Logo
শিরোনাম

সৃজিত-মিথিলার সংসার ভাঙনের গুঞ্জন

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এবং ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সংসারে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চাউর হয়েছে। সম্প্রতি তাদের আলাদা আলাদা দুটি স্ট্যাটাস ঘিরে দেখা দিয়েছে নানা জল্পনা। তবে কী ভেঙে যাচ্ছে সৃজিত-মিথিলার সংসার? এমন প্রশ্ন অনুরাগীদের মধ্যে।

জোয়ান বায়েজের লেখা 'ফেয়ারওয়েল অ্যাঞ্জেলিনা' গানের লাইন কোড করেছেন সৃজিত। একই সাথে সৈকতে ডালপালাহীন এক গাছে ভর করে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে, পোস্ট করেছেন একটি ছবি। যা দুঃখ, বিচ্ছেদে আর একাকিত্বকেই প্রকাশ করে। সৃজিতের পোস্টের পর শনিবার প্রায় একই সময়ে নিজের কিছু ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী মিথিলা। সেখানেও ভাঙনের সুর। প্রায় একই সময়ে এই দুই বিচ্ছেদের পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কেন এই হেয়ালি তারকা দম্পতির! এর আগেও বেশ কয়েকবার সৃজিতের সঙ্গে মিথিলার সম্পর্কে বিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছিল। 


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পরীক্ষায় পাসের হার কম থাকায় ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার কম থাকায় ৭টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বন্ধের জন্য শোকজ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর। 

চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাস করেছিলো। এতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফল বিপর্যয় হওয়ায় এসব মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কেনো বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার ঐ ৭জন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠানো শোকজ নোটিশ প্রকাশ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর।

জানা যায়, ফল বিপর্যয় প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ছোট মহারান্দি টেকনিক্যাল দাখিল মাদরাসার ২০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ২জন, পাশের হার ১০ শতাংশ, একই উপজেলার নির্মল দারাজিয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দিবার সিদ্দিকী নগর দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২জন, পাশের হার ৪ শতাংশ।

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পঞ্চপুর আলিম মাদরাসার মাদরাসার ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১জন, পাশের হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, একই উপজেলার বিথী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার মাদরাসার ১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। রাজাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। 

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানো হয়েছে, মাদরাসা গুলোর কম পাসের হার এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠান গুলো এ কর্মকাণ্ডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এসব মাদ্রাসা গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেনো গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বলে বলে জানা যায়।


আরও খবর



ইউপি চেয়ারম্যানের বিতর্কিত বক্তব্যে মালিকদের মধ্যে উত্তেজনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি: 

মোংলায় ঢাকাইয়া ঘের নামে সাড়ে ৩'শ বিঘার চিংড়ি ঘের নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৮ আগষ্ট অনুষ্ঠিত শোক সমাবেশে সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদারের এক বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ওই চিংড়ি ঘের এবং একই এলাকার শুকুর শেখের চিংড়ি ঘের উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ভাইপোরা জোরপূর্বক দখল করে খাচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয় আ' লীগের দুটি গ্রুপ এবং প্রকৃত ঘের মালিকদের মধ্যে বিবেধ সৃষ্টি হয়। এই বিবেধকে ঘিরে এলাকায় দু' পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। 

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে মিঠাখালীর ইউনিয়নে ওই ঘেরে গিয়ে দেখা যায় জমি তার সেই ঘের করছেন। ৪৬ জন অংশিদার সমবায় ভিত্তিতে এই ঘেরে চিংড়ি চাষ করছেন। এসময় কথা হয় চিংড়ি চাষী বরিশালের বাসিন্দা মিজান খাঁনের সাথে। তিনি বলেন, তার এই ঘেরে ১০০ বিঘা জমি রয়েছে। এছাড়া  জমি রয়েছে স্থানীয় খবির আলী শেখের ১২ বিঘা, টিপু হাওলাদারের ২৬ বিঘা, আলতাব হোসেনের আট বিঘা, আব্দুল হাইয়ের ৩০ বিঘা, অশিনি মন্ডলের ১৫ বিঘা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদের ১৬ বিঘাসহ ৪৬ জনের সাড়ে ৩০০ বিঘার জমি রয়েছে। তারা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে অংশীদারদের মাধ্যমে সমবায় ভিত্তিতে এই জমিতে চিংড়ি ঘের করে আসছেন। আর ঘেরটি পরিচালনা করছেন মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ' লীগ নেতা উৎপল মন্ডল। 

জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উৎপল মন্ডল বলেন, ২০ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে এই মাছের ঘেরটি করা হচ্ছে। এখানে জোর জবর করে এককভাবে করার কোন সুযোগ নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার এবং ভাইপো টিপু ও প্রিন্সরা জোরপূর্বক ঘের খাচ্ছে, এ কথার কোন ভিত্তি নাই। সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে গিয়ে তাদের জড়িয়ে যে কথা বলেছেন তা অত্যান্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে দলে বিবেধ সৃষ্টি হবে।


চিংড়ি ঘেরের অংশিদার সুখরঞ্জন, আবদুল হাই ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এই চিংড়ি ঘের মিঠাখালী ইউনিয়নের মধ্যে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারের বাড়ী সোনাইলতলা ইউনিয়নে। তারতো এখানে আসার প্রশ্নই ওঠেনা এবং তাকে আমরা কখোনো এখানে আসতে দেখিনি। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আরও সচেতন হয়ে বক্তব্য দেওয়া উচিত উল্লেখ করে তারা বলেন, এসব নোংরা রাজনীতি করে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে দলে বিবেধ সৃষ্টি না করতে সবাইকে অনুরোধ জানান। 

ঘের ব্যবসায়ী টিপু হাওলাদার বলেন, ঢাকাইয়া ঘের নামে পরিচিত সাড়ে তিন' শ বিঘার চিংড়ি ঘেরে ২৬ বিঘা এবং একই এলাকার ঘের ব্যবসায়ী শুকুর শেখের ২০০ বিঘার ঘেরের মধ্যে ১০০ বিঘা জমি লীজ নিয়ে তিনি চিংড়ি চাষ করছেন। তাকে জড়িয়ে সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে  মিথ্যাচার করছেন। 

চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী শুকুর শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার জমি কেউ দখল করে খাচ্ছে না। আমার জমির লীজ নিয়ে টিপু হাওলাদার সমান অংশীদার ভিত্তিতে চিংড়ি ঘের করছি। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারকে জড়িয়ে যেসব বক্তব্য রাখা হচ্ছে তা আদৌ সঠিক নয়।

এদিকে সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার বলেন, গত ২৮ আগষ্ট শোক সভার সমাবেশে যে বক্তব্য দিয়েছি তা সত্য। 

তবে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার বলেন, তাকে এবং তার ভাইপোদের জড়িয়ে ইকরাম ইজারাদার যে বক্তব্য দিয়েছে তা রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে হেয় করতেই দিয়েছে। প্রকৃত জমির মালিকরদের সাথে কথা বললেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি। 


আরও খবর



এনআইডি সার্ভার চালু হয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা আবারও চালু করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সার্ভার চালুর কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এখন এনআইডি সেবা পাওয়া যাচ্ছে। আজ সকাল থেকে এটি সচল হয়েছে। মাঝে মধ্যে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দরকার পড়ে। যার কারণে সার্ভার বন্ধ করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এনআইডি সার্ভারের পরিষেবা বন্ধ করা হয়। এর আগে গত ১৬ আগস্টেও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে এনআইডি সেবা বন্ধ ছিল। এছাড়া চলতি বছরে কয়েকবার এনআইডি সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে।


আরও খবর



লিবিয়ায় বন্যায় সাগরে ভেসে গেছে হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টির পানির চাপে দারনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেওয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। সেই বাঁধের পানির কারণেই সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাঁধের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যা হাজার হাজার মানুষকে সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সেই বন্যাটিকে অনেকে সুনামির মতো আখ্যায়িত করেছেন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে অনেক এলাকাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের পানিতে যেসব মানুষ ভেসে গেছেন তাদের মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দারনা শহরের অ্যাম্বুলেন্স সোসাইটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এ শহরটিতেই ২ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখনো ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।

এদিকে ভয়াবহ এই বন্যার পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার স্বঘোষিত পূর্বাঞ্চলের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপর্যস্ত দারনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা বেশ খারাপ।

ওই পুরো দারনা শহরই বন্যার পানিতে সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দারনার এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন আর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মর্গগুলোও মৃতদেহে ভরে গেছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, এই ভয়াবহ বিপদে যারা পড়েছেন তাদের যে উদ্ধার করা হবে সেই পরিস্থিতিও এখন লিবিয়ায় নেই। কারণ ২০১১ সালে সাবেক শাসক কর্নেল মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়ে দেশটি। আর তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শুধুমাত্র যুদ্ধই চলেছে। ফলে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে— বিপর্যয় পরবর্তী বিষয়াবলী যে সামাল দেওয়া হবে এমন কোনো বাহিনী বা অবকাঠামোই তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া গাদ্দাফির পতনের পর গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে যায় লিবিয়া। এর ফলে বর্তমানে দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল আলাদা আলাদাভাবে শাসিত হয়ে আসছে। আর বিভক্তির কারণে কেন্দ্রীয় ও সমন্বিত কোনো উদ্ধার অভিযানও সম্ভব হচ্ছে না।

সুনামি সদৃশ বন্যা সম্পর্কে পূর্বাঞ্চলের সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি যা দেখেছি তা দেখে মারাত্মকভাবে চমকে গিয়েছি। এটি সুনামির মতো ছিল।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, দারনার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পুরো শহরটিকে বাধের পানি সমুদ্রে নিয়ে চলে যায়।

এই ভয়াবহ সুনামির মতো বন্যা থেকে বাঁচতে অনেকে উঁচু বাড়ির আশ্রয় নেন। কিন্তু যাদের কপাল ভালো ছিল না, তারা ভেসে চলে যান সমুদ্রে। আর সেখানেই তাদের সলিল সমাধি ঘটে।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ছাত্রলীগের স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্মরণকালের বৃহত্তম ছাত্রসমাবেশ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেবেন বলেও জানায় আয়োজকরা। শুক্রবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫ লাখ নেতাকর্মী জমায়েত করতে চায় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, শুক্রবারের ছাত্র সমাবেশ রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন আনবে। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আমরা বার্তা দিতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতার আদর্শে বলিয়ান থাকবো। একই সঙ্গে খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করার কোনও জায়গা ছাত্রসমাজে নেই। শেখ হাসিনার প্রতি এ দেশের সব শিক্ষার্থীর যে ভালোবাসা রয়েছে, গভীর ভাবাবেগ রয়েছে, সেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে আমরা এই সমাবেশ করবো।

তিনি আরও বলেন, এটি ছাত্রলীগের সমাবেশে সীমাবদ্ধ নেই। দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর একটি প্রতীকী ছাত্র সমাবেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে এই তরুণদের শক্তির ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা নিরঙ্কুশ ব্যালট বিপ্লবে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আজকের ছাত্রসমাজ আপসহীন জায়গায় রয়েছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, সমাবেশে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত যতজন আসবে, তার থেকে কয়েক গুণ বেশি আসবে; যারা কোনও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। শুধু শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি গভীর দরদ অনুভব করে, জাতির পিতার সন্তান হিসেবে এ দেশের সুনাগরিক হওয়ার জন্য এই ছাত্র সমাবেশে শামিল হবে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আসন্ন ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও নৌকার কোনও বিকল্প নেই এই প্রশ্নে ছাত্রসমাজ, তরুণ সমাজ আজ এক ও ঐক্যবদ্ধ। এই ছাত্রসমাবেশ থেকে সারা বিশ্বে আমরা একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে তরুণ সমাজ জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবারের সমাবেশে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আমরা উন্মুক্তভাবে শপথ নিতে চাই, দেশবিরোধী যেকোনও অপশক্তির অপতৎপরতাকে রুখে দিতে এ দেশের তরুণরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।

সারা দেশের শিক্ষার্থীরা, তরুণ সমাজ আজ এক সুরে, এক নামে ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে ইনান বলেন, উন্নত, আধুনিক, স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প তাদের সামনে নেই। আজ তরুণ সমাজ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা এ দেশের লাখো কোটি মানুষের দিন বদলে দিয়েছেন।

আইন শৃঙ্খলার সার্বিক দিক ইতোমধ্যেই ঝালিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। সমাবেশ থেকে দেশ-বিরোধী সকল শক্তি রুখে দেবার প্রত্যয় জানাবে ছাত্র সমাজ। সমাবেশে ৫ লাখ নেতাকর্মীর জমায়েতের আশা ছাত্রলীগের।


আরও খবর