Logo
শিরোনাম
কুমিল্লায় ধর্ষণ মামলায়

স্বামী ও উকিল বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো ঃ

কুমিল্লায় ধর্ষণ মামলায় স্বামী মোঃ নূরুল ইসলাম ও উকিল বাবা আব্দুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় দেন কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলার বিবরণে জানাযায়- প্রায় ০৪ বছর পূর্বে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ নূরুল ইসলাম এর সাথে ভিকটিম দেলোয়ারা বেগম বিয়ে হয়। এবং দাম্পত্য জীবনে এক কন্যা সন্তান লামিয়া জন্ম গ্রহণ করে। এরপর হতে ভিকটিমের স্বামী নুরুল ইসলাম প্রায়ই তাঁর পরিচিত লোকজনের সাথে খারাপ কাজ করার জন্য তাঁর স্ত্রী দেলোয়ারা বেগমকে পরামর্শ প্রদান করত। ভিকটিম দেলোয়ারা উক্ত প্রস্তাবে রাজী না হলে তাঁকে তাঁর স্বামী মারপিট করত এবং তাকে তালাক দিয়ে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকী প্রদর্শন করত। ২০২০ সালের ০১লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভিকটিম দেলোয়ারা বেগম মাগরিব এর নামাজ পড়ে তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে তসবিহ জপতে থাকাবস্থায় তার স্বামী মোঃ নূরুল ইসলাম উকিল বাবা আব্দুর রহমানকে ঘরে নিয়ে আসে। ঐ সময় আব্দুর রহমানের হাতে একটি নতুন শাড়ি ছিলো। তাঁর স্বামী ভিকটিমের হাতে নতুন শাড়ী দিয়ে উকিল বাবা আব্দুর রহমানের সাথে খারাপ কাজ করার জন্য ভিকটিম দেলোয়ারা বেগমকে প্রস্তাব দেয়। দেলোয়ারা উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তাঁর স্বামী মোঃ নূরুল ইসলাম দেলোয়ারার মুখ চেপে ধরে আব্দুর রহমানকে বলে ধর্ষণ করার জন্য। ভিকটিমের স্বামী জোর করে তাঁর সেলোয়ার খুলে ফেলে। মুখ চেপে ধরায় দেলোয়ারা কোন শব্দ করতে পারেননি। তখন উকিল বাবা আব্দুর রহমান দেলোয়ারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন ধনুয়াখোলা নিবাসী জোহর আলীর কন্যা ভিকটিম দেলোয়ারা বেগম (২৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে ভিকটিমের স্বামী মোঃ নূরুল ইসলাম (৩৩) ও একই থানাধীন সৈয়দপুর নিবাসী মৃত আলী মিয়া গাজীর ছেলে উকিল বাবা মোঃ আব্দুর রহমানকে আসামী করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারার বিধানমতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে ঘটনা তদন্তপূর্বক আসামীদ্বয়ের সংশ্লিষ্ট ধারায় অপরাধ প্রাথমিক ভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় গত বছর ২৬ এপ্রিল উল্লেখিত আসামীগণের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকরী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ। এরপর মামলাটি বিচারে আসিলে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ভিকটিমের স্বামী মোঃ নূরুল ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ধারা ৯(১)/৩০-এ দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০,০০০/- টাকা অর্থ দণ্ড এবং উকিল বাবা আব্দুর রহমানকে সংশ্লিষ্ট ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০/টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ে আরও উল্লেখ করেন ধর্ষণের শিকার ভিকটিম দেলোয়ারা বেগম অর্থদন্ডের অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রাপ্য হবেন। আসামী নূরুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান অর্থ দণ্ডের ৬০,০০০/- টাকা পরিশোধ না করলে উক্ত টাকা আদায়ের নিমিত্তে আসামীদ্বয়ের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ ভিকটিম দেলোয়ারা বেগমকে ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিশোধ করার জন্য ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি এডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত এবং  আসামী পক্ষে এডভোকেট মোঃ আতিকুল ইসলাম।


আরও খবর



৩০০ আসনে আ.লীগ প্রার্থীদের চূড়ান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ পর্যন্ত চারটি বিভাগে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে৷ আগামীকাল শনিবার সম্ভব না হলে রোববার দলীয়ভাবে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, আজকের সভাতেও কিছু পুরোনো প্রার্থী বাদ গেছে, নতুনরাও মনোনয়ন পেয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে কোন কোন বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে তা আর প্রকাশ করা হচ্ছে না। একসঙ্গে তিনশ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। দুদিন অপেক্ষা করুন।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

মনোনয়নে বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা উইনঅ্যাবল, ইলেক্টঅ্যাবল না, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন। নারী-পুরুষ সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই মনোনয়নে এটা প্রযোজ্য।

রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা, নাশকতা, গাড়ি ভাঙচুর- এসব অপকর্ম করছে। জনগণ নির্বাচনমুখী হয়েছে এটা সরকারের সাফল্য। এসব চোরাগোপ্তা হামলা করে নির্বাচন পণ্ড, ভণ্ডুল করা সম্ভব নয়। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যা যা করেছে এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত আর নেই। আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, পার্কিং করা গাড়িতে ঘুমন্ত চালককে মারা, হরতাল, অবরোধ- ২০১৩-১৪ সালের পুনরাবৃত্তি। নাশকতার চেয়ে আর কি কঠোর কর্মসূচি আছে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এক কথায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিএনপির এখনো সুযোগ আছে। বিএনপি জোটগতভাবে না এলেও বিএনপির ভেতরের অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শেষপর্যন্ত ছবিটা কোথায় যায় দেখা যাক।

তিনি বলেন,নির্বাচন নিয়ে বহিঃশক্তির মন্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আমাদের মনোযোগ। আমাদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহৎশক্তির দেশগুলোর মন্তব্যে আমরা শরিক হতে চাই না

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কত নায়ক-নায়িকা এমপি। তারা তো সরাসরি দল করে না। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশেও আছে। আর সাকিব আল হাসান রাজনীতি করবে, জনগণের সেবা করবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় সে দাঁড়াতে পারে।

 


আরও খবর



ভারতে সুড়ঙ্গে আটকা ৪১ জনকেই উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশীতে ধসে পড়া সিল্কিয়ারা টানেলের ভেতর আটকে পড়া ৪১ শ্রমিকের সবাইকে সফলভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস এক অভিযানে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) তাদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলেছেন, শ্রমিকদের সবাই সুস্থ ও সবল আছেন।

এনডিটিভি বলছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর সিল্কিয়ারা টানেলের ভেতর থেকে শ্রমিকদের এক এক করে বের করে আনা হয়েছে। ১২ নভেম্বর থেকে আটকে থাকা শ্রমিকদের বের করে আনতে ৬০ মিটার লম্বা একটি পাইপ স্থাপন করা হয়। এই পাইপের মধ্যে দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি চাকাচালিত স্ট্রেচারে করে শ্রমিকদের বাইরে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও উৎকণ্ঠার মাঝে ১৭ দিনের দুঃস্বপ্নময় এক যাত্রার পর বাইরের আলোর মুখ দেখছেন এই শ্রমিকরা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রথমে পাইপটি দিয়ে টানেলের ভেতরে যান বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন উদ্ধারকারীরা। কীভাবে চাকাচালিত স্ট্রেচারে করে বের হতে হবেসে ব্যাপারে আটকে পড়া শ্রমিকদের নির্দেশনা দেন তারা। এ ছাড়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করেন। এরপর তাদের স্ট্রেচারে শুইয়ে দেওয়া হয়। শোয়ানোর পর বাইরে থেকে স্ট্রেচার টেনে টেনে শ্রমিকদের বের করে আনা হয়।

ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যম বলছে, উদ্ধারকাজ ধীরে ধীরে পরিচালনা করা হয়; যাতে শ্রমিকরা বাইরে এসে আগে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন। বর্তমানে সেখানকার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছিলেন, পাইপ স্থাপনের যেসব কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। নিষিদ্ধ র‌্যাট-হোল মাইনিং কৌশল ব্যবহার করে পাইপ স্থাপনের সর্বশেষ পর্বটি সম্পন্ন করা হয়। হাত দিয়ে পাইপ স্থাপন শুরুর আগে আমেরিকার তৈরি অগার ড্রিলিং মেশিন ব্যবহার করে ড্রিল করে পাইপের বেশিরভাগ অংশ বসানো হয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার মেশিনটি ভেঙে যাওয়ার পর র‌্যাট-হোল মাইনিং সম্পর্কে জানা বিশেষজ্ঞ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাকি কাজ সম্পন্ন করেন।

এর আগে, টানেলের উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়ক ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেছিলেন, তারা শ্রমিকদের উদ্ধারের কাছাকাছি চলে এসেছেন। কিন্তু পুরো উদ্ধার অভিযান শেষ হতে বুধবার সারারাত লাগতে পারে। তবে তিনি সারারাতের কথা বললেও ওই সময় শ্রমিকদের বরণ করে নেওয়ার সব প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। যার মধ্যে ছিল জরুরি চিকিৎসাসেবাও।

শ্রমিকদের বের করার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় সেজন্য টানেলের ভেতর একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া তাদের জন্য অক্সিজেন সেবাযুক্ত ৪১ বেডের একটি হাসপাতালও প্রস্তুত করে রাখা হয়।

দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, শ্রমিকরা সরকারি কর্মকর্তা এবং উদ্ধারকারীদের সঙ্গে হাসছেন, করমর্দন করছেন। ওই সময় শ্রমিকদের পুরো স্বাভাবিক দেখা যায়। শ্রমিকরা দাঁড়িয়েই অন্যদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন। এরপর তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে উত্তরাখণ্ডের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সূত্র : এনডিটিভি


আরও খবর



গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৫ হাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারদের অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ১৫ হাজার নিহত ছাড়াও গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ শিশু এবং ৪ হাজার নারী রয়েছেন। এ ছাড়াও এখনও অগণিত মরদেহ গাজার রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজায় এখনও অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭শ জনের বেশি। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু।

মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২০৭ চিকিৎসাকর্মী, ৭০ সাংবাদিক ও ২৬ বেসামরিক প্রতিরক্ষা উদ্ধারকারী দলের সদস্য রয়েছেন।

এ ছাড়াও এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর নষ্ট হয়ে গেছে ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি অবকাঠামো। আর এ পর্যন্ত ৮৮টি মসজিদ পুরাপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, আর আংশিক ধ্বংস হয়েছে ১৭৪টি মসজিদ। অন্যদিকে তিনটি গির্জায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১২শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা।

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এ চারদিনে হামাস ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২শ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।

সোমবার ছিল চার দিনের এ যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। এদিন হামাস ও ইসরায়েল সরকারের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।

 


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শিক্ষা সমাপনী উৎসব শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম ব্যাচ (সায়াহ্ন ১৬) এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা সমাপনী উৎসব আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ব্যাচই তাদের শিক্ষাজীবন শেষে এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ তম ব্যাচও তিন দিনব্যাপী র‌্যাগ উৎসবের আয়োজন করছে।

‘শূণ্য থেকে শুরু এই অঙ্গনে, সকল গোধূলি মিশুক এই সায়াহ্নে’ এই স্লোগানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের (সায়াহ্ন'১৬) কেন্দ্রীয় শিক্ষা সমাপনী উৎসব উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সায়াহ্ন ১৬ এর আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান আহম্মেদ শান্ত। এ অনুষ্ঠানের প্রথমদিন সোমবার একাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  প্রফেসর ড. মো: ফরহাদ হোসেন। এরপর শুরু হবে কেক কাটা, আনন্দর‍্যালি ও রঙ উৎসবের। আজ (সোমবার) বিকেল ৫ ঘটিকায় ক্যাম্পাসে ফটোসেশন, ফানুস উড়ানো ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছে। আজ রাত ৮ ঘটিকায় সমাপনী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের গ্র্যান্ড ডিনার ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করবে বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ২য় দিনের প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করবে সায়াহ্ন ১৬ ব্যাচটি। ওইদিন বিকেল ৫ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে আনপ্লাগড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে। শিক্ষা সমাপনী উৎসবের শেষদিন (বুধবার), বিকাল ৫ টা থেকে মুক্তমঞ্চ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যান্ড এমবিএমসি ও ঢাকা থেকে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীন অংশগ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন সায়াহ্ন ১৬ এর আহবায়ক রায়হান আহম্মেদ শান্ত।


আরও খবর



ক্যানসার আক্রান্ত রবিনের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ক্যানসারে আক্রান্ত যুবক রবিনের (২২) জীবন বাঁচাতে চিকি’সার জন্য সহযোগিতার আকুতি জানিয়েছেন স্বজনরা। রবিন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা গ্রামের মোহাতাব আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকি’সাধীন রয়েছেন।

রবিনের বড় ভাই ফিরোজ হোসেন জানান,সংসারে অভাব অনটোনের জন্য গত দুই বছর ধরে চট্রগ্রাম একটি গার্মেন্টসে শ্রমীক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত তিন মাস আগে অসুস্থ্য হয়ে পরেন। পরে হাসপাতালে নিলে পলীক্ষা নিরীক্ষার পর তার শরীরে ইউয়িং সারকোমা নামক ক্যানসার ধরা পরে। বর্তমানে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকি’সাধীন রয়েছেন। তাকে ভারতে নিয়ে চিকি’সা করাতে প্রায় ১০লক্ষ টাকা ব্যায় হবে। কিন্তু এতো টাকা ব্যায় করে চিকি’সা করানোর মতো সামর্থ নেই পরিবারের। ফিরোজ জানান,সংসারে একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাই বাড়ীর মাত্র চার শতক জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই। বর্তমানে থেরাপীতে যে পরিমান টাকা ব্যায় হচ্ছে তাও যোগান দিতে পারছিনা। চোখের সামনেই তিলে তিলে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সামর্থবান এবং হৃদয়বানদের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সহযোগিতা পাঠাতে

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আবাদপুকুর হাট এজেন্ট শাখা যাহার হিসাব নং-৯৯০১১৯০০৫৯৬৩৬

বিকাশ নং-০১৭৫৭ ৬৫৪৬৪৪


আরও খবর