Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

সূফিবাদের প্রয়োজনীয়তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সূফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :   

হাদীসের দ্বারা তাসাইফের কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়।একবার রাসূলে করীম (সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ইহসান কি?তিনি উত্তরে বলেছিলেনইহসান হল  বিষয় যে,তুমি যখন নামায পড়বে তখন তুমি  মনে করবে যে আল্লাহকে তুমি দেখছ আর তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই মনে করবে যে আল্লাহ তোমাকে দেখছেন

হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে যেযে ব্যক্তি নিজেকে চিনল,সে আল্লাহকে চিনল

হাদীসে কুদসীতে আরও এসেছে যেআল্লাহ বলেনযখন আমি আমার কোন বান্দাকে ভালবাসি তখন আমি তার ধ্যান-অনুধ্যানে  কাজে কর্মে নিকটবর্তী হই। আমি তার চোখ হই যা দিয়ে সে দেখে,আমি তার কান হই যা দিয়ে সে শুনতে পায়,আমি তার হাত হই যার সাহায্যে বিভিন্ন জিনিস ধরে।

 

অর্থাৎ,কুরআনে অসঅংখ্য আয়াত  হাদীসের দ্বারা  কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে সূফিবাদ কুরআন-হাদীস হতে নিঃস্বরিত এক ধরনের বাতিনী জ্ঞান।এ ছাড়াও আমরা  বিষয়টি লক্ষ্য করে দেখতে পাই যেনবী করিম (সাঃহেরা গুহায় গভীর ধ্যানে নিমজ্জিত থাকতেন যার দ্বারা বুঝা যায় যে তিনি আধ্যাত্মিক জীবন সাধনায় প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতেন। নবী করীম (সাঃএর জীবদ্দশায় আহলে সুফফার কিছু লোক আল্লাহ পাকের ধ্যান সাধনায় এমন সময় ব্যয় করেছেন যার দ্বারা ধারনা করা হয় যে সূফিবাদ কথাটির উৎপত্তি ঘটেছে। অতঃপর খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় হযরত আবূ বকর(রাঃ),উমার(রাঃ),উসমান(রাঃ আলী(রাঃপ্রত্যেকে তারা শাসনকার্য পরিচালনার পাশাপাশি অসংখ্য ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্যস্ত থাকতেন। সৈয়দ আমীর আলী বলেন,

 

“ আলী(রাঃএর মৃত্যুর সাথে খিলাফত ধংসব হতে থাকে আর দামেস্কে যে বর্বরোচিত অত্যাচার শুরু হতে থাকে সেখান থেকে কিছু মানুষ একান্তে ইবাদত বন্দেগী করতে বাধ্য আর সেখান থেকে অতীন্দ্রয়বাদ স্বাভাবিকভাবে অগ্রসর হতে থাকে

 

কুরআন  হাদীসে সূফিবাদকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়েছে।তা হল ইলমে বাতিনী,ইলমে লাদুন্নী,ইলমে ইলমে তরীকত,ইলমে মারিফত ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়েছে।

 সে সময় হতে হাসান বসরীসহ প্রমুখ তাবিয়ীর মাধ্যমে মরমীবাদ প্রকাশ হতে থাকে।উমাইয়্যা খিলাফত আমলে মানুষের বাহ্যিক চিন্তা-চেতনার এতটা বিকাশ ঘটে নাই যতটা বিকাশ ঘটেছিল আব্বাসীয়দের আমলে।সে সময় সূফিবাদের একটি চূড়ান্তরুপ লাভ করে।সে অর্থাত,হিজরীর ২য় শতকে এসে সূফিবাদ নামে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী মরমীধারার উদ্ভব ঘটে।সে সময় যেসমস্ত কারনে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে তার প্রধান প্রধান কারনসমূহ নিম্নরুপঃ

()খলিফা হারুন-উর-রশিদের ইন্তেকালের পর তার দুই পুত্র আমীন  মামুনের ভিতর যখন মতবিরোধ দেখা দেয় তখন এক বীভীষীকাময় রাজনোইতিক অবস্থা বিরাজমান ছিল।অন্যদিকে ইসমাইলীয়া,বাতিনিয়া  কারামাতিয়া প্রভৃতি সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ ধর্মের নামে অভীষ্ট রাজনীতির প্রচারণা চালাতে থাকে।এমতাবস্থায় কিছু লোকজন রাজনীতি থেকে কিছু মানুষ ইবাদতে ধ্যান-মগ্নে থাকার প্র্যাস পান এববগ এর ভিতর শান্তি তারা খুজে পেয়েছিল।

()আব্বাসীয়দের খিলাফতামালে মুতাযিলা সম্প্রদায়ের চিন্তা-চেতনার আবির্ভাব ঘটেছিল সেখানে মানুষের ভিতর এক ধরনের সংশায়াত্মক অবস্থার সৃষ্টি করেছিল আর মুতাযিলাদের সাথে অন্যান্য গোষ্ঠির ভিতর যে দ্বন্দ্বের আবির্ভাব হয়েছিল তা থেকে পরিত্রানের জন্য কিছু লোক আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে শান্তি খুজে পাওয়ার প্রয়াস খুজে পেয়েছিল।

()হানাফী,শাফিয়ী,মালিকি  হাম্বলী মাযহাব যে আবেগ বর্জিত পরহেজগারিতা নিয়ে এসেছিল সে অবস্থায় সম্পূর্ণ আবেগধর্মী অবস্থার দিকে এক দল মানুষ ধাবিত হচ্ছিল।

তাহলে আমরা বলতে পারি যে,তাসাইফের উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে বাহিরের কোন চিন্তা-ধারনা থেকে নয় বরং কুরআন-হাদীস  মুসলমানদের নিজস্ব চিন্তা-ধারাকে কেন্দ্র করে হয়েছে।মহানবী(সাঃএর জীবদ্দশায় এর উৎপত্তি ঘটেছিল যা

সূফিবাদের ক্রমবিকাশঃ

প্রকৃতপক্ষে সূফিবাদের আবির্ভাব মুহাম্মদ(সাঃএর সময় হতে শুরু হয়।অতঃপর যাকে সর্বপ্রথম মুসলিম সূফী হিসেবে চিহ্নতি করা হয় সে হল হযরত হাসান বিসরি(.) তার জ্ঞানতত্ত্বের আলোকে সূফী-সাধকগণ সূফিবাদের ক্রমবিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তার ভিতর মরমী  দার্শনিক চিন্তা-ধারার এক অপূর্ব মিলন ঘটেছিল।এছাড়াও সর্বপ্রথম সূফী হিসেবে যার নাম স্বীকৃতি দেওয়া হয় সে হল আবয় হাশিম কূফী।কেউ কেউ আবার জাবির বিন হাইয়্যানকে প্রথম সূফী হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।এরপর হিজরীর ২য় শতকে এসে সূফিবাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্বি পেতে থাকে।এ সময়ের উল্লেখযোগ্য সূফীগণ হলেন ইব্রাহীম বিন আদহাম,রাবিয়া বসরী,দাউদ আত-

 

তায়ী  ফুযায়ল বিন হাইয়ায প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।তাদের কার্যকলাপ  বাণী থেকে আস্তে আস্তে কৃচ্ছতা জীবনে উদ্ভব ঘটতে থাকে।

এরপরে সূফিবাদের ক্রমবিকাশে যুন্নুন মিসরীর ভূমিকা ছিল ব্যাপক।তিনি ইসলামী মরমীবাদকে স্তভ হিসেবে স্থাপিত করেছিল।তাই তাকে সূফিবাদের সর্বপ্রথম ব্যাখ্যাদানকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।তিনি হাল  মাকাম সম্পর্কে সূফী-সংক্রান্ত সূত্র প্রদান করেন।অতঃপর যুনায়েদ বাগদাদী যুন্নুন মিসরীর ধারনাকে আরো উন্নতি  সুসংবদ্ব করেন।

কালক্রমে সূফিবাদের ভিতর সর্বেশ্ববাদের ধ্যান-ধারনা যুক্ত হতে থাকে।এ ধরনের মতাবাদের মূল প্রবক্তা ছিলেন বায়জীদ বোস্তামী  মানসুর হাল্লাজ।তবে মানসুর হাল্লাজের বক্তব্য কিছুটা বিতর্কিত ছিল যে জন্য তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

অতঃপ্অর ইমামা আল গাযযালী এর সময় থেকে গোড়া সুন্নিবাদী মতবাদ সূফিবাদের ভিতরে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নেয়।তিনি গোড়া ইসলাম  সূফিবাদের ভিতর একটি সুন্দর মিল তৈরী করেন।।তার সময় অনেল সূফীর আগমন হয় যার মধ্যে আব্দুল কাদির জিলানী,ফরিদ উদ্দিন আত্তার,আল-কুশাউরী,শিহাবুদ্দিন সোহয়ার্দীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সপ্তম হিজরীতে স্পেনে ইবনুল আরাবী সূফিবাদের ক্রমবিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তিনি সর্বেশ্বরবাদের প্রচলন করেন।তার তার প্রতিষ্ঠিত মতবাদের নাম ছিল “ওয়াহাদুল অজুদ।তার এই মরমী ধারার ক্রমবিকাশে সাহায্য করেছিলেন জালালুদ্দিন রুমি (.)।তার মসনবী শরীফ পৃথিবীর ইতিহাস এক অমূল্য গ্রন্থ হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে।ইবনুল আরাবীর এই মতবাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রুকুনুদ্দিন আলাউদ্দৌলা একটি পৃথক মতবাদ গঠন করেন যা শুহুদিয়া নামে পরিচিত।তার এই সম্প্রদায়কে বাহাউদ্দীন বিশেষভাবে সমর্থন দিয়েছেন এবং হিজরী একাদশ শতাব্দীতে  মতবাদটি ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে রাখে।    পরবর্তীতে সূফী-সাধকদের ভিতর কাশানী,আলজিলি এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।অতঃপর ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক সূফীর আবির্ভাব ঘটে যাদের ভিতর খাজা মইনুদ্দিন চিশতী,বাহাউদ্দিন,শিহাবুদ্দিন,মুজ্জাদিদ আলফে সানীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।বিশেষ করে আলফে সানী সূফিবাদকে ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন করে উজ্জীবিত করেন।তিনি প্রকৃতপক্ষে  শুহুদিয়া সম্প্রদায়কে বিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।অতঃপর ১৮৩৭ সালে মুহাম্মদ বিন আলী ১৮৩৭ সালে আলজেরিয়াতে একটি পৃথক সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে সূফিবাদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়  ক্রমবিকাশ হতে থাকে।

 

 


আরও খবর



রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর



জলদস্যুর কবলে লক্ষ্মীপুরের ক্যাডেট ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুবের বাড়ীতে শোকের মাতম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুরে কবলে পড়া জাহাজে থাকা বাংলাদেশী ২৩ নাবিকদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুব খান লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে। প্রায় ১ মাস আগে তার বাবা আজহার মিয়া মারা যান। এখনো গৃহকর্তা হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবারটি। এরমধ্যেই পরিবারের ছোট ছেলে সাগরে ডাকাতদের কবলে রয়েছে। এ শোকে আইয়ুবের মা হোমায়রা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কিছুক্ষণ পর পরই ছেলেকে বুকে চেয়ে চিৎকার করে উঠেন। আইয়ুব বাবা তুমি কই বাবারে, কথা বলতে বলতে মূর্ছা যাচ্ছেন  ৬০ বছর বয়সী মা হুমায়ারা বেগম। হাতে তার মোবাইল ফোন। ফোনে রয়েছে ছেলের ছবি, আর চোখের কোণে অশ্রু। ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুব খান এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে গত মঙ্গলবার সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সেসহ আরো ২২ নাবিক। তার উদ্বিগ্ন মা ছুটে চলেছেন আর কোন মানুষ দেখলে বলতে থাকেন আমার বাবা কি হয়েছে। বাবা আইয়ুব খান এসেছে? কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার মানিক কোথায়? তারে আমার সামনে আনেন। আমি আমার মানিকরে বুকে নেব।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রোজার ইফতারের পর থেকে খবর পেয়ে মূর্ছা যান ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুব খানের মা হুমায়ারা বেগম (৬০)। আইয়ুব খানের মা  হুমায়ারা বেগম বলেন, ‘আমরা যখন ইফতার করছিলাম, এর মাঝেই আমার ছেলে তার ভাই রাব্বীর সাথে ফোনে কথা হয় জাহাজটি সোমালিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’‘টাকা না দিলে মেরে ফেলবে’, শুনে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আইয়ুব খান এর মাসহ পরিবারের সদস্যরা। মুক্ত করতে মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে চলেছেন তারা।

আইয়ুব লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাখালিয়া গ্রামের বিরন বেপারী বাড়ির মৃত আজহার মিয়ার ছোট ছেলে। তিনি রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রামগঞ্জের ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া একাডেমি থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। প্রায় ১ বছর ধরে ইন্টার্নি করছে আইয়ুব ।


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর রাখালিয়া গ্রামের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের বাড়ী উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কথা শুনে ঢাকা থেকে টেলিফোনে কথা বলেন ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের  মেজো ভাই রাব্বী। বলছেন, মিডিয়া বেশি কিছু বলতে পারবো না। তবে বিপদে আছেন তারা। টাকা না দিলে মেরে ফেলবে, জিম্মি ২৩ নাবিক পরিবারের মতো চরম উৎকন্ঠায় জিম্মি লক্ষ্মীপুরের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের পরিবার। মুক্তিপণ না পেলে জলদস্যুরা তার ভাইসহ অন্যদের মেরে ফেলবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশী সময় সন্ধ্যায় মেজো ভাই রাব্বীর সাথে সর্বশেষ কথা ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের সাথে। তখন আইয়ুব খান ফোনে বলছেন জলদস্যুরা তাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের মেরে ফেলবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাশে সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এ সময় শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে নেয় সোমালিয়ান দস্যুরা। এদিন বিকেলে জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। জাহাজে লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব খানসহ মোট ২৩ জন নাবিক জিম্মি। এর মধ্যে জিম্মি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানও রয়েছে।  তিনি বিয়ে না করলে ও তাদের সংসারে রয়েছেন দুই ভাই এক বোন।



আরও খবর



নওগাঁয় রহস্যজনক ভাবে ৩ সন্তানের জননী নিখোঁজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার পাতাড়ী মাদ্রাসা পাড়া থেকে মোছাঃ আনওয়ারী বেগম(৩৫) নামের এক গৃহবধূ রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। 

নিখোঁজ হওয়া ঐ গৃহবধূর স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজন সম্ভাব্য  সকল স্থানে খোঁজা-খুঁজি করেও কোন সন্ধান না পেয়ে গৃহবধূ আনওয়ারী বেগমের পিতা মাহবুবুর রহমান গত শুক্রবার দুপুরে সাপাহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

উল্লেখ্য যে, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের মাহাবুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ আনওয়ারী বেগম এর সাথে একই উপজেলার পাতাড়ী মাদ্রাসা পাড়ার শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দীর্ঘ দিনের সংসার জীবনে দু' মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। কয়েক দিন পূর্বে গৃহবধূ আনওয়ারী বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর সংসারের কাজ কর্ম যথারীতি এক পর্যায়ে রাত ৮ পর হটাৎ করেই রহস্যজনক ভাবে গৃহবধূ নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হোন। নিখোঁজের পর স্বামী ও তার পিতার পরিবার থেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে অদ্য পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা  হয়েছে বলে থানার ওসি (তদন্ত)

রায়হান কবির জানিয়েছেন।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবির গণিত বিভাগের শিক্ষকের বিদায় ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তারের বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৯ মার্চ ২০২৪ (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় একাডেমিক ভবনের গণিত বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. পিনাকী দে। এসময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ধনেশ্বর চন্দ্র সরকার, জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আজিজুল হক ও বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ মুছা মিয়া বক্তব্য রাখেন।

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. পিনাকী দে প্রদত্ত 'এড. তারাপদ দে-মমতা দে' বৃত্তিতে ২ জনকে এম.এস (থিসিস) পর্যায়ে নীলিমা নাসরিন ও এম.এস (নন থিসিস) পর্যায়ে মোঃ সুজন খান এবং প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার প্রদত্ত 'মিরাজ আলী-আব্দুস সাত্তার' বৃত্তিতে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১ জন ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম ও 'হুরজান নেসা-লাইলুন নাহার' বৃত্তিতে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১ জন মেয়ে মোছাঃ রুকসানা আক্তারকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে গণিত বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে শিক্ষকতা শেষে ২০১০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৫-২০২০ সাল পর্যন্ত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে শিক্ষকতা (চুক্তিভিত্তিক) করেন।


আরও খবর



নোয়াখালীতে সম্পত্তির বিরোধে চলাচলের রাস্তা বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর উপজেলার নদনা ইউনিয়নের দক্ষিণ শাকতলা বড়বাড়ির খাস খতিয়ানের ৩০ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়ায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বাড়ীর ২শ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। 

বুধবার সকালে বড় বাড়ির মৃত আব্দুর রশিদ ও কারী জয়নাল আবেদীনের বংশধর জাহাঙ্গীর আলমসহ বাড়ীর অন্যান্যরা এই চলাচলের রাস্তা বন্ধ করেন। 

জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন ৫০ বছর পূর্বেই এই বাড়ির কবরস্থান, পুকুর ও টয়লেটের চলাচলের জন্য খাস খতিয়ানের ৩০ শতাংশ সম্পদ বাড়ির মুরুব্বীরা উন্মুক্ত রেখে যান। পরবর্তীতে মৌখিকভাবে বিনিময়ের মাধ্যমে বর্তমান চলাচলের রাস্তার পরিবর্তে মৃত আব্দুর রশিদ ও কারী জয়নাল আবেদীন গংরা ৩০ শতাংশ সম্পত্তি ভোগ করে আসছিলো। গত কিছুদিন পূর্বে তারা জানতে পারে তাদের দখলে থাকা ৩০ শতাংশ সম্পত্তি পার্শ্ববর্তী এলাকার মৃত গনি মিয়ার বংশধররা মালিক দাবি করে ঐ সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। 

উক্ত সম্পত্তির কবরস্থানের কিছু অংশের দেয়াল ভেঙ্গে দখলে নেন একই বাড়ির ফয়েজ আহমেদ। তিনি দাবী করেন, উক্ত সম্পত্তি তিনি ক্রয় করেছেন। 

বর্তমানে বাড়ীর অবরুদ্ধ বাসিন্দারা উক্ত সমস্যা নিরসনের দাবী জানান।


আরও খবর