Logo
শিরোনাম

সুফিবাদের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক লেখক ও গবেষক :

আল্লাহের নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য দীন হল ইসলাম।আল্লাহ তায়ালা মানব জীবনের সকল কর্মকাণ্ডসমূহ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য হযরত মুহাম্মদ(সাঃএর মাধ্যমে  জীবন বিধান পেশ করেছেন।ইসলাম ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক,রাষ্ট্রীয়,ইহলৌকিক  পারলৌকিক প্রভৃতি বিষয় ধর্মীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকে।মানব জীবনের প্রতিটি প্রতিদিকে দুটি স্তর রয়েছে যার একটি হল বাহ্যিক(বস্তুগতদিক আরেকটি হল আভ্যন্তরীন (আধ্যাত্মিকদিক।ইসলাম মানুষের দুটি দিক নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে।মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত  শুধু তার দেহের জন্য করে নাই বরং তার একটি বাতিনী দিক আছে যা হল আত্মা।আত্মার শান্তির জন্য মানবতা যুগে যুগে জড়বাদ,বস্তুবাদের আবর্তে ঘুরছে।কিন্তু প্রকৃত শান্তি তারা খুজে পায় নাই।তাই কবি শেখ সাদী (.) বলেন,

 

 এই সমুদ্রে হাজার কিশতী ডুবে গেছে;কিন্তু একটিও ভেসে উঠে নদীর তীরে পৌছে নাই

জড়বাদ মানুষের যে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে তা বুদ্বিবাদ তা পূর্ণ করতে পারে নাই আর তার শূন্যতা পূরণ করেছে ইসলামের আধ্যাত্মিকতা।আর ইসলামের এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানের নাম হল সূফীবাদ।মানুষের জীবন আত্মা এবং দেহের সমন্বয় গঠিত।যে জ্ঞানের সাহায্যে আত্মাকে পরিশুদ্ব করা যায় তাই হল তাসাউফ।

 

সূফি শব্দের উৎপত্তি

 

সূফি শব্দটি কোন শব্দ হতে এসেছে সে ব্যাপারে মুসলিম পণ্ডিতদের ভিতর বেশ কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়।সেগুলো নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলঃ

 

প্রথম মতামতঃ  ইবনে খালিদুন,. আফিফী,আল-কালবাদী,আর-রুদবারী,আবূ নসর আস-সাররাজ প্রমুখ পণ্ডিতগণের মতে,সূফী শব্দটি সূফূন হতে নির্গত যাত অর্থ হল পশম।পশমী বস্ত্র সরলতা  আড়ম্বহীনতার প্রতীক।হযরত মুহাম্মদ(সাঃ তার সাহাবাগণ বিলাসী জীবন-যাপনের পরিবর্তে সাদা-সিদে পোশাক পরতেন এবং পরবর্তীতে সূফীগণ সাদাসিধা জীবন-যাপনের জন্য এই পোশাল গ্রহণ করে কম্বল-সম্বল করে চলেন বলে তাদেরকে সূফী বলা হয়।

 

দ্বিতীয় মতামত কারো মতে সূফী কথাটি সফফুন হতে নির্গত যার অর্থ হল কাতার,শ্রেণী,লাইন ইত্যাদি।যেহেতু সে মর্যাদার দিক দিয়ে প্রথম শ্রেণীর লোক।এজন্য তাদের সূফী বলা হয়।

 

তৃতীয় মতামতআলী হাজাবিরী,মোল্লা জামী (র।এর মতেসূফী কথাটি সাফা হতে নির্গত যার অর্থ হল পবিত্রতা,আত্মশুদ্বি  স্বচ্ছলতা।যারা আত্মার পবিত্রকরণ সাধনায় নিয়োজিত থাকেন তাদেরকে সূফী বলা হয়।

 

চতুর্থ মতামতকিছু পাশ্চত্যের পণ্ডিত বলেছেন যে সূফী কথাটি সোফিয়া বা সোফিস্ট কথা হতে নির্গত হয়েছে যার অর্থ হল জ্ঞান।কিছু মানুষ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী বলে তাদেরকে সূফী বলা হয় আর  শাস্ত্রকে তাসাউফ বলা হয়।

তবে শেষোক্ত মতামত একেবারে অগ্রহণযোগ্য।কারণ বিদেশি কোন শব্দ হতে ইসলামের কোন একটি বিষয় নির্গত হবে তা হতে পারে না।

 

অন্যদিকে প্রথম তিনটি মতামতের ভিত্তিতে যে সূফী শব্দটি এসেছে তাও অনেকে মানতে নারাজ।  ব্যাপারে 

ইসলামে সূফী দর্শন নামক প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে,

 

সূফী কথাটি যে সুফূন(পশমহতে নির্গত তা গ্রহণযোগ্য নয়।কারণ এর দ্বারা সূফীদের কেবল পোশাক-পরিচ্ছেদ  অবয়বের কথা বলা হয়েছে।যেহেতু সূফিবাদ মানুষের বাতিনী দিকের পরিচায়ক তাই এই বাহ্যিক দিকের নির্দেশক পশম হতে সূফীর উৎপত্তি হয়েছে তা যুক্তিসঙ্গত নয়।আবার সাফা(পবিত্রতাহতে যে সূফী কথাটি এসেছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়।কারণ এটা হল সূফীদের জীবন-

 

সাধনার একটি নির্দেশক মাত্র।আবার সফফুন হতে সূফী এসেছে  কথাও বিশ্বাস করা যায় না কারণ তা একটি কাল্পনিক ধারনামাত্র।

 

একমাত্র আহলে সূফফা(বারান্দার অধিবাসীশব্দে সূফী তত্ত্বের  সূফী জীবনের বাহ্যিক  আভ্যন্তরীন দিক পরিস্ফূট হয়ে উঠে।তারাই পশমী পোশাক সর্বদা পরিধান করতেন এবং সর্বদা আল্লাহের যিকিরে মশগুল থাকতেন।তারা আল্লাহের সম্মানে চাদরাবৃত।তারাই নবী করিম (সাঃএর সাহচর্যে থেকে সর্বদা আভ্যন্তরীন  বাহ্যিক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। কাজেই আহলে সুফফা হতে যে সূফী কথাটির উদ্ভব ঘটেছে তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত।(সূত্রঃ ইসলাম  আধ্যাত্মিকতাঃ১০৩)

 

সূফিবাদের পারিভাষিক সংজ্ঞা

 

সূফীবাদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে মুসলিম দার্শনিকবৃন্দ  আধ্যাত্মিক সাধনায় সাধনাকারী ব্যক্তিবর্গ বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।তার ভিতর প্রধান প্রধান কয়েকটি সংজ্ঞা হল নিম্নরুপঃ

ইমাম শামী (.) বলেন,

 

সূফীবাদ হল আধ্যত্মিক জ্ঞান যে জ্ঞানের সাহায্যে মানুষের সৎ গুণাবলীর প্রকারভেদ এবং তা অর্জনের পন্থা  অসৎ গুণাবলীর প্রকারভেদ  তা থেকে রক্ষার উপায় জানা যায়।

 

জুনায়েদ বাগদাদী(রঃবলেছেনআত্মিক পবিত্রতা অর্জন  আল্লাহ ছাড়া সবকিছু হতে প্রভাবমুক্ত হওয়ার নাম হল ”

 

যুন্নন মিসরীর মতেআল্লাহ ছাড়া আর যা কিছু আছে সবকিছু বর্জন করার নাম হল সূফীবাদ।

ইমাম গাযযালী(.)বলেনতাসাউফ এমন একটি বিদ্যা যা মানুষকে পশু হতে উন্নীত করে,মনুষ্যত্বের চূড়ান্ত প্ররযায়ে পৌছিয়ে দেয়।তিনি আরো বলেন,

 

সূফীবাদ হল মুমিনদের অন্তরের জ্যোতি যা নবী করীম (সাঃএর প্রদীপ হতে গ্রহণ করা হয়েছে।

বায়জীদ বোস্তামী (.) বলেনআল্লাহের ইবাদতে মগ্ন থাকা  আল্লাহকে পাওয়ার উদ্দেশ্যে পার্থিব দুঃখ-কষ্ট বরণ করার নাম হল সূফীবাদ।

 

শায়খুল ইসলাম যাকারিয়া (.) বলেনতাসাউফ মানুষের আত্মার বিশোধনের শিক্ষা দান করে।তার নৈতিক জীবনেকে উন্নীত করে এবং স্থায়ী নিয়ামতের আধিকারী করার উদ্দেশ্যে মানুষের ভেতরের  বাইরের জীবনকে গড়ে তুলে। এর বিষয়বস্তু হল আত্মার পবিত্রতা  লক্ষ্য হল চিরন্তন সুখ শান্তি অর্জন।

 

আবূ মুহাম্মদ আয-যারিনি বলেছেন“Sufism is the building up of good habits and freeing of heart from all evil desires.”

তাহলে বলা যায় যেনবী করিম (সাঃএর নির্দেশিত পথে আত্মশুদ্বি করে ইসলামের বাহ্য  অন্তর জীবনের প্রেমপূর্ণ বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে পরম সত্তার পূর্ণ জ্ঞানার্জন  তার নৈকট্য লাভজনিত রহস্যময় উপলব্ধিকে সূফীবাদ বলা হয়।

 

সূফিবাদের উৎপত্তি

সূফিবাদের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে পণ্ডিতদের ভিতর মতবিরোধ লক্ষ্য করা যায়।সূফীবাদ কথাটি মুসলমানদের ভিতর থেকে কিভাবে এসেছে সেসব মতামতসমূহ নিম্নঃরুপঃ

 

বেদান্ত  বৌদ্ব দর্শনের প্রভাব

খ্রিষ্টনিয়  নিও-প্লেটানিক প্রভাব

.পারসিক প্রভাব

.কুরআন হাদীসের প্রভাব

 

উপরের তিনটি মতবাদকে আভ্যন্তরীন মতবাদ বলা হয় আর শেষেরটিকে বাহ্যিক উৎস বলা হয়।এসকল মতবাদ নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলঃ

 

বেদান্ত  বৌদ্ব দর্শনের প্রভাবঃ পশ্চাত্যের কিছু চিন্তাবিদ তথা গোল্ডযিহার,এইচ মার্টেন এর মতে,সূফিবাদ বেদান্ত দর্ষন  বৌদ্ব দর্শন হতে উদ্ভূত।কারণ,মুসলমানেরা যখন ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন করে এরপর থেকে ভারতীয় সন্ন্যাসী  বেদান্ত বৌদ্বদের প্রভাবে প্রভান্বিত হয়ে মুসলমানগণ কঠোর সংযম  কৃচ্ছতা সাধনের স্পৃহা জাগিয়ে তুলে।আর সে থেকে মুসলমানদের ভিতর সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে। পারতপক্ষে  ধরনের মতামত ঐতিহাসিক দৃষ্টিভংগী অনুযায়ী সঠিক নয়।কারণ ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানেরা আসার অনেক আগে থেকে সুফিবাদ কথাটির উদ্ভব ঘটেছিল।হাসান বসরী,যুন্নুন মিসরী,আবুল হাশিম কূফী,ইব্রাহীম বিন আদহাম রাবিয়া বিসরী প্রমুখ সূফিদের আবির্ভাব  সাধনা প্রমাণ করে যে,সূফিবাদ ভারতীয় আমদানি নয়,ইসলামের আধ্যাত্মিক শিক্ষার ফলে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে।তাছাড়া বৌদ্ব সন্যাসীগণ জাগতিক কার্যক্রমলে সম্পূর্ণরুপে অস্বীকার করে আর তার ধ্যান-সাধনার জন্য নির্জন জায়গা বেছে নিয়েছে।অন্যদিকে মুসলিম সূফী-সাধকগণ আল্লাহ পাকের ধ্যান করার সাথে সাথে সংসারও করে থাকেন। আবার বৌদ্ব ধর্মে নির্বাণ সত্তায় আত্মবিলোপ শেষ আর মুসলিম সূফিগণ ফানাকে শেষ স্তর বলে মনে করে না বরং তারা বাকাবিল্লাহকে সূফী-পথ পরিক্রমার সর্বশেষ স্তর মনে করে থাকে।সুতরাং,বৌদ্ব  বেদান্ত হতে সূফিবাদের উৎপত্তি হয়েছে  ধরনের মতবাদ সম্পূর্ণরুপে ভিত্তিহীন।

 

.খ্রিষ্টিয়  নিওপ্লেটিক মতবাদঃ অধ্যাপক নিকলশন  ভনক্রেমার  মতামত ব্যক্ত করেছেন যেমুসলমানদের ভিতর সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটেছে খ্রিষ্টিয়  নিওপ্লেটিক মতবাদ হতে।তারা  কথা অত্যন্ত জোড় দিয়ে বলেছেন যেযখন মুসলিমরা মিসর,সিরিয়া,প্যালাষ্টাইন প্রভৃতি দেশ জয় করতে থাকে সে অবস্থায় খ্রিষ্টীয় চিন্তা-দর্শন মুসলিম চিন্তা-দর্শনের ভিতর আবির্ভূত হয়  এবং এরই প্রভাবে তপস্যা  সংযমবাদের অনুপ্রবেশ সূফীদের ভিতর ঢুকে আর সেই থেকে সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটেছিল। নিকেলসন  কথা অত্যন্ত জোড় দিয়ে বলেছেন যে,সে সময় মুসলিম সম্রাজ্যের অনেক জায়গায় জাষ্টিয়ানদের আধিপাত্য ছিল আর সে থেকে সূফিবাদের উৎপত্তি হয়েছে।পারতপক্ষে  ধরনের মতাবাদ সঠিক নয়।কারণ মুসলিম সূফি-

 

সাধকগণ খ্রিষ্ট্রীয় সন্যাসীদের ন্যায় সংসার বিরাগী নয়।আর তাছাড়া মহানবী (সাঃ),সাহাবা  তাবিঈদের সময় হতে  ধরনের আধ্যাত্মিক সাধনায় মুসলমানেরা নিয়োজিত ছিল।তাই খ্রিষ্ট্রীয়  নিউপ্লেটনিক মতবাদ হতে যে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটেছে  ধরনের কথা সম্পূর্ণরুপে অযৌক্তিক।

 

পারসিক প্রভাবঃ ঐতিহাসিক ব্রাউনি আর তার কিছু অনুসারীরা বলেছেন যে,সূফিবাদের উৎপত্তি ঘটেছে পারসিক প্রভাব হতে।তারা  যুক্তি সকলের সামনে তুলে ধরেছে যেপারসিক জাতি ছিল এক অহংকারী  দম্ভ জাতি।কিন্তু তাদের উপর যখন আরবেরা জয় করল তখন হতে তাদের ভিতরে এক ধরনের হতাশা কাজ করতে শুরু করল।সেখান থেকে তারা আধ্যাত্মিক সাধনায় নিয়োজিত থাকের ব্যাপারে এক ভিন্ন চিন্তা-

 

ধারা আবিষ্কার করে আর সেখান থেকে সূফিবাদের আবির্ভাব ঘটে আর তারই ধারাবাহিকতায় পারস্যে অনেক দার্শনিক আবির্ভূত হয়।পারস্যের ভিতর যে ম্যানিকীয়  ম্যাজদেকীয় ধর্মের অস্তিত্ব ভিতর সূফিবাদের কৃচ্ছতাপূর্ণ জীবন-যাপনের উপকরণ খুজে পাওয়া যায়। পারতপক্ষে  ধরনের কথাও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক  ভিত্তিহীন।কারন বেশিরভাগ সূফী পারস্যের হলেও তার মানে  বুঝায় না যেসূফিবাদ পারস্য হতে এসেছে।কারন আবূ বকর ইবনুল আরাবী  ইবনুল ফরিদসহ অনেক দার্শনিক আরবীভাষী ছিলেন। আর আমাদের প্রিয়নবী (সাঃ),সাহাবীগণ  তাবিঈগণের সময় হতে এক ধরনের তাপস্যা শুরু হয় এবং তারা বিদেশী ধ্যান-ধারনা থেকে সম্পূর্ণমুক্ত ছিলেন।।

 

.কুরআন  হাদীসের প্রভাবঃ সূফিবাদ যে কোন বাইরের চিন্তা-দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত হয় নাই তা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।ইসলামী আধ্যাত্মিক শিক্ষার মূল উৎস হল আল-কুরআন।যদিও কুরআন  হাদীসে সূফিবাদ শব্দটি সরাসরি ব্যবহার করা হয় নাই তবুও কুরআনের অসংখ্য আয়াত  রাসূল(সাঃএর অসংখ্য হাদীসের দ্বারা সূফিবাদ তথা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের দিকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।ইবনে খালিদুন অত্যন্ত জোড় গলায় বলেছেন যেসূফিবাদ এমন এক ধর্মীয় বিজ্ঞান যার উৎপত্তি  খোদ ইসলাম হতে হয়েছে কুরআনের অসংখ্য আয়াত রয়েছে যার দ্বারা মরমীধারাকে ইসলাম বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছে।সেখান হতে কিছু আয়াত নীচে উল্লেখ করা হলঃ

 

তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান  যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে।[বাকারাঃ২৫৫]

 

তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক[হাদীদঃ৪]

 

তিনিই প্রথমতিনিই সর্বশেষতিনিই প্রকাশমান  অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।” [হাদীদঃ৩]

আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করেসে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।” [ক্বাফঃ১৬]

 

সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ করআমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো [বাকারাঃ১৫২]

 

যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করেআমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব।” [আ্নকাবূতঃ৬৯]

তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করবে,” [বাইয়েনাহঃ৫]


আরও খবর



তীব্র গরম উপেক্ষা করে রমনায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পয়লা বৈশাখকে বরণ করতে রাজধানীর রমনা পার্কে মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে আসছেন নারী-পুরুষ ও শিশু। শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের সামনের দুটি গেট দিয়ে তারা পার্কে ঢুকছেন। সবাইকে রমনায় প্রবেশের আগে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। শাহবাগ ও মৎসভবনের মাঝে ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে আরেকটি গেট করা হয়েছে। সেটি দিয়ে পার্কে প্রবেশকারীরা ঘোরা শেষে বের হচ্ছেন। তবে বের হওয়া মানুষের চেয়ে প্রবেশের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।

শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন রাস্তার দুইপাশের ফুটপাত ধরে শত শত মানুষ হাঁটছেন। তাদের সবার পরনে কম বেশি বৈশাখের পোশাক। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ ছবি তুলছেন। নিজেকে সেলফিবন্দি করতে ভুলছেন না তারা। কেউ আবার রোদের তীব্রতা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য সাথে ছাতা নিয়ে এসেছেন।

আজ আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেদিকে খেয়াল নেই পয়লা বৈশাখ উদযাপনকারী মানুষজনের। রমনায় প্রবেশের পর লোকজন পুকুরপাড়ের ধার ধরে কেউ বসে গল্প করছেন, কেউ আবার নতুন তৈরি পুকুরের কোল ঘেঁষে কংক্রিটে বাঁধানো পাড়ে হেঁটে সময় কাটাচ্ছেন।

তবে প্রচণ্ড রোদ থাকায় বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। গরম থেকে রেহাই পেতে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য কেউ কেউ আইসক্রিম এবং ঠান্ডা জাতীয় বরফ শরবত কিনে খাচ্ছেন।

শাহবাগের শিশু পার্কের বিপরীতে রমনার প্রধান গেট। তার পাশের ফুটপাতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন আনিস আহমেদ। এসেছেন পুরান ঢাকা থেকে। তিনি বলছিলেন, অনেক কষ্টে ঢুকেছিলাম ভেতরে, কিন্তু এত মানুষ! হাঁটার মতো পরিবেশ নেই। বাধ্য হয়ে এখানে বসে আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি।

খিলগাঁও এলাকা থেকে এসেছে নবীন ও আয়েরা। তারা দুজন স্কুলপড়ুয়া। সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে তারা। এখন রমনা পার্কটা ঘুরে দেখার জন্য মৎস্য ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।

তাদের মতে, রমনা পার্কে অন্য দিন আসাটা আর আজকে আসাটা এক নয়। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বৈশাখের আমেজে আজ রমনা পার্ক সেজেছে। হাজার হাজার মানুষ প্রবেশ করছে এতে। ফলে অন্যরকম একটি দেখার দৃশ্য।

তীব্র গরমের হাঁপিয়ে ওঠা মানুষজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে পানি সরবরাহ করতেও দেখা গেল। পার্কজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে তারা বেশ তৎপর।

রমনার বটমূলে কোরাস গান গেয়ে সূর্য ওঠার মুহূর্তে বৈশাখকে বরণ করা হয়। এই আয়োজনে শতাধিক শিল্পী অংশ নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেটি শাহবাগ ও ঢাকা ক্লাব হয়ে আবারও চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে ইরান

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে, সাজাচ্ছে নানা পরিকল্পনা।

এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসরায়েল অবশ্য আগেই ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তিনি আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছেন। অন্যদিকে ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, তার ব্লক এটি নিয়ে কাজ করছে।

ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য একটি বিস্তৃত চুক্তির সাথে যুক্ত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করেছে।

সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে।

সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।

মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।

তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।

নজিরবিহীন সেই হামলার জবাবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল শুধুমাত্র কূটনৈতিক ভাবে আক্রমণ চালিয়েই পাল্টা জবাব দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০টিরও বেশি দেশকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া ইরানের প্রধান সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি - ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করার আহ্বানও জানিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করলেও যুক্তরাজ্য এখনও তা করেনি।

এমন অবস্থায় মঙ্গলবার বক্তৃতাকালে মার্কিন অর্থমন্ত্রী ইয়েলেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে, আমি পুরোপুরি আশা করি, আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে থেকে বলি না। তবে ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার সমস্ত বিকল্পই আমার টেবিলে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইরানের তেল রপ্তানি এমন একটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র যা আমরা টার্গেট করতে পারি। তার ভাষায়, স্পষ্টতই, ইরান এখনও কিছু পরিমাণ তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা হয়তো আরও কিছু করতে পারি।

ইয়েলেন বলেন, ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ব্যবহার করছে। পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি এবং সংস্থাকে লক্ষ্য করে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করার কাজ করছে।

ইরানের ওপর বিদ্যমান মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে দেশটির সাথে প্রায় সমস্ত আমেরিকান বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে।

এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন কর্মসূচির পাশাপাশি বিপ্লবী গার্ড এবং ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্যবস্তু করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা শিগগিরই তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করবে।

অন্যদিকে ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেছেন, কিছু সদস্য দেশ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর জন্য বলেছে। তিনি বলেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার জন্য ইইউয়ের কূটনৈতিক পরিষেবার কাছে অনুরোধ পাঠাবেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই ইতিবাচক প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলে ইরানের সর্বশেষ হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা এড়াতে বিশ্বনেতারা সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ফোন কলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চলমান পরিস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি (সুনাক) জোর দিয়ে বলেছেন, উত্তেজনার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি কারও স্বার্থে ভালো কিছু নয় এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতাকে আরও গভীরে নিয়ে যাবে। জয়ের জন্য মাথা ঠান্ডা রাখার সময় এখন।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




আর্জেন্টাইন তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লপ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলতে ত্রিমুখী শিরোপা লড়াইয়ে মেতে আছে লিভারপুল-আর্সেনাল-ম্যানচেস্টার সিটি। শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে গতকাল শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে গতকাল মাঠে নেমেছিল লিভারপুল। এ ম্যাচে কনর ব্র্যাডলির আত্মঘাতী গোলে ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কায় ছিল অল রেডরা। তবে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন তারকার গোলেই জয়ের পথ রচনা করে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

অ্যানফিল্ডে শেফিল্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এদিন শুরুতেই লিভারপুলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডারউইন নুনিয়েজ। এরপর প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি অল রেডরা। এদিকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ৫৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়ান ব্র্যাডলি।

আত্মঘাতী গোলে শেফিল্ড সমতায় ফেরার পর ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কা জেগেছিল ক্লপের দলে। তবে এমন সময়ে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। সাবেক লিভারপুল কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ডকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গটির শটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। লিড নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের শেষ কিনিটে আরও এক গোল করেন কোডী গ্যাকপো। এই গলেই ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা, সেই সঙ্গে শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করেছে ক্লপের দল।

এদিকে লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত গোল করা ম্যাক অ্যালিস্টারকে নিয়ে ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন অল রেডদের কোচ ক্লপ। তিনি বলেন, তার রক্ষণাত্মক কাজও সত্যিই ভাল ছিল যেখানে লোকেরা সন্দেহ করেছিল যে সে রক্ষণাত্মক হতে পারে কিনা, তবে আমি তাকে আটে (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার) পছন্দ করি।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত কিছু গোল করেছেন জানিয়ে ক্লপ আরও বলেন, সে সত্যিই একজন ভাল খেলোয়াড়। প্রথমার্ধে সে ছয়ে খেলছিল, কিন্তু আমরা জানতাম যে আমরা তাকে কিছুটা উপরে নিয়ে যেতে পারব। তারপর সে এই ধরনের গোল করে, মৌসুমের সবচেয়ে বড় দুটি স্ক্রিমার ওর কাছ থেকে এসেছে। তারপর ফ্রি কিক থেকে সরাসরি (গোল) - একেবারে পাগলাটে, কি দারুণ একজন খেলোয়াড়।


আরও খবর



মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের দলের এই অবস্থানের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি। নির্বাচন কমিশনে সময় শেষ হয়ে গেলে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেন না।

 এই বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া হবে।

চূড়ান্ত পর্যায়েও কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল, সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেয়া, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবিতে দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশের রাস্তায় এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল  ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন । 

বক্তব্যে তারা বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্ফালন মেনে নেয়া হবে না। মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটের নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে দিতে হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ সম্পূর্ণ  অসাংবিধানিক, মানবাধিকার পরিপন্থী ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত ছাড়া নচেৎ কিছুই নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, এর আগে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনতে  এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।


আরও খবর