Logo
শিরোনাম
বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করছি

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে বিবিসিকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি নিজে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের শাসনামলে।

বিবিসি সাংবাদিক লরা কুনেসবার্গের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠার জন্যই আমার সংগ্রাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুমের বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে পারেন, কিন্তু তা কতটা সত্য তা বিচার করতে হবে। এটা জানার আগে কেউ কোনো মন্তব্য করবেন না।

প্রধানমন্ত্রী বিবিসিকে বলেন, তার দেশে দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, প্রকাশ্যে বা গোপনে সামরিক শাসক ছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) হত্যা করা হয়। তিনি তখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং আপনি জানেন যে আমার পুরো পরিবার, আমার মা, আমার তিন ভাই, দুই ভাতৃবধু, পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ মোট ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারপর থেকে ২১ বছর ধরে, যে দেশটি বারবার অভ্যুত্থান প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি যোগ করেন যে প্রায় ২০ বার অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে এবং প্রতিবার রক্তপাত হয়েছে।

শেখ হসিনা বলেন, সেখানে গণতন্ত্র ছিল না, গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, তাই আমি আমার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি।

বিবিসিকে বলেন, সামরিক শাসকরা দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করেছে এবং তারা দল গঠন করেছে এবং ভোটের জন্য তারা কখনো জনগণের কাছে যায়নি।তারা সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য সবকিছু ব্যবহার করেছে।

নিখোঁজের অভিযোগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবিসি সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন, আপনার দেশে এবং অন্যান্য দেশে কত লোক নিখোঁজ হয়েছে? আপনি বিচার করতে পারেন। এই সমস্ত বিষয় আমি মনে করি, প্রথমে আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে। সমস্ত তথ্য আপনার সংগ্রহ করা উচিত, তারপর আপনি অভিযুক্ত করতে পারেন।

আপনার এবং বাংলাদেশের কাছে কমনওয়েলথের গুরুত্ব কতটা, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই এর মূল্য অনেক বেশি, যখন আমরা একসাথে থাকি, সেখানে অনেক সুযোগ থাকে, তাই, এটা ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের একটা জায়গা আছে যেখানে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করতে পারি। কিছু ধারণা গ্রহণ করতে পারি বা দেশ বা জনগণের জন্য কিছু ভাল কাজ করতে পারি। তাই, আমার মনে হয় এটা ভালো।

তিনি বলেন, বর্তমানে, আপনি দেখতে পাচ্ছেন, যে একটি দেশ একা চলতে পারে না। কারণ, এটি একটি আন্তঃনির্ভর বিশ্ব। সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে সদস্য দেশগুলোর জন্য কমনওয়েলথের অর্থ অনেক বড়। প্রতিটি দেশ একসাথে কাজ করতে পারে-কারণ, অনেক দেশ আছে উন্নত দেশ, উন্নয়নশীল দেশ এবং দরিদ্র দেশ, ছোট দ্বীপ দেশ।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে ব্যক্তিগত স্মৃতি নিয়ে, তিনি বলেন, এটি ১৯৬১ সালে যখন তিনি (রানি) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছিলেন এবং তিনি তাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রথমবার দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, তখন আমরা খুব ছোট এবং আমার বাবার অফিসে গিয়েছিলাম। কারণ, আমরা জানতাম যে তিনি সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই, আমরা পুরো পরিবার দূরবীন নিয়ে জানালায় অপেক্ষা করেছি। ফলে, আমরা তাকে আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি।

তিনি যোগ করেন যে যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তিনি প্রতিটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে রানির সাথে দেখা করেছেন।

আমি প্রায় সাতটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। প্রতিবারই আমি তার সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। প্রয়াত রানির আমন্ত্রণে তিনি অলিম্পিক গেমসে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বলে তারা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সাথে আলাপ আলোচনা করেছেন।

প্রয়াত রানির সঙ্গে সুন্দর স্মৃতির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,তার (রাণী) চমৎকার স্মৃতিশক্তি ছিল এবং তিনি আমাকে না দেখলে হাসিনা কোথায় ছিলেন বলতেন।

যুক্তরাজ্যের একজন রাণী ছিলেন এতে কোনো সন্দেহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, রানি কমনওয়েলথেরও একজন নেতা। কমনওয়েলথ দেশগুলোর একজন সদস্য হিসেবে তিনি আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান ছিলেন।


আরও খবর



রামগড়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড়ে মানসিক চাপ সামলাতে না পেরে মো.আতাউল করিম (সিবলী) নামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করেছে রামগড় থানা পুলিশ।

বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে রামগড় পৌরসভার ০৬নং ওয়ার্ডের তৈচালাপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রামগড় থানার উপ-পরিদর্শক এসআই সামছুল আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত সিবলী পৌরসভার তৈচালাপাড়া এলাকার মৃত মোঃ নুরুল করিম মাষ্টারের ছেলে। তিনি পাঁচ মাসের এক মেয়ের জনক।

স্থানীয় ও এলাকাবাসী জানান, তিনি সাবেক রামগড় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভূগছিলেন মানসিক চাপ সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি কেউ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সেটা আমরা সঠিক বলতে পারবোনা।

রামগড় থানার পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, বুধবার দুপুরে সিবলী নামে এক ব্যাক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর আসে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় সিবলীর লাশ উদ্ধার করি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে সাগর উড়াও নামে এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে একই গ্রামের মৎস্য চাষি একটি পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর গ্রামে।

নিহত সাগর উড়াও মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর আদিবাসীপাড়া গ্রামের 

অনিল উড়াও এর ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টারদিকে চেরাগপুর মোড় থেকে পুকুরে মোটর সেট করে পানি সেচ দেওয়ার কথা বলে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যান চেরাগপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী মন্ডল এর ছেলে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন (৩৮)। পরেদিন শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে চেরাগপুর গ্রামের মোড়ের পার্শ্বে অপর একটি পুকুরের পানিতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পান স্থানিয়রা। মহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে পুকুর পাড়ে লোকজন ভীর জমান। খবর দেওয়া হয় থানা পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্র মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহায়তায় পুকুরের পানি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করার পর মৃতদেহটি সাগর উড়াও এর বলে সনাক্ত করেন স্বজনরা। ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানান ওসি। খবর পেয়ে মহাদেবপুর (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ।

স্থানিয়রা ও থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুঃ ৮ টারদিকে

মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন তার মাছ চাষের পুকুরের পানি বিদ্যুৎ চালিত মোটর দিয়ে সেচ দিবেন জানিয়ে গ্রামের মোড় থেকে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরের দিন শুক্রবার মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন এর পুকুরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পদ্দপুকুর নামক অপর একটি পুকুর থেকে পিঠের নিচে কোমরের কাছে বিশাল ক্ষত অবস্থায় সাগর উড়াও এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশকে স্থানিয়রা অবগত করলে সাথে সাথে পুলিশ প্রথমে বেলাল হোসেন এর মাছ চাষকৃত পুকুরে গিয়ে পানি সেচ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্থানিয়দের উপস্থিতিতে বেলাল হোসেন এর বাড়ি থেকে পুকুরে পানি সেচ কাজে ব্যবহারীত কাঁদা-মাটি মাখা বিদ্যুতের তার উদ্ধার করেন। পুকুরের পানি সেচ দিতে  অবৈধ্যভাবে নিজ বাড়ি থেকে তার টেনে পুকুরে নিয়ে মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় সেখানে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে সাগর উড়াও এর মৃত্যু হয়েছে এবং সু-চতুর মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন নিজেকে ঘটনার দায় থেকে রক্ষা করতে তার পুকুর পাড় থেকে মৃতদেহটি রাতের কোন এক সময় তুলে এনে পার্শ্বের অপর এক জনের পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার পর সে ও তার পরিবারের লোকজন গাঁ-ঢাকা দিয়েছেন বলেই স্থানিয় লোকজন বলাবলি করছেন।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে। 


আরও খবর



রাজকে তালাক নোটিশ পরীমণির

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : স্বামী শরীফুল রাজকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। একাধিক সূত্র বিডিটুডেসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর (রোববার) আইনজীবীর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন পরীমণি। এরপর সেখানে আইনজীবীর পরামর্শ অনুসারে ডিভোর্স লেটার তৈরি করে ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাজের কাছে সেটি পাঠিয়েছেন তিনি। 

ডিভোর্স লেটারে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া, মানসিক অশান্তির কথা উল্লেখ করেছেন পরীমণি।

তবে এ বিষয়ে জানতে রাজকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। আর পরীমণির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এর আগে গত জুন মাসের প্রথমে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহে রাজ আমাদের বিয়ের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলেছে। শুধু ছেঁড়া বললে সেটি ভুল হবে। সে কাবিননামা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। তখন রাজ বলেছিল, সে এই বিয়ে মানে না। কাবিননামা ছিঁড়লেই কি একটি বিয়ে ভেঙে যায়? এতসব হওয়ার পরেও আমি ওর সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি।’

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে তারা বিয়ে করেছিলেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা। একই দিন সন্তানধারণের বার্তাটিও দেন এ দম্পতি। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিমানে অসুস্থ,পরে নাগপুরের হাসপাতালে মৃত্যু বাংলাদেশী এক শিশুর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কলকাতা প্রতিনিধি :

মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত এক বাংলাদেশী শিশু। এরপর ভারতের নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হলো না। তিনদিন পরে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল ১৫ মাস বয়সী ওই বাংলাদেশি শিশুর। 

জানা গেছে গত রবিবার, ২৭ আগস্ট রাতের দিকে বাবা-মায়ের সাথেভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যাচ্ছিল শিশুটি। কিন্তু হঠাৎ করেই বিমানের মধ্যে অসুস্থতা বোধ করে সে। এরপর বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে রাতেই নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়। এরপর বিমানবন্দর থেকেই নাগপুরের একটি বেসরকারি মাল্টিস্পেশালটি হাসপাতালে (কেআইএমএস-কিংসওয়ে) ভর্তি করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় এবং মৃত্যু হয় শিশুটির। 

জানা গেছে বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় সিলেটের বাসিন্দা ওই শিশুটি। বাবা-মা'য়ের কলেই সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি। এসময় বিমানের সহযাত্রীরা তাকে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) ব্যবস্থার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন। বিমানের সহযাত্রীদের মধ্যে দিল্লির 'অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস' (এইমস) এর পাঁচ চিকিৎসকও ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের অনবরত প্রচেষ্টায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। এরপর নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পরে শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বেসরকারী হাসপাতালে। 

নাগপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল কেআইএমএস-কিংসওয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এজাজ শামি (ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন) জানান 'তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার ভোর ৩.১৫ মিনিট নাগাদ শিশুটি মারা যায়।

তিনি আরো জানান 'বিমানের ভেতর এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর থেকে তাকে অচেতন অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করার একাধিকবার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালের সকলে মিলে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি। শিশুটি কিডনি এবং কার্ডিয়াক ব্যর্থতা সহ বিভিন্ন শারিরীক জটিলতায় ভুগছিল বলেও জানান এজাজ শামি। একটা সময় তার বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। এও জানা গেছে বেঙ্গালুরুর নারায়ণা হাসপাতালে ওই শিশুটির হৃদরোগের অস্ত্রপ্রচার হয়েছিল। 

হাসপাতাল সূত্রে খবর শুক্রবারই ওই শিশুটির লাশ নিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যাবে তার বাবা-মা। ইতিমধ্যেই লাশ নিয়ে যাওয়ার সমস্ত আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হয়েছে। নাগপুর থেকে দিল্লি হয়ে বাংলাদেশের সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে ওই শিশুটিকে।


আরও খবর



আত্রাইয়ে ১৯বছর পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর আত্রাইয়ে রতন হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল হামিদ কে দীর্ঘ ১৯বছর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হামিদকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। তিনি উপজেলার সাহেবগঞ্জ দক্ষিন পাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে রতন খন্দকার হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী।

 রতন খন্দকারের ছোট ভাই রিপন খন্দকার জানান,২০০৪সালের ১৬মে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে বড় ভাই রতনকে পিটিয়ে হত্যা করে আব্দুল হামিদ ও তার সহযোগিরা।এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার পর থেকে আব্দুল হামিদ পলাতক ছিল।ওই মামলার রায়ে বিজ্ঞ আদালত হামিদকে মৃত্যু দন্ড এবং আরো দুইজনকে যাবতজীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। এছাড়া আরো একজন খালাস পায়। 

 আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন,রতন হত্যা মামলার রায়ে আদালত হামিদকে ২০০৯সালে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করে। ঘটনার পর থেকে হামিদ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় র‍্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হামিদকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।


আরও খবর