Logo
শিরোনাম

স্বাধীন বিচার বিভাগ একটি দেশের উন্নয়নকে উৎসাহিত করে

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, শক্তিশালী সংসদ ও প্রশাসন একটি দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বাসকে বাস্তবায়নে বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে পৃথক করে সম্পূর্ণ স্বাধীন করেছি।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশীয় সাংবিধানিক আদালত : বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষা শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে আলাদা এর জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দ করে করেছে।  বিচার বিভাগ আগে আর্থিক বিষয়ে সরকারের ওপর নির্ভরশীল ছিল।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে সংযুক্ত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এটাকে নির্বাচন কমিশিন (ইসি) হিসেবে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করেছি এবং এর জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। এর মানে হলো- আমরা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি এবং আওয়ামী লীগ সরকার তা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সংবিধানে একটি অনুচ্ছেদ সংযোজন করেছে, যাতে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আমি বলতে পারি, জনগণের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ইনশাল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।


সূত্র : ইউএনবি
 


আরও খবর



মিয়ানমারে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মৃতদেহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শতাব্দীর ভয়ংকর ভূমিকম্পে সাগাইং এখন মৃত্যুপুরী! মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ‘সাগাইং শহরটি যেন পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মৃতদেহের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে।

যেদিকে চোখ যায় ধ্বংসাবশেষ। আর তার নিচে চাপা পড়ে আছে লাশ। মরদেহ বা চাপা পড়ে থাকা জীবিতদের উদ্ধারে বিন্দুমাত্র কোনো প্রচেষ্টা নেই জান্তা সরকারের।

উলটো রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশির মাধ্যমে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সিএনএনকে দেওয়া ধসে পড়া সাগাইং শহরের ভূমিকম্প-পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় বাসিন্দা কো জেয়ার বলেন, আমরা নিজেরাই যতটুকু পাড়ছি গৃহস্থালি সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সবাই মিলে গণকবরে ব্যবস্থা করছি।

সাগাইংয়ের প্রায় ৮০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের গ্রামীণ শহরগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মান্দালয় থেকে ৪৫ মিনিট দূরত্বের এ শহরটিতে আসতে এখন সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

গত ২৯ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় বড় বড় ফাটল-গর্ত, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্টগুলো সব ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো কত লাশ চাপা পড়ে আছে তার হিসাব নেই। যার বেঁচে আছেন তারাও আতঙ্কে দিন পার করছেন। ভূমিকম্পের ৭ দিন পরও থেকে থেকেই আফটারশক হচ্ছে।

ভয়ে স্থানীয়রা কেউ ঘরে ঘুমাচ্ছেন না। প্রায় পুরো শহরটির মানুষ এখন- রাস্তা, প্ল্যাটফর্ম, ফুটবল মাঠে ঘুমান। আমি নিজেও ঘরের ভেতরে ঘুমাই না। দরজায় ঘুমাই। যেন সহজেই দৌড়াতে পারি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরেকটি আফটারশক আঘাত হানার পর ফোনে সিএনএনকে এ কথা বলেন জেয়ার। আফটারশকগুলো অঞ্চলটিকে কাঁপিয়ে তুলছে।

আরেক স্বেচ্ছাসেবক কিয়াও মিন বলেন, সাগাইংয়ের যেদিকেই তাকান- ঘরবাড়ি, স্কুল, মন্দির, মসজিদ এবং দোকান ধ্বংসস্তূপে ভরা। আমরা উদ্ধারকারীরা খালি হাতে বা ন্যূনতম সরঞ্জাম দিয়ে জীবিতদের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপ খনন করে চলছি। আমরা আমাদের কাছে থাকা সামান্য সরঞ্জাম দিয়ে যতটা সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি।

আমরা অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করেছি, যার মধ্যে শিশু এবং বয়স্করাও রয়েছেন... মাথা, হাত বা পা ছাড়া মৃতদেহ ... আমরা এত ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আগে কখনো হইনি।

একই মন্তব্য জাতিসংঘের সাবেক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াংহি লির। তিনি বলেন, আমরা কেবল বেসামরিক লোকদের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খনন করতে দেখছি। কেন মিন অং হ্লাইং তার সব সামরিক বাহিনীকে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য পাঠাননি?


আরও খবর



গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলা জুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের সমর্থনে দিনব্যাপি জেলার ঝালকাঠির সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। ঝালকাঠির সদরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে জড়ো হন সাধারন মানুষ। এসময় এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি সেবা ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার সেক্রেটারি মাওলানা ইব্রাহিম আল হাদী বলেন, গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

অন্যদিকে নলছিটিতে সকাল ১১ টায় বাসস্ট্যান্ড থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নলছিটি উপজেলা শাখা ও বিকেলে মার্চেন্টস স্কুল সংলগ্ন থেকে হেফাজতে ইসলাম এর ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৃথক পৃথক স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এদিকে রাজাপুরে সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ মিনার চত্বরে রাজাপুর কামিল মাদরাসার ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ,বিকেল ৫ টায় রাজাপুর মডেল মসজিদ সংলগ্ন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজাপুর উপজেলা শাখা ও বাইপাস সংলগ্ন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এক‌ই সময় রাজাপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের  ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে সকাল ১০ ঘটিকায় সর্বস্তরের জনগণ ও বিকেলে ৫ ঘটিকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাঠালিয়া উপজেলা শাখার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৃথক পৃথক স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এসব বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একইসাথে ফিলিস্তিনের মানুষদের প্রতি সবাইকে সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী কর্তৃক নারী, শিশু, স্কুল, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে জঘন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এই বর্বরোচিত হামলা সারা বিশ্বে শান্তিকামী সাধারণ মানুষকে ব্যথিত করছে এবং তা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। আমরা এই প্রতিবাদী বিক্ষোভ থেকে বর্বরোচিত এই হামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানাই। 


আরও খবর



৭০ বছরের বৃদ্ধ মিন্টু মৃধার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা, বাদী রিমি কারাগারে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর নলছিটি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলো একই উপজেলার মো. জাকির হোসেনের মেয়ে এবং মো. মামুন হাওলাদার (সি.এন.এন মামুন) এর স্ত্রী।


এজাহারে বাদি লিখেছিলেন, 'আমার স্বামী মামুনের সাথে দাম্পত্য কলহের সমস্যা সমাধান এবং একটি কাজের আশায় বেশ কয়েকবার মিন্টু মৃধার কাছে যাই। এ থেকেই তার সাথে আমার সু-সাথে সম্পর্ক গড়েওঠে। গত ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর সকালে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ধর্ষন করেন।'


এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধাকে বেশ কিছুদিন থাকতে হয়েছে কারাগারে। এক পর্যায়ে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্ত হয় বৃদ্ধ মিন্টু মৃধা।


মামলায় বর্ণিত ধর্ষণের ঘটনার সময় মিন্টু মৃধা ঝালকাঠি আদালতে ও বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত কাজে ছিলেন। যা বিভিন্ন দপ্তরের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে প্রমানিত হয়। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষায়  ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। 


দুই বছরের অধিক সময় পুলিশি তদন্ত শেষে মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নলছিটি থানার থেকে আদালতে চুরান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এস আই আমিনুল।


বুধবার ৯ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের নোটিশে ঝালকাঠি আদালতে হাজির হলে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে মামলার বাদী সুমাইয়া আক্তার রিমিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।


নলছিটি এলাকার গনমাধম কর্মী তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, 'কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাচ্চুর অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিন্টু মৃধা প্রতিবাদ করায় তাকে শায়েস্তা করতে রিমিকে দিয়ে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো। এঘটনা সাজাতে রিমিকে ৫ লাখ টাকাও দিয়েছিলো সাবেক এই চেয়ারম্যান।


আরও খবর



ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রতিদিনই সারা বিশ্বে বিভিন্ন স্থানে নানা মাত্রায় ভূমিকম্প হয়ে থাকে। তবে ভূমিকম্পের নির্ভুল সতর্কবার্তা আগাম পাওয়া যায় না। ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্প হওয়ার সময় সতর্কবার্তা পাঠিয়ে থাকে গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেমসহ বেশ কয়েকটি অ্যাপ। এই সুবিধা বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীরা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।

গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম : গুগলের এই সুবিধা পেতে তেমন কোন ঝালেমাও পোহাতে হবে না। আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ভূমিকম্প সতর্কতা বা আর্থকোয়েক অ্যালার্ট ফিচারটি চালু করে নিলেই হয়ে যাবে। এর জন্য টাকাও খরচ করতে হবে না।

ভূমিকম্পের সময় স্থানীয় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে ২০২০ সালে আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করে গুগল। আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম মূলত ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠায়। ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি নিরাপদ থাকার পরামর্শও দিয়ে থাকে। আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম কাজে লাগিয়ে চাইলে ভূমিকম্পের বিস্তারিত তথ্যও জানা সম্ভব। ভূমিকম্প সতর্কতা চালুর জন্য প্রথমে স্মার্টফোনের সেটিংসে প্রবেশ করে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি’ অপশন থেকে ‘আর্থকোয়েক অ্যালার্টস’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর পরবর্তী পৃষ্ঠা থেকে আর্থকোয়েক অ্যালার্টস টগলটি চালু করতে হবে।

যেভাবে ভূমিকম্প অ্যালার্ট ফিচার চালু করবেন: আপনার ফোনে এই অ্যালার্টটি এরইমধ্যে চালু আছে কিনা তা দেখার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন-

Settings > Location > Advanced > Earthquake Alerts.

Earthquake Alerts যদি অফ থাকে তাহলে অন করে দিন।

অ্যালার্ট সিস্টেমটি চালু হলে ফোনে ভূমিকম্পের আপডেট আসতে থাকবে। আর যদি আপনি এই নোটিফিকেশন না চান তাহলে ফিচারটি অফ করেও রাখতে পারেন।

মাই আর্থকোয়েক

মাই আর্থকোয়েক অ্যালার্টস একটি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে ভূমিকম্প সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প শনাক্ত করতে সক্ষম অ্যাপটি এই ঠিকানা থেকে নামিয়ে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে।

আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক

ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা জানাতে সক্ষম আরেকটি অ্যাপ হচ্ছে আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক। ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের আগাম সতর্ক দেওয়ার দাবি করলেও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অ্যাপটি মূলত ভূমিকম্পের কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে আশপাশের এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক বার্তা পাঠিয়ে থাকে। এই ঠিকানা থেকে নামিয়ে ব্যবহার করা যাবে অ্যাপটি।


আরও খবর



৯ দিনের ছুটি পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের পর আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২৩ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিলের ছুটি ঘোষণা-সংক্রান্ত প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে এবার ঈদে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিস অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশের ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে সরকার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

এতে আরো বলা হয়, জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।

জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।

জরুরি কাজে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে বলে জনপ্রশাসন থেকে জানানো হয়।

ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।


আরও খবর