Logo
শিরোনাম

সুফিবাদ ও ইসলাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

 মাজহারুল ইসলাম মাসুম. সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবেষক :   মুহাম্মদ ইকবাল তার ইসলামী ধর্মীয় চিন্তার পুনর্গঠন শীর্ষক রচনায় ইসলাম ধর্মের প্রাসঙ্গিকতা, গতিশীলতা- এর ইতিহাস এবং ধর্মীয় অভিজ্ঞতা তথা এর মর্মকথা ব্যক্ত করতে গিয়ে এই ধর্মতত্ত্বের সাথে আধুনিক বিজ্ঞান ও দর্শনের সংঘাত এবং ঐক্যকে খোঁজার চেষ্টা করেছেন। মনুষ্যজাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের আলোকে, নানা তত্ত্ব। জিজ্ঞাসার মধ্যে ধর্মবোধ এবং এর প্রয়োগ কতটুকু সম্ভব এমন প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি যেমন ইসলামের মরমীবাদকে অনুভবের চেষ্টা করেছেন, তেমনি নানা ধর্মতত্ত্বের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করার চেষ্টা করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি জনৈক মুসলিম সুফির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, পবিত্র কুরআনকে সে-ই সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারবে যে কিনা কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিত এবং তার আদিরূপ অনুভব করতে পারবে। মূলত নানামুখী লোভ ও স্বার্থচিন্তার সাথে ধর্মচিন্তার সংশ্লেষণটি কঠিন হওয়ার কারণেই নানা বিতর্কের সূচনা।

লেখক মনে করেন সামাজিক বিশৃঙ্খলার আবর্তে নানা ধর্মের মত ও সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কোরআনের প্রয়োজনীয়তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওই গ্রন্থের অবতীর্ণ হওয়ার সময়টাতে। সকল শান্তি ও শৃঙ্খলার প্রেক্ষাপটে ভেদজ্ঞান নিরসন ও শান্তি স্থাপনের আলোকে এর মর্মকথার গুরুত্ব সব সময়ের জন্য প্রযোজ্য। চূড়ান্ত গোঁড়ামি ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারে নিমজ্জিত ইহুদি ও কর্তৃত্ববাদী রোমানদের আঘাতে যিশু ও উদীয়মান খৃস্টানগণ যখন ছিন্নভিন্ন হচ্ছে, যিশুর প্রেম ও করুণাধারায় সিক্ত মানবতাবাদী ধর্ম যখন বিত্তবানদের করায়ত্বে এসে পথহারা হচ্ছে, তখনই ইসলামের আবির্ভাব। কেবল পথভ্রষ্ট এবং উচ্ছৃঙ্খল আরবদের পথ দেখাবার জন্য নয়, বেপথু খৃস্টানদের পথের সন্ধান দিতে, দিকভ্রান্ত চিন্তা এবং অহং এ নিমজ্জিত ইহুদিগনকে একক বিশ্বাসে আনবার জন্য, একটি ধর্মীয় ইন্টিগ্রেশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামের আবির্ভাব হয়।

প্রাচীন গসপেলে জন মানবভাতৃত্বের কথা ব্যক্ত করেছিলেন। হজরত মোহাম্মদ (সা.) ওই আচরণটিকে অধিকতর মানবিক এবং প্রায়গিক করেছেন। তিনি বিজ্ঞান এবং সামাজিক শৃঙ্খলাকে ধর্মের অঙ্গ করেছেন। অতিশুদ্ধ ধর্মাবতার চরিত্রের সাথে প্রকৃত জ্ঞানী সমাজসংস্কারক চরিত্রের অপূর্ব সমন্বিত রূপের প্রকাশ ছিল হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর চরিত্রে। বোধ এবং সামরিক জ্ঞানের এমন সমন্বয় হয়ত কারও মাঝে প্রকাশিত হয়নি। ধর্মীয় উদ্দেশ্য, রাজনৈতিক স্বার্থ তথা সামগ্রিক মানবকল্যাণ ও শান্তিকে তিনি এক পাতায় আনতে পেরেছিলেন তার অসামান্য চরিত্র ও মেধাগুণে। তার অবর্তমানে ইসলাম তার বিজয়ধারা অক্ষুণ্ণ রাখলেও অহংবোধ ও স্বার্থচিন্তার আবর্তে পরে মূল ধর্মচিন্তা ও স্রোত থেকে অনেকটা সরে যায় এর প্রবক্তাগণ। ব্যাখ্যাগত দুর্বলতায় আক্রান্ত হলেও খ্রিস্টধর্মের মতো গুরুতররূপে শিকড়বিচ্যুত হয়নি ইসলাম।

এক্ষেত্রে, লেখক মনে করছেন, শুরু থেকে ইসলামে নানামুখী চিন্তা প্রাধান্য পেলেও এক পর্যায়ে তা দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে যায়। একপক্ষে থাকেন কর্তৃত্ববাদী ধর্ম এবং এর স্থূল তথা কট্টর ব্যাখ্যার প্রবক্তা বলে পরিচিত ইমাম গাজ্জালি ও ইমাম হানিফা প্রমুখ, অন্যপক্ষে থাকেন ইবনে রুশদ এবং তার অনুসারীগণ। শাক্ত ও সুযোগসন্ধানীগণ এই কট্টরদের ওপর সওয়ার হয়ে ইসলামের সাম্যবাদে কুঠারাঘাত করে। শুরু হয় বিরুদ্ধ স্রোত ইসলাম যা সমর্থন করেনা সেই রাজার রাজত্ব।

একেবারে ইসলামের শুরুতে যখন ইসলামী চিন্তাবিদগণ গ্রিকদর্শনসহ অন্যান্য দর্শন ও বিজ্ঞান পরীক্ষা করছিলেন এবং ওইসব দর্শন ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করছিলেন, সে সময় ইমাম গাজ্জালি একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন যার নাম ছিল তাহফাতে ফালাসিফা যার অর্থ হলো  ওই পর্যায়ে ইবনে রুশদের ধারণা স্পেন ও ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিশেষ করে, ৬২২ খৃস্টাব্দে হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর পর, ৬৩৪ খৃস্টাব্দে একদিকে যেমন সিরিয়া বিজয় নিশ্চিত হয়, তেমনি ইসলামী চিন্তার আধিপত্য সিরিয়া অতিক্রম করে তুর্কিস্থান হয়ে ইউরোপমুখী হয়, অন্যদিকে, শিক্ষা, দীক্ষা, সংস্কৃতি, শক্তিতে বলবান পারস্য তা অতিক্রম করে ৬৩৭ খৃস্টাব্দে। পারস্য বিজয় সম্পূর্ণ হলে তা আফগানিস্তান ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা অতিক্রম করে ভারতের মাটিতে আসে ৬৬৪ খৃস্টাব্দে। একইভাবে স্পেনের কনস্ট্যান্টিনোপল আক্রান্ত হয় ৬৬৯ খৃস্টাব্দে, মিশর পদানত হয় ৬৪২ খৃস্টাব্দে এবং প্রাচীন সভ্যনগরী কারথেজ পদানত হয় ৬৯৭ খৃস্টাব্দে। ৭১১ থেকে ৭১২ এর মধ্যে স্পেনের অধিকাংশ মুসলিমদের কব্জায় আসে, এরপর দক্ষিণ ইতালিসহ গ্রিসের সিসিলিও মুসলিমদের পদানত হয়। ৭৩২ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত এই অভিযাত্রা অপ্রতিরোধ্য থাকে। ১৪৫৩ পর্যন্ত পূর্ব ইউরোপসহ পুরো এই অঞ্চলটি মুসলিমদের অধীনে থাকে।

লেখক মনে করেন- এই আগ্রাসন ও রাজ্য বিজয়ের মধ্যে একদিকে ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে প্রাচীন উর ও মেসপটেমিয়ার সভ্যতার ছোঁয়া বিশেষ করে অংক, জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যামিতি শাস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঘটে, তেমনি গ্রিকদের ন্যায়শাস্ত্র, তর্কশাস্ত্র ও দর্শনের অনুপ্রবেশ ঘটে। ধর্মবিস্তারের সাথে সাথে একদিকে রোমানদের রাজ্যশাসন এবং দিগ্বিজয়ের কৌশলটিও রপ্ত করে আরবগণ, অপরদিকে প্রাচীন সিরিয়া বা পারস্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটে ইসলামের মাঝে।

এতে করে সুফি ও মরমীবাদের আসন স্থায়ীভাবে নিশ্চিত হয় ইসলামে। এই সুফিগণই প্রিয় মোহাম্মদ (সা.) এর অনুসারী হয়ে শুদ্ধ আত্মার অনুসন্ধানে ব্যাপ্ত হয়ে শুদ্ধতাচর্চায় নিমজ্জিত হয়। ঈশ্বরের সাথে একীভূত হয়ে শুদ্ধতার লক্ষ্যে পথচলা ও পথের আলোয় পথ দেখানোই সুফিবাদ। সুফিবাদে বিশ্বাসীগণকে সমষ্টিগত বলে আউলিয়া, যার অর্থ আল্লাহর কাছের মানুষ; ঈশ্বরাশ্রয়ী এক বন্ধু, যার আত্মার মাঝে দৃশ্যমান বিশ্ব এবং অলক্ষ্য, অজ্ঞাত, অনন্তের নিত্য খেলা।

এটি ইসলামী ঋষি সংস্কৃতিকেই প্রকাশ করে। সে অন্তরে যেমন ঈশ্বরের ছায়া ও শক্তি ধারণ করে, তেমনি ঈশ্বরের প্রতিভূর মনন ও শক্তি ধারণ করে। তিনি রাজা বা প্রভূ নন; তিনি শুদ্ধতার এক প্রেমময় প্রকাশ।

ইউরোপীয় এবং ইহুদি সম্প্রদায়গুলো স্পেনে বসবাস করায় ওই অঞ্চলটি একটি সাংস্কৃতিক রন্ধনশালায় পরিণত হয়। অর্থাৎ একে অপর থেকে গ্রহণ ও বর্জন করছিল ওই স্থানে, অনেকটা সহজ প্রক্রিয়ার মধ্যে। এভাবেই আরবদের নানা আবিষ্কার, জীবন ও দর্শন পাশ্চাত্যে শেকড় পায়। তবে, এটি ছিল সেই দর্শন যা ইবনে রুশদ প্রচার করেছিলেন। স্পেনে অবস্থানকারী সকল মুসলিম দার্শনিক ও পণ্ডিত যে ইবনে রুশদের সাথে একমত পোষণ করেছেন তা নয়।

ওই সময় রাজ্যবিজয় এবং রাজার রাজত্ব, রাজার স্বার্থ মুখ্য হয়ে ওঠে। এতে মূল ধর্মচিন্তা, ধর্মীয় স্বার্থ এবং মৌলিক দর্শন অনেক ক্ষেত্রে গৌণ হয়ে ওঠে। এ আলোকে মূলচিন্তার অনুসারীগণ আপন দর্শন বিস্তারে ভিন্ন পথ খোঁজেন। এরই ধারাবাহিকায় সুফি দার্শনিক মহীয়ুদ্দীন ইবনুল- আরাবি মন্তব্য করেন, আল্লাহ অনুভূতিস্বরূপ এবং দৃশ্যমান জগৎ একটি প্রত্যয় মাত্র। আরেকজন সুফিসাধক ইরাকির মতে স্থান ও কালের মাঝে অবস্থান বহু এবং বিচিত্র; ঐশীস্থান ইন্দ্রকালের অস্তিত্ব আছে এর মাঝে। এক্ষেত্রে ইকবাল বলেন, এমনও হতে পারে আমরা যাকে বাহ্যিক জগৎ বলি তা আমাদের বুদ্ধির সৃষ্টি, মানবিক বোধ ও অনুভূতির এমন আরও অনেক স্তর রয়েছে যা সম্পূর্ণ আলাদা স্থান ও কালের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলছে।

এক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট যে, ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যে যারা সত্য আবিষ্কারে আগ্রহী হবে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির ওপর নির্ভর করতে হয়। লেখক মনে করেন যে, এসব বিষয়ে অপরকে সম্পূর্ণ জানা ও জানানো কখনোই সম্ভব নয়। মধ্যযুগীয় আধ্যাতিক সাধনা বা সনাতন সত্যজিজ্ঞাসা পদ্ধতি আদিম এবং মহাসত্য আবিষ্কারের পথে, এটি বিগ্ন বৈ কিছু নয়; তবে তিনি এটাও বলেন, সন্ধান নিরর্থক নয়।

লেখক নিজে মনে করেন, এ ধরনের চিন্তা চেতনার মধ্যে একটি তৃপ্তি ও শান্তি থাকলেও এর ভ্রান্তির চোরাবালি প্রগতিমুখী চিন্তা বা বিজ্ঞাননির্ভর চিন্তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। গভীরতম জ্ঞান ও মৌলিক আবিষ্কারের পেছনে চর্চিত পাঠ ও কগনিটিভ জ্ঞানের মতো বিভূতির ভূমিকা কম নয়।

মহাবিশ্ব তথা সকল সৃষ্টির শুরু শূন্য থেকে, ব্যাখ্যাতীত উৎস বা আধার থেকে উৎসারিত শক্তি থেকে। আর সে শক্তির পেছনে যদি ঈশ্বর বা স্রষ্টাকে অনুভব করি তার অর্থ দাঁড়াবে- তার হতে শুরু এবং সেখানেই পরিসমাপ্তি। আমরা আছি সেই যাত্রাপথে- নদীর স্রোতে। তিনি সকল কার্যকারণের নিয়ন্ত্রক, সকল কিছুর স্রষ্টা এবং বিনাশকর্তা।

সৃষ্টি, বিনাশ, কর্ম এবং কর্মফল সবকিছুর পেছনে রয়েছে কার্যকারণ। এই কার্যকারণের কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন হজরত আব্দুল কাদের জিলানি, তাঁর ফতুহুল গায়েব গ্রন্থে। এসব কথা স্পষ্ট হয়েছে মাওলানা রুমীর অনবদ্য রচনাতেও।

পবিত্র কোরআনের আয়াতে বলা হয়েছে- ইয়া হাইয়্যু হিনা লা-হাইয়্যু ফীদাইমু মিয়্যাতি মুলকিহী ওয়া বাকাইহী ইয়া হাইয়্যু। অর্থাৎ- হে চিরজীবী (আল্লাহ)! যে সময় তোমার রাজত্বের স্থায়িত্বে ও অস্তিত্বে কিছুই বর্তমান ছিল না, সে সময়ও তুমি বর্তমান ছিলে; হে চিরজীবী।

এর মাঝে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, বিস্তার, বির্বতন ও সময়ের প্রসারণের কথা বলা রয়েছে এটা অসাধারণ ইনট্যুইটিভ জ্ঞান তথা সত্যের প্রকাশ।

  


আরও খবর



কাজ শেষ, উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। টানেলটি এখন যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ‘এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী অক্টোবরে টানেলটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে টানেলটি খুলে দেওয়া হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ১৪ আগস্ট জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলতে পারে।

টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে, যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে টানেলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে।

১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ হারে সুদে ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



চুরির অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন' সেই যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু (৩৬) কে দিন-দুপুরে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন (মারপিট) করায় দীর্ঘ ২৫ দিন হাসপাতাল বেডে যন্ত্রনায় ছটফট করে অবশেষে মৃত্যু হয়েছে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টুর। 

নিহত লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর বাজার এর পার্শ্ববর্তী ভীমপুর ভেবরী পাড়া গ্রামের মৃত মিরাজ মোল্লার ছেলে। 

নিহতের পরিবার ও স্থানিয়রা জানান, সরস্বতীপুর বাজার এর পার্শ্ববর্তী ভীমপুর ভেবরী পাড়া গ্রামের মৃত মিরাজ মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু ছোট থাকতেই তার মা ও বাবার মৃত্যু হয়। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু বাসের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এরিমাঝে সরস্বতীপুর বাজার দীঘির পাড়ে অবৈধ্য ভাবে গড়ে তোলা (পুরাতন যানবাহন) ভাঙ্গার কারখানা মালিক একই গ্রামের মামুন লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু কে তার কারখানাতে শ্রমিক হিসেবে কাজে নেয়। এক পর্যায়ে কারখানাতে কাজ করতে না চাওয়ায় কারখানা মালিক মামুন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরিমাঝে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু কারখানাতে কাজ করা বন্ধ করেন। ঘটনার দিন গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টারদিকে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু তার শ্রমের পাওনা টাকা নিতে ঐ কারখানাতে গেলে সে সময় কারকানা মালিক মামুন আলী সরদার এর নের্তৃত্বে সাইদুল দেওয়ান, দুলাল দেওয়ান ও রামিম দেওয়ান সহ কয়েকজন লিটন মোল্লা ভুট্টুকে প্রথমে ভাংরি কারখানার ভেতর আটক করে রেখে অমানবিক নির্যার্তন চালান। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেখান সাইদুর দেওয়ান এর বাড়িতে নিয়ে আবারো অমানবিক নির্যাতন ( মারপিট) করাকালে বাজারের ব্যবসায়ী ওতার স্বজনরা ঘটনাটি জানতে পেরে সেখান থেকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় লিটন মোল্লা ভুট্টুকে উদ্ধার পূর্বক দ্রুত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঐ দিনই দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বগুড়াতে রেফার্ড করেন। স্বজনরা ঐ রাতেই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান এবং সরস্বতীপুর বাজারের দোকানী, (বয়লার) ধান চাতাল মালিক ও গ্রামের লোকজন চাঁদা টাকা তুলে তার চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। এরি মাঝে অবস্থা সংকট জনক হওয়ায় চিকিৎসক সাথে থাকা স্বজনদের বলেন, এরোগীর অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ সময়ের অপেক্ষা এজন্য বাসায় নেওয়া ভালো বলে গত সোমবার সন্ধার দিকে ছাড়পত্র দিলে স্বজনরা তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার মাত্র কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে বুধবার পূর্বরাত ২টারদিকে দীর্ঘ ২৬ দিন মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট বা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে লিটন মোল্লা ভুট্টুর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলে ঐ দিন সন্ধায় দাফন সম্পূর্ণ করা হয় বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজন সহ স্থানিয়রা।

নিহত ভুট্টুর বোন মাবিয়া সুলতানা সুলতানা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর মামুন সরদার তার সহযোগীরা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ভাইকে আটক রেখে অমানবিক নির্যাতন করেন। পরে স্থানিয় বাজারের ও গ্রামের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে দীর্ঘ ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু অর্থাভাবে তাকে ঢাকা নিতে না পেরে ঐদিন তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পর তার মৃত্যু হয়। নিহত ভুট্টুর স্ত্রী জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজন এর আর্থিক সহযোগিতায় দীর্ঘ ২৬ দিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও শেষ পর্যন্ত অর্থাভাবে তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখি। কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে বুধবার রাত ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, ভুট্টুকে মারপিটের ঘটনার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর তার চাচা মান্নান মোল্লা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



কঠোর কর্মসূচির দেয়ার ইঙ্গিত বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের কথা বললেও ক্রমেই কঠোর কর্মসূচির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। সেক্ষেত্রে হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ কর্মসূচির ভাবনাও আছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ফয়সালা করতে চায় দলটি।

সেক্ষেত্রে তফসিল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ঘোষণা হলেই হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কর্মসূচির ধরণ ও সময় পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, জানুয়ারিতে নির্বাচন হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে একাধিক কমিশনার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন- আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপের মুখে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের অবস্থান থেকে সরকার সরে আসবে। তাই আপাতত হার্ডলাইনে না যাওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তফসিলের আগেই হরতালের মতো কর্মসূচি আসতে পারে।

যদিও এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা হলেই তারা হরতালের কর্মসূচি আসবে এমনটা চিন্তা আছে নীতিনির্ধারকদের। তবে কর্মসূচি যাই হোক তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপর। যারা সক্রিয় থাকবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হাইকমান্ড।

কর্মসূচির বিষয় আলাপকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য একজন সদস্য বলেন, আন্দোলনের তো মাত্রা থাকে। সেটা তুঙ্গেও উঠবে। কিন্তু সেই সময় তো দরকার। আমরাও হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির চিন্তা ভাবনা করছি।

সেটা কবে নাগাদ ঘোষণা করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নীতি নির্ধারক বলেন, তফসিল কবে ঘোষণা করবে সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। আমরা আমাদের মাত্রা ঠিক করে তফসিলের আগেও কঠোর কর্মসূচির দিতে যেতে পারি। অনেক ধরণের আলোচনা চলছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নিয়ে কোনোভাবে এগুবে তাও ঠিক করবে বিএনপি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, রোডমার্চের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। চলমান কর্মসূচি শেষ হোক। সবাইকে নিয়েই উপযুক্ত কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এবার আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, তারা চাইছেন তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন ইস্যুর রাজনৈতিক ফয়সালা নিশ্চিত করতে। এ লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার চিন্তা রয়েছে তাদের। এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে দলটির অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে।

অবশ্য সরকারি দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে গেলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন বিএনপি নেতারা।

অন্যদিকে একযোগে বিএনপির মহাসচিবসহ একাধিক শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হরতালের কর্মসূচি আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের মতো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যতদিন আপনি (শেখ হাসিনার সরকার) থাকবেন এটা আরও সংঘাতের দিকে যাবে, খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরও বাড়তে থাকবে। এখনও তো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জনগণ রুখে দাঁড়াবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শত প্ররোচনার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এটার শেষ পরিণতি কী হবে তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণ কি হচ্ছে তার ওপর।

মহাসচিবের বক্তব্যের পর এদিকে সিলেটের রোডমার্চে অংশ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী হরতাল, অবরোধের মতোন কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

ভৈরবে সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন রাখেন, আমরা এখনও হরতাল দেইনি। হরতাল দেওয়া দরকার আছে? অবরোধ দেওয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন? তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন, হ্যাঁ

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ঠিক আছে আপনাদের রায় পেলাম। আমরা হরতাল করি নাই, কিন্তু করব না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। এবার ডু অর ডাই হবে।

অন্যদিকে প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বুঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।


আরও খবর



বিশ্বকাপ ভাবনায় নতুন পেসার তানজিম

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

দিনে দিনে আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেনরা গড়ে তুলেছে সমীহ করার মত এক লাইনআপ। এশিয়া কাপের শুরুতেই অবশ্য ছিটকে গিয়েছিলেন এবাদত। তার বদলে ডাক পেয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবকে। তবে সুযোগ যখন পেয়েছেন, সেটা দুহাতেই লুফে নিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা।

নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন তানজিম সাকিব। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার রোহিত শর্মাকে। এরপরেই জুনিয়র সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সাজঘরে ফিরেছেন তিলক ভার্মা।

ম্যাচ শেষে আলাদা করে কথা উঠলো নতুন এই পেসারকে নিয়ে। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতে সে বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি রাখল, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়ে তানজিম বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি তুলেছে।

হাথুরুসিংহে বলেছেন, এটা বলতে পারি, এই ম্যাচ দিয়ে সে বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি তুলল। আমরা চাইছি বিশ্বকাপে ইনজুরিমুক্ত চার পেসার। কারণ, এবাদত চোটে পড়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না।

এবাদতের শূন্যতা পূরণের মতো সামর্থ্য তানজিমের আছে, এমনটাই বিশ্বাস করেন কোচ হাথুরু, আমার বিশ্বাস, আমরা যদি বিশ্বকাপে তার ওপর আস্থা রাখি বা দল নির্বাচনের সময় তার কথা ভাবি, সেটা ভুল হবে না। ও দেখিয়েছে ও কী করতে পারে। সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে থাকবে সে। এ ছাড়া সে ভালো ব্যাটিংও করতে পারে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে উ. কোরিয়াকে মূল্য দিতে হবে : যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে আবারও সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে উত্তর কোরিয়াকে ‘মূল্য’ চোকাতে হবে।

পিয়ংইয়ং মস্কোর সাথে সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে বলে ওয়াশিংটন সতর্ক করার পর এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য উত্তর কোরিয়া যদি রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করে তবে পিয়ংইয়ংকে ‘মূল্য’ চোকাতে হবে বলে হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়েছেন। মূলত পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে এবং এর মধ্যেই পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান মঙ্গলবার বলেছেন, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র আলোচনা ‘সক্রিয়ভাবে অগ্রসর হচ্ছে’ বলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘একটি আধুনিক সার্বভৌম রাষ্ট্রের অন্তর্গত অঞ্চল জয় করার চেষ্টার জন্য বা শস্যের সংরক্ষাণাগার এবং প্রধান শহরগুলোর বিভিন্ন অবকাঠামো আক্রমণ করার জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তা উত্তর কোরিয়ার ওপর ভালোভাবে প্রতিফলিত হবে না। এর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের মূল্য চোকাতে হবে।’এর আগে গত সোমবার বাইডেন প্রশাসনের অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রাশিয়া সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। চলতি মাসেই এই সফর হতে পারে এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন কিম।

ক্রেমলিন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, দুই নেতার মধ্যে সম্ভাব্য সরাসরি আলোচনার রিপোর্ট সম্পর্কে ‘কিছু বলার নেই’। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি বেশ জোরালোভাবেই প্রকাশ পেয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং কিমের সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া কিম এবং পুতিনও গত মাসে তাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার করে চিঠি বিনিময় করেন।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলও রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অস্ত্র পাওয়ার জন্য রুশ কর্তৃপক্ষের পিয়ংইয়ংয়ের মুখাপেক্ষী হওয়ার বিষয়টি আসলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতাকেই তুলে ধরছে।

প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি বিধিনিষেধ এবং এ সংক্রান্ত প্রভাবের কারণে ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে এমন অস্ত্রের জন্য রাশিয়া বিশ্বজুড়ে মরিয়া অনুসন্ধান করতে বাধ্য হয়েছে।’

অবশ্য মস্কোতে অস্ত্র পাঠানো হলে ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে প্যাটেল সেটির বিশদ বিবরণ দেননি। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার অংশীদারদের সাথে সমন্বয় করে ‘প্রয়োজনে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে’।

টানা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে অস্ত্রসহ সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

অপরদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সহায়তা না করতে চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিপক্ষ দেশগুলোকে সতর্ক করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়া নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তার বক্তব্য এমন সময়ে সামনে এলো যখন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার সম্ভাব্য রাশিয়া সফর নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়া কয়েক সপ্তাহ আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উন তাদের দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিঠি বিনিময় করেছেন।

পুতিন সেই সময় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, আমরা দুই দেশের জনগণের কল্যাণ ও কোরীয় উপদ্বীপ এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দৃঢ় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করব।’

অবশ্য উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া উভয়ই এর আগে অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এছাড়া উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি জোর দিয়ে বলেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর ‘আধিপত্যবাদী নীতি’ মস্কোকে তার নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার জন্য সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩