Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

সুফিবাদ কী ও কেন ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক লেখক ও গবেষক :

 সুফিবাদ বা তাসাওউফ বা ত্বরিকত ইসলামের প্রাণ। শরিয়ত ইসলামের দেহ বা দেহাবরণ, অনুষ্ঠান, অনুশাসন, আরাধনা ও উপাসনা।

ইসলামের বিশ্বব্যাপী জয় ও জনপ্রিয়তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুফিবাদের ভূমিকা অত্যুজ্জল। এর প্রকৃত দাবীদার মহান সুফিগণ, দরবেশগণ, আল্লাহ্র মহান ওলীগণ। কেননা ইসলাম ধর্মের বিকাশে নানা প্রতিকূল অবস্থায় ভীষণ ও ভয়াবহ, বীভৎসপরিবেশে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ইসলামের যে প্রথম প্রচার ও প্রসার তা সুফিগণেরই অবদান এবং জীবন মরণ দুর্জয় সাধনায় আল্লাহ প্রাপ্তির মহা উদ্দেশ্যে নিশীথ রাতের নির্জন ইবাদতে তাদের যেমন সীমা-পরিসীমা ছিল না, ইসলাম প্রচারেও তেমনই সাধনাতেও কোন ক্লান্তি ছিলনা। এক্ষেত্রেও তারা ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়ী সাধক, ন্যায়ের সৈনিক-মুজাহিদ ও সফলকাম সিদ্ধ পুরুষ। আবার অন্যদিকে ভৌগোলিক সীমারেখা পেরিয়ে সুফিকুল যেখানেই মানবতা লাঞ্ছিত হয়েছে, মানবতার পতন ঘটেছে, সেখানেই মানুষ মাত্রকেই ভাই বলে তাদের হয়েছেন জীবনমরণ পণ করে। সত্য ও সুন্দরের পথে সংসারের কঠিন মাটিতে পবিত্র কোরআনের আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে জাতি- ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে আবালবৃদ্ধ বণিতার মাঝে প্রেম-প্রীতি ভালবাসা ও মনুষত্বের অনির্বাণ মশাল জ্বালিয়ে দেন এই মহান সুফিসাধকগণ। যা ইসলামের ইতিহাসে চির অনির্বাণ। এখানেই তারা মহাপুরুষ। এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর আহ্বানে এবং নির্মল মনুষ্যত্বের জয়গানে পবিত্র কোরআন তাদের শ্রম সাধনা এবং মানমর্যাদার স¦ীকৃতি দিল। এরূপ স্বীকৃতি মানব সমাজের কোন ধর্মের কোন গোষ্ঠীর ভাগ্যেই আর জোটেনি। বিশ্ববাসীর কাছে কোরআনের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরতে ইসলামের নির্ভেজাল প্রচার ও নিরঙ্কুশ প্রসারেও এর মুল বাণী ও তা অমিত প্রাণশক্তিকে জাগ্রত করতে, দুর্গত মানবতার উদ্ধারকল্পে, আপসহীন চিত্তে মনুষ্যত্বের পতাকা উত্তোলন করতে বিশ্বমানবতা আপন করতে সকল প্রকার সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্য পরিত্যাগ করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে সবাইকে ভাইবোন বলে হাতে হাত রেখে বিশ্বভ্রাতৃবন্ধন স্থাপন করতে লা-শরীক এক আল্লাহ প্রেমে তাঁর প্রশংসা ও আশ্রয় পেতে জীর্ণমানবতার ময়দানে মরণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও অখন্ড মানব সমাজের চির অবহেলিত,গভীর বেদনাহত মানুষগুলির বুকে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতিষ্ঠায় সুফি সমাজের যে নিরন্তর উল্লেখযোগ্য অবদান, যে চিরস্মরণীয় লোমহর্ষক কাহিনী ও কথা, যে মৃত্যুহীন জীবনগাথা ইসলামের সারা চৌহদ্দী ও সর্বকালীন ইতিহাসে তা অপেক্ষা অধিক গুরুতর ও উল্লেখযোগ্য আর কিছু নাই। ইসলামের মহান সুফিকুল আজও সারা বিশ্বের মহাবিস্ময়।

সুফি শব্দের উৎপত্তি :


সুফি শব্দের উৎপত্তি নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে । প্রতিটি মতের পিছনে কিছু না কিছু দলিল রয়েছে । আমরা এখানে কয়েকটি উল্লেখ করছি। (১) সাউফ অর্থ পশম (২) সাফা অর্থ পবিত্র (৩) সফ অর্থ সারি, লাইন বা শ্রেণী (৪) সুফিয়া  অর্থ জ্ঞান।
১। সুফি শব্দের উৎপত্তি সাউফ বা পশম হতে । এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীর ধারণা অধিকাংশ সুফি তাঁদের দারিদ্র্যবশত পশম পরিধান করতেন তাই তাদের মতে সুফি শব্দটি
সাউফ হতে উদ্ভুত।
২। সাফা শব্দ হতেও সুফি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে মর্মে অনেকে মনে করেন, কেননা সাফা শব্দের অর্থ সাফ তথা পবিত্রতা বা পবিত্রতা লাভ করা । সুফিগণের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো আল্লাহকে লাভ করা এবং আল্লাহকে লাভ করার প্রথম ও প্রধান কাজই হলো আপন সত্তাকে বা অন্তরাত্মাকে পবিত্র করা। তাই সাফা শব্দ হতে সুফি শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে মর্মে মনে করা হয়।

৩। সফ শব্দ হতেও সুফি শব্দটি উদ্ভুত হয়েছে বলে যারা মনে করেন, তারা বলেন মহানবী (দঃ) এর সাথে একদল মানুষ সদাই নবীজীর (দঃ) জন্য প্রস্তুত থাকতেন , তাঁরা মসজিদে নববীতেই থাকতেন , তারা ঘর- সংসার করেন নি, তাঁরা ছিলেন রাসূলে নিবেদিত প্রাণ, এদের বলা হতো আসহাবে সুফফা। সুফিগণ  ভক্ত বা অনুসারী হিসেবে নিজেদের বিবেচনা করতেন বিধায় সুফী শব্দটি সফ শব্দ হতে উদ্ভুত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
৪। সুফিয়া বা সুইউফ এটি গ্রীক শব্দ এর অর্থ প্রভুর বা ঈশ্বরের জ্ঞান । সুফিগন সব সময় স্রষ্টার সাধনায় মগ্ন থাকতেন, তাঁকে জানতে চাইতেন, তাঁর মহিমা বুঝতে চাইতেন , তাঁর আদি রহস্য উৎঘাটন করতেন,মহাত্মা প্ল্যাটো (৪২৮/৪২৭-৩৪৮/৩৪৭ খৃঃ পূঃ) গ্রীক দার্শনিক/রাজা এর যে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন তাতে তিনি যে একজন ঐশ্বরিক জ্ঞান সম্পন্ন রাজা হবেন তাই বর্ণনা করেছেন। তাই আমরা ধারণা করতে পারি প্রকৃতপক্ষে শব্দটির অর্থ হলো ঐশ্বরিক জ্ঞানে জ্ঞানী। কিন্তু পরবর্তীত ইংরেজ চিন্তাবিদগণ এই শব্দ আংশিক পরিবর্তন করে ৎ অর্থ জ্ঞানের অনান্য সকল শাখাকে এই শব্দের অর্থ হিসাবে নির্বাচন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ডিগ্রী হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য বাঙালি চিন্তানায়কগণ এই শব্দের বাংলা অর্থ হিসেবে দার্শনিক শব্দটি নির্ধারণ করে এর মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখে প্রকৃত সত্য জানার আগ্রহকে বুঝিয়েছেন। অথবা জ্ঞান চক্ষু দিয়ে প্রকৃত সত্যকে যিনি দেখেন তিনিই দার্শনিক


আরও খবর



প্রেম-ভালোবাসা'র বিয়ে, নওগাঁয় মেয়ের বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলের বাবা নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বেয়াইয়ের ছুরিকাঘাতে আজিবর রহমান (৫০) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী বেয়াইকে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। মর্মান্তিক এঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বৈদ্যপুর বাজারে। নিহত আজিবর ভালাইন ইউনিয়ন এর বনতসর গ্রামের বাসিন্দা। ছুরিকাঘাতকারী তার বেয়াই দেলোয়ার হোসেন (৪৮) সে ও একই গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন এর মেয়ে উর্মি খাতুনের সাথে প্রেম- ভালোবাসা'র সম্পর্ক করে প্রায় ৩ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়।

এ কারণে বিয়ের পর থেকেই উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিলো। মেয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেন একজন ফল ব্যবসায়ী। সে বৈদ্যপুর বাজার এর স্কুল মার্কেটে ফলের ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দু' বেয়াই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে থাকা চাকু নিয়ে বেয়াই আজিবর রহমান এর পেটে ঢুকিয়ে দেয়। এসময় স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী  মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনাস্থলে আটক করে রাখা দেলোয়ার হোসেন কে উদ্ধার পূর্বক পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ ময়না তদন্ত সহ আইনানুহ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



আন্দোলনের মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান।একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রক্টরের সাময়িক দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আলমগীর কবীর।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে হলসংলগ্ন জঙ্গলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত ও সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে, নিপীড়কদের সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রশাসনিক পদ থেকে তাদের অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ

দাবির পক্ষে ১১ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তিন দিন অবরোধের পর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো: নূরুল আলমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওই আলোচনায় ভিসি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন ১৭ মার্চের মধ্যে প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম পদত্যাগ করবেন। যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে ১৮ মার্চ তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান আজ পদত্যাগ করলেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বিভিন্ন সময়ে নানা অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। সেইসাথে তার দায়িত্ব তিনি যথাযথভাবে পালন করেননি।


আরও খবর



নওগাঁয় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা সরাইগাছি-শিশা সড়কের চকগোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ট্রাকের চাপায় কুলসুম (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার ভরত চন্দ্র রায় (৫৪) কে আটক সহ ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। নিহত কুলছুম চকগোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী ও চকগোপাল গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে।

আটককৃত ট্রাক চালক ভরত চন্দ্র রায় নওগাঁর পত্নীতলা থানার বাদরাম গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় ছুটি হলে সে রাস্তা পার হওয়ার সময় সরাইগাছির দিক থেকে মহাদেবপুরের দিকে যাওয়া একটি ট্রাক কুলছুমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। এসময় স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট- ১৮-৪৫৯৯) সহ তার চালককে আটক করে থানায় সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ট্রাক চালকসহ ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এবিষয়ে সাপাহার থানা ওসি (তদন্ত) রায়হান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এঘটনায় ট্রাকটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং ওই ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবারে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



রোজার আগেই গরম ফল বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

পবিত্র রমজান শুরু হতে সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। এদিকে রমজানের প্রভাবে বেড়েছে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম। এ জন্য ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক বেড়ে যাওয়া, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণকে দূষছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে দেশি ফলের দামও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মিরপুর-৬, কচুক্ষেত, গুলশান, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশে উৎপাদিত ফলের দামও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রমজানে খেজুর ও মাল্টার চাহিদা বেশি থাকে। ঠিক এ কারণে রমজানের আগেই বেড়েছে এই ফলের দাম। এর পাশাপাশি বেড়েছে আপেল ও কমলার দামও। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মাল্টার সরবরাহ কম। এ কারণে দেশি মাল্টার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হয় ২৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২০ টাকা। এদিকে দেশি কমলা বিক্রি হয় ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে আমদানি করা কমলা। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। এ ছাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আনার কেজি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে আঙুরের দাম। প্রতি কেজি সবুজ আঙুর বিক্রি করা হয় ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি কালো আঙুর বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। 

এদিকে বাজারে মারিয়াম খেজুরের দাম পড়ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০, মেডজুল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি। বাজারে আরও উচ্চমূল্যের খেজুর আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাহিদি খেজুর। দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। গত বছরের তুলনায় সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যে আনারস বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়, গতকাল তা বিক্রি হয় ৬০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে বড় বেলের দাম ছিল ১০০-১২০ টাকা। গতকাল বড় বেলের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। অন্য ধরনের বেল যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, সেটি গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে পাকা পেঁপের দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আর গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। পেয়ারার দাম ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা। গতকাল তা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। 

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ২০ কেজি আপেলের প্যাকেটে শুল্ক দিতে হতো ৩০০ টাকা। এখন সেটি দিতে হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর এক কেজি আঙুরে দিতে হতো ৩০ টাকা। এখন সেটি দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা। আবার ডলারের রেট বেশি। সব মিলিয়ে খরচও বেশি।’

তিনি আরও বলেন, খেজুরে যে পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে, তাতে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। কারণ খেজুরে শুল্কায়ন হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। কেনা দামে শুল্কায়ন করা গেলে ভোক্তার কিছুটা সুবিধা হতো। 

মিরপুর-৬ বাজারে ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, তিনি ২৫ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করেন। প্রতিবছর তিনি দেখেছেন রোজার সময় ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। রমজানের প্রথম সপ্তাহজুড়ে ধনী-গরিব সবাই চেষ্টা করেন ইফতারে ফল রাখতে। এতে চাহিদা যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। এতে দামের ওপর প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর সুযোগ নিয়ে থাকেন। 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন নেতানিয়াহুর

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নতুন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে অযৌক্তিক বিষয়বস্তু রয়েছে দাবি করে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই সঙ্গে গাজার সর্বদক্ষিণের নগরী রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন তিনি। ইসরায়েলি হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি এখানে আশ্রয় নিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।

হামাসের পক্ষ থেকে ৪২ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠানো হয় ইসরায়েলকে। এ নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বৈঠকের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া রয়েছে।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, রাফাহ শহরকেন্দ্রিক অভিযানের জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) যে পরিকল্পনা করেছে তা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

ইসরায়েল রাফায় বড় ধরনের হামলা শুরু করলে ব্যাপক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া গাজাজুড়ে মানবিক সংকট আরও প্রকট হবে।

ইসরায়েলি হামলার অনুমোদন করার প্রেক্ষাপটে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বিয়েরবক এক্সে (আগের যার নাম ছিল টুইটার) বলেছেন, রাফায় বড় ধরনের হামলা যৌক্তিক হতে পারে না। সেখানে ১০ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আর কোথায় যাওয়ার জায়গা নেই। আর লোক যাতে না মরে এবং পণবন্দীরা যাতে মুক্তি পেতে পারে, সেজন্য অবিলম্বে মানবিক অস্ত্রবিরতি প্রয়োজন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতোপূর্বে বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া হামলা চালানো হবে ‌'রেড লাইন' অতিক্রম করা।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি। আর আহত ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি করছে।


আরও খবর