Logo
শিরোনাম

শরীর ও আত্মার খাদ্য

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

মানুষের জীবনের দু’টি দিক। একটি হলো- মানুষের শরীর বা অবয়ব। অন্যটি হলো- আত্মা বা রূহ। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে একে কম্পিউটার যন্ত্রের সাথে তুলনা করা যায়। কম্পিউটারের যেমন দু’টি দিক রয়েছে- এক. হার্ডওয়্যার তথা বডি; দুই. সফটওয়্যার তথা বডিতে ধারণকৃত প্রোগ্রাম। তেমনি মানুষের শরীর হলো একটা হার্ডওয়্যার এবং এই হার্ডওয়্যারে ধারণকৃত সফটওয়্যারটি নাম হলো, রূহ বা আত্মা। একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনের জন্য মানুষকে এই দু’টিরই সমান ও যথাযথ গুরুত্ব দিতে হয় এবং দু’টির জন্যই তার সুষম ও পৃষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হয়। অন্যথায় এর একটি অসুস্থ হলে অন্যটি স্ব^য়ংক্রিয়ভাবে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা সবাই আমাদের হার্ডওয়্যার তথা শরীরের খাদ্য সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান রাখি এবং এই খাদ্য সংগ্রহের জন্য রাত-দিন মাড়িয়ে যাই সর্বদা। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের সফটওয়্যার তথা রূহ বা আত্মার খাদ্যের চেষ্টা অনেকটা কদাচিৎ ও নগণ্য। ফলে বাইরে থেকে একজনকে সুঠাম ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মনে হলেও তার মধ্যে বাস করে একটি মৃত বা অসুস্থ আত্মা। ফলে তার দেহখানি একখান অসাড় কলাগাছ। যার মধ্যে কোনো পরিপুষ্টতা নেই, নেই কোনো উপকারী পদার্থ।
মানুষের শরীরকে মাটি থেকে তৈরি করা হয়েছে। তাই আমাদের খাদ্য সব মাটি। অর্থাৎ মাটি থেকে উৎপন্ন খাদ্য আমাদের শরীরকে পরিপুষ্ট করে রাখে। আবার আমার মাটিতেই চলে যাব। মাটি থেকে আবার বের করে আনা হবে। আল্লাহর এই সাইকেল অনন্তকাল ধরে চলছে, চলবে। এই প্রবন্ধে আপাতত বডি তথা শরীরকে বাদ দিয়ে আত্মার সুষম খাদ্যের একটি তালিকা দেয়ার চেষ্টা করা হবে ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই তো সেই সত্তা যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর শুক্র থেকে। তারপর রক্তের পিণ্ড থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুর আকৃতিতে বের করে আনেন। এরপর তিনি তোমাদের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করেন যাতে তোমরা নিজেদের পূর্ণ শক্তিতে উপনীত হতে পারো। তারপর আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করেন যাতে তোমরা বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হও। তোমাদের কাউকে আগেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। এসব কাজ করা হয় এ জন্য যাতে তোমরা তোমাদের নির্ধারিত সময়ের সীমায় পৌঁছতে পারো এবং যাতে প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে পারো।’ (সূরা আল মুমিন-৬৭)
আয়াতে জীবনের এসব পর্যায়ের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে অতিক্রম করানোর কারণ এ নয় যে, আমরা পশুর মতো জীবনযাপন করব এবং পশুর মতো মরব। বরং এসব পর্যায় অতিক্রম করানো হয় এ জন্য যে, আল্লাহ আমাদেরকে যে জ্ঞান দিয়েছেন তা কাজে লাগাব।
আত্মা। আত্মা হলো রবের আমর বা হুকুমমাত্র। কাজেই আত্মার খাদ্য আসে রবের ইবাদতের মাধ্যমে রবের কাছ থেকে। তাই আত্মাকে সজীব ও সতেজ রাখার জন্য আমাদের দৈনন্দিন নিম্নের কাজগুলো আঞ্জাম দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আত্মার খাদ্য গ্রহণের জন্য বৈরাগ্য বা সন্ন্যাসী হওয়া যাবে না। বরং সমাজ সংসারের বিশাল চারণভূমিতে জীবনের পদচারণায়, শয়নে-স্বপনে, প্রকাশ্যে-নির্জনে, দিনে ও রাতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি কার্য সম্পাদনে বা কোনো বক্তব্য পেশকালে আল্লাহর হুকুমকে পর্যালোচনা করা হলেই আত্মার খাদ্য গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য কোন পথে তা তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করা সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে অবলোকন করা। যিনি তার ভেতর ও বাইরে কোন কোন জিনিস সাফল্যের পথে বাধার সৃষ্টি করে তা প্রথমে চিহ্নিত করেন এরপর যথাসাধ্য নিয়ন্ত্রণ বা বাগে আনার চেষ্টা চালান। আর এর জন্য কোনো বিরানভূমি বা গভীর অরণ্যে নয় বরং সমাজ সংসারই হলো এর উপযুক্ত ক্ষেত্র। সমাজ-সংসারের অসংখ্য ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে আল্লাহর পথে টিকে থাকার পরীক্ষাই যার হলো না, তিনি আবার আত্মশুদ্ধি করেন কিভাবে? তাছাড়া যিনি এ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে আধ্যাত্মিকতা হাসিল করবেন তিনি অবশ্যই এমন ব্যক্তি হবেন যিনি সর্বাবস্থায় আল্লাহ ও মানুষের অধিকারকে আল্লাহরই ভয়ে সংরক্ষণ করবেন। যার হৃদয় বিশ্ব মানবতার দুরবস্থা দেখে কেঁদে উঠবে। বিশ্বের যেকোনো নিভৃত কোণে কোনো একজন মুসলিমের গায়ে আঘাত লাগার সাথে সাথে তার গায়ে সে আঘাত অনুভূত হবে এবং এ দুরবস্থা থেকে মানবতাকে মুক্তিদানের চিন্তা-চেতনা তার অন্তরকে অস্থির করে তুলবে। এটিই হলো সুস্থ সবল আত্মার পরিচয়। আত্মার খাদ্যের জন্য নিম্নের কাজগুলো নিয়মিত করা উচিত।
কুরআন ও সুন্নাহর অধ্যয়ন : বেশি বেশি কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করা এবং এই অধ্যয়ন বুঝে অর্থ অনুধাবন করে পড়তে হবে। জ্ঞান হলো আত্মার খোরাক। কারণ জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃতি লাভ করবে, আল্লাহর ভয় তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর সেই জ্ঞান হলো- তাওহিদ, আল্লাহর ক্ষমতা, আল্লাহর গুণাবলি, রিসালাত ও আখিরাতের জ্ঞান। যে ব্যক্তি আল্লাহর গুণাবলির ব্যাপারে যত বেশি অজ্ঞ হবে সে তার ব্যাপারে তত বেশি নির্ভীক হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর শক্তিমত্তা, জ্ঞান প্রজ্ঞা ও বিজ্ঞানময়তা, ক্রোধ, পরাক্রম সার্বভৌম কর্তৃত্ব ক্ষমতা ও অন্যান্য গুণাবলি সম্পর্কে যে ব্যক্তি যত বেশি জানবে সে তত বেশি তার নাফরমানি করতে ভয় পাবে।
মানবতার কল্যাণ করা : আল্লাহর রহমত, বরকত ও আত্মার আনন্দের জন্য মানুষের প্রতি কল্যাণ ও উপকারের হাত বাড়িয়ে দেয়া। মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, সেবা করা, বিপদে পড়লে উদ্ধার করা, মাজলুমকে সাহায্য করা, কাফন-দাফনে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করলে আত্মার প্রশান্তি বেড়ে যায়।
হিংসামুক্ত কল্যাণ কামনা করা : হৃদয়কে বিদ্বেষ, হিংসা ও অন্যের অকল্যাণ কামনা থেকে মুক্ত রাখা। হিংসামুক্ত আত্মা পরোপকারী ও অন্যের কল্যাণকামী হয়। মুসনাদে আহমাদে রাসূলুল্লাহ সা: এ ধরনের ব্যক্তিকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। অন্য হাদিসে আনাস রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: আমাকে বলেন, ‘বেটা! যদি পারো তবে এমনভাবে সকাল-সন্ধা পার করো যে, তোমার হৃদয়ে কারো প্রতি কোনো বিদ্বেষ বা অকল্যাণের ইচ্ছা নেই। সম্ভব হলে এরূপ চলবে, কারণ এরূপ চলা আমার সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। আর যে আমার সুন্নতকে জীবিত করল, সে আমাকে ভালোবাসল। আর যে আমাকে ভালোবাসবে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।’ ইমাম তিরমিজি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।
আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ধৈর্যধারণ করা : ধৈর্য মুমিন জীবনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ও ঈমানের অন্যতম অংশ। ধৈর্য বলতে নিষ্ক্রিয় নির্জীবতা বুঝানো হয় না। বরং সক্রিয় আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বোঝায়। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বা অন্যের আচরণ দ্বারা নিজের আচরণ প্রভাবিত না করে নিজের স্থির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নিজেকে পরিচালিত করার ক্ষমতা। ইসলামী দৃষ্টিতে ধৈর্য তিন প্রকার- এক. বিপদ-আপদ ও কষ্টে ধৈর্য; দুই, পাপ ও লোভ থেকে ধৈর্য এবং তিন. ক্রোধের মধ্যে ধৈর্য। ধৈর্যশীলদের সাথে আল্লাহ থাকেন।
হতাশা বর্জন ও আল্লাহর ওপর ভরসা করা : আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ্যই হতাশা ও উৎকণ্ঠার মূল কারণ। এটি পাপ। এ জন্য হাদিসে বারবার এগুলো থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। আল-কুরআনে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হতে নিষেধ করা হয়েছে। মানুষের মনে আল্লাহর ওপর আস্থা যত গভীর হয় আত্মা বা মানসিক শক্তি ও স্থিরতা ততই বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত আল্লাহর ইবাদত, কুরআন-সুন্নাহ অধ্যয়ন ও আল্লাহর স্মরণ হতাশা ও নৈরাশ্য দূরীভূত করে।
কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টি : আমাদের জীবনে অগণিত নিয়ামত রয়েছে। আবার কষ্টও রয়েছে। আমাদের একটি বড় দুর্বলতা হলো- আনন্দের কথা তাড়াতাড়ি ভুলে যাই আর কষ্ট বেদনাকে জিইয়ে রাখি। আত্মার পরিপুষ্টতার জন্য এই দুর্বলতা কাটাতে হবে। সর্বদা ইতিবাচক হতে হবে। আত্মতুষ্টির জন্য রাসূলুল্লাহ সা:-এর নিচের হাদিসটি মনে রাখতে হবে। ‘সম্পদে, শক্তিতে তোমাদের চেয়ে উত্তম কারো দিকে যখন তোমাদের দৃষ্টি পড়বে, তখন সে যেন তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় নিমজ্জিত ব্যক্তির দিকে দৃষ্টি দেয়।’ (বুখারি, কিতাবুর রিকাক)
নির্লোভ : সচ্ছলতা, অসচ্ছলতা, সম্মান ও অসম্মান সর্বাবস্থায় স্থিতিশীল রাখা। আল্লাহ যখন যে অবস্থায় রাখবেন তখন সে অবস্থায় বান্দা তার দায়িত্ব পালন করবে। সম্পদ বা প্রতিপত্তি থাকলে তা দিয়ে আখিরাতের ঘর তৈরি করবে। সম্পদ বা প্রতিপত্তি না থাকলে তাতেই বান্দা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে। সম্পদ বা প্রতিপত্তির লোভ যেন কাউকে অন্ধ না করে।
সুন্দর আচরণ : উত্তম আচরণ প্রকৃত মুসলিমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সবার সাথে উত্তম ও শোভনীয় আচরণ করা আল্লাহর প্রিয় ইবাদাতগুলোর অন্যতম। কিয়ামতের দিন কর্মবিচারের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী ও মূল্যবান কর্ম হবে সুন্দর আচরণ।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সা: ভালোবাসা : আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-কে অন্য সব কিছু এবং নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসা। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ক্রমাগত জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ। এই ভালোবাসা দ্বারা আত্মার খোরাক সৃষ্টি হয়, আত্মা সর্বদা পুষ্ট ও সতেজ থাকে।
আল্লাহর জিকির : জেনে বুঝে মনের আবেগ মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ছাড়াও সার্বক্ষণিক আল্লাহর জিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করা। এটি আত্মার বিশাল খাদ্যভাণ্ডার। আত্মা সুস্থ ও সবল রাখার জন্য রাসূলুল্লাহ সা:-এর সুন্নাহ মোতাবেক নিজেকে আল্লাহর জিকিরে রত রাখতে হবে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্টের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা পাবনায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে একই সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন সারা দেশেই একই অবস্থা দিনের বেলায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাসম্ভব ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রোক ছাড়াও নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে অবস্থায় বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী মহিলা, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সঙ্গে জড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার তাপ সতর্কতার মধ্যে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিএমডির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের মধ্যে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে এমতাবস্থায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে 

তাপপ্রবাহের এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘর থেকে বের না হতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। যশোরের বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষ। যশোরের রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে গতকাল। অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। শহরের রিকশাচালকরা বলছেন, রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। আয় রোজগার কমে গেছে। এতে সংসার খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আয় হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা শহরের হকার-ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে কম, তাই বেচা-বিক্রি বেশি একটা হচ্ছে না। এখানে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩৫ রোগী। যার মধ্যে ১৫ জনই শিশু রোগী।

এদিকে লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এদিকে পানির স্তরও নেমে গেছে, টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। যশোরের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত ১৩ দিন ধরে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। কৃষিজমির স্যালোমেশিনের পানি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন তারা। কোথাও কোথাও স্যালোমেশিনেও কম পানি উঠছে। ছয় লিটার তেল ব্যয় করেও সাড়ে তিন বিঘা ধানের আবাদি জমি ভেজানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। যেসব গ্রামে গভীর নলকূপ (ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল) রয়েছে সেখানে পানি নেয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।  

চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ। অবস্থায় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের। জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। জাকির হোসেনের বাবা আমির হোসেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমির হোসেন বলেন, ‘তীব্র গরমে মাঠের ধান মরার মতো অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে মাঠে যায় জাকির। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে স্ট্রোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পরই মারা যান একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৬০) কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জেলায়। শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৪১., বৃহস্পতিবার ৪০., বুধবার ৪০. মঙ্গলবার ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তা ছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, টানা তাপপ্রবাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানবশূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। অন্যদিকে, তীব্র গরম থেকে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে ঠাণ্ডা পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে

চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা জেলাও। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলার ঈশ্বরদীতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন গতকাল জেলা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েক দিন ধরে পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোক করে মারা যান সুকুমার দাস নামে একব্যক্তি। তিনি শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারিনি


আরও খবর



ফুটপাত দখলকারিদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করার সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র বলছে, ফুটপাত বিক্রি ও অবৈধ দখলকারীদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তা আগামী ১৩ মে'র মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে জানানোর জন্য বলেছেন আদালত। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আরও খবর



পাল্টা হামলার আশঙ্কা, উচ্চ সতর্কতায় ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বহুদিনের বৈরিতা থাকলেও এবারই প্রথমবারের সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালালো দেশটি।

এমন অবস্থায় ইসরায়েল এবার ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে পারে। আর সম্ভাব্য সেই হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইরান। রোববার (১৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটির দোরসা জব্বারী তেহরান থেকে জানিয়েছেন, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হবে বলে ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন এবং আজ আমরা বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিযান দেখেছি।

তিনি বলেছেন, আমি মনে করি- ইরানের কাছ থেকে দেশটির সবচেয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়াটিই আমরা দেখেছি। এটি অবশ্যই পূর্ণ-মাত্রার কোনও আক্রমণ নয়। এবং অবশ্যই ইরান ঠিক কী করতে সক্ষম তার একটি প্রদর্শনও এটি। এগুলো এমন দৃশ্য যা আমরা আগে কখনও দেখিনি - ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির মতে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে ইরানের এই দাবি অবশ্যই ইসরায়েল অস্বীকার করেছে।

আল জাজিরার দোরসা জব্বারী বলছেন, এখন এই হামলা-পাল্টা হামলার পরবর্তী পর্ব শুরু হবে। (ইরানের হামলার জবাবে) ইসরায়েলের জবাবও তাই হবে। এবং সেই কারণে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং ইসরায়েলকে (পাল্টা হামলার বিষয়ে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেশটির একজন কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে।

তবে আপাতত ইসরায়েল ঠিক কী করবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে ইরানিরা... বর্তমানে পরিস্থিতি আরও খারাপ না করে তারা এই দ্বন্দ্বকে বজায় রাখতে সক্ষম হবে কিনা সেটিও বোঝার চেষ্টা করছে তারা।

এদিকে ইরানের সর্বশেষ এই হামলা ইসরায়েলের জন্য নতুন পরীক্ষা হয়ে সামনে এসেছে বলেও জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে জাতিসংঘে দেওয়া এক চিঠিতে ইরান বলেছে, তারা আর উত্তেজনা চাইছে না।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভেনেসা ফ্রেজিয়ারকে দেওয়া এক চিঠিতে তেহরান জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের ওপর তার হামলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার একটি আইনি এবং ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ।

এছাড়া গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইরায়েলের প্রাণঘাতী বিমান হামলার নিন্দা করতে নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার নিন্দাও করেছে জাতিসংঘে অবস্থিত ইরানি মিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে ইরান জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের নিহিত উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের এই ধারাবাহিক অবস্থান এটিই পুনর্ব্যক্ত করে যে, দেশটি এই অঞ্চলে উত্তেজনা বা সংঘাত চায় না।


আরও খবর



গাবতলীতে হবে মাল্টি মোডাল বাস টার্মিনাল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধাসম্বলিত মাল্টি মোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ৭১- বিধিতে ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিলের উত্থাপন করা নোটিসের জবাবে লিখিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানান তিনি।

নোটিসে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে এখানে নিয়মতান্ত্রিক পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যদি গাবতলী টার্মিনালকে আধুনিকায়ন করা হয়, তাহলে এসব অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা রোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চান তিনি।

লিখিত জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালটি যে স্থানে অবস্থিত, সেখানে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অধীনে নর্দান রুটে গাবতলী পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এজন্য বর্তমান অবস্থান থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ১২ দশমিক ৮০ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন অস্থায়ী টার্মিনালটি ৬ হাজার ৪০০ বর্গমিটারের। সেই সঙ্গে ২৬০টি গাড়ি রাখার জন্য ডিপো নির্মাণ করা হবে।

এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধাসম্বলিত মাল্টি মোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে গাবতলী বাস টার্মিনালকে সিটি বাস টার্মিনালে রূপান্তর করা হবে এবং হেমায়েতপুরে আধুনিক আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।


আরও খবর



ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বাজারে সোনার দামের অস্থিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত চার দিনের মধ্যে তিন দিনই দামি এই ধাতুর দর পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল শনিবার প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমেছিল। আজ রোববার ভরিপ্রতি সোনার দাম বেড়েছে ৬৩০ টাকা। এর ফলে ২২ ক্যারেট সোনার দাম আবার ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সোনার দাম বাড়ানোর পেছনে তারা যুক্তি দিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিউর গোল্ড) দাম বেড়েছে নতুন দাম  বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে

জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুযায়ী, হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার ভরি বেড়ে হয়েছে লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট সোনার ভরি লাখ ১৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা। আজ থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ৬৩০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৬০৭, ১৮ ক্যারেট ৫১৩ এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় বাড়ছে ৪২০ টাকা


আরও খবর