Logo
শিরোনাম

সরিষাবাড়ীতে আন্তঃনগর যমুনা ট্রেনের তিন বগিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি: 

জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আগুনের সূত্রপাত বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বলতে পারেনি কেউ। ঘটনার পরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিআরপি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে তারাকান্দিগামী আন্তঃনগর যমুনা ট্রেনটি রাত সোয়া ১টার দিকে সরিষাবাড়ী স্টেশনে থামে। কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছাড়ার সাথেসাথেই তিনটি বগিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনটি থেমে যায়।

উল্লেখ্য, যমুনা ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রাত ২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান ট্রেনে আগুনের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



যশোরের অভয়নগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত-১ আহত -২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার - জেলা প্রতিনিধি, যশোর::


যশোর জেলার  অভয়নগরের মশরহাটী গ্রামের ভৈরব ব্রিজের পাশে বসতবাড়িতে রাত সাড়ে ১২ টার সময় একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে রাতের আধারে ৩ জনকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। 

বাড়ির লোকজনের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে অভয়নগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মতিয়ার বিশ্বাস (৪৫) কে কর্ত্বব্যরত ডাক্তার মৃত: ঘোষনা করেন। 

মারাত্মক জখম অবস্থায় অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। আহতরা হলেন, একই গ্রামের আঃ হালিম (৩৪) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৮)।

নিহতের স্ত্রী মিম খাতুন জানায়, হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্বামীকে পাশের বাড়ির হালিম ও মনিরুলকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমার স্বামী মতিয়ার প্রাণ বাচাতে দৌড়ে পালাতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে কোপাতে থাকে। আমার স্বামী  নিস্তেজ হয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চত করে পালিয়ে যায়। তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। অপর দুইজনকে একই ভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মতিয়ারকে মৃত ঘোষনা করে ও অপর দুইজনকে খুলনা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়।


এব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ এর স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ

একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে তিনি গোটা জীবন ব্যয় করেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ-এর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ৯ অক্টোবর ২০২৪ সিপিবি আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একটি বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে কমরেড ফরহাদ তাঁর গোটা জীবন ব্যয় করেছেন। আকন্ঠ বিপ্লব পিয়াসী কমরেড ফরহাদ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি আমলের স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম, মহান ভাষা আন্দোলন, ৫৮ সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি এবং তার প্রিয় পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অবদান সেই বৈষম্য মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছে।

নিষিদ্ধ থাকা কমিউনিস্ট পার্টিকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পার্টি সিদ্ধান্তকে শিরোধার্য করে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশে আমৃত্যু তিনি, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম এবং বৈষম্য মুক্ত সমাজ তথা সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে অগ্রসর করে নিয়ে গেছেন।

কমিউনিস্ট পার্টি ও তার কর্মকান্ড এদেশের তরুণ প্রজন্মসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। দেশের বিভিন্ন সংকটে স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রামে, তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। এবছর আমরা এমন একটি পরিবেশে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলিত হয়েছি যে, অসংখ্য মানুষের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা হলো, সব মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ, সবার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা, সব কালাকানুন বাতিল ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

এই আন্দোলনের শক্তি ভারসাম্যের কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি অনেক কিছুতে ভর করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য হলো এক স্বৈরাচারীর বদলে আরেক স্বৈরাচার যেন প্রতিষ্ঠা না হয়। আমাদের পার্টি দীর্ঘদিন ধরে যে সংগ্রাম করছে তার অন্যতম স্লোগান হলো, দুঃশাসন হটাও ব্যবস্থা বদলাও এবং এজন্যে নীতিনিষ্ট বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলো। এই গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের উপরে দাঁড়িয়ে এই সংগ্রাম অগ্রসর করে দেশকে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর বিভিন্ন সময় যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করা হয়েছে স্বৈরাচারী ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। আবার অনেকে সুযোগ বুঝে মুক্তিযুদ্ধকে পরিত্যাগ করতে নতুন নতুন বক্তব্য হাজির করছে।এই অবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে নীতিনীস্ঠ পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এটা মনে রাখা দরকার যে, দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বের বিভিন্ন অপশক্তি সবসময় তাদের স্বার্থ পূরণ করতে চাইবে। এসব বিষয় সতর্ক থেকে সচেতন ভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

নেতৃবৃন্দ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। জনজীবনের শান্তি ফিরিয়ে আনা ছাড়া সংস্কারের কার্যক্রম এখনো যাবে না। নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে চলমান সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কাজ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান।

বিকেল সাড়ে চারটায় সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স,মিহির ঘোষ, মাহবুবুর আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, হাসান তারিক চৌধুরী, বিমল মজুমদার, মোতালেব হোসেন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ছাত্রনেতা মাহির শাহরিয়ার রেজা। এছাড়া আজ সকালে ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রয়াত মোহাম্মদ ফরহাদ এর কবরস্থানে সিপিবি সহ বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ ফরহাদ এব জন্মস্থান পঞ্চগড়ের বোদা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় স্মরন সভা আলোচনা সডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



নবী-ওলীগণের মাজার শরীফ আল্লাহর রহমতের উৎসস্থল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নবী-ওলীগণের মাজার শরীফ আল্লাহর রহমতের উৎসস্থল ও জান্নাতের বাগান স্বরুপ বলে জানিয়েছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। তিনি বলেন, যারা আল্লাহর অনুগ্রহশীল বান্দা তাদের কাছেই আল্লাহর রহমত রয়েছে। আউলিয়া কেরামের দরবারই হচ্ছে আল্লাহর কাছে আসার উৎস। তাদের দরবারে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এসে নিজেদের আত্মার প্রশান্তি পায়। পাশাপাশি ইসলামের আলো ও কালেমার দাওয়াতে আলোকিত হয়েছেন।


মূল কথা হচ্ছে খারাপ মানুষদের ভালো করাই আল্লাহওয়ালাদের কাজ। সেই চর্চাই মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে অব্যাহত রয়েছে। তিনি পবিত্র কুরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ওয়াল্লাজিনা আমানু ওয়ামিলুস সালিহাতি ফি রওদ্বাতিল জান্নাহ্ অর্থাৎ যারা ঈমানদার ও সৎকর্মশীল  তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাগান। তিনি বলেন, এই আয়াতে আল্লাহর প্রিয়ভাজন বান্দাদের সমাধীস্থলকে জান্নাতের রওজা শরীফ বা পবিত্র বাগান হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় নবী-ওলীগণের মাজার শরীফ আল্লাহর রহমতের উৎসস্থল ও জান্নাতের বাগান স্বরুপ।

২০ সেপ্টেম্বর (জুমাবার) রাতে মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রাণপুরুষ হযরত গাউছুল আজম শাহসুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারী (ক.) এর পুনঃনির্মিত রওজা শরীফে মিলাদ মাহফিল পরিচালনাকালে আখেরি মুনাজাতের পূর্বক্ষণে দরবারে আগত ভক্ত আশেকানদের উদ্দেশ্যে নসিহা মূলক বয়ানের সময় এসব কথা বলেন হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আল হাসানী মাইজভান্ডারী। এসময় তিনি রওজা শরীফ পুনর্নির্মাণে অংশগ্রহণকারী দরবারের আওলাদে পাক ও সকল ভক্ত আশেকানদের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। পরে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ এবং নিপীড়িত মানবতার মুক্তি কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।


আরও খবর

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারত ভ্রমণে শীর্ষে বাংলাদেশি পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ভারতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বাংলাদেশিরা। এরপরই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।

শুক্রবার বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ও তথ্য প্রকাশ করে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে

ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুনে ৭ লাখ ৬ হাজার ৪৫ জন পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন। এ সংখ্যা ২০২৩ সালের জুনের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৯ সালের জুনের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। আর গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে পর্যটকদের এ সংখ্যা ছিল ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি, তবে তা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কম

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা পাঁচ দেশ হলো বাংলাদেশ (২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ), যুক্তরাজ্য (৯ দশমিক ৮২ শতাংশ), কানাডা (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ও অস্ট্রেলিয়া (৪ দশমিক ৩২ শতাংশ)

গত বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এর পরে ছিল বাংলাদেশের অবস্থান। এ বছর ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে প্রথম অবস্থানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ


আরও খবর



দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ২.৯১ শতাংশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ছাত্র-জনতার কমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যে পরিস্থিতি অচল হয়ে পড়ে। এই সময় সান্ধ্য আইন জারি করা হয় এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তবুও, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের রপ্তানি আয় ২.৯১ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মেজর ইকোনমিক ইন্ডিকেটর: মান্থলি আপডেট শীর্ষক আগস্টের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৮২ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৭১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। ফলে, জুলাইয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২.৯১ শতাংশ হয়েছে

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, জুলাই মাসে রপ্তানি বিঘ্নিত হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য, তবে আগের বছরের তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পেরেছে। বিশেষ করে ভ্যালু অ্যাডেড পোশাকের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা অর্থমূল্যে বেশি হলেও পরিমাণে কম হতে পারে

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান জানান, গত বছর ঈদের কারণে জুলাই মাসে উৎপাদন কম ছিল। তবে, চলতি বছর পরিস্থিতির কারণে তিন-চার দিনের জন্য উৎপাদন বিঘ্নিত হয়েছে। এ অবস্থায় তারা অন্তত ১০ শতাংশ বেশি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে পোশাক পণ্যের ক্ষেত্রে। নিটওয়্যার পোশাক রপ্তানির অর্থমূল্য ছিল ১৭২ কোটি ৯১ লাখ ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ১৬৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার

এছাড়া, ওভেন পোশাকের রপ্তানির অর্থমূল্য ১৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৩৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। বস্ত্র খাতের হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.২১ শতাংশ, যার অর্থমূল্য চলতি বছরের জুলাইয়ে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ১১.২৩ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ৮ কোটি ২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তবে, পাট ও পাটজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য এবং রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে

রপ্তানিকারকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কারণ তারা মনে করেন বাস্তবতার সঙ্গে ওই তথ্য সঙ্গতিপূর্ণ নয়


আরও খবর