Logo
শিরোনাম

সরকার দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা:


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন সেনাবাহিনীর অবস্থা কি? বাহিনী হিসেবে তার সম্মান কোথায় থাকে যখন সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়? 


পুলিশ বাহিনীর মান-ইজ্জত কোথায় থাকে যখন সাবেক আইজিপিকে পালিয়ে যেতে হয় দেশ থেকে। এ থেকে বোঝা যায় সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।



আজ সোমবার (৩ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।



মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আপনারা পত্র-পত্রিকা খুললেই দেখতে পারবেন বেনজীরের নজিরবিহীন দুর্নীতি। একই সঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ তাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একজন এমপিকে পার্শ্ববর্তী দেশে টুকরো টুকরো করা হয়েছে, এই হলো সরকারের চেহারা।’ 


আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি এবং এই অবস্থা তৈরি করেছে বর্তমান সরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার বলি সাহস থাকলে আসেন, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করেন। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনেই প্রকাশ হবে কার কত জনপ্রিয়তা। এই সরকারের শাসনকালে দলীয় সরকারের অধীনে তিনটা নির্বাচনই প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। এরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। গত ১৫ বছরে একটা দানব সরকার সবকিছু ধ্বংস করেছে।’



নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত করার আমরা চেষ্টা করছি। জেল খাটছি । আমরা বারবার জেলে যাচ্ছি কিন্তু আমরা এখনো চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। এই চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য আমাদের সংগঠনকে আরও দৃঢ় করতে হবে, নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে দূর করে ফেলতে হবে। 


সবাই মিলে এক সঙ্গে এক জোটে নামতে হবে। কারণ এটা বিএনপির সমস্যা না, এটা বাংলাদেশের সমস্যা, জাতির সমস্যা। এই জাতি ভবিষ্যতে টিকবে কি টিকবে না, আপনার ছেলেরা ভবিষ্যতে চাকরি পাবে কি পাবে না, তারা স্বাধীনভাবে চলতে পারবে কি পারবে না, এর পুরোটাই নির্ভর করছে এই সরকারের পতনের ওপর।’



বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জিয়া ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। জিয়ার আহ্বানেই দ্বিধা বিভক্ত জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা সরকার মুছে ফেলতে চায়। আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনও অস্বীকার করি না। ৪৩ বছর পরেও জিয়াকে এদেশের মানুষ ভোলেনি।


 যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানকে অস্বীকার করে তারা তো দেশের স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে। কারন তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক।’



জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সাহিদা রফিক, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় অগ্নিকান্ড, পুড়েছে ১৪টি দোকান, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডে ১৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (দোকান) পুড়ে গেছে। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী জুমার নামাজের সময় নওগাঁর মান্দা উপজেলার বারিল্যা বটতলা বাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকান্ডে তাদের অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম সহ কয়েক জন বলেন, জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা মসজিদের ভেতর ছিলেন। নামাজ চলাকালে বাজারের আল-আমিন নামে এক মুদিখানা দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তা মুহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানগুলোতে। খবর পেয়ে মান্দা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘন্টা ব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঐ বাজারের ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন বলেন, অগ্নিকান্ডে আমার মেডিসিনের দোকানসহ আমিনুল ইসলামের সার-কীটনাশকের দোকান, এনামুলের কম্পিউটার ও ফটোকপি দোকান, মোশারফ হোসেনের ষ্টুডিও এণ্ড কম্পিউটার, সাগর হোসেনের মুদিখানার দোকান সহ মোট ১৪টি দোকান ঘর পুড়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে আমার ওষুধের দোকানে ৩ লাখ টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার জুমার দিন হওয়ায় দুপুর ১২টারদিকে দোকান ঘরে তালাবদ্ধ করে বাড়ি চলে যাই। নামাজ চলাকালে দোকান ঘরে আগুন লাগার বিষয়ে জানতে// পারি। আগুনে আমার  ৩ লাখ টাকার আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে নওগাঁর মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ লিডার শফিউর রহমান জানান, অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডে অন্তত ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।


আরও খবর



নির্বাচনের স্পষ্ট দু’টি তারিখ দিয়েছে সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট দুটি তারিখ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।বুধবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে সব সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত হবে। তারপরই সংস্কারের কাজ শুরু হবে। যদি নূন্যতম সংস্কার হয় তাহলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। আর যদি আরেকটু বেশি সংস্কারের দরকার হয় তাহলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি সরকারপ্রধান নিজেও বলেছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। তবে ভোটের তারিখ কবে হবে সেটি নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর।

এই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে না। এটা সরকারে কঠোর ও স্পষ্ট অবস্থান।

ক্লিন ইমেজের কেউ যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে চায় তাহলে তাদের নিজ দলের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে ফিরতে হবে। দলের অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে রাজনীতিতে ফিরতে হবে, যুক্ত করেন তিনি।

জয়পুরহাটে নারী ফুটবল খেলা বন্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রেস উইংয়ের সদস্য আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, মেয়েদের ফুটবল খেলাকে প্রমোট করতে চায় এই সরকার। ওই ঘটনাকে সরকার খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধান চায় সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে নতুন নীতিমালার সুপারিশও করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

এছাড়া সমসাময়িক নানা ইস্যুতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয় প্রেস উইং।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বললেন, রমজানজুড়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেল চালু থাকবে।খুলনার শিববাড়ী মোড়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় সব বিভাগীয় সদর ও ১৩টি এলাকায় ১২ লাখ পরিবারের মাঝে ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে টিসিবি। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। এ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে বাকি কার্ড অ্যাক্টিভেশন শেষ হবে। এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে।

এই সংখ্যা আরও বাড়াতে অতিরিক্ত ১২ লাখ পরিবারের জন্য রমজান মাসের শেষদিন পর্যন্ত ট্রাকসেল কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, এর বিনিময়ে বাজারে পণ্যের মূল্য সহনশীল হবে। অতিরিক্ত নয় হাজার টন পণ্য ট্রাকে সেল করা হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজার নিম্নগামী হবে, সহনশীল হবে। প্রান্তিক মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন দিনের স্বপ্ন দেখি, যেদিন টিসিবির কার্যক্রম আর চালাতে হবে না। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। সেটা হয়তো একটু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তারপরও আমরা সেটা অর্জন করতে চাই।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




র‍্যাবের বিলুপ্তি চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার রোধই নয়, নিরাপত্তা বাহিনী যাতে পরবর্তী সরকারের দমন–পীড়নের হাতিয়ার না হয়, তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে দ্রুত ও কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের কষ্টার্জিত অগ্রগতি ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যই সংস্কার প্রয়োজন।

এইচআরডব্লিউর ৫০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত হচ্ছে। গত আগস্টে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে পদ্ধতিগত সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

‘আফটার দ্য মুনসুন রেভল্যুশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে সমালোচকদের দমনের জন্য ব্যবহৃত আটকাদেশ ও আইন বাতিলের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংস্কারের ক্ষেত্রে ক্ষমতার পৃথককরণ এবং জনপ্রশাসন, পুলিশ, সামরিক, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার ওপর মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে সংস্কার নিশ্চিত করার স্বার্থে প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা, পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিবেদন তৈরি–সংক্রান্ত সহায়তা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৪ সালে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) গঠন করা হয়েছিল। এরপর যেসব সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এই বাহিনীকে দায়মুক্তি দিয়ে কাজ করার অনুমতি দেয়। র‌্যাবের এক কর্মকর্তা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেন, গুম, হত্যা বা ক্রসফায়ারের ঘটনার জন্য র‌্যাবের একটি আলাদা দল রয়েছে। বেশির ভাগ কাজই ওই দল করে।

র‌্যাবে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালে তিনি র‌্যাবে যোগ দিয়ে হতবাক হয়েছিলেন। কারণ, একজন প্রশিক্ষক প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে তিনি ১৬৯টি ক্রসফায়ার পরিচালনা করেছেন।

রাজনৈতিক নেতারা যখনই ক্ষমতার বাইরে থাকেন, তখন র‌্যাবের বিলুপ্তির বিষয়ে একমত পোষণ করেন। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন সরকার র‌্যাবের পাশাপাশি বাহিনীর সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রতিবেদনে র‍্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। র‌্যাব প্রধান এ কে এম শহীদুর রহমান ইউনিটের গোপন আটক কেন্দ্রের কথা স্বীকার করেন এবং বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিটটি বিলুপ্তি করে দিতে চাইলে র‌্যাব তা মেনে নেবে।

এমন প্রেক্ষাপটে এইচআরডব্লিউ জাতিসংঘ এবং দাতা সরকারকে সুপারিশ করে বলেছে, র‌্যাব বিলুপ্তি করা হবে শুধু এই শর্তেই যে র‌্যাবের সঙ্গে যুক্ত সব কর্মকর্তা যাতে অন্য ইউনিটে গিয়ে একই অপকর্মের চর্চা করতে না পারেন, সে জন্য তাঁদের মানবাধিকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে এইচআরডব্লিউর জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বাধীন করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। তাদের পদোন্নতি থেকে শুরু করে নিয়োগ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকতে হবে। তার মতে, যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, র‍্যাবকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। র‍্যাবকে সংস্কার করা সম্ভব নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই–অভ্যুত্থানের সময়ে নজিরবিহীন মাত্রায় দমন–পীড়ন চালানো হয়েছে। এ ধরনের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সুপ্রতিষ্ঠিত অনুশীলন, যারা দীর্ঘ সময় ধরে দায়মুক্তির সংস্কৃতি উপভোগ করে আসছে। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটি (সিএটি) বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীকে ‘রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল। পুলিশসহ বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়মুক্তি ও জবাবদিহি না থাকার বিষয়টিও প্রতিষ্ঠিত।

শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর বহু থানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং প্রতিশোধের ভয়ে পুলিশ সদস্যরাও গা ঢাকা দিয়েছিলেন। যদিও মধ্য আগস্টের দিকে ৬৩৯ থানার মধ্যে ৬২৮টি আবার কার্যক্রম শুরু করে। এখন নিরাপত্তা খাতের সংস্কার এবং একই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ও সংস্কারের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আর গুমের বিষয়টি তদন্তে কমিশনও গঠন করেছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সংস্কারের পাশাপাশি পুলিশের সংস্কার নিয়ে আলাদা কমিশন গঠন করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আগে যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিল নিরাপত্তা বাহিনীগুলো, তা যাতে আর করতে না পারে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাঠামোগত সংস্কার নিয়ে এইচআরডব্লিউর এশিয়া বিভাগের পরিচালক ইলেইন পিয়ারসন ঢাকায় কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো যেভাবে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে, সেখান থেকে বের হয়ে তাদের সংস্কার করা কঠিন হবে। এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রতিবেদনে নিরাপত্তা বাহিনীকে সংস্কার করে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি আইনজীবী ও বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সমাজের ওপর নজরদারি ও নিবর্তনমূলক চর্চা বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করতে দাতাদেশগুলোর উচিত বিনিয়োগ করা। আর ভবিষ্যৎ সরকার ক্ষমতায় এসে যাতে এসব সংস্কারকে পাল্টে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব নেওয়া, যাতে তারা সংস্কার বাস্তবায়নে সহযোগিতার পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে তার মা মরিয়ম বেগম ও বোন ফিরোজা পারভীন জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় মুখ খুলেছেন সাদিকা পারভীন পপি।

ভিডিও বার্তায় সাদিকা পারভীন পপি বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু? প্রতিটা মানুষের জীবনে সুন্দর একটা সময় থাকে নিজের জীবন উপভোগ করার জন্য। সে সময়টা আমি তাদের (ভাই-বোনদের) জন্য ব্যয় করেছি।’

ভাই বোনদের কথা উল্লেখ করে পপি বলেন, ‘তারা আমার বাবা-মায়ের সন্তান আমার সন্তান না, আমার দায়িত্ব না। তারপরও আমি আমার ভাই-বোনদেরকে নিজের সন্তান হিসেবে লালনপালন করেছি। নিজের ভবিষ্যতের ভালো লাগা মন্দ লাগা অনেক কিছুই বাদ দিয়েছি। শুধু আমার ভাই বোনদেরকে মানুষ করার জন্য।’

‘কিন্তু এখন এসে দেখলাম তারা মানুষ তো হয়নি। হিংস্র কিছু বলবো না, পশুদের মাঝে তো কৃতজ্ঞতা থাকে এদের মধ্যে সেই কৃতজ্ঞতা বোধটুকু নেই। উপরের দিকে থুথু ফেললে তো নিচের দিকে আসে। কাদের নামে অভিযোগ দিবো, অভিযোগ তো করে বাইরের লোকদের নামে।’

তার কথায়, ‘আমি যেহেতু আমার ভাই-বোনদের কে আমার মা-বাবাকে অনেক ভালোবাসি যার কারণে আমার জীবনে অনেক ‍কিছু ফেস করেছি তাদের দ্বারা নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এতো বছর ইন্ড্রাষ্টিতে যা আয় করেছি, তারা আমার সঙ্গে বেইমানি করে, আমার সমস্ত অর্থ নিয়ে নিয়েছে। আমার টাকা দিয়ে কেনা সম্পত্তি কোনো কিছু আমার নামে ছিল না আমার ভাই-বোনের নামে ছিল। আমার অ্যাকাউন্ট পুরো শূন্য ছিল আমার দেহটা ছাড়া আমার কোনো কিছুই আমার ছিল না। সবকিছুই তাদের আয়ত্তে ছিল, আমিও তাদের আয়ত্তে ছিলাম।’

পপির ভাষ্য, ‘একটা পর্যায়ে এসে মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কিছু না কিছুর প্রয়োজন হয়। বেঁচে থাকার জন্য শুধু আমার প্রাণটা ছিল হয়ত। একটা পর্যায়ে এসে যখন আমি জানতে পারলাম আমার পরিবার আমার সাথে বেইমানি করেছে, আমাকে ঠগিয়েছে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’

শেষে বলেন, ‘এগুলো জানার পর আমি চুপ ছিলাম। আমি যাদের কোলে পিঠে মানুষ করেছি দুই হাত দিয়ে, আমি তাদের দ্বারা অনেক বেশি নির্যাতিত হয়েছি। তারা আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে। আমার টাকা চুরি করে আমাকে মারার পরিকল্পনা করেছে । আমাকে খুন করে ফেলার জন্য টাকা দিয়েছে খুনিকে


আরও খবর

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫