Logo
শিরোনাম

শ্রীনগরের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের কবুতর খোলা (৩নং ওয়ার্ড) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

রাঢ়িখাল ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মিয়া সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদ আলম ডাবলু,রাঢ়িখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ বারেক খান বারী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক নেছার উল্লাহ সুজন, রাঢ়িখাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজওয়ান ঢালী, সাধারণ সম্পাদক হানিফ বেপারী, যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন শিকদার সুমন, উৎপল আহমেদ পল,কোলাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আতাহার হোসেন আতা।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাঢ়িখাল ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈকত খান।


আরও খবর



রমজানে স্বস্তি ফেরাতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ |

Image

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পণ্যগুলোর তালিকায় রয়েছে- সরিষার তেল, আটা, ময়দা, ডাল, এলপি গ্যাস, বিস্কুট, লবণ ও গরম মসলাসহ আরও কিছু পণ্য।  সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষার তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল- জাতীয় খাদ্যশস্য।

শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। যারা নিজেরা আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন, তারা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।

ওই পণ্যগুলোতে ভ্যাট সুবিধা পেতে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে- ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিলসহ বেশ কিছু শর্ত।


আরও খবর



গঙ্গা চুক্তিতে ইতিবাচক হলেও তিস্তায় সম্মতি নেই ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০25 |

Image

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার গঙ্গা চুক্তি বিষয়ক যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক সোমবার (০৩ মার্চ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচ দিনের এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈঠকটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসলেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা করতে রাজি নয় দিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা চায় না দিল্লি।

বস্তুত গতবছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই ঢাকা ও দিল্লির এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরের শুরুতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্র ভারতীয়দের হামলা সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে নিয়ে ঠেকায়।

কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বাংলাদেশে কোনো ‘অনির্বাচিত’ বা ‘অন্তর্বর্তী’ সরকারের সঙ্গে তারা পূর্ণ এনগেজমেন্টে যেতে আগ্রহী নয় এবং মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে তারা এমন কোনো সমঝোতায় যাবে না, যেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে।

এই পটভূমিতেও যে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের যৌথ কমিটি মুখোমুখি বৈঠকে বসছে এবং সরেজমিনে ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করতে পারছে– এটাকে পর্যবেক্ষকদেরও অনেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন।

বিবিসি জানতে পেরেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে ‘রাজনৈতিক সবুজ সংকেত’ (পলিটিক্যাল ক্লিয়ারেন্স) দেওয়ার পরেই এই বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হয়, বাংলাদেশেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং যাবতীয় কর্মসূচি ঠিক করা হয়।

এর প্রধান কারণ হলো, ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তির তিরিশ বছরের মেয়াদ ২০২৬-র ডিসেম্বরেই শেষ হবে– ফলে কোন শর্তে চুক্তিটির নবায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ওই চুক্তির নবায়নের জন্য মাত্র বছর দেড়েকের মতো সময় হাতে আছে বলেই এই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকটিকে স্থগিত করতে চায়নি কোনো পক্ষই, দু'দেশের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পদস্থ সূত্র বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গঙ্গা চুক্তির বিষয়টি আলাদা। এখানে টেকনিক্যাল কমিটির বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে বসছেন কারণ আমাদের হাতে চুক্তি রিনিউ করার জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই।

তিনি আরও জানাচ্ছেন, তবে অভিন্ন নদী তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে ভারত কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাচ্ছে না। কারণ সেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে এবং ভারত মনে করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সেই আলোচনা চালানোর কোনো ‘ম্যান্ডেট’ নেই!

কী হবে বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।

গঙ্গা চুক্তিতেই বলা আছে, দু'দেশের বিশেষজ্ঞরা পর্যায়ক্রমিকভাবে ভারতে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ পয়েন্টে ও বাংলাদেশে পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জলের প্রবাহ ও অন্যান্য বিষয়ে যৌথ পরিদর্শন করতে পারবেন।

সেই অনুযায়ী, ৮৬তম বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রতিনিধিরাই কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে ফারাক্কা পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন। তেসরা ও চৌঠা মার্চ ফারাক্কা ব্যারাজের বিভিন্ন অংশে যৌথ পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হবে। ৫ মার্চ (বুধবার) যৌথ কমিটির সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে আসবেন।

৬ই মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের 'টেকনিক্যাল কমিটি'র বিশেষজ্ঞদের বৈঠক। পরদিন (৮ই মার্চ) বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, এটি এমনিতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের রুটিন বৈঠক হলেও যেহেতু গঙ্গা চুক্তির নবায়নের সময় এগিয়ে আসছে তাই এটির ‘আলাদা গুরুত্ব’ আছে।

গঙ্গায় ফারাক্কা পয়েন্টের আগে ও পরে শুষ্ক মৌসুমে জলের প্রবাহ কতটা বজায় আছে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে, গঙ্গার জলপ্রবাহের কতটা পদ্মায় আর কতটা ভাগীরথী (হুগলী) নদীতে যাচ্ছে– এই বিষয়গুলো নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে চুলচেরা আলোচনা হয়ে থাকে।

আগামী বছর গঙ্গা চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ নতুন ফর্মুলায় জল ভাগাভাগির ওপর জোর দিতে চাইছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সে দিক থেকেও এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব আছে। আর এই বৈঠকের রাজনৈতিক গুরুত্ব হলো, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের আমলেও ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে এই সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিস্তায় না, কিন্তু গঙ্গাতে হ্যাঁ : গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে আরও নানা বিষয়ের সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তার সরকার ভারতের কাছে অভিন্ন নদী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাও দাবি করবে। ওই সাক্ষাৎকারের বক্তব্য স্পষ্টতই ভারতের মনঃপূত হয়নি এবং তারা সেটা ঢাকাকে বুঝিয়েও দিয়েছিল।

দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকার নয় তাই তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো আলোচনাতে যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। ফলে গত সাত মাসে তিস্তা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এমনকি শেখ হাসিনার বিদায়ের মাত্র দিনকয়েক আগে যে 'তিস্তা মহাপরিকল্পনা'য় ভারতের সক্রিয় যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেটাও যথারীতি হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিস্তার ক্ষেত্রে ভারত এক ধরনের অনমনীয় মনোভাব দেখালেও গঙ্গা চুক্তি নিয়ে কিন্তু দিল্লির দিক থেকে এক ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওই চুক্তি নবায়নে তাগিদ যে ভারতের দিক থেকেও আছে, সেটা ঘটনাপ্রবাহ থেকেও স্পষ্ট।

ঢাকায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী অবশ্য এর মধ্যে অসুবিধার কিছু দেখেন না।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “গঙ্গা চুক্তি প্রায় তিন দশক ধরে ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড’ – মানে ভরসা আর সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এর মাঝে বাংলাদেশে এমন সরকারও এসেছে যারা ভারতের প্রতি ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু তাতে চুক্তির বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে এই চুক্তিটাকে যে দুই দেশই নবায়ন করতে চাইবে, এটাই তো স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু অন্য দিকে তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে আমরা কিন্তু এখনও কোনো চুক্তিই করে উঠতে পারিনি। ফলে গঙ্গা আর তিস্তার বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা চোখে দেখতে হবে।

আর যেহেতু ঢাকায় বর্তমান সরকারের সঙ্গে দিল্লি কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বা সমঝোতায় যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই তিস্তা নিয়ে আলোচনা না এগোলেও গঙ্গা নিয়ে বৈঠক কিন্তু ঠিকই হচ্ছে—বলেন, সাবেক হাই কমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী।


আরও খবর



চার দফা দাবিতে ঝালকাঠিতে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঝালকাঠিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিডিএমএ, বেকার ডিপ্লোমা চিকিৎসক ও সম্মিলিত ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিডিএমএ এর ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি প্রবীর রঞ্জন হালদার। 

এসময় সংগঠনে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মানিক হালদার এবং

শিবব সংকর সহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ১৪ বছর ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে তাই অনতিবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে নতুন পদ সৃষ্টি করা। প্রতিষ্ঠান ও কোর্সের নাম পরিবর্তন করে অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করে ইন্টার্নশিপে লগবুক চালু করা। বিএমএন্ডডিস স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অধিকার প্রদান করা। প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড খসড়া আইনের নাম পরিবর্তন করে "মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ' নামকরণ সহ প্রস্তাবিত ধারায় সংশোধনীসহ বাস্তবায়ন করার দাবি জাননো হয়।

কিছু কুচক্রী মহল বর্তমানের তাদের চলমান যৌক্তিক ৪ দফা আন্দোলন নিয়ে স্বৈরশাসকের দালাল গ্রেজুয়েট চিকিৎসকের উসকানিতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন তাদের নিয়ে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিবৃতিতে বিভিন্ন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার প্রচারণা করছে। এতে ডিএমএফ ডিগ্রিধারী উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের অর্জিত সুনাম নষ্ট হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানানো হয়। 


আরও খবর



রোজায় শরীর সুস্থ ও ফিট রাখতে যা মানা জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

রমজান মাস শুরু হয়েছে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা রোজা ভাঙেন ইফতারের মাধ্যমে। তবে তারা সারাদিনের কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মেই করতে থাকেন। এই সময় অনেকে শরীরচর্চাও করেন। তাই এসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ শরীর সুস্থ রাখা।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন: রমজান মাস শুরু হওয়ার পরই খাদ্যাভাস ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উপর বিশেষ নজর রাখবেন। ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা-কফি খাওয়া যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন। তা না হলে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। রোজার দিনে সেহরি ও ইফতার অনুসারে খাওয়া-দাওয়া সময় পরিবর্তন করতে হয়। তাই রোজা ভাঙার পর হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন, এতে শরীর খুব সুস্থ থাকবে। 

প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: রমজান মাসে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। এতে শরীরের শক্তি পাবেন। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেহরিতে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। পনির, ডাল, বাদাম খেতে পারেন। এতে আপনার হজম ভালো হবে। ভাজা খাবারের চেয়ে ভাপানো খাবার খাওয়া বেশি ভালো হবে, তবে মিষ্টি যুক্ত খাবার কম খাবেন। অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার এই সময় না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। 

শরীর হাইড্রেট রাখবেন: এই সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হয়। রোজা রাখার সময় সঠিক হাইড্রেট রাখা খুবই জরুরি। সেহরি ও ইফতারের সময় ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাবেন। তাছাড়াও ডাবের পানি , ঠান্ডা পানি, ফলের রস খাবেন। চিনিযুক্ত কোনও পানীয় এই সময় খাবেন না। এসময় প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন। খাবারের তালিকায় শশা,  তরমুজ, কমলালেবু রাখুন। এসব ফল আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 

মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া টিপস


১. ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভারি খাবার এড়িয়ে চলুন। তা না হলে হজমের সমস্যা হতে পারে। 

২. রোজা ভাঙার সময় খেজুর ও পানি দিয়ে শুরু করুন।  কিছুক্ষণ পর হালকা ও সুষম খাবার খাওয়া ভালো। তাহলে পেটের উপর খুব চাপ পড়বে না। তবে খাদ্য তালিকায় ভাজা ছোলা, ড্রাই ফুটস, দইয়ের মতন স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। 

৩. রোজা রেখে ভারী ব্যয়াম করবেন না। এই সময় যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। শরীরকে সচল রাখতে হাঁটাহাটি করুন । ইফতারের পর হালকা স্ট্রেচিং বা কার্ডিও করতে পারেন। 


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




মবে জড়িতদের সতর্ক করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে বেশ কিছুদিন ধরে মব তৈরি (সংঘবদ্ধ জনতার নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া) করে লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি মব তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে মারধরের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই ঘটনায় জড়িত ১২ জন আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) জনতা মব সৃষ্টিকারী দু'জনকে তৎক্ষণিক পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন এসে উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করেন।

গত শনিবার (০১ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পতেঙ্গা সি-বিচে ত্রাস সৃষ্টি করে এসআই ইউসুফ আলীকে হেনস্থা সহ মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত। এছাড়াও তারা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত।

জনগণকে সতর্ক করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মর্মে সবাইকে সতর্ক করছে যে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।


আরও খবর