মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক :
দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে
ফিরে বলেছিলেন,
‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির
সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি’। কথা তিনি রেখেছেন দেশ ও
জাতির উন্নতির জন্য তার দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে। রাষ্ট্রনায়ক থেকে নিজেকে নিয়ে
গেছেন বিশ্বনেতার কাতারে। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মগ্রহণের দিন। শুভ জন্মদিন শেখ
হাসিনা।
১৯৪৭ সালের ২৮
সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী-বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ
হাসিনা। এবছর তাঁর ৭৬তম জন্মদিন।
আওয়ামী লীগের
সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ
দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক
অনুসরণ করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএর সাধারণ আলোচনায় অন্যান্য বছরের মতো বাংলায়
ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন
বঙ্গবন্ধুকন্যা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে।
বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন একটি রোল মডেল। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিশ্বনেতাদের। মিয়ানমারে
জাতিগত নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারা
বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা মনে করেন,
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই
মহামারীর ধাক্কার পরও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার প্রায় সব দেশের ওপরে।
সঠিক নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ, মানুষের
জন্য আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা, অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রণোদনা
ঘোষণা এবং বাস্তবায়ন করে দেশের মানুষকে করেছেন ক্ষুধামুক্ত।
কিছু কিছু
ক্ষেত্রে বিশ্বকে চমকে দেবার মতো সাফল্য আছে বাংলাদেশের। বিশেষত শিক্ষা সুবিধা, নারীর ক্ষমতায়ন,
মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার ও জন্মহার কমানো, গরিব
মানুষের জন্য শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান এবং শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম
অন্যতম।
গত ১৩ বছর ধরে
শেখ হাসিনার বিশ্বাসযোগ্য ও বুদ্ধিমান নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র
পরিচালনায় ব্যতিক্রমীভাবে দুর্দান্ত সফলতা অর্জন করেছে। ফলস্বরূপ, বিভিন্ন খাতে
অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
দেশকে উন্নত
সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে তাঁর নিরন্তর পরিশ্রম যেমন সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি তার ঝুলিতে
যুক্ত হয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও পুরস্কার।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৪০টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও পুরষ্কার
পেয়েছেন। বিভিন্ন সূচকে দেশের অগ্রগতির কারণে এ সম্মান অর্জন করেছেন
বঙ্গবন্ধুকন্যা।
প্রথমবার
ক্ষমতায় এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী এবং বাঙালীর দুই দশকের বেশি সময়ের
যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি করেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবদান স্বরূপ ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো হোফোয়েট বোইগনি শান্তি
পুরষ্কারে ভূষিত করেন তাকে।
১৯৯৭ সালের ৬
ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বোস্টন
বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান সূচক ‘ডক্টর অব লজ’ উপাধি প্রদান করে।
১৯৯৭ সালের ৪
জুলাই জাপানের বিখ্যাত ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’
ডিগ্রি প্রদান করে।
১৯৯৭ সালের ২৫
অক্টোবর গ্রেট ব্রিটেনের ডান্ডি অ্যাবার্তে বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমার্তন
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিবারেল আর্টস’
ডিগ্রি প্রদান করে।
১৯৯৭ সালে
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস
কমিটি শান্তি, গণতন্ত্র ও উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনে অনন্য ভূমিকার
স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে ‘নেতাজী মেমোরিয়াল পদক
১৯৯৭’ প্রদান করে।
১৯৯৭ সালে
রোটারি ইন্টারন্যাশনালের রোটারি ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে ‘পল হ্যারিস ফেলো’ নির্বাচিত করে এবং
১৯৯৬-৯৭ সালের সম্মাননা মেডেল প্রদান করে।
একই বছর
লায়ন্স ক্লাবসমূহের আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ১৯৯৭ সালে ‘রাষ্ট্রপ্রধান পদক’-এ ভূষিত হন শেখ
হাসিনা।
পাবর্ত্য
চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন
ইউনেস্কো শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালের ফেলিক্স হুফে বইনি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেন।
১৯৯৮ সালের ১২
এপ্রিল শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে ‘মাদার তেরেসা পদক’ প্রদান করে নিখিল
ভারত শান্তি পরিষদ।
নরওয়ের
রাজধানী অসলোয় অবস্থিত মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালের ‘এম কে গান্ধী’ পদক প্রদান করে।
১৯৯৯ সালে ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের বিশ্ব
খাদ্য কর্মসূচি (ঋঅঙ) কর্তৃক ‘সেরেস পদক’
লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৯৯ সালের ২০
অক্টোবর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অসাধারণ অবদানের জন্য ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়া
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক শেখ হাসিনাকে ‘ডক্টর অব লজ’
ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
১৯৯৯ সালের ১৮
ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’
উপাধি প্রদান করা হয়। ২০০০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রাসেলসের ক্যাথলিক
বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে (Doctor Honor is Cauca) প্রদান
করে।
২০০০ সালে
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য ম্যাকন
ওমেনস কলেজ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ‘পার্ল এস বাক পদক’
লাভ করেন তিনি।
২০০০ সালে
আফ্রো-এসিয়ান ল’ ইয়ার্স ফেডারেশন
প্রদত্ত ‘পারসন অফ দ্যা ইয়ার’
নির্বাচিত হন তিনি।
২০০১ সালে
বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ ডিগ্রি প্রদান
করে।
২০০৫ সালের
জুন মাসে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির স্বপক্ষে অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক
ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে পিপলস ফ্রেন্ডসশিপ ইউনির্ভাসিটি অব রাশিয়া।
২০১০ সালের ১২
জানুয়ারি বিশ্বখ্যাত ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক ২০০৯’-এ ভূষিত হন শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ২৩
নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নে অসমান্য অবদানের জন্য St. Peters burg বিশ্ববিদ্যালয়
Honorary Doctorate প্রদান করে।
শিশুমৃত্যু
হ্রাস সংক্রান্ত এমডিজি-৪ অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ কর্তৃক এমডিজি
অ্যাওয়ার্ড-২০১০ পুরস্কার লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১১ সালে
প্যারিসের ডাউফিন ইউনিভার্সিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণপদক
ও ডিপ্লোমা পুরস্কার প্রদান করে।
আন্তর্জাতিক
টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন,
সাউথ-সাউথ নিউজ ও জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন
কর্তৃক যৌথভাবে প্রদত্ত South-South Awards 2011 : Digital Development for
Digital Health শীর্ষক পদক লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১১ সালের ২৬
জানুয়ারি ইংল্যান্ডের হাউস অব কমনসের স্পিকার John Be cow, MP
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু
পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অনবদ্য অবদানের জন্য Global
Diversity Award প্রদান করেন।
২০১১ সালের ৩০
ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান
করে।
২০১২ সালের ১২
জানুয়ানি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ‘ডি-লিট’
ডিগ্রি প্রদান করে ত্রিপুরা সেন্ট্রাল ইউনির্ভাসিটি। শেখ হাসিনার
রাষ্ট্র পরিচালনা, নেতৃত্বের দূরদৃষ্টি এবং শান্তি ও
গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
৬ ডিসেম্বর, ২০১২ সালে,
তাঞ্জানিয়ায় অনুষ্ঠিত GAVI alliance Partners Forum এ বাংলাদেশকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। টীকাদান কর্মসূচীতে অভূতপূর্ব
সাফল্যের জন্য অন্য ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
৮ই জুন, ২০১৩ সালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল এর তরফ থেকে রোটারী শান্তি
পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১৩ই জুন, ২০১৩ সালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহনের জন্য
আমন্ত্রণ জানান জাতিসংঘ খাদ্য এবং কৃষি সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল হোসে গ্রাজিয়ানো
দা সিলভা।
২০১৩ সালের ১৬
জুন জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা দারিদ্র্যতা, অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে
উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করায় বাংলাদেশকে ‘ডিপ্লোমা
অ্যাওয়ার্ড’ পদকে ভূষিত করে।
২০১৩ সালের ২৩
সেপ্টেম্বর দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের
স্বীকৃতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৩’ পুরস্কার লাভ করেন
প্রধানমন্ত্রী।
২০১৩ সালের ৬
ডিসেম্বর শেখ হাসিনার স্বপ্ন-প্রসূত ‘একটি বাড়ি একটি খামার
প্রকল্প’ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত
তথ্যপ্রযুক্তি মেলায় সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক ‘ম্যানহাটন অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ পদকে ভূষিত হয়।
নারী শিক্ষায়
অনবদ্য অবদানের জন্য ২০১৪ সালে ইউনেস্কো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘শান্তি বৃক্ষ’ স্মারক তুলে দেয়।
৮ই সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা তাঁর হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেন।
২০১৪ সালের
২১শে নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ ভিশনারি পুরষ্কারে ভুষিত
করা হয়।
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫ তারিখে
জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মান ‘চ্যাম্পিয়নস অফ দ্যা আর্থ’
পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নারীর
ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “প্ল্যানেট ৫০-৫০” পুরস্কারে ভূষিত
করেছে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ‘ইউএন ওম্যান’।
গত ২১
সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এজেন্ট অফ চেঞ্জ’ পুরস্কারে ভূষিত
করে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম। নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য ও সাহসী ভূমিকা পালনের
স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার
শাসনামলে দেশে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা,
চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি,
মূল্যবোধ, কৃষি, অর্থনীতি,
রেমিট্যান্স, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক
সম্পর্কের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশবাসীকে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়েছে
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। শুধু আর্থিক বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন
নয়, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে, বাল্যবিবাহসহ
বিভিন্ন রকমের সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক
অঙ্গনেও তাঁর কাজের স্বীকৃতি মিলেছে। বাংলাদেশের সফলতা ও নেতৃত্বগুণের জন্য তিনি
বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন ও নানাবিধ সম্মানে ভূষিত হয়ে বাংলাদেশের নাম
বিশ্বব্যাপী উজ্জ্বল করেছেন। বিশ্বের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ এখন জননেত্রী শেখ
হাসিনাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। বিশ্ব গণমাধ্যমে শেখ হাসিনা এখন বহুল আলোচিত ও
প্রশংসিত নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনা ছাড়া এমন
গুণাবলিসম্পন্ন আর কোনো নেতা বাংলাদেশের মানুষ পায়নি। এ কারণে তাঁর সাথে অন্য কোনো
নেতার তুলনা চলে না, শেখ হাসিনা নিজেই নিজের তুলনা।