Logo
শিরোনাম

সুপার ওভার ম্যাচে শেষ হাসি নামিবিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

টি-টৈয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই দুর্দান্ত এক লড়াই দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। সমশক্তির ওমান-নামিবিয়া ম্যাচ গড়িয়েছে সুপার ওভারে। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে নামিবিয়া। সুপার ওভারে ওমানকে ১১ রানে হারিয়েছে তারা। 

সোমবার (৩ জুন) বার্বাডোজে টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নামিবিয়া। প্রথম ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওমান। নামিবিয়ার বোলিং তোপে ১৯ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান।



দলের পক্ষে খালিদ কাইল ৩৯ বলে ৩৪ ও জিসান মাকসুদ করেন ২০ বলে ২২ রান। নামিবিয়ার পক্ষে রুবেন ট্রাম্পলম্যান ৪টি ও ডেভিড উইজা নেন ৩টি উইকেট।


১১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও নিকোলাস ডেভিন ও ইয়ান ফ্রাইলিঙ্কের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল নামিবিয়া। নিকোলাস ৩১ বলে ২৪ ও ফ্রাইলিঙ্ক ৪৮ বলে ৪৫ রান করেন।


এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর ওমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে করতে সক্ষম হয় নামিবিয়া। ওমানের পক্ষে মেহরান খান নেন ৩টি উইকেট। সমতা থাকায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।


সুপার ওভারে ডেভিড উইজা ও এরাসমুসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২১ রান সংগ্রহ করে নামিবিয়া। উইজা ৪ বলে ১৩ ও এরাসমুস করেন ২ বলে করেন ৮ রান।


২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উইজার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান তুলতে সক্ষম হয় ওমান। ফলে ১১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নামিবিয়া।    






আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রামমূর্তি নগরের কেলকেরে লেকের কাছে ২৮ বছর ওই বয়সী বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন এবং গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা নির্জন এলাকায় তার মরদেহ আবিষ্কার করে এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিহত নারী একজন বিবাহিত ছিলেন এবং তার স্বামী ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তারা তিন সন্তানসহ শহরে বসবাস করতেন।

এক পুলিশ কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ওই নারী বাংলাদেশি নাগরিক এবং গত ছয় বছর ধরে এখানে বসবাস করছিলেন। তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি চিকিৎসা ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই নারী তার সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন যে তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং তার দেরি হতে পারে। তাই সহকর্মীকে আগে চলে যেতে বলেন। তবে রাতে বাড়ি না ফেরায় তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তিনি পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে মাথায় বড় পাথরের আঘাতসহ তার মরদেহ পাওয়া যায়। সম্ভবত কোনো তর্ক-বিতর্কের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিএনএস ধারা ৬৩ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (হত্যা)-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছি এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।

এদিকে ঘটনার খবর পাওয়ার পর পূর্ব বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) দেবরাজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ১১২ নম্বরে কল পেয়ে আমরা একটি পরিত্যক্ত স্থানে এক নারীর মরদেহ পাওয়ার তথ্য পাই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি নৃশংস অপরাধ। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।


আরও খবর



দুর্নী‌তি সূচকে দুই ধাপ পেছাল বাংলা‌দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির ধারণা সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ১৫১তম। গত বছর এ সূচকে বাংলাদেশ ১৪৯তম অবস্থানে ছিল।

বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২৪’-এর বৈশ্বিক প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

মঙ্গলবার (১১ ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচকে দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ০ থেকে ১০০-এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। ‘০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ‘১০০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বাধিক সুশাসিত বলে ধারণা করা হয়।

টিআই বলেছে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩, যা গতবারের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪।

সমান স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো ও ইরান।

ইফতেখারুজ্জামান জানান, ২০১২ সালের পর এবার দুর্নীতি সূচকে সবচেয়ে কম স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের স্কোর কমেছে। দ‌ক্ষিণ এশিয়ায় বাংলা‌দেশের পর র‌য়ে‌ছে আফগা‌নিস্থান। ৭২ স্কোর নি‌য়ে ভুটা‌নের অবস্থান ১৮তম। বৈশ্বিক গড় ৪৩ থে‌কেও বাংলা‌দেশের স্কোর ২০ কম, যার কার‌ণে অত্যন্ত গুরুতর দুর্নীতি সমস্যাযুক্ত ১০১টা দে‌শের ম‌ধ্যে বাংলা‌দেশ একটা।

তি‌নি ব‌লেন, কর্তৃত্বপরায়ণ স্বৈরশাস‌নের কার‌ণে, দুর্নী‌তি প্র‌তি‌রো‌ধের দা‌য়ি‌ত্বে থাকা সংস্থাগু‌লোতে রাজনৈ‌তিক প্রভাব, দুর্নী‌তিবাজ‌দের পুরস্কৃত করার কার‌ণে সূচ‌কে অবনমন হ‌য়ে‌ছে।

এক প্র‌শ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান ব‌লেন, অন্তর্বর্তী সরকা‌রের সম‌য়ে দখলদারি চাঁদাবাজি বহাল র‌য়ে‌ছে, শুধু লোক বদল হ‌য়ে‌ছে। দুদক বড় বড় দুর্নী‌তিবাজ‌দের নি‌য়ে কাজ শুরু ক‌রে‌ছে। দেখা যাক তারা কতটুকু সফল হ‌য়।

সূচকের বিশ্লেষণ বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থাৎ স্কোর বিবেচনায় বাংলাদেশের নিম্নমুখী যাত্রা সুস্পষ্ট। ২০১২ সাল থেকে সূচকে ব্যবহৃত ১০০ সেলে বাংলাদেশের স্কোর ২০২২ সাল পর্যন্ত '২৫ থেকে ২৮'-এর মধ্যে আবর্তিত হয়েছে। ২০২৩ সালে স্কোর এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৪ এবং ২০২৪-এ আরো এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৩ হয়েছে।

বাংলাদ‌শে থে‌কে পাচার করা টাকা যেসব দে‌শে যায় এমন দেশগু‌লো দুর্নী‌তি কম এমন তা‌লিকার শী‌র্ষে র‌য়ে‌ছে। যেমন সিঙ্গাপুর ৮৪ প‌য়েন্ট নি‌য়ে তৃতীয়। সুইজারল্যান্ড ৮১ প‌য়েন্ট নি‌য়ে পঞ্চম। অ‌স্ট্রে‌লিয়া ১০তম, কানাডা ১৫তম, হংকং ১৭তম, যুক্তরাজ্য ২০তম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৩তম, যুক্তরাষ্ট্র ২৫তম ইত্যা‌দি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।



আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নতুন বাংলাদেশে গণ্ডগোল সৃষ্টিকারীদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে, সারা দেশের জন্য এটা খুব জরুরি। কতো ঘটনা ঘটে গেলো, সামনে আরও বহু ঘটনা ঘটবে। যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সহজে মেনে নেবে না। তারা না মানলে আমরা মানাবো। নতুন বাংলাদেশের ভেতরে যারা গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে পারে তাদেরও নিশ্চিহ্ন করবো আমরা। নিজেদের দলে নিয়ে আসবো, না হলে আইনের কাছে সোপর্দ করে দেবো। এটা হলে আমরা তাড়াতাড়ি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবো বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২১টি জুলাই শহীদ পরিবার ও সাত জন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আজ নতুন বাংলাদেশ বলতে পারছি, তাদের জন্য দেশ কী করতে পারে, তাতে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের জনগণের যে জবাবদিহি, আরেকটা পরিবর্তন, সেটা কোনও নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না। আপনার ছেলে, সন্তান, ভাই ইতিহাসের স্রষ্টা। ইতিহাসের স্রষ্টাকে সাধারণ মাপকাঠি দিয়ে, টাকা-পয়সা দিয়ে মাপা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘যে বাংলাদেশকে আমরা নতুন বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করলাম, এটা যাতে সেভাবে রাখতে পারি। এটাকে হেলায় ফেলে দিলে হবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্বক্ষণিক সাবধান থাকতে হবে, নজর রাখতে হবে। সেই দায়িত্ব আমাদের সবাইকে মিলে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের সন্তান হারালো তাদের শোকের পরিবর্তে কী আসবে সেটি আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের পক্ষ থেকে। এখানে দুটো বিষয়– একটি প্রাতিষ্ঠানিক, আরেকটি ব্যাক্তিগতভাবে। ব্যক্তির সঙ্গে আমরা কীভাবে সংযোগ স্থাপন করে দিয়ে যাবো সেটা করা। আজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আপনারা সরকারের অংশ হয়ে গেলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কারণে মুক্তিযোদ্ধারা সব এক হয়ে গেছে, কেউ আর মুছতে পারবে না। আপনারা আজ এই মন্ত্রণালয়ের অংশ হয়ে গেলেন। জুলাই স্মৃতি পরিদফতর সৃষ্টি হয়েছে, আপনারা সরকারের কাঠামোর ভেতর ঢুকে গেছেন। যত কথা বলার, দাবি করার, সরকারের ভেতরে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটা করে দেওয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ‘সরকারিভাবে যা কিছুই করা হোক এটা কেউ মুছতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধারা অত ভাগ্যবান ছিলেন না। বহু বছর লেগেছে তাদের জন্য কিছু করতে, এটা দেয় তো ওইটা দেয় না, আস্তে আস্তে দিতে দিতে বহু বছর চলে গেছে। আমরা খুশি যে প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করতে পেরেছি। সবকিছু না করতে পারলেও একটা জায়গা তো পাওয়া গেলো।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘একটা বিষয় ক্ষোভের মধ্যে এসে যায়। আমরা এবং আপনারা যদি দুইভাবে কথা বলি, এটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না। আমরা এক। আপনাদের ত্যাগের কারণে আমরা এক হয়ে গেছি। যদি এই অভ্যুত্থান না হতো আপনার-আমার সাক্ষাৎ হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। কীভাবে আপনাদের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার সেই হিসেবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আজকে ‘‘আমরা’’ আর ‘‘আপনারা’’ হয়ে গেলে এই নতুন বাংলাদেশ হবে না, বিভেদ হয়ে গেলো। এই বিভাজন ভালো না।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার কী বিতাড়িত করা গেছে? তাদের ভয়ে থাকার জন্য কি এই বাংলাদেশ গড়লাম আমরা? তাদের জয় করতে হবে, সোজা রাস্তায় আনতে হবে। এই দেশে চলতে হলে এভাবে করতে হবে, মারপিট করে হবে না। সে আমাকে পিটাবে, আমি তাকে পেটাবো, এই পিটাপিটি আর শেষ হবে না। তাদের বোঝাতে হবে তোমাদের রাস্তা ভুল। তোমরা মাফ চাও, বিচারের কাজ তো চলছেই। অনেকেই তাৎক্ষণিক বিচার চায়, এখানে মুশকিল হলো তাৎক্ষণিক এই জিনিস হয় না। তাৎক্ষণিক হতে হলে অবিচার হয়ে যায়। মূল বিষয় হল সুবিচার হতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারের কাজ চলতে থাকুক, যারা অপরাধী পুলিশের কাছে দিয়ে দাও। যথেষ্ট সাক্ষী-প্রমাণসহ তুলে দিতে হবে, অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই সংগ্রাম হয়েছে। আমরা যদি নিজেরা অবিচারে নেমে যাই তাহলে তফাৎ থাকলো কী। আমরা অবিচারে নামবো না। যারা অপরাধী তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করবো। যারা অপরাধী নয় পুলিশের হাতে দেওয়ার মতো, তাদের মানুষ করবো। আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয় তাদের সৎপথে নিয়ে আসতে হবে এ দেশে থাকার জন্য, একতার জন্য। আমরা যারা এখানে বসে আছি তারা যেন আলাদা না হয়ে যাই। দুঃখের কথা বলবো, কিন্তু বিবাদ সৃষ্টি যেন না হয়।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসরের প্রথম পর্ব। বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আমবয়ানের মাধ্যমে এই পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি।

এ বিষয়ে তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, বিগত বছরগুলোয় শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমা শুরু হলেও এবার মাগরিবের নামাজের পর আম বয়ান হয়েছে। নামাজের পরে ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে এবারের টঙ্গীর ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বয়ানের তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। আর দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। এ নামাজ পড়াবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আশা করছে, ইউএনডিপি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতিসংঘ বাংলাদেশের ত্রয়োদশ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশাবাদী। সংস্থাটির উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচনের আশা করছে ইউএনডিপি।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ১৭টি উন্নয়ন সহযোগী দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্টেফান লিলার বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে আমরা ইসিকে সমর্থন দিচ্ছি। আশা করছি, বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন হবে। এটাই আমাদের চাওয়া। কিন্তু সময়সীমার পরিপ্রেক্ষিতে এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।'

এরকম নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, 'এটা আমার মন্তব্য করার বিষয় নয়।'

লিলার বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের কাছে নির্বাচন আয়োজনে সহায়তার অনুরোধ করেছিল নির্বাচন কমিশন। জবাবে জাতিসংঘ কী ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে পারে, তা নির্ধারণের জন্য জানুয়ারিতে দুই সপ্তাহের জন্য একটি চাহিদা মূল্যায়ন দল বাংলাদেশ সফর করেছিল।

তিনি বলেন, সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছি।

এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটগুলোর উন্নতি করা এবং ভোটার নিবন্ধন বাড়ানো। সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি ভোটার শিক্ষা কর্মসূচিও বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানান লিলার।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫