Logo
শিরোনাম

সরকার দেশের মানুষকে নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে এমন একটা সরকার আছে, যারা আপনার-আমাকে নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। তারা প্রতিদিন জনগণকে বিপদের মুখে ফেলছে। মুক্তিযুদ্ধের চ্যাম্পিয়ন দাবি করা দল এখন আর একটা সুষ্ট নির্বাচন আয়োজন করতে পারছে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নাই। জনগণ যে তাদের আর এক মুহূর্তের জন্য দেখতে চায় না, সেটা তারা বুঝে গেছেন। ২০১৮ সালের মতো কলঙ্কময় নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয় নাই। এই নির্বাচন পূর্বের সকল অনিয়মকে ছাড়িয়ে গেছে। এসব করেও তারা টিকে আছেন। টিকে আছে এই কারণেই যে, জনগণ ঠিকঠাক মতো মাঠে নামে নাই। জনগন মাঠে নামলে আওয়ামী সরকার পালানোর জায়গা পাবে না। তিনি বলেন জনগনকে রাজপথ দখলে নিতে হবে। যারা প্রতিনিয়ত আপনাদের অপদমন করছে, তাদের ধাওয়া দিতে হবে। আগামী বাংলাদেশ কিভাবে চলবে তা জনগণ ঠিক করবে।

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলনের দুইদিনব্যাপী সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে  জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।

নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার লিমা, গণসংহতি আন্দোলন নাঃগঞ্জ মহানগরের সমন্বয়ক নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, নির্বাহী সমন্বয়ক পপি রাণী সরকার, ফতুল্লা থানার আহ্বায়ক জাহিদ সুজন, সহ সম্পাদক শুভ দেব, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি জেলা আহ্বায়ক কাউসার হামিদ, সম্পাদক মামুন হোসেন, নারী সংহতি জেলার আহ্বায়ক নাজমা বেগম, প্রতিবেশ আন্দোলন জেলার আহ্বায়ক এস এম রাব্বি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ফারহানা মুনা, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হর্কার্স সমিতির জেলার আহ্বায়ক শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান, সম্পাদক রেদওয়ান সজীব, বন্দর থানার সংগঠক ইমদাদ হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলার সংগঠক ইব্রাহীম খলিল, ফতুল্লা থানার সম্পাদক নুরুল আমিন মামুন, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর ইসলাম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যে পরিস্থিতি পাকিস্তান শাসনামলকেও হার মানায়। তাই দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ প্রয়োজন। জনগণকে সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

তাসলিমা আখতার বলেন, সরকার প্রায়ই বলেন জনগণই তাদের মূল শক্তি। মূল ভরসা। আমরা বলি পুলিশ ছাড়া একবার রাজপথে নেমে দেখেন। দেখেন জনগণ কি করে। বাংলাদেশের আপামর জনগণ বহু আগেই আপনাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। এই কথা আমরা বলি না। ক্ষোদ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর কাদেরই বলেছেন, ক্ষমতা থেকে নামলে তাদের পরিণতি কি হবে।

সভাপতির বক্তব্যে তরিকুল সুজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নারায়ণগঞ্জে লড়াই-সংগ্রাম করছি। আমাদের সামর্থ্য ছিলো কিন্তু আমরা কোন সংগ্রামে যুক্ত হইনি এমন কোনদিন ঘটেনি। বরং আমরা সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও কখনও কখনও ঝুঁকি নিয়েছি। আমরা এই লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। নারায়ণগঞ্জবাসীকে আমরা এই পরিবর্তনের লড়াইয়ে শামিল হবার আহ্বান জানাই।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




বাজার সিন্ডিকেটে বন্দি সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লাগামহীনভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হলেও বাজারে এর তেমন প্রভাব নেই। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ। নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি মূল্যে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন এসব পণ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। সরকারকে কঠোরভাবে এদের দমন করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। মাঝেমধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ীরা জরিমানা করা হলে পরে আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে তিনটি পণ্য ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয় সরকার।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো পণ্য তিনটির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা আর ডিমের পিস সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। জরুরি এই তিন পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা। সরকারের ঘোষণার আগেও এই দামে বিক্রি হয়েছিল এসব পণ্য।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার দাম ঘোষণা করলেও পাইকারি বাজারে সেই দামে কিনতে পারছেন না তারা।

রাজধানীর মুগদা এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে আগে যে দাম ছিল এখনও সেই দামই আছে। আমরা কমে কিনতে পারলে তো বিক্রি করতে সমস্যা নাই। প্রতি কেজি আলুতে চার টাকা লাভ করতে পারলেই আমাদের আর লাগে না। কিন্তু সেটাও তো পারছি না।

একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দাম বেশি হওয়ায় আমাদের কাস্টমারও কমে গেছে। যেই লোক আগে আলু কিনত দুই কেজি, সে এখন এক কেজি কিনে। আগে প্রতিদিন দুই বস্তা আলু বেচতাম। এখন এক বস্তাই বিক্রি হয় না। আবার লাভও কম হচ্ছে। সরকার যেই জায়গায় ধরার দরকার সেই জায়গায় ধরলেই তো হয়।

ডিমের বাজারেও সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামের প্রভাব নেই। বেঁধে দেওয়া দামে ডিমের ডজন ১৪৪ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে।

মুগদা এলাকার মুদি দোকানদার মিঠু বলেন, ডিমে তো লাভ হয় না। এক খাঁচা ডিম বিক্রি কইরা ২০-৩০ টাকাও লাভ করতে পারি না। রাখছি শুধু কাস্টমার ধরার লাইগা।

৭৫ টাকার নিচে নেই দেশি পেঁয়াজ। তবে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। কিছু আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতাদেরও একই কথা। আড়তে দাম কমেনি। তাই তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার তো সব কিছু বিবেচনা করে হিসাব নিকাশ করেই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখন নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে স্বাভাবিক মুনাফা হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তো স্বাভাবিক লাভে আগ্রহী না। বেশি লাভ করতে চায়। এখন ব্যবসায়ীদের এই প্রবণতা যদি বন্ধ না হয়, তবে যেখানে থেকে উৎপাদন হয় অথবা যেখান থেকে পণ্য ছাড় হয় সেখানে মূল্যটা প্রথম ঠিক করতে হবে। সাপ্লাই চেইন যদি ঠিক রাখা যায়, তবে পাইকারে খুচরা পর্যায়ে একটু তত্ত্বাবধায়ন করলেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে। কড়াভাবে বলছে, শুধু বললেই হবে না। কড়াভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাজার শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আপনারা নিজেরাই দেখতেছেন আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ডিজি স্যার নিজেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযানে যাচ্ছেন, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমরা নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




রাণীনগরে কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ বিতরনের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরনের উদ্বোধন করা হয়। 

এদিন দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. ফারজানা হকের সভাপতিত্বে বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারী মোল্লা। এছাড়া কৃষি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা,প্রণোদনা প্রাপ্ত কৃষকরা উপসিস্থত ছিলেন। এসময় অতিথিরা সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া এই প্রণোদনাগুলোকে মাঠপর্যায়ে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে সরকারের গৃহিত লক্ষ্যকে শতভাগ সফল করতে কৃষকদের আহŸান জানান। 

মাসকালাই প্রণোদনা হিসেবে ২০জন কৃষকের প্রতিজন কৃষককে প্রতি বিঘা জমির জন্য ৫কেজি বীজ এবং ডিএপি সার ১০কেজি ও এমওপি সার ৫কেজি করে বিতরন করা হয়েছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা হিসেবে ৫০জন কৃষকের প্রতিজনকে প্রতি বিঘার জন্য বীজ ১কেজি এবং ডিএপি ও এমওপি সার ২০কেজি করে সরবরাহ করা হবে। এছাড়া প্রতিজন কৃষককে জমি তৈরি ও পরিচর্যার জন্য শ্রমিক খরচ হিসেবে মোবাইলের মাধ্যমে ২হাজার করে টাকাও প্রদান করা হবে। 


আরও খবর



দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে সংকটে মানুষ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে না পেয়ে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। প্রতি ডজন ডিমের দাম কয়েক মাসের ব্যবধানে ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ১২.৫০ টাকায় প্রতিটি ডিম পাওয়া গেলেও কদিন আগেই এটি ১৫ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে এক মাসের ব্যবধানেই ৪৫-৫০ টাকায় উঠেছে।

দিনমজুর হিসেবে ঢাকায় কাজ করেন ইব্রাহীম। তার একার রোজগারে চারজনের পরিবারের খরচ চলে। রান্নায় তার পরিবারে সবজির মধ্যে আলুর ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি। দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার পর থেকেই সপ্তাহে দুই কেজি আলুর জায়গায় এখন তিনি এক কেজি কিনছেন। তার বাড়িতে এখন আলু কম দিয়ে ঝোল বাড়িয়ে দিয়ে ডিমের তরকারি রান্না হয়।

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে ইব্রাহীমের মতো সীমিত আয়ের অনেকেই এখন সংসারের ব্যয় কাটছাঁটের চাপে পড়েছেন। কারণ ডিম, আলু, পাঙাশ মাছ, তেলাপিয়া, ব্রয়লার মুরগির মতো সবচেয়ে সস্তার খাবারগুলোও এখন উচ্চমূল্যে কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে


পণ্যমূল্য বৃদ্ধির উত্তাপ লেগেছে বেসরকারি চাকরিজীবী আফসার উদ্দিনের গায়েও। একটি সাবলেট বাসায় স্কুলপড়ুয়া এক ছেলেসহ তিনজনের সংসার তার। ডিমের দাম যখন কম ছিল, তখন সকালে প্রায় প্রতিদিন তিনজনে দুই-তিনটি ডিম সিদ্ধ করে খেতেন। এখন শুধু ছেলের জন্য একটি ডিমই সিদ্ধ হয়। ক্রমবর্ধমান খরচ তার মতো পরিবারগুলোর জন্য মানসম্মত জীবন যাপন কঠিন করে তুলেছে।


নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে না পেয়ে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা।

প্রতি ডজন ডিমের দাম কয়েক মাসের ব্যবধানে ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ১২.৫০ টাকায় প্রতিটি ডিম পাওয়া গেলেও কদিন আগেই এটি ১৫ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে এক মাসের ব্যবধানেই ৪৫-৫০ টাকায় উঠেছে।

প্রতি পিস ডিমের দাম যখন ১৫ টাকার বেশি হয়, তখন ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে ডিমের তরকারির দাম ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছিল। ডিমের দাম যখন কমে এবং আলুর দাম বেড়ে যায়, তখন ডিমের তরকারি অনেক জায়গায়ই ৩৫ টাকা হয়ে গেছে।

আর আলু ভর্তার দাম কোথাও কোথাও এখন ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকায় উঠেছে। কিন্তু যেসব বিক্রেতা দাম বাড়াননি, তারা ভর্তায় পরিমাণ কমিয়েছেন।

ঢাকার ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে দিনে ও রাতে অসংখ্য দিনমজুর, গাড়িচালক, চাকরিজীবী খাবার খান। কারণ এসব দোকানে কম খরচে খাবার খাওয়া যায়।

সরকার এক সপ্তাহ আগে আলু, ডিম ও পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে। প্রতিটি ডিম ১২ টাকা, আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। দাম বেঁধে দেওয়ার প্রায় সপ্তাহখানেক পার হতে চললেও একটি পণ্যও নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। ডিম এখনো প্রতিটি ১২.৫০ টাকা, আলু ৪৫-৫০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। 

এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে এবং আলু কিছু জায়গায় ৫ টাকা পর্যন্ত কমে মিলছে। আর ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার দুই দফায় ১০ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে।

এসব আমদানির ডিম আগামী সপ্তাহ থেকে দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন টাইগার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সাইফুর রহমান। এসব ডিম দেশে এলে ৯-১০ টাকায় বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের কর্মীসভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর)  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্তর সভাপতিত্বে কর্মীসভার উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মো. ফুয়াদ হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক সিয়াম রহমান, উপ-নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুল বাশার এবং সদস্য জেবুন্নাহার শিলা। কর্মীসভায় প্রারম্ভিক সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল। 

কর্মীসভার শুরুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের সামগ্রিক পরিবেশ ও তাদের প্রত্যাশা নিয়ে মতামত প্রদান করতে বলেন এবং তাদের মতামত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনানের কাছে পৌঁছে দেবার আশ্বাস দেন৷ 

এ সময় মো. রকিবুল হাসান রকি, রবিউল ইসলাম, মো. সাইদ ইসলাম সিয়াম, কামরুজ্জামান শতাব্দী, রায়হান আহম্মেদ শান্ত, রাফিউল হাসান, এমরান হোসেন মামুন, আকাশ, নাহিদুল ইসলাম হিমেল,  হুমায়ুন কবির, নাজিম উদ্দিন, বাবু কিশোর দেব, মানিক শীলসহ অন্যান্য কর্মীরা মতামত প্রদান করেন। 

মতামত প্রদান শেষে মাভাবিপ্রবিতে উপস্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্ত বলেন, অতীতের চেয়ে সাদ্দাম-ইনানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অনেক শক্তিশালী। যে ইউনিটগুলোতে কমিটি নেই, সবগুলোতেই  দ্রুত কমিটি করবে ছাত্রলীগ। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট কমিটি দেওয়া হবে।

নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলো জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির বলেন, ‘আপনারা জানেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ একটি টিম ওয়ার্ক। আমরা কর্মীসভা সম্পন্ন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে এখানে এসেছি। আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাহী ছাত্র সংসদের সঙ্গে বসব, পর্যালোচনা ও বিচার বিবেচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনে কমিটি অনুমোদিত হবে।’


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে বিদ্যুত চুরির নেপথ্যে কে !!

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর   বিদ্যূৎ (এক্সপ্রেসওয়ে) লাইন থেকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিজের বাড়িতে আলাদা তার দিয়ে বিদ্যূৎ সংযোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার  (ইলেকট্রিক) মো. আব্দুর রহমান। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেইট সংলগ্ন পাওয়ার হাউস থেকে এই  বিদ্যুত তিনি অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন। 

আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, এস্টেট শাখার  অফিস প্রধান, শিক্ষার্থী  কল্যান ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক , জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ঘটনাস্থলে যান এবং এই ঘটনার প্রমান পান। 

বিদ্যূৎ চুরির ঘটনা জানতে চাইলে এস্টেট শাখার  অফিস প্রধান ড. মো. মুছা মিয়া বিডিটুডেসকে জানান, প্রাথমিকভাবে প্রমানসহ তার স্বীকারোক্তি পেয়েছি। অধিকতর তদন্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন চলছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকৌশল অফিসের সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার  (ইলেকট্রিক) মো. আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদপত্রের পরিচয় পেয়ে কথা বোঝ যাচ্ছেনা বলে কেটে দেন। পরবর্তীতে তিনি আর কোন কল রিসিভ করেননি। 

উল্লেখ্য যে,  দীর্ঘদিন তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুত লাইন ব্যবহার করছিলেন, ফলে গ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিং হলেও তার বাসায় বিদ্যুৎ থাকতো।


আরও খবর