Logo
শিরোনাম

শুল্ক কমলেও কমেনি পণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিত্যপণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক-কর কমানোর পরও বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় না হওয়ায় আফসোসের কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বড় অভাব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, অনেক কর ও শুল্ক কমিয়েছি। তারপরও দাম কমেনি, এটি আমার আফসোস। ডিমের দাম কমছে না, পেঁয়াজের দাম কমছে না।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ ১৭টি ক্যাটাগরিতে ৪৬টি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস্ অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতিতে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলো ঠিক করার উপায়ও আছে। তিনি ব্যবসায়ীদের সরকারের ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানান।

শুধু শুল্ক-কর কমিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়—এমন ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের অনেক দিক আছে। ব্যাড সিস্টেম আছে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আপনাদের সবরকম সাহায্য করব। আমরা অনেক ট্যাক্স কমিয়েছি।



আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




পেঁয়াজের রফতানি কমিয়েছে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের স্থানীয় বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে মসলা পণ্যটির দাম নিম্নমুখী। এ অবস্থায় রফতানি উৎসাহিত করতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) কমিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের হিলির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অনিল সরকার জানান, এর আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ছিল ৪০৫ ডলার। এর নিচে কোনো এলসি (ঋণপত্র) গ্রহণ করা হচ্ছিল না। বর্তমানে এমইপি কমিয়ে ৩০৫ ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে আরো মূল্যে এলসি খোলা যাবে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় নতুন এমইপি ঠিক করে দেয় ভারতের মূল্য নির্ধারণী সংস্থা। গতকাল মূল্য কার্যকর হয়েছে।

তবে এমইপি কমলেও রফতানি শুল্ক আগের মতোই আছে। তবে মূল্য কমার ফলে শুল্কের পরিমাণও কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, রফতানি মূল্য কমায় পেঁয়াজ কিনতে কেজিপ্রতি রুপি দাম কমে গেছে। এছাড়া বর্তমানে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে ৫০ হাজার রুপির মতো কম শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে আগের চেয়ে চার লাখ টাকা কমে এলসি খোলা যাবে। এতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমদানি বাড়লে দেশের বাজারেও পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়বে। এতে পাইকারি খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমে আসবে।

ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং দাম কমতে থাকায় সম্প্রতি দেশটির কৃষকরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতেই ভারত সরকার রফতানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে দেশী নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়েছে দাম কমেছে। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। পরিস্থিতিতে ভারতীয় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমানো বাংলাদেশী আমদানিকারকদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলেও স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমার আশঙ্কা রয়েছে 


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ সময় পর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সবশেষ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তিনি বিদেশ সফর করেছিলেন। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া চিকিৎসকের পরামর্শে আজ (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা করবেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বহন করার জন্য এরই মধ্যে কাতার আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো অত্যাধুনিক আইসিইউ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বহনকারী স্পেশাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিরতি শেষে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় যুক্তরাজ্যের হিতথ্রো বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণ করবে। সেখানে তিনি ভিআইপি প্রটোকল পাবেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, লন্ডন ক্লিনিক বলে একটা পুরোনো ঐতিহ্যবাহী হসপিটাল আছে। সেই হসপিটালে এটি এনএইচএস-এর অধীন একটি হসপিটাল। সেখানে তাকে (খালেদা জিয়া) ভর্তি করা হবে। হিথ্রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে উনাকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এই হসপিটালে উনি চিকিৎসাধীন থাকবেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার জানান, ১০ জানুয়ারি রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হবেন খালেদা জিয়া। রাত ৯টায় বিমানবন্দরে উপস্থিত ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন।

খালেদার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুর উদ্দিন আহমদ ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।

এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। দলীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদার।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।


আরও খবর



হত্যাচেষ্টায় দৈনিক জনবাণীর সম্পাদকসহ ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দৈনিক জনবাণী পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে দৃর্বৃত্তরা। গতকাল (বুধবার) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলা মোটর এলাকায় প্লানাস টাওয়ার সংলগ্ন পত্রিকাটির কার্যালয়ের পাশে এ হামলা হয়। 

হামলার ঘটনায় জনবাণী পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাজু আহমেদ শাহ,  বিশেষ প্রতিনিধি বশির হোসেন খান এবং অনলাইন মাল্টিমিডিয়া সম্পাদক আতাউর হোসেন আহত হন। সন্ধ্যা ৬টায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সম্পাদক শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত। 


আহত সাংবাদিক বশির হোসেন খান বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ করে ২০/২২ জনের দুর্বৃত্ত দল রড, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তখন আমরা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের ওপর হামলে পড়ে। আমরা তাদের কাউকে চিনতে পারিনি।

এর আগে হামলাকারীরা জনবাণীর পত্রিকার কার্যালয়ে গিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বসুন্ধরা সিটি সেন্টার থেকে অফিসে যাচ্ছিলাম, আমাদেরকে অফিস না পেয়ে দুর্বৃত্তরা আমাদের খোঁজে বের হয়ে রাস্তায় পেয়ে হামলা চালায়। 

পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে জানিয়ে বশির হোসেন খান, তারা (হামলাকারীরা) আমাদেরকে পেয়ে প্রথমে নাম জিজ্ঞেস করে। এরপর হামলা চালায়। এমনভাবে এসেছিল যে, মনে হয়েছে দূর থেকে কেউ দেখিয়ে দিয়েছে। হামলায় সম্পাদকের মাথা, হাত ও পিঠে ক্ষত হয়েছে। সম্পাদককে হত্যার জন্য টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বাংলা মোটর এলাকায় হামলার ঘটনায় আহত চার সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

আইনি পদক্ষেপ নিতে আহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় সরকারি বই বিতরণকালে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জানুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সরকারি বই বিতরণকালে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। 

এঘটনায় ৩ জন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে আগামী দুই কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানাগেছে।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিলি পারভিনের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিতরণের সময় শিক্ষার্থী- অভিভাবকদের কাছে থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বছরের প্রথম দিনে যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে বই দেওয়া হয়নি বলেও জানান অভিভাবকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার বছরের প্রথম দিন সকালে স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যায় বই নিতে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের কাছে ২০০ টাকা করে দাবি করেন। যারা এই টাকা দিয়েছে প্রথমে তাদের বই দেওয়া হয়েছে। আর যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে বই না দিলে সেই শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে তাদের অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকরাসহ স্থানীয়রা এসে চাপ দিলে পরবর্তীতে বাকী শিক্ষার্থীদের বই দেন।

স্থানীয় মাহফিজুল, আলম, উজ্জল, শ্রীকৃষ্ণসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন জানান, প্রধান শিক্ষক নিজ এলাকার সুবাধে আরো আগে থেকেই স্কুল সংস্কারের কথা বলে এ রকম টাকা নেয়। যার কোন হিসেব পত্র নেই। এভাবে একটি সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে বই দেওয়ার দিনে নগদ টাকা নেওয়া পুরোপুরি অনিয়ম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ লিলি পারভীন বলেন, বইয়ের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমি স্কুলের উন্নয়নের জন্য টাকা নিয়েছি। এই টাকা আমরা স্কুল সংস্কারের কাজে ব্যবহার করবো। তবে তিনি এই টাকা নেওয়ার সময় কাওকে রিসিভ দেননি বলেও স্বীকার করেন। বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, বই বিতরণ, ভর্তি বা অন্য কোন বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই। আর বিদ্যালয়ের উন্নয়নে জন্য সরকার টাকা দেয়, তবে স্লিপের অনুদানের জন্য টাকা নেওয়ার কথা ছিলো তবে অনুদান ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে টাকা নিয়েছে কিনা তা তদন্ত করার পরা জানা যাবে। জানতে চাইলে সহকারী নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সানাউল হাবিব বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই। এ বিষয়ে জানার পর ৩জন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আগামী দুই কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগানে গিয়েছিলাম

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ড. শফিকুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক :

সৌদি সরকারের অ্যাপস এর ঝামেলা মিটিয়ে ওখানে যেতে পারা এখন চ্যালেঞ্জিং। এই অ্যাপস এখন বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের হয়রানির মতো। সার্ভার ডাউন, কিংবা ডাটা এরর কিংবা ভ্যাকেন্সি নেই- এ ধরণের মেসেজ দিয়ে হাজীদের ভূগান্তি দেয়। যাই হোক, চিকন লাইন এখানেও আছে। সেভাবে মুয়াল্লেমের সহযোগিতায়  যেতে সক্ষম হয়েছি।  আমার বৃদ্ধ বাবামার জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল। আর আমার গবেষক মন বেহেশতের বাগান না দেখে যাবে না- এই ছিল পন। যারা ভবিষ্যতে আসবেন তারা আগে থেকেই নুসুক এপস ডাউনলোড করে শিডিওল নিয়ে রাখবেন বা মূয়াল্লেমকে আগে থেকে বুকিং দিতে বলে দেবেন। আগে এটা সহজ হলেও এখন কড়াকড়ি হয়েছে। ভিসা ও অ্যাপস এর কোড মিলিয়ে দেখে। তারপর ঢুকতে দেয়। 

.

মাত্র দশ মিনিট সময় দেয়, ওখানে প্রবেশের পর মন মানসিকতার গভীরতা নরম হয়ে  একেবারে ফানাফিল্লার পর্যায়ে চলে যায়। দশ মিনিট মনে হয় দুমিনিট। দশ মিনিট পেরিয়ে গেলে ওখানকার হুজুর কাম সিকিউরিটির লোকজন তাড়া দেয় ইয়া হাজ্জী ইয়া হাজ্জী বলে বের হতে বলে। ওদের চিতকার চেঁচামেচিতে ধ্যান বা প্রার্থনারত ক্রন্দন বা ফানাফিল্লা পর্যায় ভেঙ্গে বের হবার চেষ্টা করতে হয়। তখনই মনে পড়ে রিয়াজুল জান্নাত ছেড়ে চলে যাবো, দুটি ছবি নিয়ে যাবো না? -তাই কি হয়। ভবিষ্যতে যদি দেখতে মন চায়। তাই দ্রুত বের হতে হতে কয়েকটি ক্লিক করা। আপনারা দেখতে পারেন। 

.

রিয়াজুল জান্নাত কি?

মসজিদে নববির ভেতরে একটা জায়গা আছে, তার নাম রিয়াজুল জান্নাত। রিয়াজুল জান্নাত বলতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে তৈরি করা মসজিদকে বোঝায়। মিম্বর ও হুজরাহর মধ্যবর্তী স্থান। মসজিদে নববিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক এবং তাঁর জমানার মূল মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানকে নবীজি বেহেশতের বাগানসমূহের একটি বাগান বলেছেন। এটাই রিয়াজুল জান্নাত। এই জায়গায় সবুজ-সাদা রঙের কার্পেট বিছানো আছে। মসজিদের অন্য কার্পেটগুলো লাল রঙের। ভিন্ন রঙের কার্পেট দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না রিয়াজুল জান্নাতের সীমানা। এ স্থানে নামাজ পড়া অতি উত্তম।

.

রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগান সম্পর্কে কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ইবনে হাজাম (রা.) বলেন, রিয়াজুল জান্নাতকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে রূপকভাবে। ওলামায়ে কেরামরা রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের মতে, এখানে জিকির করলে রহমত ও সৌভাগ্য লাভ করা যায়। নুরুদ্দিন সামহুদির লেখা অফা আল অফার দ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত, রিয়াজুল জান্নাতে ইবাদত বেহেশতের বাগানে পৌঁছায় এই অর্থে ও তা রূপক অর্থবোধক। আল্লাহ এই স্থানটুকু হুবহু বেহেশতে স্থানান্তর করবেন। এই অংশ অন্যান্য জমিনের মতো নয়। পবিত্র স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো আমরা যেন ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ রাখি। রিয়াজুল জান্নাতের ভেতরে কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোকে রহমতের স্তম্ভ বলে। রাসুল (সা.)-এর তৈরি মসজিদে খেজুরগাছের খুঁটিগুলোর স্থানে উসমানি সুলতান আবদুল মাজিদ পাকা স্তম্ভ নির্মাণ করেন। এগুলোর গায়ে মর্মর পাথর বসানো এবং স্বর্ণের কারুকাজ করা।

.

উস্তুওয়ানা হান্নানা (সুবাস স্তম্ভ)


প্রথমদিকে রাসুল (সা.) মিম্বর ছাড়াই খেজুরগাছের একটি কাণ্ডে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন। পরবর্তী সময়ে জুমার খুতবা দেওয়ার জন্য দুটি সিঁড়ি ও একটি বসার স্থান তৈরি করা হয়। মিম্বরে নববির ডান পাশে খেজুরগাছের গুঁড়ির স্থানে নির্মিত স্তম্ভটি। এতে নিয়মিত সুগন্ধি মাখানো হয় বলে একে সুবাস স্তম্ভ বলা হয়। এটি বর্তমানে স্তম্ভ আকারে আর নেই। একে উস্তুওয়ানা হান্নানাও বলা হয়।

.

উস্তুওয়ানা সারির


সারির অর্থ বিছানা। এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করতেন এবং রাতে আরামের জন্য তাঁর বিছানা এখানে স্থাপন করা হতো। এ স্তম্ভটি হুজরা শরিফের পশ্চিম পাশে জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, সেখানে তাঁর জন্য খেজুরপাতার তৈরি মাদুর এবং একটি বালিশ রাখা হতো। বুখারি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মধ্যস্থতার জন্য এই স্তম্ভের কাছে বিছানা পেতে বসতেন।

.

উস্তুওয়ানা উফুদ (প্রতিনিধি স্তম্ভ)


বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিনিধিদল উস্তুওয়ানা উফুদে বসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে কথা বলতেন। এ স্তম্ভও জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতেন। তিনি তাঁদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতেন ও এর সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করতেন। ফলে বহু গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে। এটাকে ‘গণ্যমান্য মজলিশ’ও বলা হয়, যেখানে বড় বড় সাহাবায়ে কিরামও বসেছেন। একে প্রতিনিধি স্তম্ভও বলে।

.

উস্তুওয়ানা আয়েশা (আয়েশা স্তম্ভ)


নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এমন একটি জায়গা রয়েছে, লোকজন যদি সেখানে নামাজ পড়ার ফজিলত জানত, তাহলে সেখানে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত।’ স্থানটি চিহ্নিত করার জন্য সাহাবায়ে কিরাম চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আয়েশা (রা.) তাঁর ভাগনে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.)–কে সে জায়গাটি চিনিয়ে দেন। এটিই সেই স্তম্ভ। এই স্তম্ভটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর।

.

উস্তুওয়ানা আবু লুবাবা (তওবা স্তম্ভ)


হজরত আবু লুবাবা (রা.) থেকে একটি ভুল সংঘটিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে এই স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হুজুরে পাক (সা.) নিজে না খুলে দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এর সঙ্গে বাঁধা থাকব।’ নবী করিম (সা.) বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে আল্লাহ আদেশ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খুলব না।’ এভাবে দীর্ঘ ৫০ দিন পর হজরত আবু লুবাবা (রা.)–এর তওবা কবুল হলো। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে তাঁর বাঁধন খুলে দিলেন। এটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর অবস্থিত।


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫