Logo
শিরোনাম

সুখবর দিলেন শবনম ফারিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ছোট পর্দার প্রিয় মুখ শবনম ফারিয়া। ঈদ-পার্বণ-পূজাসহ যেকোনো উৎসবে তার নাটকের অপেক্ষায় থাকেন দর্শক। এবারের দুটি ঈদে দর্শক তাকে প্রচণ্ড মিস করেছে। তবে তার দর্শক-ভক্তদের জন্য সুখবর বয়ে আনলেন শবনম ফারিয়া।  

দীর্ঘ বিরতির পর কাজে ফিরেছেন তিনি। ‘দাফন’ শিরোনামের একটি ওয়েব সিরিজের কাজ শুরু করছেন এই সদুর্শনী।

এটি পরিচালনা করেছেন কৌশিক শংকর। সিরিজের একটি অংশের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে। এখন রাজধানীর মিরপুরে চলছে কাজ। 

সিরিজটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ফারিয়া।  ‘নিজের পড়াশোনা ও কিছুটা অসুস্থতার কারণে একটা গ্যাপ হয়ে গেলো। আবারও কাজে ফিরলাম। ঢাকায় শুটিং হচ্ছে। আশা করি দাফন দর্শকদের ভালো লাগবে।’ 

শবনম ফারিয়া ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষার কারণেও ব্যস্ত সময় কেটেছে তার।


আরও খবর



ঈদের ছুটি : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ঈদের ছুটিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোয় কর্মরতদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রবিবার অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, চলতি বছর শবেকদর, ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দীর্ঘ ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ছুটির এই সময়ে হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাপনার জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

নির্দেশনাগুলো হলো

১. ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।

২. প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

৩. প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালক-কে অবহিত করে শুধু ঈদের ছুটিকালীন নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

৪. জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৬. অন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন কাজের তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৭. ছুটি শুরু হবার পূবেই ছুটির সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ভি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলার অবস্থান করবেন।

৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৯. ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।

১০. প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন হবে এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।

১১. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকার্তা সকল দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

 


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

আজ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার জয়পুরহাট  জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম। 

সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিভিল সার্জন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 

সভার শুরুতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর বর্তমান কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন কমিশনের উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম।

সভায় কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, 'আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত'। 

তিনি আরও বলেন, ''তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

অনুষ্ঠানে ভুয়া ও নামধারী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতারণা ও অন্যান্য অপকর্ম থেকে সচেতন থাকতে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। 


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ক্রেতাশূন্য বাজারেও পণ্যের বাড়তি দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদের কারণে বন্ধ রয়েছে পণ্য সরবরাহ। আগে আসা পণ্যগুলোই এখন মূলত বিক্রি হচ্ছে। পাশপাশি বাজারে দেখা নেই ক্রেতার। ফলে কিছুটা লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

আর প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা, কহি ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও।পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।

এদিকে কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৫০-২৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই। তবু দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন করে কোনো মুরগি আসেনি। ঈদের আগে আসা বাড়তি দামের মুরগিই এখন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দাম কিছুটা চড়া।

কেরানীগঞ্জের মুরগি বিক্রেতা রিপন বলেন, বাজারে মুরগি কম। তাছাড়া ঈদের কারণে নতুন করে মুরগি আসেনি। আগে যা এসেছিল সব বাড়তি দামের। তাই কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ঈদের আগের দিন থেকে কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও। সহসাই কমার লক্ষণ নেই। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাংস বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। তাছাড়া কোরবানিকে কেন্দ্র করে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। তাই সামনে গরুর দাম কমার লক্ষণ নেই, উল্টো বাড়তে পারে।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে কলেজ পড়ুয়া ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে ৩ জন কলেজ পড়ুয়া বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। খবর পেয়ে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার দিবাগত ৮টারদিকে নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত ৩ জনের অপর আরেক বন্ধু গা ঢাকা দিয়েছে। হা ঢাকা দেওয়া বন্ধু হলেন মুক্তার হোসেন।

নিহত ৩ জন নওগাঁর মান্দা উত্তরা ডিগ্রি কলেজ এর একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে। নিহত ৩ জন হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন এর পাকুড়িয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শারিকুল ইসলাম ওরফে পিন্টু (২২), পাকুড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে আশিক হোসেন (২২) ও প্রসাদপুর ইউনিয়ন এর দ্বারিয়াপুর গ্রামের  নেকবর আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান ওরফে নিশাত (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মান্দা উপজেলার বিলউরাইল গ্রামের মাঠে ৪ জন যুবক এক সঙ্গে মাদপান করে। মদ পানের কিছু পরই তারা অসুস্থ হয়ে পরলে। তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ 

নেওয়ার পথে আশিক এর মৃত্যু হয়। অপর দু' জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আনন্দ কুমার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই পিন্টু ও নিশাতের মৃত্যু হয়েছে। 

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী প্রতিবেদক কে ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ৩ জনের মৃতদেহ ময়না তদন্ত এর জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



প্রেম সংক্রান্ত জের:কুমিল্লা তিতাসে ফয়সাল হত্যা মামলায় প্রেমিকার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

কুমিল্লা তিতাসে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ফয়সল হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। তবে রায়ের সময় দণ্ডিতরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ।

তারা হলেন- কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. শামীম মিয়া (২৪), একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. দুলাল(২৬) ।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এড.নুরুল ইসলাম জানান,কলেজ পড়ুয়া তরুনী মেহেদী আক্তারের সাথে প্রেম ছিলো একই এলাকার ফয়সলের।আর সেই প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মোবাইলে ডেকে নিয়ে ফয়সল(২২)কে গলাকেটে হত্যা করে প্রেমিকার মামাতো ও ফুফাতো ভাই শামীম ও দুলালসহ দুইজন। 

তিনি জানান, আসামিরা ২০২০ সালের ৫জুন রাত ৯টায় ফয়সলকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে দুলাল গামছা পেচিয়েঁ শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে শামীম ছুরি দিয়ে জবাই করে হোমনা সাফলেজী আমিরুল ইসলাম বালিকা নির্মাণার্ধীন ভবনের নিচে মাটি চাপা দেয়। গ্রেপ্তারের পর মামলা তদন্তে আসামী দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে ১২দিন পর আসামীদের দেখানো মত জায়গা থেকে মো:ফয়সলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ব্যাপারে নিহতের বড়বোন সালমা আক্তার ভাই নিখোঁজের ঘটনা উল্লেখ্য করে হোমনা থানায় সাধারণ ডায়েরী করে।ওই সাধারণ ডয়েরীর সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। 

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পরিমল চন্দ্র দাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন ও রাষ্ট্রপক্ষে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক, শুনানি শেষে আসামি শামীম ও  দুলাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।  

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এড শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।


আরও খবর