বুলবুল আহমেদ সোহেল :
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে এমন একটা সরকার আছে, যারা আপনার-আমাকে নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। তারা প্রতিদিন জনগণকে বিপদের মুখে ফেলছে। মুক্তিযুদ্ধের চ্যাম্পিয়ন দাবি করা দল এখন আর একটা সুষ্ট নির্বাচন আয়োজন করতে পারছে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নাই। জনগণ যে তাদের আর এক মুহূর্তের জন্য দেখতে চায় না, সেটা তারা বুঝে গেছেন। ২০১৮ সালের মতো কলঙ্কময় নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয় নাই। এই নির্বাচন পূর্বের সকল অনিয়মকে ছাড়িয়ে গেছে। এসব করেও তারা টিকে আছেন। টিকে আছে এই কারণেই যে, জনগণ ঠিকঠাক মতো মাঠে নামে নাই। জনগন মাঠে নামলে আওয়ামী সরকার পালানোর জায়গা পাবে না। তিনি বলেন জনগনকে রাজপথ দখলে নিতে হবে। যারা প্রতিনিয়ত আপনাদের অপদমন করছে, তাদের ধাওয়া দিতে হবে। আগামী বাংলাদেশ কিভাবে চলবে তা জনগণ ঠিক করবে।
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলনের দুইদিনব্যাপী সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার লিমা, গণসংহতি আন্দোলন নাঃগঞ্জ মহানগরের সমন্বয়ক নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, নির্বাহী সমন্বয়ক পপি রাণী সরকার, ফতুল্লা থানার আহ্বায়ক জাহিদ সুজন, সহ সম্পাদক শুভ দেব, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি জেলা আহ্বায়ক কাউসার হামিদ, সম্পাদক মামুন হোসেন, নারী সংহতি জেলার আহ্বায়ক নাজমা বেগম, প্রতিবেশ আন্দোলন জেলার আহ্বায়ক এস এম রাব্বি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ফারহানা মুনা, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হর্কার্স সমিতির জেলার আহ্বায়ক শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান, সম্পাদক রেদওয়ান সজীব, বন্দর থানার সংগঠক ইমদাদ হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলার সংগঠক ইব্রাহীম খলিল, ফতুল্লা থানার সম্পাদক নুরুল আমিন মামুন, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর ইসলাম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যে পরিস্থিতি পাকিস্তান শাসনামলকেও হার মানায়। তাই দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ প্রয়োজন। জনগণকে সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
তাসলিমা আখতার বলেন, সরকার প্রায়ই বলেন জনগণই তাদের মূল শক্তি। মূল ভরসা। আমরা বলি পুলিশ ছাড়া একবার রাজপথে নেমে দেখেন। দেখেন জনগণ কি করে। বাংলাদেশের আপামর জনগণ বহু আগেই আপনাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। এই কথা আমরা বলি না। ক্ষোদ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর কাদেরই বলেছেন, ক্ষমতা থেকে নামলে তাদের পরিণতি কি হবে।
সভাপতির বক্তব্যে তরিকুল সুজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নারায়ণগঞ্জে লড়াই-সংগ্রাম করছি। আমাদের সামর্থ্য ছিলো কিন্তু আমরা কোন সংগ্রামে যুক্ত হইনি এমন কোনদিন ঘটেনি। বরং আমরা সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও কখনও কখনও ঝুঁকি নিয়েছি। আমরা এই লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। নারায়ণগঞ্জবাসীকে আমরা এই পরিবর্তনের লড়াইয়ে শামিল হবার আহ্বান জানাই।