ৬টি নামও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, কয়টি ট্রেন এ রুটে যাতায়াত করবে তা এখন পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি। তবে উদ্বোধনের পর দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের এই রেললাইন খুলে দিচ্ছে পর্যটন শিল্পের নতুন দিগন্ত। প্রথম পর্যায়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে প্রথম ট্রেনটি। এটি চট্টগ্রাম হয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় পৌঁছাবে কক্সবাজার। পরবর্তীতে দুপুর ১টায় একই ট্রেন চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ছেড়ে যাবে। রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে পৌঁছাবে রাজধানীতে।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করা গেলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ঘটবে। বিশেষত বিদেশি পর্যটক সমাগত আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়াও পণ্যবাহী ট্রেন চালু হলে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের পণ্য আনা-নেয়া সহজ হবে। আবার দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজারে নানা ধরণের শিল্প কারখানা গড়ে তুলতেও সহায়ক হবে।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, এ রেল রুট যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। যখন পরিবহনে খরচ ও সময় কমছে, তখন শিল্প কারাখানা গড়ে ওঠা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এই রেলপথ। ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে: ঢাকা থেকে নন এসি শোভন চেয়ার ৫১৫ টাকা, এসি সিট ৯৪৮ টাকা, এসি কেবিন ১ হাজার ৩৬৩ টাকা এবং এসি বার্থ ২ হাজার ৩৬ টাকা।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নানা সমস্যায় জর্জরিত মাভাবিপ্রবি ভেটেরিনারি অনুষদ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image


মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি ) ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এনিমেল সায়েন্স  অনুষদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।চলতি বছরের ১ লা ফেব্রুয়ারি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগের সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাভাবিপ্রবি অনুষদ হিসেবে যুক্ত করা হয়। 

বর্তমানে মাভাবিপ্রবির এ অনুষদটিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত দুটি ব্যাচে  ১০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র এগারো জন যারা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে কর্মরত আছেন। নেই কোন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক। খেলার মাঠ অনুপোযোগী, বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা, বৈদ্যুতিক বাল্ব সমস্যা, বৈদ্যুতিক বিভ্রাট, জিমনেসিয়ামে সরঞ্জাম নেই, কম্পিউটারের স্বল্পতা (১৪টি কম্পিউটার), পাঠাগারে বইয়ের স্বল্পতা (৮৪৩টি বই), মেডিকেল সেন্টার ডাক্তার নেই ও মসজিদে মুয়াজ্জিন নেই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং থেকে ৩৬ জন কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে আসেন না বললেই চলে। ফলে ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বলে কিছু নেই। বিশ^মানের ‘ডিভিএম’ (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে ল্যাবগুলোতে আনা হয় অনেক দামি রাসায়নিক ও যন্ত্রপাতি। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন মাহমুদ বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরও দীর্ঘ নয় মাসেও সংকট সমাধান না হওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আশংকা করছি। ভেটেরিনারি মেডিসিনের মতো টেকনিকাল বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে অপর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে, যা মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি অন্তরায়। অন্যদিকে ল্যাবগুলোতে ব্যাবহারযোগ্য পর্যাপ্ত ল্যাব ইক্যুইপমেন্ট না থাকার কারণে আমরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ইতোমধ্যে করোনাসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের দীর্ঘ ৩ বছরের সেশনজটে পড়তে হয়েছে। এ সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি। আমরা মাননীয় উপাচার্য স্যারের নিকট সকল সমস্যা সমাধানের আবেদন করছি।

প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার বলেন, এই অনুষদের মেডিকেল সেন্টারে কোনো ডাক্তার নেই। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে দূরবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় এবং এক্ষেত্রে মেডিকেল সেন্টারে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কোনো বাসের ব্যাবস্থা নেই। এখানে এনিমেল সেড থাকলেও শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত প্রাণি নেই। চলমান সংকট সমাধানের মাধ্যমে তীব্র সেশনজট কমিয়ে আনতে (৪ থেকে ৫ মাসে সেমিস্টার) উপাচার্যের নিকট অনুরোধ করছি।

মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১১ জানুয়ারি ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের বেশ কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি আকারে নিতে চাই তাহলে আমাকে একাডেমিক কাউন্সিলে পাস করাতে হবে, এটি কি ফ্যাকাল্টি হবে সেটা পাস করাতে হবে, কি কারিকুলাম হবে, পাস করাতে হবে, এটি নিয়ে একটি অর্ডিন্যান্স করতে হবে।

ক্ষথীদের ক্লাস শেষ পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেখলাম এখানের সিলেবাস শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোকে, সেই অর্ডিন্যান্সের ভিত্তি‌ করে ক্লাসও হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতি ভিন্ন রকমের। দুটার মধ্যে সমন্বয় করে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিলাম। এই প্রতিষ্ঠানটি যদি পুরোপুরি আমাদের হস্তান্তর করা না করা হয় তাহলে আমরা যেটুকু এগিয়ে গিয়েছি এবং যে পরীক্ষাগুলো নেয়ার চেষ্টা করতেছি এই পরীক্ষাগুলো নেয়ার পরপরই আমাদের এক্টিভিটিস বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আগাতে পারবো না। এই ক্যাম্পাসটি পরিচালনা করতে বাজেট ঘাটতি রয়েছে। যে কয়জন শিক্ষক তা খুবই কম। শিক্ষক কমপক্ষে ৪০ জন লাগবে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষক বিভিন্ন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন এবং বড় অর্থ ব্যয় করেছেন সেই অর্থটা কাজে লাগানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পশু পালন মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি ইউজিসি কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব আমরা যে বাজেট সাবমিট করেছি বাজেট পাস করে পুরোপুরি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।

এই বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন, কলেজের যেসকল সমস্যা ছিল সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



এখন পর্যন্ত ২৫ ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর, ১৩০টি বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত ২৫টি ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুরের ঘটনা এবং ১৩০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তবে বেতন বৈষম্য নাকি হরতাল-অবরোধের কারণে এমন হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি সংগঠনটি।

১২ নভেম্বর দুপুরের উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

ফারুক হাসান বলেন, আমরা যখন বৈশ্বিক ও আর্থিক চাপের মধ্যে থেকেই টিকে থাকার সংগ্রাম করছি, ঠিক তখন শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিক গোষ্ঠীকে উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে সে লক্ষ্য করছি, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু কারখানায় অজ্ঞাতপরিচয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে, কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো এ ব্যাপারে আমাদেরকে ভিডিও ফুটেজ দিয়েছে, মামলার কপিও আমাদেরকে দিয়েছে।

তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেসব কারখানা শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাদের কাজ চলমান থাকবে। দুঃখের বিষয় যে, যখন মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কাজ করছিল, তখনও কারখানা ভাঙচুর, কারখানায় অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, উদ্যোক্তারা কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই শিল্প পরিচালনা করছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এমন অনেক উদ্যোক্তা আছেন, যারা লোকসান দিয়েও কারখানা সচল রেখেছেন, শুধুমাত্র ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। শ্রমিকদেরকে বেতন দিচ্ছেন ঋণের বোঝা মাথায় রেখে।

তিনি বলেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ এর সদস্যপদ গ্রহণ করলেও কালের পরিক্রমায় ৩ হাজার ৯৬৪টি সদস্য কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ২ হাজার ৯২১টি সদস্য কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৩৩৯টি কারখানা বিজিএমইএ-তে তাদের সদস্যপদ নবায়ন করেছে। এই ২ হাজার ৩৩৯টি সদস্য কারখানার মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৬০০টি সদস্য কারখানা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার এনে কাজ করছে। অর্থাৎ আমাদের এ মুহূর্তে সরাসরি রপ্তানিকারক কারখানার সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৬০০টি।

তিনি আরও বলেন, সদস্যপদ নবায়ন করা ২ হাজার ৩৩৯টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৬০০ কারখানা বাদে বাকি কারখানাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা বিভিন্ন ব্যাংক দেনা ও দায়ের কারণে সরাসরি ব্যাক-টু-ব্যাক খুলতে পারছে না। ফলে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার নিতে পারছে না। এই সদস্য কারখানাগুলো মূলত সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো ব্যাংক দেনা ও আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে তারা আগামীতে দেনা পরিশোধ করে ব্যবসায় ফিরে আসতে ইচ্ছুক।

এ পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, শিল্পের উত্থানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। শুধু করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি এবং পরবর্তীতে অন্যান্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে, বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




১২৭ জন এমপিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন,প্রধান প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে দিন থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে সেদিন থেকে আওয়ামী লীগ তার মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি করবে। 

মনোনয়ন ফরমের দাম ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বলেছেন যে, নির্বাচনে কাদেরকে মনোনয়ন দেবেন তার তালিকা পুরোপুরি ভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, ৩০০ আসনের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা এখন প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে বর্তমানে যারা আওয়ামী লীগের এমপি আছেন তাদের মধ্যে অন্তত ১২৭ জন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না। তাদেরকে নির্বাচনে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্রমতে, আওয়ামী লীগ ধরে নিয়েছে বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। কাজেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে এটা মাথায় রেখেই মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি গতকাল ইঙ্গিত করেছেন যে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে মনোনয়ন বাণিজ্য করার জন্য এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, ১৭২ জন পুরনো প্রার্থী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য আবার টিকিট পাবেন। ১২৭ জন যে নতুন প্রার্থী রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জন রয়েছেন যারা ২০০৮ বা ২০১৪ নির্বাচন করেছে। ২০১৮ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। 

এ রকম ব্যক্তিদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও বিভিন্ন সূত্র বলছেন। 

একেবারে নতুন এবং আনকোরা, ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কোন নির্বাচনেই প্রার্থী হননি এমন অন্তত ৩০ জন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

মনোনয়নে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তাদেরকেও রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, তরুণ এবং প্রবীণদেরকে মিলিয়ে এই মনোনয়ন তালিকা করা হয়েছে।

 সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, এর মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত শরিকদের জন্য ৫০টি আসন ছেড়ে দেবে। 

এ নিয়ে শরিকদের সঙ্গে খুব শিগগিরই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে আসনগুলো শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে সেই আসনগুলোতে যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। 

একাধিক সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগ মহাজোটের অধীনে নির্বাচনে যাবে নাকি শুধুমাত্র ১৪ দলকে নিয়ে নির্বাচনে যাবে তা নিশ্চিত নয়।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র বলছে, কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ ১৪ দলগত ভাবে নির্বাচন করতে চায়। জাতীয় পার্টিকে আলাদা অবস্থানে রেখে নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায়। 

কারণ বিএনপি যদি শেষ মুহুর্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে কোন আসন যেন প্রার্থী শূন্য না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। 

একাধিক সূত্র বলছে যে, প্রার্থীতা মনোনয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগ কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে। 

যে সমস্ত আসন ঝুঁকিপূর্ণ, যে আসনগুলোয় আওয়ামী লীগ কখনোই নির্বাচিত হতে পারেনি, সেই সমস্ত আসনে অপেক্ষাকৃত তরুণদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ভবিষ্যতে সংগঠন গোছাতে পারে।

 নির্বাচনে হারার পরও যেন তারা সাংগঠনিক কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে পারে। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র বলছে, যে যারা ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মী তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বগুড়া, লক্ষ্মীপুরের মতো বিএনপি প্রবণ এলাকাগুলোতে সাংগঠনিক ব্যক্তিদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 

তবে এবারের নির্বাচনে চমক হিসাবে বড় বড় শিল্প গ্রুপের অন্তত তিনজন ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। 

এছাড়াও নির্বাচনে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আরও কিছু নাটকীয় চমক থাকবে বলেও জানা গেছে।


আরও খবর